“লকডাউন ২০৪০”

জনসংখ্যা বিজ্ঞান বলছে আগামী ২০৪০ সালে বাংলাদেশের জন্য উন্মুক্ত হবে সুযোগের স্বর্ণালী দরজা।যেটাকে বলা হয় “গোল্ডেন গেট অব অপারচুনিটি”।২০৪০ সালে বাংলাদেশের কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে বেশী থাকবে।যা এই মুহূর্তে মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ।

এই সুযোগ একটা জাতির জীবনে একবারই আসে।এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে হংকং, সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান সহ বহু দেশ ধনীর কাতারে শামিল হয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি লকডাউনে এটা ভেস্তে যেতে পারে। দেশের অর্ধেক মানুষ অপুষ্টিতে ভোগে। দেশের ৭০ ভাগ মানুষ শুধু ভাতের উপর নির্ভরশীল।

গরীবদের উঁচু ভুড়ি দেখে আত্মতুষ্টির কারন নেই কারন এগুলো ভাত খেয়ে বানানো।যা ডায়াবেটিস হৃদরোগ সহ অনেক অসুখ আরো বাড়িয়ে দেয়।কারন আমাদের আমিষ খাদ্য কেনার সক্ষমতা অনেক কম। আমাদের ৩৫% মানুষ খাদ্য ঝুঁকিতে।৫০% মহিলা অপুষ্টিতে ভোগে।

২ মিলিয়ন শিশু অপুষ্টিতে ভোগে। ৫ বছরের বয়সের কম বয়সী ৫২% রক্তশূন্যতায় ভোগে। এবং ২৮% বাচ্চা খর্বাকায়। দীর্ঘমেয়াদি লকডাউনে জিডিপি কমলে এগুলো আরো বাড়বে তা বোঝার জন্য বিশেষজ্ঞ হ‌ওয়ার প্রয়োজন নেই।

ছিয়াত্তরের মন্বন্তর কিনবা ১৯৭৪ এর মত মানুষ মরে রাস্তায় পড়ে না থাকলেও তিলে তিলে মরবে যা চোখে দেখা যাবে না,মিলবে শুধু পরিসংখ্যানে।

আগামী দিনের ভবিষ্যৎ এই সব শিশুরা আর‌ও বেশী অপুষ্টির শীকার হবে,কমবে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা। অপুষ্টির শীকার মায়েরা জন্ম দিবে আর‌ও অপুষ্ট শিশু।

শিশু ও মাতৃকালীন মৃত্যহার বাড়লে আমাদের অর্জিত MDG ভেস্তে যেতে পারে। সবচেয়ে ঝুঁকিতে পড়বে এইসব ভবিষ্যত প্রজন্ম। সেই সাথে এইসব অপুষ্ট শীর্ণকায় রোগা প্রজন্ম ২০৪০ সালের সেই দরজা খোলার সক্ষমতা হারালে,লকডাউন হয়ে যাবে ভবিষ্যত।

এতে অবাক হ‌ওয়ার কিছু থাকবে না।শুধু ভাত নয় সুষম খাদ্য নিরাপত্তাই বাঁচাতে পারে আমাদের সন্তানদের তথা এ জাতিকে। আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন। আমিন

আজাদ হোসেনের ফেসবুক আইডি থেকে সংগৃহিত

আরএম-০৯/২৬/০৪ (অনলাইন ডেস্ক)