সন্দেহে পিছু নিলেন স্ত্রী, অভিমানে স্বামীর আত্মহত্যা

স্বামী পরকিয়া প্রেমিকার সাথে দেখা করতে যাচ্ছেন এমন সন্দেহে পিছু নিয়েছিলেন স্ত্রী। আর তাই অভিমানে আত্মহত্যা করেছেন মইনুল ইসলাম উজ্জল নামের এক ব্যক্তি।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার সরমংলা খালপাড়ের একটি গাছে গলায় ফাঁস দেন উজ্জল। খবর পেয়ে দুপুরেই মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

উজ্জল উপজেলার আমতলি হঠাৎপাড়া এলাকার আবদুস সাত্তারের ছেলে। স্ত্রী ও এক শিশু সন্তান নিয়ে শ্বশুরবাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের নিমতলি দর্গাপাড়ায় বসবাস করতেন।

দীর্ঘদিন প্রবাসে কাটিয়ে সম্প্রতি বাড়ি ফেরেন উজ্জল। আগামী ২৭ আগস্ট তার আবারো বিদেশ যাত্রা চুড়ান্ত ছিলো। বিমানের টিকেটও সংগ্রহ করেছিলেন তিনি।

এলাকাবাসী জানিয়েছে, উপজেলার দ্বিগ্রাম ঘুন্টি এলাকার এক নারীর সাথে পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিলো উজ্জলের।

বিষয়টি জানাজানি হলে এনিয়ে এলাকা শালিশ বসে। সেখানে অপদস্ত করা হয় উজ্জলকে। সেই থেকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন তিনি।

স্বজনরা জানিয়েছেন, বিদেশযাত্রা নিশ্চিত হওয়ায় মঙ্গলবার সকালে বাবা-মার সাথে দেখা করতে নিজ গ্রামে আসেন উজ্জল।

কিন্তু তার স্ত্রীর সন্দেহ হয়-তিনি প্রেমিকার সাথে দেখা করতে যাচ্ছেন। এরপর সন্তানসহ স্বামীর পিছু নেন ওই গৃহবধূ। এতে ক্ষোভে অভিমানে আত্মঘাতি হন উজ্জল।

গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছার আগেই মরদেহ নামিয়ে আনেন স্বজনরা। পরে মরদেহ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

ওসি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে-তিনি আত্মহত্যা করেছেন। একজন স্থানীয় কৃষক তার মরদেহ গাছে ঝুলতেও দেখেছেন। এটি আত্মহত্যা কি-না তা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলেই নিশ্চিত হওয়া যাবে। এনিয়ে আইনত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান ওসি।

বিএ-১৮/২০-০৮ (নিজস্ব প্রতিবেদক)