ইউপি নির্বাচনে ৩১ আ. লীগ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী

দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত ৩১ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হতে যাচ্ছেন।

আগামী ১১ নভেম্বর থেকে দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচন শুরু হতে যাচ্ছে।

নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব এসএম আসাদুজ্জামান বলেন, ‘যদি প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বৈধ থাকে তাহলে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকার একমাত্র প্রার্থী হিসেবে তাদেরকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে।’

দ্বিতীয় ধাপে ৮৪৬টি ইউপি নির্বাচনে প্রার্থীরা অংশগ্রহণ করবেন। নির্বাচন কমিশনের তথ্য থেকে জানা যায়, চেয়ারম্যান পদে প্রায় ৪ হাজার ৬৫ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ১৭টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তারা নির্বাচন করছেন। এ ছাড়াও ৯ হাজার ৮১ জন সংরক্ষিত নারী আসনে এবং ২৬ হাজার ১৪৯ জন সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছেন।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল ১৭ অক্টোবর। গতকাল মঙ্গলবার দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে প্রার্থীদের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।

এক কর্মকর্তা জানান, মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৬ অক্টোবর। এর মধ্যে কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

একক প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন এমন ৩১টি ইউনিয়নের মধ্যে চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলায় ৮টি ও সীতাকুণ্ড উপজেলায় ৪টি, কুমিল্লার লাকসাম উপজেলায় ৫টি ইউনিয়ন রয়েছে। বাকী ইউনিয়নগুলো সিরাজগঞ্জ, যশোর, কিশোরগঞ্জ, বাগেরহাট, জামালপুর, শেরপুর, মানিকগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জের অন্তর্ভুক্ত।

প্রথম ধাপের ৩৬৪টি ইউপি নির্বাচনে মোট ৭১ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, এই ৭১ জনের বেশিরভাগই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী।

আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা প্রথম ধাপের নির্বাচনে ২৬৭টি চেয়ারম্যান পদে জয় লাভ করেছেন।

৭টি জেলায় অনুষ্ঠিত ২০ সেপ্টেম্বরের ইউপি নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল ৬৯ দশমিক ৩ শতাংশ এবং ১৩টি জেলায় অনুষ্ঠিত ২১ জুনের নির্বাচনে ৬৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ।

তৃতীয় ধাপে ১ হাজার ৭টি ইউপিতে নির্বাচন হবে ২৮ নভেম্বর।

এসএইচ-০৩/২০/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)