রোগীদের ভোগান্তি দূর করতে চিকিৎসকের চেম্বার খোলার অনুরোধ এমপি বাদশার

বৈশ্বিক মহামারি রূপ নেয়া করোনাভাইরাস আতঙ্কে রয়েছেন চিকিৎসকরাও। এ কারণে অনেক চিকিৎসক প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ করে দিয়েছেন। পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের চিকিৎসকদের চেম্বার। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন রোগীরা।

ভোগান্তি দূর করতে চিকিৎসকের চেম্বার খোলার অনুরোধ জানিয়েছেন রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা। রোববার সকালে চিকিৎসকদের পিপিই দিয়ে এ অনুরোধ জানান তিনি। সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলীর কাছে ৩৫ পিস পিপিই এবং সমপরিমাণ গগলস হস্তান্তর করেন বাদশা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) রাজশাহী শাখার সভাপতি ডা. এবি সিদ্দিকী, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি তবিবুর রহমান শেখ ও রামেকের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. খলিলুর রহমান প্রমুখ।

সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, চিকিৎসকরা সরকারি দায়িত্ব পালনের পর বিকেলে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করে থাকেন। এতে রোগীরা সেবা পান। কিন্তু করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ব্যক্তিগত সুরক্ষা না থাকার কারণে কোনো কোনো চিকিৎসক চেম্বার বন্ধ করে দেন। এতে বিভিন্ন রোগীরা ভোগান্তিতে পড়েন। এই সংকট কাটাতে চিকিৎসকদের পিপিই দিয়েছি। আমি বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব। যেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চেম্বারে রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায়।

বিএমএ’র জেলা সভাপতি ডা. এবি সিদ্দিকী বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার লক্ষণ জ্বর, সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্ট। কিন্তু এর বাইরেও অনেক রোগী আছেন। কেউ হার্টের, কেউ দুর্ঘটনার, কেউ শারীরিক অন্যান্য সমস্যায় ভুগছেন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের চিকিৎসা দেয়াও কঠিন হয়ে পড়ছিল। এ অবস্থায় এসব চিকিৎসাসামগ্রী কাজে দেবে। চিকিৎসকরা চেম্বারে বসতে পারবেন।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী বলেন, চিকিৎসকরা চেম্বারে না বসার কারণে এখন অনেকেই কটাক্ষ করছেন। কিন্তু সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা চিকিৎসকদের সমস্যার কথা বিবেচনা করে পিপিই দিয়েছেন। এজন্য আমরা তাকে ধন্যবাদ জানাই। এখন গণপরিবহন বন্ধ। এখানে বিভাগের অন্যান্য জেলা থেকে রোগী আসছেন না। এসব পিপিই দিয়েই জেলার রোগীদের সেবা দেয়া সম্ভব হবে। এতে রোগীরা উপকৃত হবেন।

বিএ-১১/০৫-০৪ (নিজস্ব প্রতিবেদক)