দাঁত ক্ষয়রোধে যে অভ্যাসগুলো ত্যাগ করা খুব জরুরি

দাঁত প্রত্যেকটি প্রাণীর জন্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া দাঁত প্রত্যেকটি মানুষেরই সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। আর এই মূল্যবান দাঁত যদি ক্ষয় হয়ে যায় তবেই বাড়ে বিপদ।

দাঁত ক্ষয় হওয়ার জন্য আমাদের নিজেদেরই কিছু অভ্যাস দায়ী। নিজেদের কিছু অসতর্কতা ও অসাবধানতাই দিন দিন দাঁত নষ্ট করে দিচ্ছে। এর ফলে দাঁতের রঙও নষ্ট হচ্ছে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা করা না হলে দাঁত দুর্বল হয়ে যায় এবং দাঁতের মূলের কোষ মরে যায়। ফলে দাঁত স্থায়ীভাবেই হারাতে হয়।

তাই দাঁত ক্ষয়রোধে আমাদের কিছু অভ্যাস ত্যাগ করা খুব জরুরি। চলুন তবে সেই অভ্যাসগুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক-

চিনিযুক্ত পানীয়

বিশেষজ্ঞরা প্রমান করেছেন যে, দাঁত ক্ষয় হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে চিনি।তাই যদি সুস্থ দাঁত পেতে চান তাহলে সফট ড্রিংক, সোডা, কৃত্রিম ফলের জুস পান করা থেকে বিরত থাকুন।

ভিটামিন ট্যাবলেট চিবিয়ে খাওয়া

বেশিরভাগ ভিটামিন ট্যাবলেটই চিবিয়ে খাওয়া যায়। তাছাড়া এগুলো স্বাস্থ্যের জন্যও খুব উপকারী। কিন্তু এগুলো যেহেতু এসিডিক প্রকৃতির হয় তাই নিয়মিত এই ট্যাবলেট চিবিয়ে খেলে দাঁত ক্ষয় হতে পারে।

দাঁত কামড়ানো

অনেকেরই দাঁত কামড়ানোর বদঅভ্যাস থাকে। এতে দাঁতের এনামেল ক্ষয় হয়ে যায়। যার ফলে দাঁত ক্ষয়ের সমস্যা দেখা দেয়।

খুব জোরে দাঁত ব্রাশ করা

আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন, যারা তাড়াহুড়ো করে দাঁত ব্রাশ করেন। আর তাড়াতাড়ি দাঁত পরিষ্কার হওয়ার জন্য খুব জোরে ব্রাশ করেন। কিন্তু জোরে জোরে ব্রাশ করলে দাঁতের এনামেল নষ্ট হয়ে যায় এবং দাঁতের মূলও ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এই কারণে দাঁতে ছিদ্রও হতে পারে।

টুথপিক ব্যবহার করা

অনেকেই খাওয়ার পর দাঁত পরিষ্কার করতে টুথপিক ব্যবহার করেন। নিয়মিত এভাবে দাঁত পরিষ্কারের জন্য টুথপিক ব্যবহার করা হলে দাঁতের সেনসিটিভ অংশের ক্ষতি হয়। এর ফলে দাঁত ক্ষয় হতে পারে।

অ্যালকোহল সেবন

বেশিরভাগ অ্যালকোহল এসিডিক ধরণের হয়। তাই যারা নিয়মিত অ্যালকোহল সেবন করেন তাদের দাঁত ক্ষয় হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।

পেইন কিলার সেবন

অনেক ব্যথানাশক ওষুধই লালার উৎপাদন কমিয়ে দেয়। ফলে মুখগহ্বর ড্রাই হওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। এর ফলে এনামেল ক্ষয় হতে শুরু করে। যার পরিণতিতে দাঁত ক্ষয় হয়।