রাজশাহীর বাঘা সীমান্তে চোরাকারবারিদের দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলিতে ১০ মামলার আসামি জিয়ারুল ইসলাম কালু (৩৯) নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার কেশবপুর এলাকার একটি আম বাগানে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কালু উপজেলার পাকুড়িয়া এলাকার মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে। ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল মর্গে নেয়া হয়েছে।
নিহত কালুর নামে বাঘা ও চারঘাট থানায় একটি অস্ত্র মামলাসহ ১০টি চোরাচালান মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে গোলাগুলির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত হয়েছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এবং জেলা গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শকসহ ৯ পুলিশ সদস্য। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
বাঘা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিন আলী এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, রাত আড়াইটার দিকে কেশবপুর গ্রামের একটি আম বাগানে চোরাকারবারিদের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ বাধে। খবর পেয়ে রাজশাহী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেবের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সদস্য সেখানে পৌঁছান। চোরাকারবারিদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ থামানোর চেষ্টা করেন পুলিশ সদস্যরা।
এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ও গুলি ছোড়ে চোরাকারবারিরা। এতে তিনিসহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব, সহকারী পুলিশ সুপার নূরে আলম, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক খালেদুর রহমান, জেলা গোয়েন্দা শাখার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এস.আই) উৎপল কুমার, এসআই উসমান গনি, বাঘা থানার উপ-পরিদর্শক রেজাউল করিম এবং বাঘা থানার দুইজন কনস্টেবল আরিফুল ইসলাম ও মাহাফুজুল আলম আহত হন।
তিনি আরও জানান, এক পর্যায় চোরাকারবারিরা পালিয়ে গেলে আম বাগানে জিয়ারুল ইসলাম ওরফে কালুকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে এক বস্তা ফেনসিডিল, একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন এবং দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
বিএ-০১/১০-০৫ (নিজস্ব প্রতিবেদক)