‘মামলা করতে করতে ঐক্যফ্রন্টই পঙ্গু হয়ে যাবে’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে মামলা করতে করতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টই পঙ্গু হয়ে যাবে।

মঙ্গলবার ঢাকার তেজগাঁও সড়ক ভবনে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। সভায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রকৌশলী, প্রকল্প পরিচালক ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

‘ঐক্যফ্রন্টের গণশুনানিতে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে পঙ্গু হয়ে যাবে’- নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নয়, মামলা করতে করতে তারা (ঐক্যফ্রন্ট) নিজেরাই পঙ্গু হয়ে যাবে।

‘গণশুনানির জন্য সরকার কোনো জায়গা দিচ্ছে না’- ঐক্যফ্রন্টের এমন অভিযোগ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান তো আছে। গণশুনানি কাকে বলে, গণশুনানি না গণতামাশা? তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণশুনানি না করে গণতামাশা করবে। তবে তারা যদি গণশুনানি করে তাহলে, ডিএমপি কমিশনারকে বলবো অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নিতে।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল শরিকদের সমালোচনাকে কিভাবে দেখছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৪ দলের শরিকরদের সমালোচনার বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। তারা আজ মুখ খুলেছেন, সমালোচনা করছেন। সরকারের ভালভাবে চলার জন্য এই সমালোচনাটা দরকার। এ সমালোচনা গণতন্ত্র ও সংসদীয় গণতন্ত্রের জন্য ভালো, ইতিবাচক। সমালোচনা গণতন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো হতে পারে। এতে গণতন্ত্রের চর্চা কনস্ট্রাকটিভ অপোজিশনের মাধ্যমে আরো গতিশীল হতে পারে। সেদি থেকে এই সমালোচনা আমরা এনজয় করি।

তিনি বলেন, ১৪ দল ভাঙা নিয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। মান-অভিমান আছে। এটা থাকবে, আবার থাকবেও না। এটা কেটেও যাবে। আর কী নিয়ে মান অভিমান, তা আপনারাও (গণমাধ্যমকর্মীরা) ভালো জানেন। তবে আশা করি খুব শিগগিরই এ অভিমান কেটে যাবে। জোটের রাজনীতিতে ১৪ দল শরিকদের আওয়ামী লীগ ব্যবহার করছে কী-না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যা যা হচ্ছে এসব আলাপ আলোচনা করেই হচ্ছে।

বিএনপির উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির নেতৃত্ব তৃণমূল মানে না। বিএনপি দল থেকে মনোনয়ন না দিলেও প্রথম দফায় উপজেলা নির্বাচনে তাদের ২৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দ্বিতীয় দফায়ও আরও ৩৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন- এমন তথ্যও আমাদের কাছে আছে।

ডাকসু নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্যানেল ঠিক করে দেবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডাকসু নির্বাচন সামনে রেখে ছাত্রলীগকে একটি শর্ট লিস্ট তৈরি করার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া নেত্রীও (শেখ হাসিনা) আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে একটি টিম গঠন করে দিয়েছেন। তারা কাজ করছেন। তাই ছাত্রলীগের প্যানেল নিয়ে আশা করি কোনো সমস্যা হবে না।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসান, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রওশন আরা খানম প্রমুখ।

বিএ-১৪/১৯-০২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)