মার্ক জাকারবার্গকে ‍সিনেটে তলব

ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গকে মার্কিন সিনেটে তলব করেছেন সিনেটর রিচার্ড ব্লুমেনথাল।

বুধবার জাকারবার্গকে লেখা চিঠিতে ফেসবুক অথবা ইনস্টাগ্রাম কর্তৃপক্ষকে উপস্থিত থাকতে বলেন তিনি।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক শিশুদের জন্য ক্ষতিকারক, এটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকেও দুর্বল করে দেয়, এমনই সব অভিযোগ উঠেছে।

এ ছাড়া তথ্য ফাঁসের অভিযোগও দিন দিন জোরালো হচ্ছে। এমন নানামাত্রিক অভিযোগে তদন্তের দাবি তোলা হয়েছিল মার্কিন সিনেটে।

যতই দিন যাচ্ছে ফেসবুকের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাল্লা কেবল ভারী হচ্ছে। ফেসবুকের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকে হুমকির মুখে ফেলার অভিযোগ যেমন রয়েছে তেমনি সবচেয়ে বড় অভিযোগটি হলো, শিশুদের শৈশব কেড়ে নেওয়ার আর তাদের শিক্ষা ও কোমলমতি জীবন ঝুঁকিতে ফেলার। ফেসবুক উসকে দিচ্ছে বিভেদও- এমন তথ্যও উঠে এসেছে।

টানা কয়েক ঘণ্টা ফেসবুক বন্ধ থাকা নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনার মধ্যেই এবার যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের কাছ থেকে আরেক দফা তুলোধুনো হলো ফেসবুক। সাবেক ফেসবুক কর্মী ফ্রান্সেস হাউগেন তথ্য ফাঁসের যেসব অভিযোগ করেছেন তার তদন্তেরও দাবি করেছেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা।

ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা নয় বরং মুনাফাকে প্রাধান্য দেওয়ার জন্য ফেসবুক সিইও মার্ক জাকারবার্গের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তারা।

ডেমোক্র্যাট দলীয় সিনেটর রিচার্ড ব্লুমেনথাল বলেন, ফেসবুক জানত যে তাদের এই সাইটটি আসক্তির সৃষ্টি করবে। অনেকের মধ্যে আমাদের শিশুরা ফেসবুকের ক্ষতির শিকার হচ্ছে। কিশোরীরা আজ আয়নায় নিজেদের দেখে সংশয়ে ভোগে, অনিরাপত্তা বোধ করে। মার্ক জাকারবার্গের উচিত নিজের চেহারাটা আয়নায় দেখা।

ফেসবুক ও এর দুই প্রধান সার্ভিস ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ বিভ্রাটের একদিন পর গত ৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রে কংগ্রেসের শুনানিতে সাক্ষ্য দিতে যান ফ্রান্সেস হাউগেন। সেখানে তিনি বলেন, অন্তত ছয় ঘণ্টার জন্য ফেসবুক বিভেদ বাড়ানো, গণতন্ত্রকে অস্থিতিশীল করা এবং তরুণীদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কাজে ব্যবহার হয়নি।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে দুই দলেরই একসঙ্গে কোনো বিষয়ে সরব হওয়া যখন বিরল ব্যাপার, ঠিক তখনই ফেসবুক নিয়ে কংগ্রেসের শুনানিতে তীব্র সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছিল ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান দু’পক্ষকে।

এসএইচ-১৯/২১/২১ (প্রযুক্তি ডেস্ক)