কখনো সাংবাদিক কখনো পুলিশ তিনি!

কখনো সাংবাদিক আবার কখনো পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম করে দাঁপিয়ে বেড়ানো আবদুর রাজ্জাক ওরফে সুজনকে (২৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এমনকি নারী দিয়ে ফাঁদ পেতে ধর্ণাঢ্য ব্যক্তিকে জিম্মি করে টাকা আদায়েরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

গ্রেফতারকৃত সুজন সপুরা মিয়াপাড়া এলাকার আবদুল আজিজ ছেলে। বুধবার দিবাগত রাতেবিলশিমলা এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিবারন চন্দ্র বর্মন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মোবাইলে প্রেমের ফাঁদ পেতে এক ব্যক্তিকে বাসায় ডেকে জিম্মি করার অভিযোগে কয়েকদিন আগে দুই তরুণী এবং এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। এ নিয়ে থানায় মামলা হয়। তখন গ্রেফতার তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা জানায়, তাদের এই চক্রের সঙ্গে আবদুর রাজ্জাকও জড়িত। এরপর থেকেই তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছিল। ওই মামলায় বুধবার দিবাগত রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ওসি জানান, গ্রেফতারের পর একজন ঈমাম এসে অভিযোগ করেন তিনিও রাজ্জাকের কাছে প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এ নিয়ে তিনিও থানায় আরেকটি মামলা করেন। এ দুই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার রাজ্জাককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। রাজ্জাক রাজশাহীর আলো এবং সোনালী খবর নামে দুটি পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়েছেন বলেও জানান ওসি নিবারন চন্দ্র বর্মন।

গত বছরের মার্চে রাজশাহীর পবা উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রারের কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন আবদুর রাজ্জাক। মুঠোফোনে চাঁদা দাবির অডিও ক্লিপও ফাঁস হয়েছিল। সাংবাদিক পরিচয়ে নগরীর একজন ঠিকাদারের কাছে চাঁদা চাইতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার হয়েছিলেন রাজ্জাক।

তিনি প্রাইভেটকার ভাড়া করে গোটা রাজশাহী দাপিয়ে বেড়াতেন। মেতেছিলেন বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে।

বিএ-১৯/২৬-০৩ (নিজস্ব প্রতিবেদক)