কমান্ডো অভিযানে বিমান ছিনতাইকারী নিহত

বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সের দুবাইগামী একটি উড়োজাহাজ ছিনতাইয়ের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে; আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে গোলাগুলির পর নিহত হয়েছেন ছিনতাইয়ের চেষ্টাকারী যুবকও।

রোববার রাত পৌনে ৯টার দিকে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান চট্টগ্রাম সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল মতিউর রহমান।

তিনি বলেন, উড়োজাহাজটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা করা হয়েছিল। ২৫ থেকে ২৬ বছর বয়সী এক যুবক নিজেকে মাহাদি বলে পরিচয় দিয়ে আমাদের সঙ্গে কথা বলে- প্রধানমন্ত্রী ও তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিল। কিন্তু আমরা তাকে আত্মসমর্পণ করতে বলেছি।

মতিউর রহমান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তার কাছে একটি পিস্তল ছিল। এক পর্যায়ে আমরা কমান্ডো অভিযান শুরু করি। সে-ও তখন গুলি করে। গোলাগুলিতে আহত হওয়ার পর তার মৃত্যু হয়েছে।

উড়োজাহাজটিতে ১৪৮ আরোহী ছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, কোনও যাত্রী আহত হননি। ছিনতাইকারী কাউকে ক্ষতি করেনি। কি উদ্দেশে সে উড়োজাহাজটি ছিনাইয়ের চেষ্টা করেছিল তা জানা যায়নি।

এক প্রশ্নের উত্তরে মতিউর রহমান বলেন, পাইলট আমাদের প্রথম জানান ছিনতাইকারী বিদেশি। তবে তার সঙ্গে কথা বলে পরে তাকে বাংলাদেশি মনে হয়েছে। তবে তার বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানা যায়নি। বিমানবন্দর স্বাভাবিক হয়েছে। যতদ্রুত সম্ভব উড়োজাহাজাজ চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এর আগে বেলা ৩টার পর ১৪৮ আরোহী নিয়ে ঢাকার হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে বিজি-১৪৭ ফ্লাইটটি। উড়োজাহাজটি মাঝ আকাশে গিয়ে সংকটে পড়ে।

বিকেল পৌনে ৬টার দিকে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে উড়োজাহাজটি। এসময় ছিনতাইকারী যুবক এবং দুই ক্রু ছাড়া সবাই উড়োজাহাজ থেকে বের হয়ে আসেন।

রাত পৌনে ৮টার দিকে এয়ার ভাইস মার্শাল মফিজুর রহমান এক ব্রিফিংয়ে এতথ্য শাহ আমানতে জিম্মি সংকটের অবসানের কথা জানান। তিনি বলেন, ১৩০ যাত্রীর সবাইকে নিরাপদে নামিয়ে আনা হয়েছে। পাইলট-কেবিন ক্রু সবাই নিরাপদে আছেন। এ ঘটনায় একজন যাত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

বিএ-২০/২৪-০২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)