চট্টগ্রাম টেস্ট জয়ের হাতছানি পাকিস্তানের

প্রথম ইনিংসে লিড ধরে রেখে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে হোঁচট খায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে আবারও ত্রাতার ভূমিকা নেন লিটন দাস। এই ব্যাটারের দারুণ অর্ধশতকে ভর করে ২০১ রানের লিড পেয়েছে বাংলাদেশ। এই টেস্ট জিততে হলে পাকিস্তানকে করতে হবে ২০২ রান, হাতে আছে এখনো চার সেশন।

সোমবার ৩৯ রানে চার উইকেট হারিয়ে দিন শুরু করে বাংলাদেশ। গত দিনের অপরাজিত মুশফিকুর রহিম ও ইয়াসির আলী রাব্বির জুটির দিকে চেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শুরুতেই হতাশ করলেন মুশফিক। আগের ইনিংসে নার্ভাস নাইন্টিতে সাজঘরে ফেরান এই ব্যাটারকে বুদ্ধিমত্তা সঙ্গে সাজঘরে ফেরান হাসান। দিনের প্রথম বলে দারুণ এক বাউন্ডারি হাঁকান মুশফিক। ওভারের তৃতীয় বলটি পঞ্চম স্ট্যাম্পে দেখে ছেড়ে দেন তিনি। কিন্তু বল দ্রুত টার্ন করে সরাসরি অফস্ট্যাম্পে আঘাতহানলে বোল্ড হন এই ব্যাটারকে।

ষষ্ঠ উইকেটের জুটিতে রাব্বির সঙ্গে প্রতিরোধ গড়েন আগের ইনিংসে সেঞ্চুরি পাওয়া লিটন দাস। এই যুগলের ৪৭ রানের জুটিতে এগোচ্ছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু হঠাৎ ঘটে বিপত্তি। ৩০তম ওভারের পঞ্চম বলে মাথায় আঘাত পান রাব্বি। আফ্রিদির শর্ট বাউন্স গিয়ে সরাসরি তার হেলমেটে আঘাতহানে। এক ওভার ক্রিজে থেকেও অস্বস্তিবোধ করায় মাঠ ছাড়তে হয় এই ব্যাটারকে। ৭২ বলে ছয় বাউন্ডারিতে ৩৬ রান করেন তিনি।

রাব্বীকে তুলে নেওয়ার পর ক্রিজে আসেন মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রথম ইনিংসে অপরাজিত থাকা এই ব্যাটারকে আজ দ্রুতই ফেরান পাকিস্তানের স্পিনার সাজিদ খান। ৪৪ বলে ১১ রান করে লেগ বিফোরে ফেরেন তিনি। রাব্বীর কনকাশন সাব হিসেবে এখন লিটনের সঙ্গে ক্রিজে আসেন নুরুল হাসান সোহান। এই জুটিতে দ্বিতীয় সেশনের শুরু থেকে রান তুলতে থাকে বাংলাদেশ। তিনটি বাউন্ডারি হাঁকানো সোহান ফেরেন ১৫ রানে। স্পিনার সাজিদ খানকে ছয় হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি।

অবশ্য সোহানের সঙ্গে ৩৮ রানের জুটি গড়ার মধ্য দিয়ে ক্যারিয়ারের দশম অর্ধশতক তুলে নেন লিটন। আগের ইনিংসে সেঞ্চুরি পাওয়া এই ব্যাটারও থামেন ৫৯ রানে। আফ্রিদির লেগ বিফোরের সাজঘরে ফেরেন তিনি। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে আসা আবু জায়েদ রাহীকে নিজের পঞ্চম শিকার বানান আফ্রিদি। শেষ ব্যাটসম্যান তাইজুল ইসলামকে স্ট্যাম্পিংয়ে ফেরান সাজিদ খান। তাতেই ১৫৭ রানে থামে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস।

এসএইচ-১৩/২৯/২১ (স্পোর্টস ডেস্ক)