নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মামলা করবে বিএনপি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিয়ম ও ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করার জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলীয় প্রার্থীদের চূড়ান্ত নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও পাবনা-৪ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব।

শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা নয়াপল্টনে দলের প্রার্থীদের সঙ্গে স্কাইপিতে বৈঠক করেন তারেক রহমান। বৈঠক শেষে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলার বিষয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী ১৫ তারিখের মধ্যে আমরা মামলা করব।

এদিকে, বৈঠকের একাধিক সূত্র জানায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আসনভিত্তিক নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করার ঘোষণা দিয়েছিল, সেই সিদ্ধান্ত থেকে কিছুটা সরে এসেছে। আসনভিত্তিক নয়, জেলাভিত্তিক একটি করে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।

এ লক্ষ্যে বিকেল থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রত্যেক জেলার একজন প্রার্থী নিয়ে দুই-তিন দফা বৈঠক করেন স্কাইপিতে। নেতারা নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে তারেক রহমানের সঙ্গে স্কাইপি বৈঠকে যুক্ত হন। বৈঠকে আগামী ১৫ তারিখের মধ্যে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলার সিদ্ধান্ত হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বৈঠকে অংশ নেয়া এক প্রার্থী বলেন, নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলার বিষয় ছাড়াও আন্দোলন-সংগ্রামের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়াও ছাত্রদল নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

স্কাইপি বৈঠকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে একজন ভাইস চেয়ারম্যান ছাত্রদলের পরিস্থিতি নিয়েছেন ক্ষোভ প্রকাশ করেন। নিয়মিত ছাত্রদের নিয়ে ছাত্রদল কমিটি করার জন্য তারেক রহমানের কাছে দাবি জানান তিনি।

বৈঠকে মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, ব্যারিস্টার ইরফান ইবনে আমান অমি, শরিফুল আলম, আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, জি কে গউছ, আজিজুল বারী হেলাল, লুৎফর রহমান কাজল, মিজানুর রহমান চৌধুরী, হাজী মুজিব, শামা ওবায়েদ, মিজানুর রহমান মিনু, জয়নুল আবদিন ফারুক, রফিকুল আলম মজনু, মাইনুল ইসলাম খান শান্ত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত ৩ জানুয়ারি জাতীয় ঘোষণা দেয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। কিন্তু মামলার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফ্রন্টের প্রধান শরিক বিএনপি বেশ ধন্দের মধ্যে পড়ে যায়। মামলার বিষয়ে বিএনপি নেতাদের কয়েকজন আগ্রহ প্রকাশ করলেও অধিকাংশই অনীহা দেখান। নির্বাচন পরিচালনা বিধি-২০০৮ এর ৩৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নির্বাচনের ফলের গেজেট প্রকাশের পরবর্তী ৪৫ দিনের মধ্যে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে হবে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৮ আসনের ফলের গেজেট গত ১ জানুয়ারি প্রকাশ হয়।

এসএইচ-৩১/০৯/১৯ (ন্যাশনাল ডেস্ক)