নারায়ণগঞ্জে ২০ ছাত্রীকে ধর্ষণ, দুই শিক্ষকের ফাঁসির দাবি

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের অক্সফোর্ড হাই স্কুলের ২০ জনেরও বেশি ছাত্রীকে ধর্ষণ করায় শিক্ষক আশরাফুল আরিফ ও তার সহযোগী প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জুলফিকারের ফাঁসির দাবি করেছে ১৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক, রাজনীতিবিদ ও এলাকাবাসী।

রোববার সকাল ১০টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মৌচাক বাসস্ট্যান্ডে প্রায় পৌনে এক কিলোমিটার দীর্ঘ মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করা স্কুলগুলো হল- সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিমপপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, সানারপাড় আনন্দলোক উচ্চ বিদ্যালয়, হাজী আব্দুস সামাদ সিনিয়র মাদরাসা, এন আলম মেরিড কেয়ার স্কুল, গ্রিন বাংলা মডেল হাইস্কুল, মৌচাক আইডিয়াল স্কুল, প্রত্যাশা মডেল স্কুল, কুসুমকলি কিন্ডারগার্টেন স্কুল, কান্দাপাড়া পাবলিক স্কুল, হলি চাইল্ড কিন্ডারগার্টেন স্কুল, নলেজ আইডিয়াল স্কুল, ক্যামব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ,আনন্দলোক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ১৪টি বিদ্যালয়। এ সময় মিজমিজি, কান্দাপাড়া, সানারপাড়, পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দারাও মানববন্ধনে যোগ দেয়।

মানববন্ধনে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়া, নাসিক ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন, আনন্দলোক উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুর রহীম মেম্বার, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক ভূঁইয়া রাজু, মিজমিজি পশ্চিমপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান, এন আলম মেরিট কেয়ার স্কুলের প্রধান শিক্ষক নুরুল আলম, যুবলীগ নেতা হাজী মো. সুমন কাজী, যুবলীগ নেতা মাজেদুল ইলাম মনি প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এ সময় বক্তারা বলেন, শিক্ষক নামে ভয়ঙ্কর ধর্ষক আশরাফুল আরিফ যে ঘটনা ঘটিয়েছে তা ঘৃণিত কাজ। তাই তার এবং তার শেল্টারদাতা প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জুলফিকারের ফাঁসি দিতে হবে। পাশাপাশি এ ঘৃণিত কাজের সাক্ষী এ স্কুল বন্ধ করার দাবি জানান বক্তারা।

উল্লেখ্য, অক্সফোর্ড হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষক আশরাফুল আরিফ আপত্তিকর ছবি তুলে ২০ জনেরও অধিক ছাত্রীকে ব্ল্যাকমেইল করে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। এ কাজে সহায়তা করেন একই স্কুলের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জুলফিকার।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুই শিক্ষককে গণধোলাই দেন এলাকাবাসী ও অভিভাকরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে র‌্যাব ও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।

এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়। শিক্ষক আশরাফুল আরিফের দুটি মামলায় তিনদিন করে ছয়দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এছাড়াও আশরাফুল আরিফকে মদদ দেয়ার অভিযোগ গ্রেফতার একই স্কুলের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জুলফিকারের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

বিএ-০১/৩০-০৬ (আঞ্চলিক ডেস্ক)