সন্ধ্যা ৭:১৫
বুধবার
১৩ ই আগস্ট ২০২৫ ইংরেজি
২৯ শে শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১৮ ই সফর ১৪৪৭ হিজরী
spot_img

ইসলামী ব্যাংকগুলো একীভূত করে বড় দুটি ব্যাংক করা হবে : গভর্নর

ব্যাংক খাতের সংস্কার চলমান রাখতে রাজনৈতিক সমর্থন প্রয়োজন জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, ইসলামী ব্যাংকগুলো একীভূত করে বড় দুটি ইসলামী ব্যাংক গড়ে তোলা হবে।

বুধবার (৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) বার্ষিক ব্যাংকিং সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএমের মহাপরিচালক মো. আখতারুজ্জামান। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আব্দুল হান্নান চৌধুরী।

যেসব ব্যাংকে অনিয়ম করেছে আমানতকারীদের স্বার্থে সেসব ব্যাংকের পর্ষদে পরিবর্তন আনা হয়েছে জানিয়ে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, আমরা প্রথমে ১১টি ব্যাংক ও পরে আরও দুই ব্যাংকে পরিবর্তন করেছি। এছাড়া একটি ব্যাংক নিজেই পর্ষদে পরিবর্তন এনেছে। ব্যাংক কোম্পানি আইনে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। কারা পর্ষদে আসবেন, স্বতন্ত্র পরিচালক কারা হবেন, তাঁদের যোগ্যতা নির্ধারণ করা হচ্ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক শক্তিশালী করা হচ্ছে জানিয়ে আহসান এইচ মনসুর বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর বিভিন্ন চাপ থাকে। সেই সঙ্গে আছে ব্যাংক খাতে দ্বৈত শাসন। স্বায়ত্তশাসন ও তদারকি বাড়াতে কাজ চলছে, যাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কার্যকর হয়ে ওঠে। ব্যাংক খাতে যেসব সমস্যা হচ্ছে বা হতে পারে তা যেন আগেই জানা যায়, সেই লক্ষ্যে কাজ হচ্ছে।

ইসলামী ব্যাংকগুলোকে একদম নতুন রূপ দেওয়া হবে মন্তব্য করে গভর্নর বলেন, একটি বড় ও অনেক ছোট ছোট ইসলামী ব্যাংক রয়েছে। এর মধ্যে অনেকগুলো সমস্যাগ্রস্ত। এসব ব্যাংক একীভূত করে বড় দুটি ইসলামী ব্যাংক গড়ে তোলা হবে। ইসলামী ব্যাংকের জন্য আইন ও তদারকির ব্যবস্থা চালু করা হবে। বৈশ্বিক পরিসরের উত্তম রীতিনীতি অনুসরণ করে এসব করা হবে।

সমস্যাগ্রস্ত বেশিরভাগ ব্যাংক মূলধনের ঘাটতিতে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এসব ব্যাংকের অবস্থা খুবই খারাপ। এসব ব্যাংক ঠিক করতে কয়েক বছর লেগে যাবে। রাজনীতির পালাবদলে এসব সংস্কারে সমর্থন লাগবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন বজায় রাখতে হবে।

এআর-০৩/০৯/০৪ (জাতীয় ডেস্ক)

বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করল ভারত

ভারতীয় স্থল শুল্ক স্টেশন ব্যবহার করে বন্দর ও বিমানবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় দেশে পণ্য রপ্তানির জন্য বাংলাদেশকে দেওয়া দীর্ঘদিনের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে ভারত। মঙ্গলবার দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে বাংলাদেশের এই সুবিধা বাতিল করেছে।

দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার (পিটিআই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এই সুবিধার ফলে ভুটান, নেপাল এবং মিয়ানমারের মতো দেশে বাংলাদেশের রপ্তানির জন্য বাণিজ্য প্রবাহ বাধাহীন ছিল। ভারত ২০২০ সালের জুনে বাংলাদেশকে পণ্য রপ্তানির এই সুবিধা দিয়েছিল।

৮ এপ্রিল জারি করা ভারতের কেন্দ্রীয় পরোক্ষ কর ও শুল্ক বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘‘২০২০ সালের ২৯ জুনের জারি করা সার্কুলার বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংশোধিত এই সিদ্ধান্ত তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে। তবে আগের সার্কুলারের প্রক্রিয়া অনুযায়ী ইতোমধ্যে ভারতে প্রবেশ করা বাংলাদেশি কার্গোকে ভারতীয় অঞ্চল ত্যাগ করার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে।’’

ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার এমন এক সময়ে ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে পণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশকে দেওয়া সুবিধা বাতিল করল, যার কয়েক দিন আগে ভারত, বাংলাদেশসহ বিশ্বের কয়েক ডজন দেশ ও অঞ্চলের বিরুদ্ধে উচ্চমাত্রার শুল্ক আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

আগের বিজ্ঞপ্তিতে ভারতীয় বন্দর ও বিমানবন্দরগুলোতে যাওয়ার পথে দেশটির স্থল শুল্ক স্টেশন (এলসিএসএস) ব্যবহার করে বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় দেশে রপ্তানি কার্গো ট্রান্সশিপমেন্টের অনুমতি দেওয়া হতো। ভারতীয় বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের সরকারের এই সিদ্ধান্ত পোশাক, পাদুকা, রত্ন এবং গহনার মতো কয়েকটি ভারতীয় রপ্তানি খাতের জন্য সহায়ক হবে।

বিশ্ব বাণিজ্যে পোশাক খাতে ভারতের অন্যতম বড় প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ। ভারতীয় রপ্তানিকারকদের সংগঠন ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনসের (এফআইইও) মহাপরিচালক অজয় ​​সাহাই বলেছেন, ‘‘এই সিদ্ধান্তের ফলে এখন আমাদের কার্গো পরিব্হনে অতিরিক্ত সক্ষমতা থাকবে। অতীতে রপ্তানিকারকরা বাংলাদেশকে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা দেওয়ার কারণে বন্দর ও বিমানবন্দরে স্থান কম পাওয়ার বিষয়ে অভিযোগ করতেন।’’

এর আগে, ভারতের পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন এইপিসি বাংলাদেশকে দেওয়া সুবিধার আদেশ স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছিল। ওই সুবিধার ফলে দিল্লি এয়ার কার্গো ভবনের মাধ্যমে বাংলাদেশের রপ্তানি কার্গো তৃতীয় দেশে ট্রান্স-শিপমেন্টের অনুমতি পেতো।

এআর-০২/০৯/০৪ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

ফিলিস্তিনিদের সাময়িক আশ্রয় দিতে প্রস্তুত ইন্দোনেশিয়া

গাজা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত ফিলিস্তিনিদের সাময়িকভাবে আশ্রয় দিতে ইন্দোনেশিয়া প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট পরবোও সুবিয়ান্তো। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাজধানী জাকার্তায় একটি অর্থনৈতিক সমাবেশের সময় দেয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। খবর রয়টার্সের।

অনুমান করে তিনি বলেন, প্রথম পর্যায়ে এক হাজার ফিলিস্তিনিকে আশ্রয় দেওয়া হতে পারে। কীভাবে তাদের (ফিলিস্তিনি) সরিয়ে নেওয়া যায় সে বিষয়ে ফিলিস্তিন এবং অন্যান্য পক্ষের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা করতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

প্রাবোও বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্তরা তাদের আঘাত থেকে পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত এবং গাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরে না আসা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে তারা ইন্দোনেশিয়ায় থাকবে। জাকার্তা দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের পক্ষে কথা বলেছে এবং মানবিক সাহায্য পাঠিয়েছে বলেও জানান তিনি।

ইন্দোনেশিয়া সংঘাতের সমাধানের জন্য তার ভূমিকা বাড়াতে চায়, এই পরিকল্পনাটি সহজ নয়। ফিলিস্তিনিদের সুরক্ষা এবং তাদের স্বাধীনতাকে সমর্থন করার জন্য ইন্দোনেশিয়ার প্রতিশ্রুতি আমাদের সরকারকে আরও সক্রিয়ভাবে কাজ করতে বাধ্য করেছে। যোগ করেন তিনি।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিলিস্তিনিদের স্থায়ীভাবে গাজা থেকে সরিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়ার পর এর তীব্র সমালোচনা করে বিবৃতি দেয় জাকার্তা। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার যেকোনো প্রচেষ্টাকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে ইন্দোনেশিয়া।

এআর-০১/০৯/০৪ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

চালু হচ্ছে সরকারি ফার্মেসি, স্বল্পমূল্যে মিলবে ওষুধ

সারা দেশের প্রতিটি সরকারি হাসপাতাল চত্বরে সরকারি ফার্মেসি চালু করতে যাচ্ছে সরকার। এর মাধ্যমে ২৫০ ধরনের ওষুধ তিন ভাগের এক ভাগ দামে পাবেন সাধারণ মানুষ।

গুণগত ও মানসম্পন্ন ওষুধ সবার জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্বাস্থ্যখাতের বিশাল চাপ এবং ওষুধের উচ্চমূল্যের কারণে অনেক রোগী চিকিৎসা খরচ বহন করতে পারছেন না, যার ফলে তারা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছেন। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য সরকারের এই ফার্মেসি ব্যবস্থা একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে অধ্যাপক সায়েদুর রহমান বলেন, সরকারের এই উদ্যোগটি সাধারণ মানুষের জন্য বেশ উপকারী হবে। আমাদের লক্ষ্য হলো, ওষুধের খরচ কমিয়ে স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের কাছে আরও সহজলভ্য করা। সরকারি ফার্মেসি চালু হলে, এর মাধ্যমে ৮৫ শতাংশ রোগীর চিকিৎসা সম্ভব হবে, যা স্বাস্থ্য খাতের জন্য একটি বিপ্লবী পদক্ষেপ।

তবে সরকারি ফার্মেসি সুষ্ঠুভাবে কার্যকর করতে ওষুধ চুরি ঠেকানোর চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যা মোকাবিলা করতে ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা চালু করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, প্রতি বছর সরকারি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ইডিসিএল প্রায় ১৩০০ কোটি টাকার ওষুধ কিনে থাকে এবং এখন থেকে বাজেট বাড়িয়ে আরও বেশি পরিমাণে ওষুধ কেনা হবে। সরকারের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে যাতে প্রয়োজনীয় ওষুধ সময়মতো সরবরাহ করা যায়, তা নিশ্চিত করা হবে।

এআর-০২/০৮/০১ (জাতীয় ডেস্ক)

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ চলাকালে ভাঙচুর-লুটপাটের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫৬

গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলাকালে সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন শহরে দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত ৫৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বা‌হিনী। এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত চার‌টি মামলা দায়ের হ‌য়ে‌ছে।

মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশ ইনভেস্ট সামিট ২০২৫-এর এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস স‌চিব শ‌ফিকুল আলম এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গতকালের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া চারটি মামলা দায়ের হয়েছে। এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।

গতকাল দেশব্যাপী গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বিরোধী বিক্ষোভের সময় সিলেট, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খুলনা, গাজীপুর ও বগুড়াসহ দেশের আরও কয়েকটি শহরে বাটা শো-রুম ও কেএফসি রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

এআর-০১/০৮/০১ (জাতীয় ডেস্ক)

গাজা ইস্যুতে ঢাকায় মিজানুর রহমান আজহারির কর্মসূচি ঘোষণা

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও গণজমায়েত কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন জনপ্রিয় ইসলামিক স্কলার মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারি।

সোমবার (০৭ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক ভিডিও বার্তায় এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন তিনি।

ভিডিও বার্তায় আজহারি বলেছেন, ‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশের আয়োজনে ফিলিস্তিনের গাজায় সংগঠিত শতাব্দীর বর্বরোচিত গণহত্যার প্রতিবাদে ‘মার্চ ফর গাজা’ শিরোনামে এক বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ ও গণজমায়েতের আয়োজন করা হচ্ছে। ‘

তিনি বলেন, ‘আগামী ১২ এপ্রিল (শনিবার) শাহবাগ থেকে শুরু হয়ে মানিক মিয়া এভিনিউয়েতে গিয়ে এই মার্চটি শেষ হবে। ইনশাআল্লাহ আমি নিজে সশরীরে এই বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত থাকব। আপনারাও দলে দলে যোগদান করুন। ‘

আজহারি আরও বলেন, ‘মানবতার পক্ষে, ন্যায়ের পক্ষে, গাজাবাসীদের পক্ষে, দল, মত, জাতি, পেশা নির্বিশেষে এই বিক্ষোভে অংশগ্রহণের জন্য সবাইকে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। ‘

এর আগে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে সোমবার (৭ মার্চ) বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

এআর-০৭/০৭/০১ (জাতীয় ডেস্ক)

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ওআইসিকে পদক্ষেপ নিতে জামায়াতের আহ্বান

ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি না মেনে ইসরায়েলের হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে জামায়াতে ইসলামী।

সোমবার বিকেল চারটায় মহাখালীতে পথসভা করে দলটি। এরপর সেখান থেকে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি মুহাম্মদ রেজাউল করিমের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি মহাখালী থেকে নাবিস্কো হয়ে মগবাজারে এসে শেষ হয়।

পথসভায় রেজাউল করিম ইসরায়েলকে সন্ত্রাসী ও দখলদারি দেশ বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল শান্তিচুক্তি ভঙ্গ করে গাজায় গণহত্যা চালিয়েছে। হাজার হাজার শিশু, নারী-পুরুষকে হত্যা করেছে। একের পর এক যুদ্ধাপরাধ করেছে।

গাজায় গণহত্যা বন্ধে জাতিসংঘ, ওআইসি, আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ ও বিশ্বের শান্তিপ্রিয় মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে জোরালো পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান এই নেতা। পাশাপাশি তিনি ইসলামি রাষ্ট্রগুলোকে একত্র করে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থাকে (ওআইসি) এ যুদ্ধ বন্ধে অবিলম্বে বৈঠক ডাকার আহ্বানও জানান।

গাজায় গণহত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনে ইসরায়েলকে যারা ইন্ধন দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন রেজাউল করিম। তিনি বলেন, অবিলম্বে এসব বন্ধ না হলে গোটা বিশ্বের মুসলিম ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন গড়ে তুলবে। মুসলিমরা ইসরায়েল ও তাদের সহযোগী রাষ্ট্রগুলোর পণ্য বর্জন করবে। পথসভা শেষে মিছিল বের হয়।

এআর-০৬/০৭/০১ (জাতীয় ডেস্ক)

নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য ৯০০ কোটি টাকার তহবিল করবে বাংলাদেশ ব্যাংক: গভর্নর

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, নতুন উদ্যোক্তাদের সহায়তা দিতে ৮০০ থেকে ৯০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

তিনি বলেন, ‘বিশেষ এই তহবিলের অর্থ বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে বিতরণ করা হবে এবং শুধু স্টার্টআপ কোম্পানিগুলোকে মূলধন জোগান দেওয়া হবে। এই বিষয়ে শিগগির একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।’

সোমবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট-২০২৫’ এর স্টার্টআপ কানেক্ট সেশনের আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (আইসিটি) এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)-এর যৌথ আয়োজনে এই অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম এবং বৈশ্বিক বিনিয়োগ নেটওয়ার্কের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরছে। সেশনে দেশি-বিদেশি তরুণ ও উদ্ভাবনী উদ্যোক্তারা অংশ নেন।

মূল প্রবন্ধে বাংলাদেশের তরুণ জনগোষ্ঠীর সম্ভাবনা তুলে ধরেন স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের স্বাধীন পরিচালক তানভীর আলী। প্রবন্ধে বলা হয়, দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশে উদ্ভাবনী স্টার্টআপ উদ্যোগের চাহিদা বাড়ছে। তবে প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় দেশে এখনো এই খাতে বিনিয়োগ কম।

প্যানেল আলোচনায় আরো অংশগ্রহণ করেন প্রধান উপদেষ্টার আইসিটি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এবং আইসিটি সচিব ও স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান শীশ হায়দার চৌধুরী।

আলোচনা পর্বটি পরিচালনা করেন শেয়ার ট্রিপের সিইও সাদিয়া হক।

গভর্নর মানসুর তার বক্তৃতায় বাংলাদেশে স্টার্টআপ খাতের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে বিকাশের উদাহরণ দেন।

তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশে ভবিষ্যতে বিকাশের মতো অন্তত ১০টি ইউনিকর্ন দেখতে চাই।’

শীষ হায়দার বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার একটি ‘ফান্ড অফ ফান্ডস’ গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, যেখানে বিভিন্ন উৎস থেকে বিনিয়োগ একত্রিত করা হবে। এই তহবিলটি প্রারম্ভিক ও প্রবৃদ্ধি পর্যায়ের স্টার্টআপগুলোকে সহায়তা প্রদান করবে। যাতে তারা সম্প্রসারণ, আন্তর্জাতিকীকরণ এবং টেকসই হতে পারে।

তিনি বলেন, ‘স্টার্টআপ কানেক্ট ২০২৫’ বাংলাদেশকে একটি বৈশ্বিক উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তাবান্ধব হাবে রূপান্তরের প্রতিশ্রুতিকে প্রতিফলিত করে।

এসময় চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, ব্যবসা করার ক্ষেত্রে বিশেষ করে নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য ট্রেড লাইসেন্স পাওয়াসহ সরকারি লাল-ফিতার দৌরাত্ম্য বেশি। প্রতিবছর ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করতে গিয়ে ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়।

তিনি আরো বলেন, ৪০ দেশের ৫ শতাধিক বিদেশি বিনিয়োগকারী এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। এসব বিনিয়োগকারীকে চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জে অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘুরিয়ে দেখানো হবে।

বাংলাদেশে উদ্ভাবনী উদ্যোক্তার অভাব নেই বলে মন্তব্য করেন বিডার চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, স্টার্টআপ তহবিলের সংকটে নতুন উদ্যোক্তারা ব্যবসা শুরু করতে পারেন না। এ কারণেই বাংলাদেশ ব্যাংক ৮০০ থেকে ৯০০ কোটি টাকার স্টার্টআপ তহবিল গঠন করতে যাচ্ছে।

এআর-০৫/০৭/০১ (জাতীয় ডেস্ক)

ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করল আফ্রিকান ইউনিয়ন

পূর্ব আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়ার ইসরায়েলি রাষ্টদূতকে বহিষ্কার করেছে আফ্রিকার দেশগুলোর জোট আফ্রিকান ইউনিয়ন (এইউ)। এইউ নেতারা জানিয়েছেন, যদি ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতের উপস্থিতিতে জোটের কোনো বৈঠক বা কর্মসূচিতে অংশ নেবেন না তারা।

সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলভিত্তিক সংবাদমাধ্যম জেরুজালেম পোস্ট। ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওরেন মারমোরস্টেইন এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, “রুয়ান্ডার টুটসি সম্প্রদায়ের গণহত্যার শিকারদের স্মরণে রোববার আদ্দিস আবাবায় (ইথিওপিয়ার রাজধানী) আফ্রিকান ইউনিয়নের সদর দপ্তরে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। সেই কর্মসূচিতে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতকে নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল এবং তিনি উপস্থিতও হয়েছিলেন।”

“কিন্তু কর্মসূচিস্থলে তাকে দেখেই আফ্রিকান ইউনিয়ন কমিশনের চেয়ারম্যান ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে বিষোদ্গার করতে থাকেন এবং এক পর্যায়ে তাকে অনুষ্ঠান থেকে চলে যেতে বলেন।”

“এইউ কমিশনের চেয়ারম্যান যা করেছেন, তা পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য। রুয়ান্ডার জনগণ এবং ইহুদি ধর্মাবলম্বীরা— উভয়েই যে শতকের পর শতক ধরে ভয়াবহ জাতিগত সহিংসতার ইতিহাস বহন করছে— এই মৌলিক সত্য আফ্রিকান ইউনিয়নের নেতারা জানেন না।”

এ ইস্যুতে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেবে বলেও জানিয়েছেন ওরেন মারমোরস্টেইন।

এআর-০৪/০৭/০৩ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

এ বছর পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ না খাওয়ার আহ্বান মৎস্য উপদেষ্টার

এ বছর পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ না খাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ, এটা কোনো সংস্কৃতির অংশ নয়। যারা ঢাকায় থাকেন তারা এটা চালু করেছেন। এটা আরোপিত সংস্কৃতি।

সোমবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০২৫’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, আপনারা চৈত্র সংক্রান্তি পালন করবেন এবং পহেলা বৈশাখে বাতাসা খান, দই, চিড়া, মিষ্টি, ছাতুর শরবত খান, ভাত, শাক, সবজি খান, ইলিশ বাদে অন্য মাছ খান।

উপদেষ্টা বলেন, মানুষ পহেলা বৈশাখে ইলিশ খায় কেমন করে। এসময় তো ইলিশ পাওয়ার কথা না। পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ আমাদের সংস্কৃতির অংশ নয়। এটা আমি পরিষ্কার করতে চাই যেহেতু ঢাকায় এটা চালু হয়েছিল। পহেলা বৈশাখে যারা ইলিশ খাবেন তারা জাটকাই খাবেন। একইসঙ্গে তারা আইন লঙ্ঘন করবেন। কাজেই বাজারে পাওয়াটাও আইনের লঙ্ঘন হয়। এসময়টাতে জোরালোভাবে জাটকা সংরক্ষণের বিষয়টাতে সচেতন করার জন্যই আমরা বলেছি।

ফরিদা আখতার বলেন, আমি আপনাদের মাধ্যমে আহ্বান জানাতে চাই যে পহেলা বৈশাখে বা এপ্রিল মাসে পান্তা-ইলিশ, কোনোভাবেই এটা আমাদের সংস্কৃতি অংশ নয়। অন্য সময় খেলেও আমাদের কোনো বিষয় না। কিন্তু ১৪ এপ্রিল পান্তার সঙ্গে ইলিশ খাওয়া হয়, সেটা যেন না খাওয়া হয়, সেই অনুরোধটা করব। কারণ এসময় ইলিশ নয়, জাটকা খাওয়া হয়। সে হিসেবে জাটকা সংরক্ষণ করে ইলিশে রূপান্তর করার আহ্বান জানাচ্ছি। একইসঙ্গে এ বছর পান্তা-ইলিশ না খাওয়ারও আহ্বান জানাই। কারণ আগে আমাদের জাটকা সংরক্ষণ করতে হবে।

উপদেষ্টা বলেন, কোল্ডস্টোরেজ থেকে মজুত করা ইলিশ বাজারে আসার একটা সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা চাই না সেটা বাজারে আসুক। কারণ ইলিশ ও জাটকা একটা কনফ্লিট তৈরি করবে। পহেলা বৈশাখে পান্তার সঙ্গে ইলিশ না খেয়ে ভর্তা, পোড়া মরিচ খেতে পারেন। জেলেরা যদি তাদের জীবন-জীবিকা ঝুঁকিতে রেখে মাছ ধরা বন্ধ রাখতে পারে। তাহলে আমরা কেন একদিন ইলিশ খাওয়া বন্ধ করতে পারব না। সেজন্য আমি অনুরোধ করব, আমরা এই সময়টাতে ইলিশ বা জাটকা না খাই।

এআর-০৩/০৭/০১ (জাতীয় ডেস্ক)