ভোর ৫:৪৫
শনিবার
২৭ শে এপ্রিল ২০২৪ ইংরেজি
১৩ ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৮ ই শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

বিয়ে না দেওয়ায় মাকে গলাকেটে হত্যা

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে রানু বেগম (৫৭) নামে এক নারীকে জবাই করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছেলে রাসেল খানের (২৭) বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের ইছাপুরা খান বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রানু বেগম ওই গ্রামের আতর খানের স্ত্রী।

নিহতের স্বামী আতর খাঁন বলেন, আমার ৩ মেয়ে ও ২ ছেলের মধ্যে রাসেল সবার ছোট। গত কয়েকদিন যাবত তাকে বিয়ে করানোর জন্য আমাদেরকে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। সে আমাকেও মেরেছে। আমি স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় বাবুর্চির কাজ করি। আমার ছেলে রাসেল দুপুর ২ টা ৪৯ মিনিটে আমাকে ফোন দিয়ে বলে তার মাকে কে যেন ঘরে জবাই করে রাখছে। তখন আমি নিশ্চিত হয়েছি, আমার স্ত্রী তার সন্তানের হাতেই খুন হয়েছে। ফোন কেটে সাথে সাথে আমি বাড়িতে এসে দেখি আমার স্ত্রী রানু বেগমের মরদেহ বিছানায় পড়ে আছে। আমার ছেলে রাসেল পালিয়ে গেছে। পরে আমার ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা এসে পুলিশকে খবর দেয়।

ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে রানু বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যার শিকার রানু বেগমের স্বামী আতর খাঁন ও তার মেয়ে শাহিনের বক্তব্যনুযায়ী নিজের ছোট ছেলে রাসেল কর্তৃক হত্যার শিকার হয়েছেন তিনি। অভিযুক্ত রাসেল পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এ বিষয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধিন আছে।

এআর-০৪/২৬/০৪ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

গাজায় নিহত মায়ের পেট থেকে জীবিত উদ্ধার হওয়া শিশুটি মারা গেছে

ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত এক নারীর গর্ভ থেকে প্রসব করা একটি কন্যাশিশু জন্মের মাত্র কয়েক দিন পরেই মারা গেছে। গাজার একটি হাসপাতালে জন্ম হয়েছিল শিশুটির। হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক শুক্রবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর রয়টার্সের।

শিশুটির নাম রাখা হয়েছে সাবরিন আল-রুহ। দ্বিতীয় নামের আরবি অর্থ ‘আত্মা’। তার মা সাবরিন আল-সাকানি (আল-শেখ) শনিবার রাতে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দক্ষিণের শহর রাফাতে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হন।

শিশুটিকে তার মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত রোববার মধ্যরাতের পরপরই রাফার হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে শিশু সাবরিন আল-সাকানিকে মায়ের পেট থেকে জীবিত উদ্ধার করেছিলেন চিকিৎসকরা।

শিশুটিকে অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে ইনকিউবেটরে রাখা হয়েছিল। তার কোমরে একটি টেপ বেঁধে রাখা হয়। এতে লেখা হয় ‘শহীদ সাবরিন আল-সাকানির সন্তান।’

চিকিৎসকরা সে সময়ই শিশুটির অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছিলেন। ১ দশমিক ৪ কেজি ওজনের এই শিশু অপরিণত অবস্থায় জন্ম নেওয়ায় তার শ্বাসপ্রশ্বাসে মারাত্মক সমস্যা ছিল।

হাসপাতালে ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেও চিকিৎসকরা শিশুটিকে বাঁচানোর জন্য লড়াই করেছেন। হাত পাম্প ব্যবহার করে তার ফুসফুসে বাতাস পৌঁছানোর চেষ্টা করেন চিকিৎসকরা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। মৃত্যুবরণ করেছে শিশুটি।

গত সপ্তাহে শনিবার রাতে রাফাহের দুটো বাড়িতে ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত হয়েছিলেন ১৯ ফিলিস্তিনি। তাদের মধ্যে শিশু সাবরিনের মা সাবরিন আল-সাকানিও ছিলেন। মৃত্যুর সময় তিনি সাড়ে ৭ মাসের অন্তঃস্বত্তা ছিলেন।

 
এআর-০৩/২৬/০৪ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

টানা তাপদাহে পুড়ছে দেশ, ভাঙল ৭৬ বছরের রেকর্ড

এপ্রিল মাসের শুরু থেকেই টানা তাপপ্রবাহে পুড়ছে সমগ্রদেশ। দিন যত যাচ্ছে তাপমাত্রার পারদ ততই উপরে উঠছে। এমন টানা তাপপ্রবাহ গত ৭৬ বছরে দেখেনি বাংলাদেশ। যা এপ্রিল মাসের দীর্ঘব্যপ্তিকাল বলছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানান, ১৯৪৮ সাল থেকে দেশের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এরপর থেকে গত ৭৬ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম দীর্ঘ সময় ধরে তাপপ্রবাহ বইছে বাংলাদেশে।

টানা অন্তত দু’দিন তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকলে তা তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। চলতি এপ্রিল মাসে ২৪ দিন ধরে এমন তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহী বিভাগে ১ এপ্রিল থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। এরপর ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বিভাগটির তাপমাত্রা ৩৬-৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়। পরবর্তীতে ঢাকা, খুলনা ও রংপুর বিভাগেও তাপমাত্রা বাড়ে এবং দু’দিন তা অব্যাহত থাকে।

এদিকে গত ৮ এপ্রিল কক্সবাজার ও সীতাকুণ্ডে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। তবে ৯ ও ১০ এপ্রিল সারা দেশে তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে ছিল। এরপর ১১ এপ্রিল থেকে উষ্ণতা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার (২৫) এপ্রিল বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ১৪ শতাংশ। যা দেশের সর্বোচ্চ। এর আগে বুধবার (২৪ এপ্রিল) ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৩৪ শতাংশ। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৩৯ শতাংশ।

এর আাগে, গত সোমবার (২২ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়, এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৩৯ শতাংশ। রোববার (২১ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৯ শতাংশ।

বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা ও যশোর জেলাসমূহের ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলাসহ খুলনা বিভাগের অন্যান্য জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং ঢাকা, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, বগুড়া, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড়, ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা আগামী ২৪ ঘণ্টায়ও অব্যাহত থাকতে পারে।

এআর-০২/২৬/০৪ (জাতীয় ডেস্ক)

উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৭৩ জনকে বহিষ্কার করলো বিএনপি

আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিতব্য প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে অংশ নেওয়া তৃণমূলের ৭৩ জন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাদের বহিষ্কারের তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএনপির যেসব নেতৃবৃন্দ চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কার হওয়াদের মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ২৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ২৪ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ২১ জন রয়েছেন।

এর আগে গতকাল উপজেলা পরিষদের ভোটে অংশ নিতে চাওয়া ৬৪ নেতাকে শোকজ করে বিএনপি। চিঠিতে নেতাদের ৪৮ ঘণ্টার সময় দিয়ে উত্তর দিতে বলা হয়।

এআর-০১/২৬/০৪ (জাতীয় ডেস্ক)

ভারতের নির্বাচন: ভোট দিলে বিনামূল্যে দেওয়া হবে মদ

বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে লোকসভা নির্বাচন শুরু হয়েছে। মোট সাত ধাপে ৪১ দিনব্যাপী ভোট নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে প্রথম ধাপের ভোট সম্পন্ন হয়েছে। এখন অন্যান্য অঞ্চলগুলোতে চলছে ভোটের প্রস্তুতি।

ভারতে ভোটাভুটি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ ও উদ্দীপনা দেখা গেলও এর ব্যতিক্রম চিত্র দেখা যায় কর্ণটকের বেঙ্গালুরুতে। সেখানে ভোটাররা ভোট দিতে তেমন একটা আসেন না।

তবে ভোটাররা যেন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন সেজন্য সেখানকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে। ডেক অব ব্রিয়ুস নামের একটি জনপ্রিয় মদের দোকান ঘোষণা দিয়েছে, ভোট দিয়ে এসে যে প্রথম ৫০ জন কাস্টমার তাদের দোকানে আসবেন তাদের বিনামূল্যে মদ দেওয়া হবে।

আগামীকাল শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বেঙ্গালুরুতে দ্বিতীয় ধাপে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ভোটারদের ডিসকাউন্ট মূল্যে খাবার দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট পিসি রাও সংবাদমাধ্যম বেঙ্গালুরু মিররকে বলেছেন, “ভিন্ন ভিন্ন হোটেল ও রেস্তোরাঁ ভিন্ন সেবা দেবে। কিছু জায়গায় বিনামূল্যে কফি দেওয়া হবে, কোথাও দোসা দেওয়া হবে। কিছু হোটেল-রেস্তোরাঁ ডিসকাউন্ট মূল্যে খাবার সরবরাহ করবে।”

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বেঙ্গালুরুর মধ্যাঞ্চলে ৫৪ দশমিক ৩ শতাংশ ভোটার ভোট দেন। উত্তর ব্যাঙ্গালুরুতে ভোট গ্রহণের হার ছিল ৫৪ দশমিক ৭। যেখানে পুরো দেশে গড় ভোটার উপস্থিতি ছিল ৬৮ শতাংশ।

গত সপ্তাহ থেকেই বেশিরভাগ কোম্পানি ভোটারদের ভোট প্রদানে উদ্বুদ্ধ করতে থাকে। তবে বুধবার আদালতের নির্দেশনার পর তারা অফার দেওয়া শুরু করে।

শুধুমাত্র যে খাবারের দোকান ভোটারদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখছে তাই নয়। ট্যাক্সি কোম্পানি এমনকি একটি অ্যামিউজমেন্ট পার্কও ভোটারদের জন্য বিশেষ অফার ঘোষণা করেছে।

তবে এসব সেবা পেতে হলে ভোট দেওয়ার প্রমাণ স্বরূপ কালো মার্ক দেখাতে হবে।

সূত্র: বিবিসি।

এসএ-১০/২৫/২৪(আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

প্রেমিকার জন্য অর্ডার করা বার্গার খাওয়ায় বন্ধুকে খুন

এক যুবক তার প্রেমিকার জন্য বার্গার অর্ডার করেছিলেন। সেই বার্গার এক বন্ধু খেয়ে ফেলায় তাকে হত্যা করেছেন ওই যুবক। পাকিস্তানের করাচিতে রোমহর্ষক এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে বুধবার দেশটির সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই নিউজের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, গত ৮ ফেব্রুয়ারি করাচির ডিফেন্স ফেজ-৫ এলাকায় ওই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ এই ঘটনায় তদন্ত শেষ করেছে এবং একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে।

এআরওয়াই নিউজ বলছে, করাচির এক যুবক তার প্রেমিকার জন্য বার্গার অর্ডার করেছিলেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ওই যুবকের বন্ধু আলী কিরিও। পরে তিনি ওই বার্গার খেয়ে ফেলেন। এ নিয়ে দু’জনের মাঝে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গুলি চালিয়ে তাকে হত্যা করেন ওই যুবক।

নিহত আলী কিরিও করাচির দায়রা আদালতের এক বিচারকের ছেলে। আর অভিযুক্ত দানিয়াল নাজির করাচির জ্যেষ্ঠ পুলিশ সুপার (এসএসপি) নাজির আহমেদ মীরবাহারের ছেলে।

এই ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তারা বলেন, ঘটনার দিন দানিয়াল তার প্রেমিকা শাজিয়াকে বাসায় আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। এ সময় তার বন্ধু আলী কিরিও এবং তার ভাই আহমার সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

অভিযুক্ত দানিয়াল নিজের ও প্রেমিকা শাজিয়ার জন্য দুটি বার্গার অর্ডার করেছিলেন। কিরিও বার্গারের একটি অংশ খেয়ে ফেলায় দুজনের মাঝে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এই ঘটনায় তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠেন দানিয়াল।

দু’জনের বাগবিতণ্ডা দ্রুতই অন্য দিকে মোড় নেয়। বাসার এক নিরাপত্তারক্ষীর রাইফেল কেড়ে নিয়ে কিরিওকে লক্ষ্য করে গুলি চালান দানিয়াল। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের পর তদন্তকারী কর্মকর্তা এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তার ছেলেকে দায়ী করে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। অভিযুক্ত দানিয়াল নাজিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি আদালতে বিচারের অপেক্ষায় রয়েছেন বলে জানিয়েছে এআরওয়াই নিউজ।

এসএ-০৯/২৫/২৪(আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

গাজায় ২০ জনকে জীবন্ত কবর দেওয়ার অভিযোগ

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার খান ইউনিসের নাসের হাসপাতাল এবং গাজা সিটির আল শিফা হাসপাতালের পাশে গণকবরের সন্ধান মিলেছে। গণকবর থেকে এখন একের পর এক মরদেহ বের করা হচ্ছে। যেগুলোর বেশিরভাগই বিকৃত হয়ে গেছে।

যখন এসব গণকবর থেকে বেরিয়ে আসছে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের মরদেহ। ঠিক তখনই সামনে এলো রোমহর্ষক ঘটনা। ফিলিস্তিন সিভিল ডিফেন্সের সদস্য মোহাম্মদ মুঘাইয়ের জানিয়েছেন, এসব গণকবরে পাওয়া মরদেহের অন্তত ২০ জনকে জীবিত অবস্থায় কবর দেওয়ার আলামত পেয়েছেন তারা।

তিনি বলেছেন, “১০টি মরদেহের হাত বাধা ছিল। অন্যদের শরীরে মেডিকেল টিউব সংযুক্ত ছিল। বিষয়টি নির্দেশ করছে তাদের খুব সম্ভবত জীবিত অবস্থায় কবর দেওয়া হয়েছে।”

সিভেল ডিফেন্সের এই সদস্য আরও বলেছেন, “যে ২০ জনকে জীবন্ত কবর দেওয়া হয়েছে বলে আমরা ধারণা করছি তাদের মরদেহ ফরেনসিক পরীক্ষা করতে হবে।”

খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের গণকবর থেকে শিশুদের মরদেহও উদ্ধার করা হয়েছে। মোহাম্মদ মুঘাইয়ের শিশুদের বিকৃত মরদেহের ছবি প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, “গণকবরে কেন শিশুরা? এসব প্রমাণ নির্দেশ করছে ইসরায়েলি সেনারা মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছে।”

দুই সপ্তাহ আগে খান ইউনিস থেকে সরে যায় দখলদার ইসরায়েলের সেনারা। এরপর সেখানে ফিরে যান সাধারণ ফিলিস্তিনিরা। তারা গিয়ে দেখতে পান খান ইউনিসকে একটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে দখলদাররা। তাদের বর্বরতা থেকে বাদ যায়নি হাসপাতালও। সাধারণ মানুষকে হত্যা করে হাসপাতালের পাশেই পুঁতে রেখেছে তারা।

খান ইউনিস এবং গাজা সিটিতে যখন গণহত্যার আলামত পাওয়া যাচ্ছে ঠিক তখনই গাজার সর্বশেষ নিরাপদস্থান রাফাহতে বর্বরতা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) এক শীর্ষ কর্মকর্তা বুধবার (২৪ এপ্রিল) বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, গাজায় হামাসকে লক্ষ্য করে তারা হামলা চালাবেন। যদিও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এক্ষেত্রে বাধা প্রদান করেছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর মুখপাত্র বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, রাফাহতে হামলার জন্য তারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে কবে হামলা চালানো হবে সে তারিখটি স্পষ্ট করেননি তিনি।

ওই ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন তারা ৪০ হাজার তাঁবু কিনেছেন। যেগুলোর একেকটিতে ১০ থেকে ১২ জন থাকতে পারবেন। এসব তাঁবুতে রাফাহতে অবস্থানরত ফিলিস্তিনিদের নিয়ে আসা হবে।

কয়েকটি ভিডিওতে দেখা গেছে রাফাহ থেকে ৫ কিলোমিটার দূরের খান ইউনিসে সারি সারি তাঁবু স্থাপন করা হয়েছে। স্যাটেলাইট প্রতিষ্ঠান ম্যাক্সার টেকনোলোজিসের ছবিতে দেখা গেছে, যেখানে তাঁবুগুলো স্থাপন করা হয়েছে সেই জায়গাটি কয়েক সপ্তাহ আগেও খালি ছিল।

সূত্র: আলজাজিরা।

এসএ-০৮/২৫/২৪(আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

৫০ বছরে দ্বিতীয়বার রেকর্ড গরম কলকাতায়!

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। কলকাতা ও এর আশপাশের অঞ্চলে তাপমাত্রা উঠেছে ৪১.৬ ডিগ্রিতে। যা গত ৫০ বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে, ১৯৭৪ সালে এপ্রিলের কোনো এক দুপুরে তাপমাত্রা উঠেছিল ৪১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার আবার তাপমাত্রার পারদ এর সামান্য নিচে এসে ঠেকল।

ভারতের আলিপুর আবহাওয়া বিভাগের বরাত দিতে দেশটির গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের তাপপ্রবাহের যে পরিস্থিতি চলছে, এই মুহূর্তে তা কমার কোনও সম্ভাবনা নেই। আগামী এক সপ্তাহ তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী দুই থেকে তিন দিনে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা পশ্চিমবঙ্গের সব জেলাতেই। কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে আগামী পাঁচ দিন তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

কোথাও কোথাও আবার তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব-পশ্চিম বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি এই জেলাগুলোতে তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে।

এদিকে, দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের পার্বত্য এলাকায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে সেখানকার আবহাওয়া অফিস। যদিও জলপাইগুড়ি সংলগ্ন সমতলে গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া বিরাজমান থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

এসএ-০৭/২৫/২৪(আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

পাঁচজনের সঙ্গে একরুমে, কেমন ছিল নেহার অতীত জীবন

বলিউডের বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নেহা কক্কর। ১৯৮৮ সালের ৬ জুন উত্তরাখণ্ডে জন্ম তার। ছোটবেলা থেকেই পারিবারিক দূর্দশা, কষ্টে বেড়ে উঠতে হয়েছে তাকে। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে সেই দিনগুলোর গল্প বলেছেন নেহা।

নিম্নবিত্ত পরিবারের সাধারণ মেয়ে ছিলেন এই সংগীতশিল্পী। অভাবের মধ্য দিয়েই কেটেছে শৈশব। বাবার সঙ্গে জাগরণে যাওয়ার স্মৃতি আজও মনে পড়ে নেহার।

প্লেব্যাক সিঙ্গার সোনু কক্করের ছোট বোন তিনি। তাদের একজন ভাইও রয়েছে, যার নাম টনি কক্কর। তিনি নিজেও গায়ক।

শৈশবেই রোজগারের জন্য পরিবারসহ দিল্লিতে চলে যান নেহা। একরুমে দুই ভাইবোন এবং বাবা-মায়ের সঙ্গে মোট পাঁচজনে মিলে থাকতেন। অর্থকষ্টে এর চেয়ে দামি ঘর ব্যবস্থা করা সম্ভব ছিল না তাদের জন্য।

দিল্লির উত্তম নগরের নিউ হলি পাবলিক স্কুলে পড়াশোনা করেন নেহা। গ্র্যাজুয়েশন শেষ করতে পারেননি। একাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময়ে রিয়েলিটি শো ‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এর সিজন ২-এ প্রতিযোগী হিসাবে উপস্থিত হন। এরপরই বদলে যেতে শুরু করে নেহার জীবন। ডাক পেয়ে যান বলিউডে। আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক গানে জনপ্রিয়তা পেয়ে যান ভারতজুড়ে।

এসবের মাঝেও পুরোনো স্মৃতি আজও ভোলেননি নেহা। গত বছর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে দুটি ছবি শেয়ার করেন তিনি। একটিতে দেখা যায়, গ্র্যান্ড বাংলোর বাইরে পোজ দিচ্ছেন। অপরটিতে, পুরোনো বাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে।

জীবন কতটা বদলে গেছে সেটাই বোঝাতে চেয়েছেন নেহা। অতীতকে আজও স্মরণ করেন তিনি। তাই হয়তো কোনও প্রতিযোগীর জীবন সংগ্রামের কথা শুনলে তাঁর চোখ ভিজে যায়।

বছরখানেক আগেই পাঞ্জাবি গায়ক রোহনপ্রীত সিংকে বিয়ে করেন নেহা। এর আগে আদিত্য নারায়ণ ও হিমাংশ কোহলির সঙ্গে নেহার নাম জড়িয়েছিল। রোহনপ্রীত সিং পাঞ্জাবের বাসিন্দা। সারেগামাপা লিটল চ্যাম্পসের মাধ্যমে লাইমলাইটে প্রবেশ করেন।

এসএ-০৬/২৫/২৪(বিনোদন ডেস্ক)

আবারও ঢাকাই সিনেমায় পাওলি দাম

সরকারী অনুদানপ্রাপ্ত ‘নীল জোছনা’ সিনেমা নির্মাণ করবেন ফাখরুল আরেফীন খান। মোশতাক আহমেদের প্যারাসাইকোলজি বিষয়ক উপন্যাস ‘নীল জোছনার জীবন’ অবলম্বনে তৈরি এই সিনেমায় অভিনয় করবেন পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পাওলি দাম। সিনেমার প্রধান নারী চরিত্র লায়লার ভূমিকায় অভিনয় করবেন তিনি।

গত বুধবার কলকাতার ডিকালগ ম্যানেজমেন্ট সেন্টারে পাওলির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করেন নির্মাতা ফাখরুল আরেফীন খান। ঢাকাই সিনেমায় আবারও কাজ করার বিষয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন এই অভিনেত্রী নিজেও।

সিনেমায় পাওলির বিপরীতে কে থাকছেন তা এখনো চুড়ান্ত হয়নি। তবে নির্মাতা জানিয়েছেন, পাওলির বিপরীতে দেশের একজন অভিনয়শিল্পীকে তিনি নির্বাচিত করবেন। খুব শিগগিরি তা চুড়ান্ত করে জানাবেন তিনি।

আবারও বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে পাওলি বলেন, ‘গত বছর নির্মাতা ফাখরুল আরেফিন খান আমার সঙ্গে এই সিনেমা নিয়ে যোগাযোগ করেন। প্রথমে তার কাছ থেকে গল্পটি শুনেছি, যেহেতু তখনও মোশতাক আহমেদের সেই বইটি আমার পড়া ছিল না, এরপর যখন বইটি পড়লাম, তখন দারুণ লাগল। বলা যায়, এই সিনেমার সঙ্গে সেদিন থেকেই জড়িয়ে আছি। যার আনুষ্ঠানিকতা গত বুধবার হয়েছে।’

নির্মাতা ফাখরুল আরেফীন খান বলেন, ‘নীল জোছনা’ সিনেমার কাজ শুরু করেছিলাম প্রায় ৬ বছর আগে। সেই ২০১৮ সালের শেষের দিকে। প্যারাসাইকোলজি নিয়ে আমার ধারণা এর আগে বাংলাদেশে কোনো কাজ হয়নি। আর সে কারণেই যখন আমি মোশতাক আহমেদের উপন্যাসটি পড়ি, তখনই চিন্তা করি সিনেমা বানানোর। এরপর ২০১৯ সালে করোনা এবং আমার ‘জেকে ১৯৭১’ সিনেমার কারণে কাজটি বন্ধ ছিল। এরপর আবারও গত বছরের শুরু থেকে কাজটি শুরু করি।’

নতুন এই সিনেমায় পাওলি দাম প্রসঙ্গে এই নির্মাতা বলেন, ‘আমাদের গল্পের অন্যতম নারী চরিত্র লায়লা, যা পাওলি দামের সঙ্গে অনেক বেশি যায়, যার কারণে আমরা তাকে এই চরিত্রের জন্য প্রথমে নির্বাচিত করি। এরপর পাওলির সঙ্গে যোগাযোগ হয়, তাকে চিত্রনাট্য পাঠানো হলে তিনিও আমাদের সিনেমায় অভিনয়ের জন্য রাজি হন। আশা করছি, আমরা পাওলিকে নিয়ে কাজটি খুব ভালোভাবে শেষ করতে পারব।’

নির্মাতা জানান, ‘নীল জোছনা’ সিনেমার দৃশ্যধারণ শুরু হবে আগামী মাসের শেষদিকে, একটানা জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত চলবে।

এসএ-০৫/২৫/২৪(বিনোদন ডেস্ক)