রিমান্ডে গণধোলাইয়ের শিকার সেই ৩ পুলিশ সদস্য

টাঙ্গাইলের সখীপুরে পকেটে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর ঘটনায় গণধোলাইয়ের শিকার সেই ৩ পুলিশ সদস্য ও একজন সোর্সের ২ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামসুল আলম এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে শুক্রবার সকালে পুলিশ ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করে।

রিমান্ডকৃতরা হলেন- মির্জাপুর উপজেলার বাশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই রিয়াজুল ইসলাম, কনস্টেবল গোপাল সাহা, রাসেল ও পুলিশের সোর্স হাসান।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সখীপুর থানার এসআই আয়নুল হক বাদী হয়ে পুলিশের ওই ৩ সদস্য ও সোর্সসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন।

এ ঘটনায় পলাতকরা হলেন- ওই ফাঁড়ির কনস্টেবল হালিম ও মোজাম্মেল এবং পুলিশের সোর্স রাজাবাড়ির আল আমীন।

শুক্রবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার সাংবাদিকদের বলেন, ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য পুলিশের সব নিয়ম কানুন উপেক্ষা করে অন্য উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় সাদা পোশাকে এক এএসআই, চার কনস্টেবল ও দুই সোর্স সেখানে গিয়েছিল।

এ ব্যাপারে ৫ পুলিশ সদস্য ও দুই সোর্সসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় ২ জন কনস্টেবল পলাতক রয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সখিপুর উপজেলার হাতিয়া রাজাবাড়ির গাবিলার বাজার এলাকায় পকেটে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর সময় পুলিশের এক এএসআইসহ তিন সদস্যকে আটক করে স্থানীয় জনতা গণধোলাই দেন।

পরে খবর পেয়ে সখিপুর এবং মির্জাপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বিএ-১৪/২৯-১১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)