কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট

বরগুনার তালতলী উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদধসে স্কুলছাত্রী নিহতের ঘটনায় এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। রোববার দুপুরে এ রিট দায়ের করা হয়।

আইনজীবী হুমায়ুন কবির পল্লব হাইকোর্টে এ রিট করেন।

নিহত ওই স্কুলছাত্রীর নাম মানসুরা (৮)। সে তালতলীর ছোটবগী পিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত।

শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ক্লাস চলাকালে হঠাৎ ছাদের বিমধসে শিক্ষার্থীদের ওপর পড়ে ১১ জন আহত হন। তাদের হাসপাতালে নেয়ার পথে মানসুরা মারা যায়। নিহত মানসুরা তালতলী উপজেলার কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের গেণ্ডামারা গ্রামের নজির হোসেন তালুকদারের মেয়ে। এ ঘটনায় আহত শিক্ষার্থী রুমা, সাদিয়া ও ইসমাইলকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। রোজমা ও শাহীন নামে দুই শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য জাকির হোসেন চুন্নু জানান, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ক্লাস চলাকালে তৃতীয় শ্রেণিকক্ষের গ্রেড বিম ভেঙে পড়ে কয়েক শিক্ষার্থী আহত হয়। তাদের আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে শিক্ষার্থী মানসুরা মারা যায়। সে মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছিল।

চুন্নু আরও জানান, তিন কক্ষের একতলা বিদ্যালয় ভবনটি ২০০২ সালে নির্মাণ করা হয়। ভবনটি নির্মাণে ঠিকাদারির দায়িত্বে ছিলেন বরগুনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মতিয়ার রহমান তালুকদারের ভাগ্নে সেতু এন্টারপ্রাইজের মালিক আবদুল্লাহ আল মামুন। ভবনটি নির্মাণের এক বছরের মধ্যেই গ্রেড বিমে ফাটল ধরেছিল এবং এ বিষয়ে অনেক আগেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে বলে জানায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

ওই ক্লাসের অন্য শিক্ষার্থীরা জানায়, বিদ্যালয়ের ভবনে ফাটলের কারণে তারা ওই রুমে ক্লাস করতে নারাজ। কিন্তু প্রধান শিক্ষিকা সাকেরীন জাহান শিক্ষার্থীদের জোর করে ওই রুমে ক্লাস করতে বলছেন।

প্রধান শিক্ষিকা সাকেরীন জাহান জানান, তার শাশুড়ি অসুস্থতার কারণে তিনি ছুটিতে ছিলেন। বিমধসের খবর পেয়ে আহত শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। বিদ্যালয় ভবনটি ক্লাস করার অনুপযোগী। এটি পরিত্যক্ত ঘোষণার জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসে বহুবার লিখেছি। কিন্তু তারা পরিত্যক্ত ঘোষণা না করায় এবং ভবন সংকটের কারণে আমরা ক্লাস করছি।

বিএ-০৫/০৭-০৪ (আঞ্চলিক ডেস্ক)