কাতার বিশ্বকাপে সেরা হতে চান এমি মার্টিনেজ

আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে এখন পর্যন্ত অপরাজিত গোলরক্ষক এমি মার্টিনেজ। ২০২১ সালে জাতীয় দলে অভিষেক হয় তার। অথচ তারও প্রায় দেড় বছর আগে আর্জেন্টিনা শেষবারের মতো হারের স্বাদ পেয়েছিল। কোপা আমেরিকা ও ফাইনালিসিমায় আর্জেন্টিনার গোলবার সামলে শিরোপার স্বাদ পাওয়া এমির স্বপ্ন এখন বিশ্বকাপের মঞ্চে নিজেকে চেনানো। কাতার বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষক হতে চান ইংলিশ ক্লাব অ্যাস্টন ভিলায় খেলা এই আর্জেন্টাইন।

আলবিসেলেস্তেদের জার্সি গায়ে এখন পর্যন্ত ১৭টি ম্যাচ খেলে একটি ম্যাচেও পরাজয়ের মুখ দেখেননি আর্জেন্টিনার এক নম্বর গোলরক্ষক এমি মার্টিনেজ। প্রায় ২৮ বছর পর আর্জেন্টিনার প্রথম আন্তর্জাতিক শিরোপা জেতার পথে দারুণ ভূমিকা রেখেছিলেন এই গোলরক্ষক। ২০২১-এর কোপা আমেরিকার সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। দলে জায়গাটাও পাকাপোক্ত হয়েছে তখনই।

আর্সেনালে ব্যক্তিগত শেষ মৌসুমে ক্যারিয়ারের পুনরুত্থান ঘটে এমির। অ্যাস্টন ভিলায় যোগ দিয়েও ধারাবাহিক পারফর্ম করে নিজেকে প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম সেরা গোলরক্ষকে পরিণত করেছেন ২৯ বছর বয়সী এই আর্জেন্টাইন।

এমি দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন সদ্যই শেষ হওয়া আন্তঃমহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই ‘লা ফিনালিসিমা’য়। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে ৩-০ গোলে হারানোর দিনে আর্জেন্টিনার গোলপোস্ট অক্ষত রাখেন তিনি। বেশ কয়েকটি ভালো সেভ করে দলকে বিপদ থেকে রক্ষা করেন এমি।

এবার অবশ্য এই আর্জেন্টাইনের দৃষ্টি আরও দূরে। নভেম্বর-ডিসেম্বরে কাতারে বসছে ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অব আর্থ’ বিশ্বকাপের ২২তম আসর। টানা অপরাজিত থাকার রেকর্ড সঙ্গী করে আলবিসেলেস্তেরা যাচ্ছে বিশ্বকাপের মঞ্চে। অনেকের চোখেই এবারের বিশ্বকাপের ফেভারিট আর্জেন্টিনা। এমির লক্ষ্য দেশকে ৩৬ বছরের শিরোপাখরা দূর করে তৃতীয় বিশ্বকাপ শিরোপা এনে দেয়া। আর সে পথে নিজে হতে চান বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষক।

এমি মার্টিনেজ বলেন, ‘আমি জাতীয় দলের হয়ে অনেক কিছু জিততে চাই। তাই আমাকে সবসময় বড় কিছুই ভাবতে হবে। বন্ধুদের সঙ্গে কফি খেতেও যাই না আমি। নিজের খেলার প্রতি আমি পুরোপুরি নিবেদিত। বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষক হতে চাই আমি।’

আর্জেন্টিনা যে সে লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ, সেটাও জানালেন অ্যাস্টন ভিলার এই গোলরক্ষক, ‘কোপা আমেরিকার জন্য আমরা ৪৫-৫০ দিন একসঙ্গে ছিলাম। জাতীয় দলের সতীর্থরাই আমাদের পরিবার হয়ে যায়। যারা আমাদের গর্বের উৎস। জাতীয় দলের হয়ে খেলা জীবনের অন্যতম গর্বের বিষয়।’

এসএইচ-০৪/১৬/২২ (স্পোর্টস ডেস্ক)