রাজশাহীতে হত্যার চেষ্টা মামলার আসামি গ্রেফতার

রাজশাহীর মোহনপুরে গভীর রাতে বাড়িতে ঢুকে সমবায় কর্মকতাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে হার্ডওয়ার দোকানদার মোরশেদ আলী (৩৮) নামের একজনকে শুক্রবার সকালে তার দোকানের সামনে থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের ধারণা ওই ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারি ছিল মেয়ের সাবেক স্বামী জাহিদ আক্তার মধু।

বৃহস্পতিবার রাতে আলতাফ হোসেন বাদি হয়ে সাবেক জামাইসহ তিনজনের নাম উল্লেখ মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেফতাকৃত মোরশেদ আলী ওই মামলার এজাহারভুক্ত ২নং আসামি বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। তিনি আলতাফ হোসেনের বাড়ির পাশেই হার্ডওয়ারের ব্যবসা করে।

মোরশেদ আলী উপজেলার সইপাড়া সোনারপাড়া গ্রামের এমাজ উদ্দিনের ছেলে। গতকাল শুক্রবার আসামি মোরশেদ আলীকে পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

মোহনপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাক আহম্মেদ জানান, সমবায় কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন (৪৬) উপজেলার মেলান্দী গ্রামের আব্দুল হামিদ স্বর্ণকারের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মোহনপুর সরকারি কৃষি ব্যাংকের উত্তর পাশে নিজস্ব বাড়ি তৈরী করে বসবাস করেন। বর্তমানে তিনি মান্দা উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন। মামলার ১নং আসামি নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার সাতরা বাজার গ্রামের সোবাহান আলীর ছেলে জাহিদ আক্তার মধু (৩০) সাথে সমবায় কর্মকর্তার আলতাফ হোসেনের ছোট মেয়ের পাঁচবছর পূর্বে বিয়ে হয়। তাদের তিন বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তিন বছর পূর্বে তাদের ছাড়াছাড়ি (তালাক) হয়ে যায়।

তালাকের পর থেকে সমবায় কর্মকতা আলতাফ হোসেনসহ তাঁর পরিবারের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে সাবেক জামাই জাহিদ আক্তার মধু (৩০)। ঘটনার দিন গত রোববার (৩০ জুন) আলতাফ হোসেনের স্ত্রী জেসমিন আরা ছোট মেয়েকে নিয়ে রাজশাহী শহরে বড় মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান।

তিনি বাড়িতে একাই ছিলেন। রাতে টেলিভিশনে খেলা দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়েন কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন। তবে বাড়ির প্রধান ফটকে তালা দেয়া ছিলনা। রাতে অনুমানিক দুইটার দিকে মুখে কাপড় বেঁধে সাবেক দুইজন লোক তাঁর বাড়িতে প্রবেশ করে।

প্রথমে ওই দুই লোক তাঁর মুখে স্কচটেপ মেরে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করে। সফল হতে না পেরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বুকে ও হাতে আঘাত করে। কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার শুরু করলে হত্যার চেষ্টাকারীরা পালিয়ে যায়। প্রতিবেশীরা ওই রাতেই আলতাফ হোসেনকে উদ্ধার করে হাসপাতে নিয়ে যান।

ওসি মোস্তাক আহম্মেদ জানান, অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বিএ-১৮/০৫-০৭ (নিজস্ব প্রতিবেদক )