৬০০ টাকার লাইসেন্স নিতে ১৩ লাখ টাকা ঘুষ দাবি!

৬০০ টাকার লাইসেন্স নিতে ১৩ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান। এদিকে জমির কাগজপত্র ঠিক করতে হ্যান্ডসাম অ্যামাউন্ট চান সরকারি কর্মকর্তারাও। ব্যবসার লাইসেন্স প্রদান ও নবায়নকে কেন্দ্র করে আমলা ও জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে এভাবেই ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ করলেন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসীম উদ্দিন। তার এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিডার চেয়ারম্যান পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘ব্যবসায়ীরা ঘুষ দেন কেন?’

বৃহস্পতিবার ঢাকার মতিঝিলে এফবিসিসিআই মিলনায়তনে একটি সেমিনারে ঘুষ বাণিজ্যের নানা ঘটনা তুলে ধরেন এফবিসিসিআই সভাপতি জসীম উদ্দিন।

কারো পৌষ মাস কারো সর্বনাশ। ব্যবসা করতে গিয়ে সরকারি বিভিন্ন দফতর থেকে নানা লাইসেন্স নিতে ব্যবসায়ীদের যখন গলদঘর্ম অবস্থা, তখন সেই লাইসেন্সেই পোয়াবারো সরকারি কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের।

সেমিনারে জসীম উদ্দিন বলেন, আমার সাভারে একটা জমি আছে। সেটার নবায়ন করতে হবে। বলছে এ সমস্যা, সে সমস্যা। তো অফিসে আমার লোক পাঠালাম। তারা এসে বলল স্যার, কাজ করে দেবে। তবে একটা হ্যান্ডসাম অ্যামাউন্ট দিতে হবে। আবার আমার একটা পোশাককারখানার লাইসেন্সের জন্য ১৩ লাখ টাকা দাবি করেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তো আমি তাকে বললাম এত টাকা কেন। পরে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে আমার লাইসেন্স নিতে হয়েছে। ৬০০ টাকার লাইসেন্সে সে নিল ৫০ হাজার টাকা।

‘আমারই যদি এ অবস্থা হয় তাহলে অন্য ব্যবসায়ীদের অবস্থা সহজেই বোঝা যায়’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, এটা থেকে বের হতে না পারলে দেশে বিনিয়োগ বাড়বে না।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে অনলাইন প্লাটফর্মে ৫৮ সেবা দেওয়া হচ্ছে। অথচ বিডার ওয়ানস্টপ সেবা নিতে ব্যবসায়ীদের আগ্রহ নেই। তাই ঘুষ বাণিজ্যের দায় ব্যবসায়ীদের ওপরও পড়ে।

এসময় ঘুষ, দুর্নীতি বন্ধ এবং ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি কমাতে অতিরিক্ত লাইসেন্স দেওয়ার নিয়ম পরিবর্তনের দাবি জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।

এসএইচ-২৯/২১/২২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)