ট্রাফিক কর্মকর্তা ২ লাখ টাকার সিগারেট পোড়ালেন

কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেলস্টেশনে পান-সিগারেটের দোকানে দোকানে ঢুকে প্রায় দুই লাখ টাকার সিগারেট-জর্দা ছিনিয়ে নিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিভাগীয় জুনিয়র ট্রাফিক পরিদর্শক মুজিবুর রহমান মাক্সের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনার পরপরই প্রতিবাদে দোকানদাররা দোকান বন্ধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে ওই কর্মকর্তা ট্রলিতে করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

বুধবার মহানগর প্রভাতী ট্রেনে বিনা টিকিটের যাত্রীদের জরিমানা করতে একটি টিকিট চেকার ব্যাজ নিয়ে ভৈরবে আসেন জুনিয়র ট্রাফিক পরিদর্শক মজিবুর রহমান মাক্স। এসেই তিনি স্টেশন মাস্টার নুরুন্নবী মিয়ার কাছে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য চান।

এদিকে পুলিশ ও নিরাপত্তার সদস্যরা আসার আগে তিনি প্রতিটি দোকানে ঢুকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিগারেট বের করে আনেন এবং একসঙ্গে জড়ো করে পুড়িয়ে ধ্বংস করেন।

হকার সভাপতি হেলাল মিয়া অভিযোগ করে বলেন, ‘তিনি আমাদের কোনো কিছু না বলে জোরপূর্বক প্রতিটি দোকানে ঢুকে সিগারেট বের করে এনে জ্বালিয়ে দিলেন। অথচ এর জন্য আমরা রেলওয়েকে আলাদা ট্যাক্স প্রদান করে থাকি।’

স্টেশন মাস্টার নুরন্নবী বলেন, ‘আমি কোনো দোকানদারকে সচেতন করি নাই। সিগারেটের ব্যাপারে উনি কাউকে কিছু না বলে একাই দোকান থেকে সিগারেট বের করে জ্বালিয়ে দিয়েছেন।’

মুজিবুর রহমান মাক্স বলেন, ‘এটা নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে দোকান থেকে সিগারেট জব্দ করে ধ্বংস করেছি।’ আপনার কোনো ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আছে কি জ্বালানোর–এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি জব্দ করে নিরাপত্তা বাহিনীকে দিয়েছি, তারা জ্বালিয়েছে।’

নিরাপত্তা পরিদর্শক তাজবীর বলেন, ‘আমরা ওখানে ছিলাম না। উনি কেন এমনটি করেছেন, উনি ভালো জানেন। আমরা ওনাকে সেভ করে ট্রেনে উঠিয়ে দিয়েছি।’

এসএইচ-৩৬/০৬/২২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)