শরীরের ক্ষতিকর পদার্থ দূর করে এই চা, ঝরাবে মেদও

পেটের চর্বি থেকে মুক্তি পেতে সবাই কতো কিছুই না করে! ডায়েট থেকে শুরু করে জিম সব কিছুই নিশ্চয় করেছেন! ফলাফল দীর্ঘস্থায়ী নয়? তবে জানেন কি? শরীরে জমা বিভিন্ন ক্ষতিকর পদার্থ দূর হওয়ার মাধ্যমে আপনার ওজনও কমতে পারে।

সামান্য দুটি রান্নাঘরের উপাদান ব্যবহার করেই আপনি এক ঢিলে দুই পাখি মারতে পারেন!এই দুই উপাদানের সাহায্যে তৈরি চা পানের মাধ্যমে আপনার শরীর ডিটক্স হবে পাশপাশি ওজনও কমবে। এতে করে আপনার ডায়েট কিংবা ব্যায়ামের ঝক্কিও পোহাতে হবে না। এই মূল্যবান দুটি উপাদান হলো-আদা ও জিরা।

প্রত্যেক বাঙালির রান্নাঘরেই এই দুইটি উপাদান থাকবেই! মসলা হিসেবে এই উপকরণগুলো বেশ জনপ্রিয়। তবে জানেন কি? প্রাকৃতিক ভেষজ হিসেবেও এই দুটি উপাদান শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার সমাধান ঘটাতে পারে। এই দুটি উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে পান করলেই আপনার শরীরের বাড়তি মেদ ঝরবে এমনকি স্বাস্থ্যের উন্নতিও ঘটবে।

জিরায় রয়েছে প্রচুর স্বাস্থ্য উপকারিতা। পটাসিয়াম, আয়রন এবং ডায়েটারি ফাইবার সমৃদ্ধ জিরা বীজে আরো রয়েছে ভিটামিন সি, ই এবং কে। এসব পুষ্টি উপাদানগুলো চর্বি ভাঙতে সাহায্য করে। এমনকি শরীরের অস্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরলের মাত্রাকেও নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।

অন্যদিকে আদা হলো একটি ওষুধি ভেষজ উপাদান। এটি মূলত পেট এবং পাচনতন্ত্রের চিকিৎসায় যুগ যুগ ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। পাকস্থলীয় বিভিন্ন সমস্যা, গ্যাস্ট্রিক, বদহজম এমনকি ওজন কমাতেও এর কার্যকারিতা অনেক। আপনার হজমশক্তি যদি উন্নত হয় তবে আপনার ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আদায় থাকা থার্মোজেনিক উপাদান আমাদের বিপাকক্রিয়া বাড়ায়।

প্রথমত, জিরা-আদার চা হজমজনিত সমস্যা ও শরীরের টক্সিনগুলো দূর করে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। দ্বিতীয়ত, এই পানীয়টি আপনার বিপাকক্রিয়া বাড়িয়ে তুলবে। এতে করে শরীর থেকে ক্যালোরি বার্ন হবে। এই চা সকালের নাস্তার পর পান করুন। দুপুরে কিংবা রাতের খাবারের পরও এটি পান করতে পারে। টানা ১৫ দিন এই চা পান করলেও টের পাবেন তফাত।

জিরা-আদা চা তৈরির প্রণালী: এক টেবিল চামচ জিরা (গুঁড়া বা আস্ত) এবং আদা নিন। আপনি চাইলে আদার গুঁড়াও যোগ করতে পারেন। একটি পাত্রে কিছুটা পানি নিয়ে উপাদানগুলো ফুটিয়ে নিন। এরপর কাপে ঢেলে কিছুটা গরম থাকা অবস্থাতেই চায়ের মতো পান করুন। যদি আপনি এর স্বাদ বাড়াতে চান তবে মধু বা লেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন।