সরকারি সেবা নিতে সংশ্লিষ্ট কাউকে ঘুষ দেয়ার আগে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) জানাতে বলেছেন দুদক কমিশনার (তদন্ত) এএফএম আমিনুল ইসলাম।
রোববার দুপুরে রাজশাহী বিভাগের ‘শ্রেষ্ঠ দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি অ্যাওয়ার্ড ২০১৮’ বিতরণ ও মতবিনিময় সভা এই আহবান জানান তিনি।
রাজশাহী দুদক নগরীর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। তাতে প্রধান অতিথি ছিলেন কমিশনার।
দুদক কমিশনার বলেন, ঘুষ নেয়া ও দেয়া সমান অপরাধ। সরকারি কোনো অফিসে কাজ করাতে বা সেবা নিতে গিয়ে কেউ ঘুষ চাইলে, ঘুষ দেয়ার আগে আমাদেরকে (দুদক) জানান।
আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো। আপনার সেই কাজটিও সুষ্ঠুভাবে করে দেয়ার ব্যবস্থা করবো।
এসময় তিনি দুর্নীতি সংক্রান্ত তথ্য জানাতে ১০৬ নম্বরে কল করার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানান কমিশনার।
তিনি বলেন, আমাদের লোভ এতো বেড়ে গেছে যে আমরা শিক্ষাগ্রহণ করছি না। প্রতিটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে যারা উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রয়েছেন তাদেরকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে তদারকি বৃদ্ধি করতে হবে।
তিনি আরো জানান, আল্লাহর দেয়া সুন্দরবন আমাদের রক্ষা করছে অথচ মানুষের করা বাঁধ কোনো কাজে আসছে না। এর কারণ বাঁধগুলো তৈরিতে অর্থ আত্মসাত করে দুর্নীতি করা হয়েছে।
তিনি সমাজের মানুষের মধ্যে মূল্যবোধ ও সততা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন। বলেন, নতুন প্রজন্মকে সততা ও আদর্শের চর্চা করানোর মধ্য দিয়ে গড়ে তুলতে হবে।
এসময় তিনি চিকিৎসা খাতে দুর্নীতির উদাহরণ টেনে বলেন, আমি ২০ থেকে ২৫টি হাসপাতাল পর্যবেক্ষণে গিয়েছি। সেখানে দেখেছি বাক্সে সরকারি ঔষধভর্তি অথচ সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থাকা রোগীদের সেই ঔষধ দেয়া হচ্ছে না।
অনুষ্ঠানে রাজশাহীর বিভাগীয় পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটিকে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। জেলা পর্যায়ে প্রথম হয়েছে- বগুড়া জেলার দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি। উপজেলা পর্যায়ে পথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে যথাক্রমে রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি ও সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি।
সভা শেষে দুদক কমিশনার (তদন্ত) এএফএম আমিনুল ইসলাম সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর সদস্যদের মাঝে ক্রেস্ট প্রদান করেন।
রাজশাহীর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) আনওয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন- রাজশাহী রেঞ্জের উপ পুলিশ পরিদর্শক একেএম হাফিজ আক্তার, জেলা প্রশাসক এসএম আবদুল কাদের, নগর পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবির।
বিএ-০৮/০৫-০৫ (নিজস্ব প্রতিবেদক)