বাংলাদেশে হতে পারে এশিয়া কাপ

কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা, ভেঙে পড়েছে দেশটির অর্থনৈতিক অবকাঠামো। জ্বালানির অভাবে জ্বলছে না শহরগুলোর আলো। চতুর্মুখী সংকটে দেশটির সাধারণ মানুষও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন। এমন পরিস্থিতিতে দেশটিতে এশিয়া কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা।

এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) সূত্রের বরাত দিয়ে ক্রিকেট ডটকম জানিয়েছে, অস্থিরতার কারণে এশিয়া কাপ ক্রিকেট আয়োজনের স্বত্ত্ব হারাতে পারে শ্রীলঙ্কা। আর বিকল্প আয়োজক দেশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হতে পারে বাংলাদেশে।

যদিও বিকল্প ভেন্যু হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে নিয়েও গুঞ্জন ছিল। তবে আগস্ট-সেপ্টেম্বরের যে সময়টাতে এশিয়া কাপ হওয়ার কথা, সে সময়ে গরমের কারণে দেশটিতে আয়োজন সম্ভব নাও হতে পারে। আর তাই সম্ভাবনা বেশি বাংলাদেশের।

ক্রিকেট ডটকম জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এসিসি। শ্রীলঙ্কা আসর আয়োজন সম্ভব না হলে বাংলাদেশ হতে পারে বিকল্প।

কদিন আগে যদিও বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এটার স্বত্ব শ্রীলঙ্কান বোর্ডের। লঙ্কান বোর্ড মনে করছে তারা আয়োজন করতে পারবে। যদি কখনো এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয় তা একটা প্রক্রিয়া মেনেই হবে। এ বিষয়গুলো এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল এসিসির ফোরামে আলোচনা করা হয়। সে ধরনের আলোচনা এখন পর্যন্ত হয়নি বা আমরা এমন কোনো বিষয়ে অবগত নই।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘আগে শ্রীলঙ্কা না করুক, তারপর আমরা বলব। এখনই মন্তব্য করা ঠিক হবে না। যেহেতু এশিয়া কাপের আরও সময় আছে। শ্রীলঙ্কা যেহেতু আয়োজক, শ্রীলঙ্কার বোর্ডই এ বিষয়টা ভালো বলতে পারবে এবং সিদ্ধান্ত দিতে পারবে।’

সবশেষ ২০১৮ সালে এশিয়া কাপ আয়োজন করা হয়েছিল, যা ওয়ানডে ফরম্যাটে হয়েছিল। তবে সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থাকায় এবারের এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হবে বলে জানা গেছে।

২০১৮ সালের পর ২০২০-এ পাকিস্তানে এশিয়া কাপ হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে তা ভেস্তে যায়। ক্ষতি সাধিত হয় ক্রীড়াঙ্গনের প্রায় সব পর্যায়ে। পরিবর্তিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যা আয়োজন করার জন্য ২০২২ সালকে নির্বাচন করা হয়। কিন্তু তা-ও পিছিয়ে গেল আরেক দফায়। কারণ, ভারতের টেস্ট চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল থাকায় আসরটি পিছিয়ে যায়। শেষমেশ স্থগিত হওয়া আসরটি আগামী বছর তথা ২০২৩ সালে আয়োজন করা হবে বলে জানা গেছে।

এশিয়া কাপে পাঁচ টেস্ট খেলুড়ে দল ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান ছাড়াও বাছাই পর্ব পেরিয়ে আসা একটি সহযোগী সদস্য দল অংশ নেবে।

এশিয়া কাপের সবশেষ চার আসরের তিনটিতেই স্বাগতিক ছিল বাংলাদেশ। ২০১২ সালে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের দেশে বাংলাদেশকে ২ রানে হারিয়ে শিরোপার স্বাদ নেয় পাকিস্তান। ২০১৪ সালে পরের আসরে ফাইনালে খেলে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান। এবার চ্যাম্পিয়ন হয় লঙ্কানরা। ফাইনালে তারা জয় পায় ৫ উইকেটে। ২০১৬ সালের শিয়া কাপেও বাংলাদেশ ফাইনালে উঠেছিল, দুর্ভাগ্য যে ভারতের বিপক্ষে ৮ উইকেটে হারতে হয় লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।

এসএইচ-২২/২০/২২ (স্পোর্টস ডেস্ক)