চুয়াডাঙ্গায় তীব্র গরমে নারী ও শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু

ছড়িয়ে পড়েছে তাপদাহ। অসহনীয় খরতাপে পুড়ছে দেশ। ভ্যাপসা গরমে-ঘামে মানুষ নাকাল। তপ্ত ও গুমোট আবহাওয়ায় দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। তীব্র গরমের কারণে চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে হিটস্ট্রোক ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে নারীসহ দুজন এবং ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

উপজেলার বকুণ্ডিয়া গ্রামের হাফিজুর রহমান (৬০) ও ঘোষনগর গ্রামের মাফিয়া খাতুন (৫৫) সোমবার রাতে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হন। তাদের হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

এ ছাড়া ঘোষনগর গ্রামের স্কুলছাত্র রকি (১২) প্রচণ্ড গরমে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সোমবার সন্ধ্যায় মারা গেছে।

গত এক সপ্তাহ থেকে জীবননগরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় ভ্যাপসা গরমের তীব্রতা, রোদের প্রখরতা ও আগুনের মতো উত্তপ্ত বাতাস জনজীবন অতিষ্ট করে তুলেছে। দিন যত যাচ্ছে ততই তাপমাত্রা বাড়ছে। ফ্যানের বাতাসেও স্বস্তি মিলছে না।

ঘরে-বাইরে সর্বত্র অসহনীয় অবস্থা। অস্থির হয়ে পড়েছেন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। গরমের কারণে রোদ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপজেলার রাস্তাঘাট প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়ছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না।

মঙ্গলবার জীবননগরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোববার জীবননগরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমে উপজেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

এদিকে জীবননগর উপজেলায় ঘোষনগর গ্রামে গণহিস্ট্রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে ১০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ ঘটনায় ওই গ্রামটিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তীব্র গরমের কারণে গণহিস্ট্রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে বলে হাসপাতালের চিকিৎসক জানিয়েছেন।

গণহিস্ট্রিয়া রোগে আক্রান্তরা হলেন- শাপলা খাতুন (২৫), তামিম (১৮), আইজুল হোসেন (১৯), মোহনা খাতুন (২২), জুনিয়া (১৮), সূর্য খাতুন (৫০), নিরালা খাতুন (২২), শুকতারা (৩৩) এবং তহমিনা খাতুন (২৭)।

ঘোষনগর গ্রামের রুস্তম আলী জানান, সোমবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত গ্রামের ১০ জন বুকে ব্যথা ও শ্বাস-প্রশ্বাস দেখা দেওয়ায় তাদেরকে জীবননগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রচণ্ড গরমের কারণে সোমবার রাতের বিভিন্ন সময়ে ১০ জন নারী-পুরুষ গণহিস্ট্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

বিএ-১৮/২৯-০৪ (আঞ্চলিক ডেস্ক)