বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে কোনো সংকট নেই

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এত মধুর হয়ে গেছে যে, এটা নিয়ে কোনো সংকট কিংবা দুশ্চিন্তা নেই। ভারত বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধুপ্রতিম দেশ, যে বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছে রক্ত দিয়ে লিখে। এ বন্ধুত্ব নষ্ট করার জন্য অনেক ষড়যন্ত্র হলেও কেউই সেটা করতে পারেনি, পারবেওনা। আমরা আমাদের জন্ম ও মুক্তিযুদ্ধের কথা লালন করলে কখনোই এ সম্পর্কে ব্যাঘাতও ঘটবে না।’

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ইন্ডিয়ান মিডিয়া করসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইমক্যাব) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-ভারত নৌ যোগাযোগ: সম্ভাবনা ও করণীয়’ শীর্ষক ডায়ালগে তিনি এসব কথা বলেন।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি অনুযায়ী চললে সমস্যা হতো না। এ চুক্তি হয়েছিল বাংলাদেশ-ভারত দু’দেশের জনগণের স্বার্থকে সামনে রেখেই। কিন্তু এ চুক্তি নিয়েও রাজনীতি হয়েছে। তবে যারা রাজনীতি করেছে, তারা এ চুক্তিটি বাতিল করেনি।

সম্পর্কের ক্ষেত্রে দু’দেশের স্বার্থকে সমান গুরুত্ব দিতে হবে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এদেশের নৌপথ তৈরির জন্য ভারত অনেক সহযোগিতা করেছে। গোমতী দিয়ে কীভাবে ত্রিপুরা যাওয়া যায় তার ওপর নিরীক্ষা চলছে। আরো অনেক চিন্তা-ভাবনাও রয়েছে।

সীমান্ত হত্যা বিষয়ে দেশের জনগণকে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, এখন ওয়ান স্টপ সার্ভিসে পাসপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। রাতের বেলা সীমান্তের কাঁটাতার টপকানোর কোনো দরকার নেই। এগুলো নিয়ে তিক্ততা তৈরি করাও এক ধরনের রাজনীতি। বৈধ পন্থায় সবকিছুই হচ্ছে। এতগুলো স্থলবন্দর, প্রতিটিতে ইমিগ্রেশন আছে। দেশের প্রতিটি জেলায় পাসপোর্ট অফিস হয়ে গেছে। ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকেও সারাদেশে ভিসা সেন্টার চালু হয়েছে। তাহলে আর সমস্যা কোথায়?

প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাতের বেলায় কাঁটাতারের কাছে যায় কারা! তারা দেশপ্রেমিক না দেশদ্রোহী– সেটা বিশ্লেষণ করার সময় এসেছে। এগুলো নিয়ে রাজনীতি হয়। দেখা গেছে, পরিকল্পিতভাবে এমন ঘটনা ঘটিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। বর্তমান সরকার এগুলো বন্ধে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

সামরিক শাসকদের জারি করা নৌপরিবহন সংক্রান্ত অধ্যাদেশগুলো বিলুপ্ত করে আধুনিক নৌপরিবহন আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও এ সময় জানান তিনি।

ইমক্যাব সভাপতি বাসুদেব ধরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সবুজ। আরও বক্তব্য রাখেন ইকবাল সোবহান চৌধুরী, ফরিদা ইয়াসমিন, ওমর ফারুক, ইশান্ত শুভ পণ্ডিত, নকীব আহমেদ, আশীষ কুমার দে, কুদ্দুস আফ্রাদ, শাহিদুল হাসান খোকন, মীর আফরোজ জামান, প্রবীর কুমার গাঙ্গুলী প্রমুখ।

বিএ-১৬/২৭-০৬ (ন্যাশনাল ডেস্ক)