বিতর্কিত প্রতিষ্ঠানের ল্যাবেই চলছে করোনা পরীক্ষা

বিমানবন্দরে আরটিপিসিআর ল্যাব স্থাপনে অনুমোদন পেয়েছে বিতর্কিত প্রতিষ্ঠানগুলোও।

অনুমোদন পাওয়া অন্তত দুটি প্রতিষ্ঠানকে করোনা পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগে খোদ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরই মাত্র তিন মাস আগে কার্যক্রম বন্ধ রাখার আদেশ দেয়। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সিএসবিএফ হেলথ সেন্টার কথা বলতে রাজি হয়নি। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও অপর প্রতিষ্ঠান স্টেমজ হেলথ কেয়ার বলছে, যথাযথ সক্ষমতা যাচাইয়ের পরই আবারও করোনা পরীক্ষার অনুমতি ও আরটিপিসিআর বসানোর অনুমতি পেয়েছে তারা।

দেশের অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় অবদান এ প্রবাসী শ্রমিকদের। রেমিটেন্স যোদ্ধাদের কথা চিন্তা করে বিমানবন্দরগুলোতে আরটিপিসিআর ল্যাব স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

সম্প্রতি রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ল্যাব স্থাপনের জন্য সাতটি প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে। যদিও অনুমোদন পাওয়া সাতটির মধ্যে দুটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অতীতে করোনার ভুয়া সনদ দেওয়াসহ; টাকার বিনিময়ে নমুনা পরীক্ষা ছাড়াই, ফল দেওয়ার অভিযোগ ছিল।

সেই অভিযোগে প্রতিষ্ঠান দুটির কার্যক্রম বন্ধের আদেশ দেয় খোদ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত জুন মাসে দেওয়া সেই আদেশের পর এখন তারাই কীভাবে ল্যাব স্থাপনের অনুমতি পেল? সেটি জানতে অভিযুক্ত সিএসবিএফ হেলথ সেন্টারে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তারা কথা বলতে রাজি নয়।

একই অভিযোগ আছে স্টেমজ হেলথ কেয়ারের বিরুদ্ধেও। তবে তারা বলছে, সে সময় এক মাস কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও পরবর্তীতে তারা সকল শর্তপূরণ করে কার্যক্রম শুরুর আদেশ পান।

স্টেমজ হেলথ কেয়ারের ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসউদুল ইসলাম বলেন, এটা আসলে বন্ধ না সাময়িক স্থগিত ছিল। তারা কিছু অবজারভেশনে দিয়েছিল। আমাদের মেশিনের কোয়ালিটিটা চেক করেছেন। আর শতভাগ ঠিক পেয়েছে। দুই থেকে তিনবার তারা এটি পরিদর্শন করেছে। তারপর তারা অনুমতি দিয়েছে। এরপর থেকে আমরা কাজ করছি। একই রকম বক্তব্য অধিদপ্তরের কর্তাব্যক্তিদেরও।

অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখার পরিচালক ডা. ফরিদ হোসেন মিয়া বলেন, স্টেমজ হেলথ কেয়ারের নামে যে অভিযোগ উঠেছিল সে জন্য সাময়িক বন্ধ করা হয়েছিল। পরে আমাদের এখানে কমিটি করা হয়, সেই কমিটির রিপোর্ট অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে এ বাছাই প্রক্রিয়া হয় বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এসএইচ-০২/২০/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)