রাজশাহী মেডিকেলের ল্যাব থেকে ২ হাজার করোনার কিট গায়েব

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের আরটিপিসিআর (রিভার্স ট্রান্সক্রিপশন পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন) ল্যাবে কিটবক্স গায়েবের অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতালের এ ল্যাবে প্রায় দুই হাজার কিটবক্সের হিসাব মিলছে না বলে অভিযোগে জানা গেছে। এই কিটবক্স দিয়েই করোনার পরীক্ষা হয়।

এ ঘটনা তদন্তে গত ১০ নভেম্বর হাসপাতালের পরিচালক দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছেন। দ্রুত সময়ে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কিটবক্স গায়েবের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. খন্দকার মোহা. ফয়সাল আলমকে। এরই মধ্যে ল্যাবের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে কমিটি। তবে এ ব্যাপারে কথা বলতে অসম্মতি জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির প্রধান।

হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কিটবক্স গায়েবের বিষয়টি স্পর্শকাতর। এখন তদন্ত হচ্ছে। তদন্ত কমিটি আরটিপিসিআর ল্যাব সংশ্লিষ্টদের কয়েকজনকে এরই মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিষয়টি পরিষ্কার হবে। কারা জড়িত তাও জানা যাবে।

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ আসার পর পরই তদন্ত কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। ওই তদন্ত কমিটি বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছেন। কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করার পর বোঝা যাবে সত্যিই কোনো অসঙ্গতি আছে কিনা।

করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থাপিত দুটি আরটিপিসিআর ল্যাবকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন অসঙ্গতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠে আসে। এবার সেই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুই হাজার কিটবক্স গায়েব হওয়ার অভিযোগ সামনে এলো। সম্প্রতি ল্যাবের এক কর্মকর্তা গোপনে হাসপাতাল পরিচালকের কাছে করোনা পরীক্ষার কিটবক্সের গরমিলের ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেন।

এর পরেই গোপন অভিযোগটি আমলে নেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক। তিনি গত ১০ নভেম্বর এ ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

এসএইচ-১০/২১/২১ (নিজস্ব প্রতিবেদক)