বিদ্যুৎ বিভাগের স্বাধীনতা পুরস্কার প্রধানমন্ত্রীর হাতে

দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এবং মুজিববর্ষে শতভাগ বিদ্যুতায়ন সফলভাবে সম্পন্ন করায় বিদ্যুৎ বিভাগকে স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২২ প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে এ পুরস্কার গ্রহণ করেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।

পরে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ পুরস্কারটি (মেডেল ও সনদ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বয়ং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন। এ গৌরবদীপ্ত অর্জনের রূপকার তিনিই। দেশের শতভাগ বিদ্যুতায়নের কাজটি সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব, নীতি-কৌশল ও জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতির সফল প্রতিফলন।

প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন, মুজিববর্ষে প্রতিটি ঘরকে আলোকিত করবেন। বিদ্যুৎ বিভাগের মন্ত্রীর দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে তিনি প্রত্যক্ষভাবে শতভাগ বিদ্যুতায়নের কাজটি সম্পন্নে নেতৃত্ব দিয়ে সারা দেশে মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে দিয়েছেন। এ অর্জনের স্মারক তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারই প্রাপ্য।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ সময় প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুসহ আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, খনিজসম্পদ ও জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক ই এলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস ও বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান।

এর আগে গত ১৫ মার্চ ১০ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২২ দেওয়ার ঘোষণা দেয় সরকার। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পুরস্কারপ্রাপ্তদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়। তালিকা প্রকাশের পর সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কারে মনোনীত হওয়া মো. আমির হামজার পুরস্কার (মরণোত্তর) নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়।

এরপর গত ১৮ মার্চ পুরস্কারপ্রাপ্তদের সংশোধিত তালিকা প্রকাশ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কারে মনোনীত হওয়া মো. আমির হামজার পুরস্কার (মরণোত্তর) বাতিল করে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।

সংশোধিত তালিকা অনুযায়ী স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়া অন্যরা হলেন- স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী, শহীদ কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা (বীর বিক্রম), আবদুল জলিল, সিরাজ উদ্দীন আহমেদ, মরহুম মোহাম্মদ ছহিউদ্দিন বিশ্বাস ও মরহুম সিরাজুল হক।

চিকিৎসাবিদ্যায় অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া ও অধ্যাপক মো. কামরুল ইসলাম। স্থাপত্যে মরহুম স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেন। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিডব্লিউএমআরআই) এ পুরস্কার পায়। এবার এ তালিকায় যোগ হয় বিদ্যুৎ বিভাগের নাম।

জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ স্বাধীনতা পদক দেওয়া হয়। স্বাধীনতা পুরস্কার দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় বেসামরিক পুরস্কার।

সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতিবছর স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে এ পুরস্কার দিয়ে আসছে। স্বাধীনতা পুরস্কারের ক্ষেত্রে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ৫ লাখ টাকা, ১৮ ক্যারেট মানের ৫০ গ্রামের স্বর্ণপদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।

এসএইচ-০৯/২৫/২২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)