চোরাই গরু উদ্ধার করে বিপাকে পুলিশ

দুই চোরসহ একটি গরু আটক করে বিপাকে পড়েছে সিলেটের বিশ্বনাথ থানা পুলিশ। চোর দুইজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হলেও, মালিক না পাওয়ায় গরুটিকে নিজ খরচে খাবার দিতে হচ্ছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে। রাখা হয়েছে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের জিম্মায়।

পুলিশ সূত্র জানায়, গেল ১ আগস্ট রাত ৪টায় একটি প্রাইভেটকারে গরুটি নিয়ে যাচ্ছিল চোরেরা। উপজেলার লামাকাজি ইউনিয়নের গোলচন্দ বাজার থেকে ভুরকি বাজারের দিকে যাচ্ছিল তারা। বাজারে প্রবেশ করে সমসু মিয়ার দোকানের সামনে তাদের গতিরোধ করে স্থানীয় জনতা। তখন গাড়ি থেকে নেমে দৌড় দেয় তিন-চারজন। গরু ও প্রাইভেটকারসহ ধরা পড়ে দুইজন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে তাদের।

তারা হলেন, উপজেলার উদয়পুর গ্রামের ছমছু মিয়ার ছেলে সুজন মিয়া (৩৫) ও বিয়ানীবাজার থানার চরিয়া দক্ষিণ (মেওয়া) গ্রামের মৃত মঈন উদ্দিনের ছেলে আমীর উদ্দিন হীরা। জব্দ করা হয় একটি লাল রঙের (চাঁনকপালী) গবাদি পশু, মূল্য আনুমানিক ২০ হাজার টাকা। সিলভার রঙের প্রাইভেটকার (ঢকা মেট্টো গ-২৭-০৫১৯) ও নগদ ৯৩ হাজার ৯০ টাকা। পরদিন বিশ্বনাথ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গোপেশ চন্দ্র দাস তাদের বিরুদ্ধে গরু চুরির অভিযোগ এনে মামলা (নাম্বার-০৩, তাং-০২-০৮-২০২১ইং) দেন। এরপর আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে, তাদের পলাতক সহযোগী উপজেলার উদয়পুর গ্রামের ওয়াছুব উল্লাহর ছেলে মো. আলী (৩৫), বিয়ানীবাজার থানার চরিয়া দক্ষিণ (মেওয়া) গ্রামের আলমাছ মিয়ার ছেলে হাসান মিয়া (২৫), ও খাড়াবড়া গ্রামের জসনু মিয়ার (৩২)’র নাম প্রকাশ করলেও গবাদি পশুর মালিকের পরিচয় জানাতে পারেনি কেউ। মালিক না পাওয়ায় ওই দিন থেকেই স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের জিম্মায় রেখে নিজ পকেটের টাকায় খাবার দিচ্ছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্ত উপপরিদর্শক (এসআই) গাজী মোয়াজ্জেম হোসেন।

এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের উপপরিদর্শক (এসআই) গাজী মোয়াজ্জেম হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, মালিক খুঁজে না পাওয়ায় নিজেকেই উদ্ধার হওয়া গবাদি পশুর খাবারের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। মালিক খুঁজতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ছবি দেখে কেউ শনাক্ত করলে, প্রয়োজনীয় প্রমাণাদিসহ বিশ্বনাথ থানায় দ্রুত যোগাযোগ করবেন।

এসএইচ-২৬/২৫/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)