ক্যাপ্টেন সেজে চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা নাবিকের!

নিজেকে জাহাজের ক্যাপ্টেন দাবি করে নাবিক পদে চাকরি দেয়ার নামে মোটা টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন আরিফুল ইসলাম (৩৫) নামের এক ব্যক্তি। আরিফুল ইসলাম চীনা পতাকাবাহী জাহাজে সী ম্যান পদে কর্মরত ছিলেন। চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণার একাধিক অভিযোগে তাকে চাকরিচ্যুত করে কর্তৃপক্ষ।

প্রতারক আরিফুল ইসলাম চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডু উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর ভাটেরখিল এলাকার নূর মোহাম্মদের ছেলে। সম্প্রতি রাজশাহীর তিন যুবককে চাকরি দেয়ার নামে ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন আরিফুল। এরপর থেকে তার হদিস পাচ্ছেননা ভুক্তভোগীরা।

ভুৃক্তভোগীদের একজন রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার জাহানাবাদ ইউনিয়নের চকবিরহী এলাকার মৃত মোবারক হোসেনের ছেলে সেকেন্দার আলী। আত্মসাৎকৃত টাকা ফেরৎ চেয়ে তিনি আরিফুল ইসলামকে আইনী নোটিশ পাঠিয়েছেন।

তার ভাষ্য, পানামার পতাকাবাহী এমভি ভিনসেন জাহাজে নাবিক পদে তাকে চাকরি দেয়া হয়েছিলো। একই সাথে চাকরি দেয়া হয়েছিলো হুসাইন আলী ও হুমায়ুন আহমেদ নামে আরো দুজনকে। তাদের তিন জনের কাছ থেকে মোট ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা নিয়েছেন আরিফুল ইসলাম।

তাদের তিন জনকে ধরিয়ে দেয়া হয় ভিয়েতনাম ভিত্তিক হাই ডং মেরিন এন্ড শিপিং সার্ভিসের নিয়োগপত্র। ১ ফেব্রুয়ারি ভিয়েতনামে তাদের চাকরিতে যোগদানের কথা ছিলো। ভিয়েতনামে যেতে দেয়া হয়েছিলো বিমান টিকেট। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন এসবকিছুই ভূয়া।

সেকেন্দার আলী আরো বলেন, চাকরিতে নিয়োগ পাইয়ে দিতে আরিফুল তার স্ত্রী মৌসুমি আক্তারের ইসলামী ব্যাংকের রাজধানীর বাড্ডা শাখার ৯৪৫৩ হিসাব নম্বরে টাকা নিয়েছেন। ১২ জানুয়ারি ৫০ হাজার টাকা, ১৯ জানুয়ারি ৮০ হাজার টাকা এবং ৩০ জানুয়ারী ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা নিয়েছেন।

বাকি ৩ লাখ ২৬ হাজার টাকা নিয়েছেন গত ৩১ জানুয়ারী বিমানবন্দরে। এর দুই দিন পর ২ ফেব্রুয়ারি মালিন্দ এয়ারওয়েজে তাদের ভিয়েতনাম নিয়ে যাবার কথা ছিলো। কিন্তু আরিফুলের আর হদিস পাননি। তখনই তারা প্রতারণার বিষয়টি টের পান।

অভিযোগ বিষয়ে জানতে কয়েক দফা আরিফুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।

প্রতারক আরিফুল তার ঠিকানা সীতাকুন্ড উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের ২ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীদের। তবে এই নামে এলাকায় কেউ নেই বলে জানিয়েছেন ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য এজাহারুল ইসলাম ও ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আকবর হোসেন।

একই ভাষ্য পরিষদ চেয়ারম্যান জাহেদ হোসেন নিজামিরও। বলেন, এই নামে তার জানা মতে ওই এলাকায় কেউ নেই। তবে তিনি বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন। অভিযোগ পেলে তিনিও ব্যবস্থা নেবেন।

বিএ-০৩/০৩-০৩ (নিজস্ব প্রতিবেদক)