আবরারের পরিবারকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টে রিট

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে হত্যার ঘটনায় তার পরিবারকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করা হয়েছে হাইকোর্টে। ক্ষতিপূরণের সঙ্গে বিচার বিভাগীয় তদন্ত (জুডিশিয়াল ইনকয়ারি) এবং আবরারের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যও নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জনস্বার্থে রিট আবেদনটি দায়ের করেন আইনজীবী শাহীন বাবুর পক্ষে সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ কে এম ফয়েজ।

অ্যাডভোকেট এ কে এম ফয়েজ জাগো নিউজকে বলেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১০ কোটি টাকা দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে। একইসঙ্গে, ওই ঘটনা বিচারিক কমিটি দিয়ে তদন্তের নির্দেশনা ও তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নির্দেশনা জারির আর্জি জানানো হয়। এই ক্ষতিপূরণের পুরো টাকা বুয়েটকে দিতে হবে। এছাড়াও রিটে আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় বুয়েট কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। এই রিটের আদেশ হলে আমরা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিংয়ের শিকার শিক্ষার্থীদের জন্যও ক্ষতিপূরণ আদায় করতে পারবো।

রিটে বুয়েট কর্তৃপক্ষ, স্বরাষ্ট্র সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব, ইউজিসি, ডিএমপি কমিশনার, চকবাজার থানাে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে বলেও জানিয়েছেন রিটকারী এই আইনজীবী।

ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক কয়েকটি চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে মন্তব্যের সূত্র ধরে শিবির সন্দেহে আবরারকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ৬ অক্টোবর রাতে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেন বলে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সাংগঠনিক তদন্তের ভিত্তিতে বুয়েট ছাত্রলীগের ১১ জনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করার কথা জানিয়েছে।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত করতে ডিবিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

ঘটনার পর সোমবার থেকেই আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। শেষ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী এই হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তদের বুয়েট থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একইসঙ্গে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতিও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বিএ-১৯/১৩-১০ (ন্যাশনাল ডেস্ক)