মেসিকে তুলে নেওয়ার কারণ জানালেন পচেত্তিনো

অলিম্পিক লিঁওর বিপক্ষে ম্যাচে পিএসজির একাদশে ছিলেন লিওনেল মেসি। তবে ঘরের মাঠ পার্ক দেস প্রিন্সেসে রোববারের ওই ম্যাচে রোববার ৭৬তম মিনিটের মাথায় বিশ্বসেরা এই ফুটবলারকে উঠিয়ে নেন কোচ মাউরিসিও পচেত্তিনো।

অথচ মেসির অঙ্গভঙ্গি দেখে মনে হচ্ছিল তিনি আরও খেলতে চান। কোচ পচেত্তিনোর আচরণে যে তিনি সন্তুষ্ট হননি, আর্জেন্টাইন তারকার মুখাবয়বেও সেটি প্রকাশ পায়।

মাঠ থেকে উঠানোর সময় মেসি যেমন কোচের ব্যবহারে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন তেমনি বেঞ্চে বসে থেকেও যারপরনাই ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে আর্জেন্টাইন তারকার আচরণে।

আর তাই খেলা শেষ হওয়ার পর থেকেই সংবাদমাধ্যমগুলোতে তুমুল আলোচনা এ নিয়ে। এদিকে, নিজেদের সিদ্ধান্তকে সমর্থন দিয়ে ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলনে পিএসজি কোচ মাউরিসিও পচেত্তিনো বলেন, ‘আমরা তার ইনজুরির কথা চিন্তা করেই এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ আগামী দিনগুলোতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ রয়েছে। ওই সময় তাকে আমাদের দরকার হবে।’

পচেত্তিনো আরও বলেন, ‘দলের স্বার্থেই অনেক সময় আমাদের কঠিন কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়। যার অনেক সমর্থকরা ভালোভাবে নেয়, আবার অনেক কিছু নেয় না। তবে সবার বোঝা উচিত, আমাদের এখানে সেরা অনেক ফুটবলার রয়েছে, যাদেরকেও সুযোগ দেওয়া উচিত।’

এদিকে এখনো পিএসজির জার্সিতে গোল পাননি মেসি। অবশ্য রোববারের ম্যাচে ৩৬তম মিনিটে সেই উপলক্ষ পেয়েও গেছিলেন, অল্পের জন্য তার ফ্রি কিক বারপোস্ট থেকে ফিরে না আসলেই হতো।

লিঁওর বিপক্ষে একেবারে অন্তিম সময়ে গিয়ে পিএসজিকে জয় এনে দেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার মাওরো ইকার্দি। ইকার্দির গোলের আগে দুটি গোলই এসেছিল ব্রাজিলিয়ান দুই ফুটবলার নেইমার জুনিয়র ও লুকাস পাকুয়েতার পা থেকে। প্রতিপক্ষের সঙ্গে ম্যাচের আগে পরিসংখ্যান ছিল মেসিদের পক্ষে। তাই ক্লাব ব্রুগের বিপক্ষে ড্রয়ের হতাশা এ ম্যাচ জিতে কাটানোর ইচ্ছা ছিল পিএসজির।

পার্ক দেস প্রিন্সেসে লিঁওর বিপক্ষে প্রথমবারের মতো পিএসজির একাদশে জায়গা পান লিওনেল মেসি। লিগে এর আগে রেইমসের বিপক্ষে অভিষেকে বদলি হিসেবে খেলানো হয়েছিল তাকে। এটি আবার নেইমার-এমবাপ্পের সঙ্গী হিসেবে তার ফরাসি লিগেও প্রথম কোনো ম্যাচ ছিল।

গোলশূন্য বিরতির ৯ মিনিট পর প্রথম গোলের মুখ দেখে ম্যাচ, এ সময় দোন্নারুমাকে ফাঁকি দিয়ে বা পায়ের শটে বল জালে পাঠান লিঁওর ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার লুকাস পাকুয়েতা। তাতে পিএসজির মাঠে উল্লাসে মাতে লিঁওর ফুটবলাররা। তবে সেই রেশ ১২ মিনিট পর আর থাকেনি। ফাউলের সূত্র ধরে পেনাল্টি পায় স্বাগতিকরা। সেখান থেকে ফাউলের শিকার হওয়া নেইমারই গোল এনে দেন পিএসজিকে।

এসএইচ-০১/২০/২১ (স্পোর্টস ডেস্ক)