দেশে সোনার দাম বাড়ার কারণ জানালেন ব্যবসায়ীরা

দেশে একের পর এক রেকর্ড ভাঙছে সোনার দাম। গত ছয় দিনেই ভরিতে দাম বেড়েছে ৪ হাজার ৩১৫ টাকা। এতেই দেশের ইতিহাসে রেকর্ড ৭৯ হাজার ৩১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি ভরি সোনা।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) বলছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে দেশীয় বাজারে। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মূল্য সমন্বয় করা না হলে দেশ থেকে সোনা পাচার হবে বলে দাবি তাদের। তবে সোনার দাম লাগামছাড়া হলেও স্থির রয়েছে রুপার দাম।

৩ মার্চ দেশের বাজারে সোনার দাম ভরিতে ৩ হাজার ২৬৫ টাকা বাড়ায় বাজুস। এতে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৭৮ হাজার ২৬৫ টাকায় উঠে প্রতি ভরি সোনার দাম।

অথচ সেই রেকর্ড টেকেনি এক সপ্তাহও। মঙ্গলবার (৮ মার্চ) রাতে ভরিতে আরও ১ হাজার ৫০ টাকা দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয় বাজুস, যা বুধবার (৯ মার্চ) থেকে কার্যকর হয়েছে। বর্তমানে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা বিক্রি হচ্ছে ৭৯ হাজার ৩১৫ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৭৫ হাজার ৬৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৬৪ হাজার ৯৬৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার অলংকারের ভরি বিক্রি হবে ৫৪ হাজার ৬৩ টাকায়।

বুধবার রাজধানীর বসুন্ধরা সিটিতে বাজুস কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অস্বাভাবিকভাবে সোনার দাম বাড়ানোর ব্যাখ্যা তুলে ধরেন ব্যবসায়ীরা।

এ সময় উঠে আসে সোনা আমদানির লাইসেন্স দেওয়া সত্ত্বেও কেন বন্ধ হচ্ছে না অবৈধ আমদানির প্রসঙ্গ। তবে এর কোনো যৌক্তিক ব্যাখ্যা দিতে পারেননি বাজুস নেতারা।

এদিকে সোনা রফতানির লক্ষ্যে বিদেশি ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে ১৭ মার্চ দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জুয়েলারি এক্সপো-২০২২। এ বিষয়ে আয়োজকরা জানান, মধ্যপ্রাচ্যের দুবাইকে রফতানির প্রধান গন্তব্য ধরে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ। এরই অংশ হিসেবে মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। তিন দিনব্যাপী এই মেলায় ৭০টি স্টলে দেশীয় কারিগরদের তৈরি সোনার অলংকার সামগ্রী প্রদর্শিত হবে।

এসএইচ-১২/০৯/২২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)