মেয়ের মৃত্যুর খবরে ইংল্যান্ড ছাড়েন আসিফ

ইংল্যান্ডে খেলছিলেন দেশের জন্য, আর যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছিল মেয়ে। বুকে সেই পাহাড়সমান কষ্ট নিয়েই খেলে গেলেন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান আসিফ আলী। শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডে থেকেই শুনলেন তার আদরের মেয়ে দুই বছর বয়সী নুর ফাতিমা আর পৃথিবীতে নেই।

কয়েক মাস আগেই ক্যান্সার ধরা পড়ে আসিফ আলির মেয়ের। রোববার খেলতে নামার কয়েক ঘণ্টা আগে যুক্তরাষ্ট্রে গুরুতর অবস্থায় তার মেয়েকে ডাক্তারের কাছে নেয়া হয়। সেই খবরটি শুনেই মাঠে নামেন আসিফ। তারও আধা ঘণ্টা আগেই পরপারে পারি জমিয়েছে কন্যা। মেয়ের মৃত্যুতে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি আসিফ। বিশ্বকাপের ঠিক আগ মুহূর্তে ইংল্যান্ড ছাড়ছেন তিনি।

ট্রাজিক এই ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে পুরো ক্রিকেট বিশ্বকে। জীবন কখনও কখনও খুব নিষ্ঠুর। জীবিকার তাগিদে কখনও এমন কিছু মেনে নিতে হয়, যা আসলে মেনে নেয়ার মতো নয়!

ইংল্যান্ড সফরে আসার আগেই এক টুইটে আসিফ জানিয়েছিলেন, চিকিৎসার জন্য তার মেয়েকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাচ্ছেন। সবার কাছে দোয়াও চেয়েছিলেন তিনি। মেয়ের এমন অবস্থাতেও ইংল্যান্ডে ভালো পারফর্ম করেন আসিফ। এই সময়টাই ক্রিজে থাকতে মনের সঙ্গে তাকে কতটা যুদ্ধ করতে হয়েছে, একজন বাবা ছাড়া বোধ হয়ে সেটা কেউই উপলব্ধি করতে পারবেন না।

দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওয়ানডেতে করেছিলেন ফিফটি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচে মাঠে নেমেছিল পাকিস্তান। ব্যাট হাতে দলের পক্ষে আসিফ করেন ১৭ বলে ২২ রান। তবে ম্যাচটি ৫৪ রানে হেরেছে তার দল।

আসিফের মেয়ের এমন মৃত্যুতে শোক জানিয়ে টুইট করেছে তার পিএসএলের দল ইসলামাবাদ ইউনাইটেড, আসিফের মেয়ের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আসিফ সাহসের প্রতিমূর্তি, সে আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা।

বিশ্বকাপের জন্য পাকিস্তানের ঘোষিত প্রাথমিক স্কোয়াডে ছিলেন না আসিফ। তবে আইসিসির নিয়মানুযায়ী ২৩ মে পর্যন্ত দল পরিবর্তন করার সুযোগ কাজে লাগিয়ে তাকে দলে টেনেছে পাকিস্তান।

এসএইচ-১২/২০/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)