বার্সা ফেরাবে মেসিকে!

বার্সেলোনায় মেসি অধ্যায় এখনও শেষ হয়ে যায়নি। যে করেই হোক তাকে ফেরানোর দায়িত্ব ক্লাবেরই বলে মনে করেন সভাপতি হোয়ান লাপোর্তে। স্প্যানিশ দৈনিক মার্কাকে দেয়া সাক্ষাতকারে, মেসিকে কিংবদন্তি ফুটবলার ইয়োহান ক্রুইফের সঙ্গে তুলনা করেন তিনি। মেসির কাছে চিরকাল ঋণী হয়ে থাকবেন লাপোর্তে। সে ঋণ শোধ করতে মেসিকে তার প্রিয় ক্লাবে ফেরাতে চান বলেও জানিয়েছেন বার্সেলোনার সভাপতি।

২০২১ সালের এক সন্ধ্যায় ন্যু ক্যাম্পে মেসির এই কান্না হৃদয় ভেঙ্গে চৌচির করে দিয়েছিল পুরো দুনিয়ার বার্সা সমর্থকদের। আর্জেন্টাইন তারকার বুক ভাঙা সেই আর্তনাদ এখনও পোড়ায় কাতালানদের। ক্লাবে থাকতে চেয়ে কতই না আকুতি ছিল। কিন্তু অর্থনৈতিক বেড়াজালে বড্ড অসহায় ছিলেন সেদিন নতুন সভাপতি হুয়ান লাপোর্তে। লা লিগায় ফিন্যান্সিয়াল ক্লজের মারপ্যাঁচে হারিয়েছেন ক্লাবের ইতিহাসের সেরা ফুটবলারকে।

মেসিকে হারানোর ধকল এখনও বয়ে বেড়াচ্ছে বার্সেলোনা। একের পর এক কোচ বদল হয়েছে। কিন্তু বার্সেলোনা ফেরেনি চিরচেনা রূপে। পিএসজিতে ঘর বেঁধেছেন মেসি। প্রথম মৌসুমটা খারাপ গেলেও, নতুন মৌসুমে নতুনভাবে জ্বলে ওঠার আশা আর্জেন্টাইন তারকার। আরো একবছর ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি আছে তার। ধারণা করা হচ্ছে ২০২৪ পর্যন্ত বাড়তে পারে তা। কিন্তু সে পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে চান না বার্সেলোনা সভাপতি হোয়ান লাপোর্তে।মেসিকে ধরে রাখত না পারার আক্ষেপে প্রতিটা মুহূর্তেই পুড়তে হয় তাকে।

সাবেক সভাপতি হোসে মারিয়া বার্তোমেউর অতি লোভের কারেই সে তারকাকে ধরে রাখতে পারেননি বলে মনে করেন লাপোর্তে। যে ভুল হয়েছে সেটার দায় নিজেই নিতে চান। ক্লাবের সেরা তারকার জন্য বার্সেলোনার দরজা বন্ধ হয়ে যায়নি বলেই স্প্যানিশ দৈনিক মার্কাকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন লাপোর্তে।

মেসিকে কিংবদন্তি ফুটবলার ইয়োহান ক্রুইফের সঙ্গেও তুলনা করেন বার্সা সভাপতি। মেসির কাছে ঋণী জানিয়ে , একদিন তা শোধ করবেন বলেও জানান তিনি। লাপোর্তে বলেন, ‘বার্সেলোনায় মেসির অধ্যায় শেষ হয়ে যায়নি। তার জন্য ক্লাবের দরজা সব সময় খোলা। অর্থনৈতিক দৈন্যদশার কারণে তাকে হারিয়েছি আমরা। ক্লাবের চেয়ে ফুটবলার বড় নয়। তাই তাকে ধরে রাখতে পারিনি।’

এ সময়ে মেসিকে তিনি বার্সেলোনার ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে পরিচিত ইয়োহান ক্রুইফের সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি বলেন, ‘মেসি বার্সেলোনার ইতিহাসের সেরা ফুটবলার। তার তুলনা শুধু ইয়োহান ক্রুইফের সঙ্গেই চলে। যেভাবে তাকে চলে যেতে হয়েছে সেটা দুঃখজনক। তার কাছে ব্যক্তিগতভাবেও আমি ঋণী। তাকে ফেরাতে পারলেই সে ঋণ শোধ হবে। আশা করছি শিগগিরই আমরা তা করতে পারবো।’

৭ বারের ব্যালন ডি অর জয়ী তারকা ২০০০ সালে নিউওয়েলস ওল্ড বয়েস ছেড়ে বার্সেলোনায় পাড়ি জমান। সেখানে একাডেমি ও বয়সভিত্তিক ক্যারিয়ার শেষ করার পর ২০০৪ সালে ক্লাবটির প্রথম একাদশে তার অভিষেক হয়। এরপর কাতালানদের হয়ে খেলেছেন ৭৭৮ টি ম্যাচ। গোল করেছেন ৬৭২টি।

এসএইচ-২৩/২৪/২২ (স্পোর্টস ডেস্ক)