ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আকাশে হঠাৎ ভারতীয় ড্রোন!

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার আকাশে হঠাৎ করেই ড্রোন ক্যামেরা দেখে ও ড্রোনের শব্দে হকচকিত হয়ে যায় সাধারণ মানুষ।

সোমবার দুপুরে উপজেলার মোগড়ার গঙ্গাসাগর রেলস্টেশন এলাকার আকাশে ভারতীয় ড্রোন এসে ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে থাকে। খবর পেয়ে আখাউড়া রেলওয়ে পুলিশের একটি দল পৌঁছার আগেই ঘটনাস্থল ত্যাগ করে ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহারকারী দলটি।

পূর্বানুমতি ছাড়া ওই ড্রোন দিয়ে ছবি এবং ভিডিও ধারণ করা হচ্ছিল কিনা- তার সঠিক জবাব দিতে পারেনি স্থানীয় প্রশাসন।

তবে গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার ও স্থানীয়দের ধারণা, ড্রোনটি ভারতীয়রা ব্যবহার করেছে।

গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. আসাদুজ্জামানের বরাত দিয়ে আখাউড়া রেলওয়ে থানার ওসি শ্যামল কান্তি দাস জানান, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আখাউড়া রেল সেকশনের গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় নির্মাণাধীন ‘আখাউড়া-আগরতলা’ রেলপথ কাজের এলাকাসহ আশপাশের আকাশে ড্রোনসদৃশ একটি যন্ত্র ভেসে বেড়াতে দেখা যায়। এ সময় বিষয়টি আখাউড়া রেলওয়ে থানায় জানানো হয়। খবর পেয়ে এএসআই মো. আব্দুর রহমানকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়।

ওসি জানান, গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছার আগেই ড্রোন ব্যবহারকারীরা এলাকা ত্যাগ করে। আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মাণকাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কেউ হয়তো ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার করে ছবি ও ভিডিও ধারণ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তবে ড্রোনের মাধ্যমে ছবি এবং ভিডিও ধারণ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি লাগে। সেক্ষেত্রে তাদের অনুমতি ছিল কিনা- সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি ওসি।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার দুপুরে গঙ্গাসাগর স্টেশন এলাকার আকাশে ড্রোন ক্যামেরায় ছবি এবং ভিডিও ধারণ করতে দেখেছেন তারা। ড্রোন ব্যবহারকারীরা কালো রঙের একটি জিপ গাড়িতে চড়ে ওই এলাকায় আসে। স্থানীয়রা আরও জানান, তারা একে অপরের সঙ্গে হিন্দি ভাষায় কথা বলছিল।

বিজিবি ২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহাম্মদ গোলাম কবির বলেন, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ড্রোন ব্যবহার করে ছবি বা ভিডিও ধারণ করতে হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতির প্রয়োজন হয়।

তিনি আরও বলেন, আখাউড়া গঙ্গাসাগর এলাকায় কে ড্রোন ব্যবহার করেছে, তা আমার জানা নেই। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে জানার চেষ্টা করছি।

https://youtu.be/PRSQ1zCrhxE

বিএ-১৭/১৫-০১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)