ম্যাজিস্ট্রেটকে দেখে ২৫০টাকার পেঁয়াজ নেমে গেল ১৭০ টাকায়

দেশজুড়ে অস্থির পেঁয়াজের বাজার। প্রায় প্রতি দিনই লাফিয়ে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। বাজারে এ যাবত কালের সর্বোচ্চ ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিলো পেঁয়াজ।

এতে নাভি:শ্বাস উঠছিলো ক্রেতা সাধারণের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রোববার বাজারে নামেন ভ্রাম্যমান আদালত।

অতিরিক্ত জেলা ম্যজিস্টেট আবু আসলামের নেতৃত্বে ওই ভ্রাম্যমান আদালত নগরীর পাইকারী বাজারখ্যাত মাস্টারপাড়ায় পেয়ে যায় ৩০০ বস্তা পেঁয়াজের মজুদ।

জানা গেছে, বাড়তি মুনাফার আশায় এই পেঁয়াজ মজুদ করেছিলেন ব্যবসায়ী ও আমদানীকারক হাসিবুল ইসলাম।

পরে ভ্রাম্যমান আদালত তাতে মজুদ ভাঙার নির্দেশ দেন। প্রতিদিন অন্তত: ৫০ বস্তা করে পেঁয়াজ বিক্রির নির্দেশ দেয়া হয় ওই ব্যবসায়ীকে।

এদিকে, ভ্রাম্যমান আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে গুদামে তালা দিয়ে পালিয়ে যান মজুদদার ও পাইকারী বিক্রেতারা।

তবে দাম কমিয়ে দেন পেঁয়াজ খুচরা বিক্রেতারা। এসময় তারা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেন। যদিও দিনভর প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে অন্তত: ২৫০ টাকায়।

অতিরিক্ত জেলা ম্যজিস্টেট আবু আসলাম বলেন, স্থানীয় সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে পেঁয়াজ অমদানি করে তা মজুদ করে দাম বাড়ানোর অভিযোগ ছিলো।

আমরা সম্ভাব্য সেই জায়গাগুলো ঘুরে দেখেছি। রাজশাহীর বাজারে পেঁয়াজের সরবারহ ভালো। জনগণকে জিম্মি করতে কোন ক্রমেই মজুদ গড়তে দেয়া হবেনা।

তিনি আরো বলেন, খুচরা ও পাইকারী বাজারে ক্রয়পত্র দেখে আগামী কাল (মঙ্গলবার) থেকে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রির করবেন ব্যবসায়ীরা।

বাজার মনিটরিং কর্মকর্তা বিষয়টি নজরে রাখবেন। বাড়তি দামে পেঁয়াজ বিক্রির প্রমাণ পেলে আইনত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এসময় বাড়তি দাম হাঁকলে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে তথ্য দেয়ার আহবান জানান অতিরিক্ত জেলা ম্যজিস্টেট।

এদিকে, রাজশাহীর বাঘায় সুভাষ চন্দ্র নামের এক পেঁয়াজ ব্যবসায়ীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১৫ মণ পেঁয়াজ জব্দ করে পুলিশ। ওই ব্যবসায়ী তার বাড়িতে গোপনে পেঁয়াজ মজুত রেখেছিলেন। তবে মজুতকৃত সব পেঁয়াজ বাজারে বিক্রির শর্তে ছাড় পান তিনি।

শনিবার রাতে পেঁয়াজগুলো জব্দের পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শাহীন রেজার কাছে মুচলেকা দেন ব্যবসায়ী সুভাষ চন্দ্র । তার বাড়ি উপজেলার বাউসা গ্রামে। গ্রামের অনেক ব্যবসায়ী পেঁয়াজ মজুত রাখছেন, এমন খবরে অভিযানে নামে পুলিশ।

বিএ-১৪/১৭-১১ (নিজস্ব প্রতিবেদক)