কোনো ষড়যন্ত্রই আ. লীগের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে না

ভোলায় উৎসবমুখর পরিবেশে সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় মাঠে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে জেলা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন।

ওই সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে টেলিকনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সাবেক শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

এ সময় তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, কিছু লোক সব সময় পেছন থেকে ষড়যন্ত্র করে। তাদের বিষয়ে সর্তক থাকতে হবে। কোনো ষড়যন্ত্রই আওয়ামী লীগের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে না।

আবেগঘন বক্তব্যে তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমার জীবন-প্রাণ আপনাদের জন্য। যতদিন বেঁচে থাকব, সুখে-দুঃখে আপনাদের পাশে থাকব। আপনা আছেন বলেই আমি আওয়ামী লীগের তোফায়েল আহমেদ হয়েছি। আপনাদের কারণেই আমি রাজনীতির অঙ্গনে বিরাজ করছি।

আওয়ামী লীগের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকেই সৎ ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান দলের নীতিনির্ধারক শীর্ষ এ নেতা।

এ দিকে দ্বিতীয়বারের মতো সভাপতি ও সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন ও জেলা পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম গোলদার।

একই সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পাদক হন যুগান্তর জেলা স্বজন সমাবেশের সহ-সভাপতি আজিজুল ইসলাম। ৭১ সদস্যের এ কমিটি গঠনে প্রার্থী হয়ে ছিলেন ১১০ জন।

বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে আর পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়।

উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোশারফের সভাপতিত্বে অধিবেশনে প্রথম পর্বে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল কাদের মজনু, সহ-সভাপতি ও জাতীয় পরিষদ সদস্য হামিদুল হক বাহালুল, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মমিন টুলু, জেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম-সম্পাদক জহিরুল ইসলাম নকিব, পৌর মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব।

বার্ষিক রিপোর্ট পেশ করেন সংগঠনের সম্পাদক নজরুল ইসলাম গোলদার। সঞ্চালনায় ছিলেন যুগ্ম-সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম।

সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে কাউন্সিলরদের মতামত ও ভোটে নির্বাচিত করা হয় কমিটি। কমিটিতে যারা নির্বাচিত:

মো. মোশারফ হোসেন (সভাপতি), মো. নজরুল ইসলাম গোলদার (সাধারণ সম্পাদক)।

৯ জন সহ-সভাপতি হলেন- মো. ফেরদৌস আহমেদ, মো. সেলিম জমাদ্দার, মো. আফসারুজ্জামান মনোয়ার, অ্যাডভোকেট মো. নুরুল আমিন নুরন্নবী, এমএ জলিল মাস্টার, মো. নুরুল ইসলাম, আবদুস সাত্তার।

৩ জন যুগ্ম-সম্পাদক হলেন- সিরাজুল ইসলাম, মহিউদ্দিন আহমেদ, সুশান্ত মণ্ডল।

৩ জন সাংগঠনিক সম্পাদক হলেন- রেড ক্রিসেন্ট সম্পাদক মো. আজিজুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান হাসনাইন আহমেদ হাসান, সিরাজুল ইসলাম রাকিব।

কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হন নজরুল ইসলাম নাহিদ।

এ ছাড়া অ্যাডভোকেট মো. সোহেব হোসেন মামুন (আইনবিষয়ক সম্পাদক), জাহাঙ্গীর তালুকদার (কৃষি সমবায়), মো. মনসুর আলম নাগর (তথ্য গবেষণা), মো. ইউসুফ মেম্বার (ত্রাণ-সমাজকল্যাণ), মো. ইকবাল হোসেন (দফতর), আমিরুল ইসলাম নিরব (ধর্ম বিষয়ক), মো. আজম খান আপন (প্রচার ও প্রকাশনা), মুনির হোসেন পারভেজ (বন ও পরিবেশ) সাহিনা আফসার (মহিলাবিষয়ক), অহিদুর রহমান (মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক), সাইফুল আলম বাবু (যুব ও ক্রীড়া), রত্নেশ্বর হাওলাদার রতন (শিক্ষাবিষয়ক), কবির আহমেদ নান্নু (শ্রম ও জনশক্তি), মিজানুর রহমান (সাংস্কৃতিক), মো. রফিকুল ইসলাম (স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা), মো. আনোয়ার হোসেন ছোটন (সহ-দফতর), আবুল হাসনাত ইভান (সহ-প্রচার)। এ ছাড়া ৩৫ জন নির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হন।

বিএ-১২/২৮-১১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)