দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন করার অধিকার নেই বিএনপির

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যারা দুর্নীতিতে দেশকে পরপর পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন বানিয়ে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে লজ্জিত করেছিলেন, যাদের পুরো রাজনৈতিক নেতৃত্ব যেখানে দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত ছিলেন, দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন করার অধিকার সেই বিএনপির নেই। দুর্নীতি দমনে কঠোর হস্তে কাজ করছে সরকার।

শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামের থিয়েটার ইনস্টিটিউটে রবি-দৃষ্টি বিতর্ক প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে বিএনপির অভিযোগ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নিজে কালো টাকা সাদা করেছেন। তাদের অর্থমন্ত্রীও কালো টাকা সাদা করেছিলেন। তারেক রহমানের দুর্নীতির বিরুদ্ধে এফবিআই এসে বাংলাদেশে সাক্ষ্য দিয়ে গেছেন। যে কারণে তার ১০ বছর সাজা হয়েছে। আরাফাত রহমানের দুর্নীতি সিঙ্গাপুরে ধরা পড়েছে। সেটির সাথে বালিশ আর পর্দা দুর্নীতির কোন তুলনা হয় না। কিছু সরকারি কর্মকর্তা দুর্নীতির সাথে যুক্ত হয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।

তিনি বলেন, বালিশ কিংবা পর্দা দুর্নীতি ঘটেছে কিছু কর্মকর্তার মাধ্যমে। এখানে কোন রাজনৈতিক বা জনপ্রতিনিধির অংশগ্রহণ নাই। এই দুটি দুর্নীতির ব্যাপারেই সরকার অত্যন্ত কঠোর। প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছেন। বালিশ দুর্নীতির সাথে যারা যুক্ত ছিল তাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা প্রহণ করা হয়েছে। পর্দা দুর্নীতির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। অবশ্যই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি তারা পাবে।

সরকার কূটনৈতিকভাবে ব্যর্থ হবার কারণে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হচ্ছে না-বিএনপির এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সৌদি আরবে লক্ষাধিক রোহিঙ্গা আছে যারা বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশি পরিচয়ে সেখানে বসবাস করছে। সেখানে তারা সমস্ত অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত। তাদের জন্য বাঙালিদের বদনাম হচ্ছে সৌদিতে। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন হাজার হাজার রোহিঙ্গা সৌদি আরব গিয়েছিল তখন বিএনপিই রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশি পাসপোর্ট দিয়েছিল।

তিনি বলেন, সরকার কূটনৈতিকভাবেই রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানের জন্য কাজ করছে। সহসাই এই সমস্যার সমাধান হবে। নিজ দেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে রোহিঙ্গাদের প্রচেষ্টা আছে বাংলাদেশি জনগোষ্ঠীর সাথে মিশে যাবার জন্য। তাদের পাসপোর্ট তৈরিসহ নানাভাবে যারা সহযোগিতা করছে তাদেরকে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।

এর আগে অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ২০৪১ সালের উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বর্তমান প্রজন্মরাই পরিচালনা করবে। এজন্য বর্তমান প্রজন্মকে দৃঢ় সংকল্প ও আত্মপ্রত্যয়ী হতে হবে। স্বপ্ন দেখতে হবে এবং সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরন্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। পাশাপাশি নিজের সৃষ্টিশীলতা বাড়াতে হবে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের আসক্তি থেকে দূরে থাকতে হবে।

দৃষ্টি চট্টগ্রামের সভাপতি মাসুদ বকুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রবি আজিয়াটা কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহতাব উদ্দিন, রাজউক সদস্য শামসুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ মহিলা সমিতি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আনোয়ারা বেগম, সানশাইন গ্রামার স্কুলের অধ্যক্ষ সাফিয়া গাজী রহমান ও কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বক্তব্য রাখেন।

বিএ-০৯/০৭-০৯ (আঞ্চলিক ডেস্ক)