ফ্ল্যাট কেনার আগে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

ফ্ল্যাট

কর্মব্যস্ত দিনের শেষে মানুষ ফিরতে চায় আপন ঠিকানায়; যেখানে পাবে আরাম-আয়েশের সঙ্গে আধুনিক জীবনের নানা সুবিধা। ফ্ল্যাট কিনতে তাই প্রকৃতি ও পরিবেশের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া খুবই জরুরি।

ঠাস বুনটে ঠাসা এই নগরে সাধ আর সাধ্যের মধ্যে একটি আপন ঠিকানার খোঁজ পেতে চান প্রত্যেক নাগরিক। ছুটে বেড়ান বিভিন্ন আবাসন প্রতিষ্ঠানের অফিসে। ঢাকাসহ প্রতিটি বড় শহরেই এখন কিনতে পাওয়া যায় নানা রকম ফ্ল্যাট। অবস্থান ও আয়তনভেদে দামও একেক রকম।

ফ্ল্যাট কিনতে সবারই আগ্রহ প্রাকৃতিক পরিবেশের প্রতি; যেখানে এক পেয়ালা চা হাতে ঝুম বৃষ্টি উপভোগ করা যাবে, তেমনি দখিনা হাওয়া বুলিয়ে দেবে মিষ্টি পরশ। সকালে গাছের পাতার ফাঁকে রোদ এসে ঘুম ভাঙাবে প্রতিদিন। যেখানেই ফ্ল্যাট কিনুন, আগে সেই জায়গার পরিবেশের প্রতি নজর দিন।

রাস্তাঘাট

আপনার ফ্ল্যাটের চারপাশে রাস্তা আছে কি না খেয়াল করুন। সেগুলো কতটুকু চওড়া, একসঙ্গে কতগুলো গাড়ি চলাচল করতে পারে—সেসব বিষয়ে জেনে নিন। ফ্ল্যাটের চারপাশে রাস্তা যত ভালো হবে আপনার চলাচলও হবে তত মসৃণ। প্রয়োজনের সময় দ্রুত আসা-যাওয়া করতে পারবেন। এ ছাড়া জরুরি প্রয়োজনে অ্যাম্বুল্যান্স, ফায়ার সার্ভিস ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীও দ্রুত পৌঁছতে পারবে আপনার ঠিকানায়।

স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল ও শপিং সেন্টার

সন্তানের পড়াশোনার জন্য এমন স্থানে ফ্ল্যাট কিনুন, যেখান থেকে খুব কাছেই আছে ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এতে সহজে ও কম সময়ে আপনার সন্তানকে স্কুলে আনা-নেওয়া করতে পারবেন। ফ্ল্যাটের কাছাকাছি বড় ও মানসম্পন্ন কোনো হাসপাতাল আছে কি না জেনে নিন। জরুরি প্রয়োজনে কম সময়ের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পারবেন। অনেক সময় দেখা যায়, বাসা থেকে হাসপাতাল দূরে হওয়ায় যেতে অনেক সময় লাগে। এতে রোগীকে আরো কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। আবার প্রতিদিনের কেনাকাটার কাজটিও যাতে সহজে সারতে পারেন এ জন্য ফ্ল্যাটের কাছাকাছি মার্কেটের অবস্থানও বিবেচনায় নিন।

চারপাশের পরিবেশ সম্পর্কে খোঁজ নিন

ফ্ল্যাটবাড়ি শুধুই একটু আশ্রয় নয়; আপনার যেমন শান্তির ছায়া, তেমনি অনাগত ভবিষ্যত্ প্রজন্মের বেড়ে ওঠার স্থানও। এ জন্য খোলামেলা ও প্রাকৃতিক পরিবেশে ফ্ল্যাট কেনা জরুরি। যেখানে বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারবেন। আপনার সন্তান পাবে প্রাকৃতিক পরিবেশের ছোঁয়া। অ্যাপার্টমেন্টের পাশে কোনো লেক আছে কি না খোঁজ নিন। লেক থাকলে তার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।

অ্যাপার্টমেন্টের সুবিধার প্রতিও খেয়াল রাখুন

আপনার অ্যাপার্টমেন্ট কতটুকু খোলা জায়গায় নির্মিত সে বিষয়ে জেনে নিন। ফ্ল্যাট যত খোলামেলা জায়গায় নির্মিত হবে, স্বস্তিও তত বেশি পাবেন। এখন অনেক অ্যাপার্টমেন্ট ৫০ শতাংশ খোলা জায়গা রেখে নির্মিত হচ্ছে। এরকম আবাসন প্রতিষ্ঠানের খোঁজ নিন। বড় বড় আবাসন প্রতিষ্ঠানের অ্যাপার্টমেন্টে আন্তর্জাতিক মানের ইনফিনিটি সুইমিংপুল, গ্র্যান্ড রিসিপশন, গ্রিন ভিউ, জিমনেসিয়াম, ডাবল হাইট এন্ট্রি, জগিং ট্র্যাক, বাচ্চাদের খেলাধুলার জায়গা, বারবিকিউ জোন, লেকভিউ লবি, মোবিলিটি র্যাম্প, সুপরিসর,পার্কিং এরিয়া ও কমিউনিটি হল রাখা হয়।

এসব আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নগরজীবনে তারুণ্যের আনন্দ উদযাপন এবং গল্প-আড্ডার আসর জমানোর পাশাপাশি ব্যস্ত জীবনকে করে তুলবে সাবলীল ও সুন্দর।

টেকসই ও গুণগত মানের এমন অ্যাপার্টমেন্টে ঠাঁই আপনার জীবনকে দেবে নিরাপদ ও আনন্দময় আবাসনের নিশ্চয়তা।