বাবার অবৈধ সম্পদে ফাঁসলেন ছেলে!

নিজের অবৈধ সম্পদে সাড়ে সাত কোটি টাকা বৈধ করতে ছেলেকে ব্যবসায়ী হিসাবে দেখিয়েও পার পেলেন না শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মির্জা নজরুল ইসলাম।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের এই মামলায় আসামি করা হয়েছে তার ছেলে মির্জা অনিক ইসলামকে।

বুধবার দুদকের ঢাকার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে তদন্ত কর্মকর্তা ও উপপরিচালক মোহাম্মদ মোনায়েম হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মির্জা নজরুল ইসলামের অর্জিত অবৈধ আয়কে বৈধ করার পূর্বপরিকল্পনায় কাগজে-কলমে ছেলে মির্জা অনিক ইসলামকে কথিত ব্যবসায়ী হিসাবে দেখানোর চেষ্টা করেছেন।

ছেলে অনিক তার পিতার দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত আয়কে বৈধ করার পরিকল্পনায় সহযোগিতা করেছেন। পূর্বপরিকল্পনার অংশ হিসেবে ঢাকা ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক, সিটি ব্যাংক ও সাউথ ইস্ট ব্যাংকে ৭টি হিসাবে সন্দেহজনক উৎস থেকে ৭ কোটি ৩১ লাখ ৬৪ হাজার ১৬২ টাকা জমা করেন পিতা নজরুল।

২০১২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২০ সালের ১২ মার্চ পর্যন্ত ওই টাকা জমা হলেও অজ্ঞাত কারণে ৭ কোটি ২৪ লাখ ৯৫ হাজার ২৫০ টাকা উত্তোলন করে তা আবার গোপন করেছেন। অন্যদিকে, দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে মাত্র ২ কোটি ৬৫ লাখ ১৬৯ টাকার ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু গোপনকৃত ওই টাকার বিষয়ে পিতা ও পুত্র কোনো হিসাব দিতে পারেননি। বরং কাগজে-কলমে ছেলে অনিককে ব্যবসায়ী হিসাবে প্রমাণের ব্যর্থ চেষ্টা করে গেছেন।

দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে তারা পরস্পর যোগসাজশে হস্তান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে অবৈধ আয়কে বৈধ করার চেষ্টা করেছেন। যে কারণে ছেলে মির্জা অনিক ইসলামকে প্রধান আসামি ও পিতা মির্জা নজরুল ইসলামকে সহযোগী আসামি করে দুদক আইন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

এসএইচ-২২/১৫/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)