সকাল ১১:০৫
শুক্রবার
৩ রা মে ২০২৪ ইংরেজি
২০ শে বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৪ শে শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

বেছে বেছে বৃদ্ধাদের খুন করত

মেক্সিকোতে অন্তত ১১ জন বৃদ্ধাকে খুন করার দায়ে নারী সিরিয়াল কিলারের ৭৫৯ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বলা হয় আরও বহু খুন করেছিলেন তিনি, যেগুলো আদালতে প্রমাণ করা সম্ভব হয়নি।

মেক্সিকো সিটিতে ২০০৫ সালে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি করে একের পর এক খুনের ঘটনা। রাজধানীতে খুন হতে থাকেন বয়স্ক নারীরা। নারীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। খুনের ঘটনাগুলো ঘটছিল সাত বছর ধরে। প্রত্যেক নারীকে তাদের বাসায় একই কায়দায় খুন করা হচ্ছিল।

মেক্সিকো সিটির উত্তরের এক গ্রামে জন্ম হয় হুয়ানার। লুৎজা লিব্রে নামে এক জনপ্রিয় ধারার কুস্তি তার পছন্দ ছিল -যেখানে কুস্তিগিররা লড়াই করেন মুখোশে মুখ ঢেকে। কুস্তিখেলার মঞ্চে তার পেশাদারি নাম ছিল ‘নীরব নারী’।

হুয়ানা বারায্যা নামে দুর্ধর্ষ এই সিরিয়াল খুনি ছিল মেক্সিকোর একজন পেশাদার নারী কুস্তিগির। হুয়ানা মেক্সিকোয় পরিচিত হয়ে উঠেছিল ‘ম্যাটাবিহিতাস অর্থাৎ ‘বৃদ্ধা নারী ঘাতক’ নামে।

মেক্সিকো সিটির এক আদালতে ২০০৮ সালের ৩১ মার্চ অন্তত ১১ জন বৃদ্ধাকে খুন করার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয় হুয়ানা বারায্যা। কৌঁসুলিরা তার বিরুদ্ধে ৪০টির বেশি খুনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছিলেন, কিন্তু সাক্ষ্যপ্রমাণের অভাবে ১১টির বেশি মামলায় তারা তাকে দোষী প্রমাণ করতে পারেননি।

জানা যায়, হুয়ানা জেলখানায় বসে যখন তার পরিবারের কথা বলেছে তখন তার মধ্যে কোনো আবেগ ছিল না। তার গলার স্বর ছিল একেবারে ঠাণ্ডা। হুয়ানা কিছুটা হাসতে হাসতে তার পরিবারের কথা বলছিল।

বলেছিল তার মদ্যপ মা কীভাবে তাকে নির্যাতন করতেন, কীভাবে মদের বিনিময়ে তাকে একজন পুরুষের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। ওই পুরুষ তাকে অন্তঃসত্ত্বা করেছিল।

এসএইচ-১৩/০৭/২১ (অনলাইন ডেস্ক)

কোচিং প্যানেলে সালাউদ্দিনকে চাইছেন সুজন

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর পরিবর্তনের বাতাস বইছে বাংলাদেশ ক্রিকেটে। ঝড়ো সেই বাতাসে গতকালকেই টিম ডিরেক্টরের বড় পদের দায়িত্ব পেয়েছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। দায়িত্ব নিয়েই রবিবার বলেছেন, দীর্ঘ দিন ধরে আলোচিত কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকে এবার জাতীয় দলে যুক্ত করার কথা।

বোর্ডের অভ্যন্তরীণ সূত্রের খবর, সালাউদ্দিনকে সহকারী কোচের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে বিষয়টি নিয়ে চর্চাও হয়েছে। রবিবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সুজনও স্বীকার করে বলেছেন, ‘আমরা ওকে বাংলাদেশের সেটআপের সঙ্গে চাই। তবে এটা সালাউদ্দিনের ব্যাপার যে ও আসবে কিনা।’

দলের ব্যর্থতায় এরই মধ্যে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান সভা করেছেন। সেখানে সাবেক ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ও বর্তমান অধিনায়ক তামিম ইকবালের সঙ্গেও কথা বলেছেন। সেই সভা প্রসঙ্গে বিসিবির এক পরিচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ‘সুজন ভাই এই মিটিংয়ে ছিলেন।

সেখানে ফারুক আহমেদকে প্রধান নির্বাচক ও সালাউদ্দিনকে সহকারী কোচ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। তাদের বাংলাদেশ সেটআপে আনতে আলোচনা হয়েছে। বোর্ডও প্রস্তুত। এখন বিষয়টি তাদের সিদ্ধান্ত।’

কথা হয়েছে আসন্ন পাকিস্তান সিরিজ নিয়েও। সেখানে টি-টোয়েন্টি দলে বাজে পারফর্মারদের না রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাদের বদলে যুব বিশ্বকাপ জয়ী তারকাদের নেওয়ার ব্যাপারে কথা হয়েছে। খুব সম্ভব দল থেকে সৌম্য সরকার ও লিটন দাস বাদ পড়তে যাচ্ছেন।

 এসএইচ-১১/০৭/২১ (স্পোর্টস ডেস্ক)

টাকার জন্য পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে শাহরুখপুত্রকে!

বিশ্বের অন্যতম ধনী অভিনেতা বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান। প্রচুর টাকা তার। সেই টাকার জন্যই নাকি ছেলে আরিয়ান খানকে সুপরিকল্পিতভাবে মাদক মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাদের কাছে এমনই দাবি করেছেন বিজয় পাগোড়ে নামে এক সাক্ষী। এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত সুনীল পাটিল নামে এক এনসিপি নেতার নামও ফাঁস করেছেন তিনি।

শনিবারই মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতা মোহিত কম্বোজ অভিযোগ করেছিলেন, আরিয়ানকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর পেছনে মূল ষড়যন্ত্রকারী হলেন ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) নেতা সুনীল পাটিল। এদিকে, সাক্ষী বিজয়কে জেরা করার সময় তিনিও সুনীলের নাম বলেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তাদের কাছে। কিন্তু পুলিশের কাছে কী জানিয়েছেন তিনি?

মহারাষ্ট্রের ধুলের বাসিন্দা বিজয়ের দাবি, ২০০৮ সালে কিছু কাজের জন্য সুনীলকে বেশ কিছু টাকা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই টাকা ফেরত পাচ্ছিলেন না। টাকা আদায়ের জন্য সুনীলকে অনুসরণ করা শুরু করেন। সুনীলের সঙ্গে তিনি আহমেদাবাদ, সুরত এবং মুম্বাই গিয়েছিলেন।

বিজয়ের আরও দাবি, গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে নভি মুম্বাইয়ের এক হোটেলে ছিলেন সুনীল। ওই হোটেলেই এই ঘটনার আর এক সাক্ষী কে পি গোসাভির নামেও একটি ঘর বুক করা হয়েছিল। প্রমোদতরীতে মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা (এনসিবি) অভিযান চালানোর কয়েক দিন আগে ওই হোটেলেই সুনীল, গোসাভির সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি ঘনিষ্ঠ মণীশ ভানুশালী।

বিজয়ের কথায়, ‘আমি তখন ওই হোটেলেই ছিলাম। তাদের তিনজনকে একসঙ্গে দেখতে পাই। এমনকি সুনীলকে চুম্বন করার পর মণীশকে বলতে শুনেছিলাম, বড় কাজ হয়ে গেছে। আহমেদাবাদের উদ্দেশে রওনা হতে হবে। তবে পাগাড়েকে সঙ্গে নিও না।’ কী ঘটতে চলেছে সেটা অনুমান করতে পারছিলেন না বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন বিজয়।

তিনি বলেন, ৩ অক্টোবর ফের নভি মুম্বাইয়ের সেই হোটেলে আসেন সুনীল। তার সঙ্গে দেখা করে বলেন টাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য। তার পরই তারা দুজনে এনসিবির কার্যালয়ে যান। রাস্তাতেই সুনীল ফোনে কারও সঙ্গে কথা বলছিলেন। তখন তিনি পূজা, স্যাম এবং ময়ূর নামে তিনজনের নাম উল্লেখ করেন।

তার কথায়, ‘এনসিবি কার্যালয়ে পৌঁছাতেই দেখি সেখানে সাংবাদমাধ্যমের ভিড়। তার পরই শুনতে পাই আরিয়ান খানকে আটক করেছে এনসিবি। একটি ভিডিও ক্লিপে দেখতে পাই যে, আরিয়ানকে ঘিরে নিয়ে আসছেন মণীশ এবং গোসাভি। তখনই বিষয়টি আমার কাছে পানির মতো পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল যে, এটা পুরোপুরি পরিকল্পিত ঘটনা।’

বিজয়ের দাবি, তিনি আরিয়ানের আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তার কথা শোনা হয়নি। বিজয় বলেন, ‘প্রমোদতরীতে অভিযান চালানোর আগে সুনীল আমাকে বলেছিলেন একটা বড় কাজ পেয়েছি। আপনার টাকা ফিরিয়ে দেব। ব্যাস, ওইটুকুই। পরে বুঝলাম কাজটা কী ছিল এবং কীভাবে টাকা এসেছিল।’

গত ২ অক্টোবর গোয়াগামী এক প্রমোদতরী থেকে শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান ও তার বন্ধুদের আটক করে এনসিবি। দীর্ঘ সময় জেরার পর পরের দিন তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গত দুই দফা শুনানির পর ৮ অক্টোবর তাদের সবাইকে পাঠানো হয় জেলে। গত ২৮ অক্টোবর আরিয়ান, তার বন্ধু আরবাজ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধমেচা মুম্বাই হোইকোর্ট থেকে জামিন পান। কারামুক্ত হন ৩০ অক্টোবর।

এসএইচ-১০/০৭/২১ (বিনোদন ডেস্ক)

দু দিধচ্ছে ছাগলের বাচ্চা

নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার বাজিতপুর গ্রামে মাত্র ৪৩ দিন বয়সের ছাগলের বাচ্চা থেকে মিলছে দুধ। ফলে তা দেখার জন্য ছাগলের মালিক ফরিদা বেওয়ার বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছে এলাকার কৌতুহলী মানুষ।

ফরিদা বেওয়া বাজিতপুর গ্রামের মৃত আবুল হাসেমের স্ত্রী। এ গ্রামের পশ্চিম পাড়া মোড় বাজারের দক্ষিণ পাশেই তার বাড়ি।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ফরিদা বেওয়া দীর্ঘদিন ধরে ছাগল লালন পালন করছেন। এর আগেও তার ছাগল দুইবার বাচ্চা দিয়েছে। কিন্তু এরকম ঘটনা আগে ঘটেনি। এবার একটি মাত্র ছাগী বাচ্চা হয়েছে।

আর এই বাচ্চাটি একা হওয়ায় অল্প দিনেই হৃষ্টপুষ্ট হয়ে উঠেছে। সেই প্রসবের কয়েক দিনের মধ্যেই বাচ্চাটির ওলান বড় হতে থাকে এবং অল্প-অল্প দুধ বের হতে থাকে। গত কয়েকদিন থেকে তা আরো বেড়েছে।

রাজশাহী জেলার চারঘাট এলাকার ডাকরা মাধ্যমিক কারিগরি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কবির হোসেন বলেন, আমার এক আত্নীয়র কাছে শোনার পর আমি দেখতে গিয়েছিলাম। তখন ছাগলের বাচ্চাটির বয়স ৩৬ দিন। দেখলাম ঘটনা সত্য। ফরিদা বেওয়া আমাদের দুধ দুয়ে দেখালেন। ওলানগুলোও অনেকটা বড়ো হয়েছে। যা না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন।

ছাগলের বাচ্চাটি দেখতে আসা একই গ্রামের মনোয়ারা বেগম বলেন, কয়েকদিন থেকে শুনে বিশ্বাস হয়নি। তাই দেখতে এসেছি।

ফরিদা বেওয়া বলেন, প্রতিদিন দেখতে অনেক লোকজন আসছে। বারবার দুধ দুয়ে দেখাতে গিয়ে আমার বাড়ির কাজ ঠিকমতো করতে পর্যন্ত পারছি না। একদিনে প্রায় ৫০০ গ্রামের মত দুধ বের হচ্ছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. হোসাইন মো. রাকিবুর রহমান বলেন, হরমোনাল কারণে এটা হয়ে থাকতে পারে। তবে এটা স্বাভাবিক ঘটনা নয়।

এসএইচ-০৯/০৭/২১ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)

যে সিস্টেম চালু না করলে বন্ধ হতে পারে জিমেইল

টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন সিস্টেম চালু না করলে আগামী ৯ নভেম্বর থেকে জিমেইল অ্যাকাউন্ট আর চলবে না। সম্প্রতি এ বিষয় ব্যবহারকারীদের সতর্ক করেছে টেক জায়ান্ট গুগল।

চলতি বছরের মে মাসে গুগল এ নিয়ে বিস্তারিত জানায়। তখন প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, হ্যাকারদের হাত থেকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত একটি স্তর যোগ করতে চাইছে জিমেইল। এটি হলো দ্বি পদক্ষেপ যাচাইকরণ বা টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন সিস্টেম।

এরফলে শুধু আইডি আর পাসওয়ার্ড দিলেই অ্যাকাউন্টে যে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। নির্দিষ্ট ব্যবহারকারীই লগ ইন করছেন কিনা তা যাচাই করতে দিতে হবে আরও কোনও প্রমাণ। তাছাড়া এই সাইবার সুরক্ষা নীতিতে কোনও ব্যবহারকারী লগ ইনের সময়ে কড়া যাচাই করা হয়।

তাই আগামী ৯ নভেম্বরের মধ্যে টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন সিস্টেম ব্যবহারকারীদের বাধ্যতামূলক ভাবে চালু করতে হবে। না হলে অ্যাকাউন্ট আর চলবে না।

উল্লেখ্য, সাধারণত এ সিস্টেমে ব্যবহারকারীর রেজিস্টার্ড ফোন নম্বরে ওটিপি পাঠানো হয় লগ ইনের সময়ে। সেই ওটিপি দিলে তবেই লগ ইন সম্পূর্ণ হবে।

ফলে, হ্যাকাররা ব্যবহারকারীর ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড পেলেও কোনও অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারবে না।

এসএইচ-০৮/০৭/২১ (প্রযুক্তি ডেস্ক)

একদিনে দুই ডোজ টিকা দেওয়ার অভিযোগ

রাজশাহীর দূর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নূরজাহান বেগম (৫০) নামের এক নারীকে একদিনেই করোনার দুই ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গত মঙ্গলবার এ টিকা দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।

নুরজাহান বেগম বলেন, এক মাস আগে আমি প্রথম ডোজ টিকা নিই। এরপর গত মঙ্গলবার দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসি। এ সময় টিকার কাগজ না দেখেই আমাকে এক ডোজ টিকা দেওয়া হয়। পরে কাগজ দেখে দায়িত্বরত কর্মীরা বলেন, ‌‘আপনার তো প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে, এবার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া লাগবে। তখন আমাকে আরো এক ডোজ টিকা দেওয়া হয়’। আমি যখন তাকে জিজ্ঞেস করি, ‘আমাকে দুইটা টিকা দিলেন কেনো?’ তিনি তখন আমাকে তাড়াতাড়ি হাসপাতাল থেকে বের করে দেন।

তিনি বলেন, বাড়ি ফেরার পর আমার হাত ফুলে যায় ও শরীরে তীব্র ব্যথা শুরু হয়। একই সঙ্গে মাথা ঘুরতে থাকে এবং চোখে ঝাপসা দেখতে শুরু করি। এরপর আমার ছেলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক চিকিৎসকের পরামর্শে আমাকে ওষুধ খাওয়ায়। এখন হাতের ফোলা কমে গেছে। কিন্তু এখনো শরীর অনেক দুর্বল আর চোখে ঝাপসা দেখছি।

এ বিষয়ে সাংবাদিকরা দূর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মাহবুবা খাতুনের ফোন নম্বরে একাধিবার কল করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তিনি বর্তমানে ছুটিতে আছেন।

ওই সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিকা প্রদানকারী কর্মকর্তা নাসরীন আক্তার টিকাদানের সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন। তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, একসঙ্গে দুই টিকা দেওয়ার মতো ভুল কোনোভাবেই হতে পারে না। আমরা কার্ড দেখেই টিকা প্রদান করি। কোনো কর্মীই এমন ভুল করতে পারেন না।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক কর্মকর্তা জানান, ভুক্তভোগী নারীর পরিবার থেকে আমাকে ফোন করা হয়েছিলো। টিকা গ্রহণের ফলে তার শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। আমি তাকে কিছু ওষুধ সেবনের পরামর্শ দিই। বর্তমানে তার শরীরের ফোলা কমেছে। কিন্তু দুর্বলতা ও চোখে ঝাপসা দেখার সমস্যা এখনো রয়েছে বলে জেনেছি।

রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. মো. কাইয়ুম তালুকদার বলেন, এ বিষয়ে আমি শুনেছি। শোনার পর থেকেই ওই নারীর খোঁজ-খবর রাখা হচ্ছে। গুরুত্বসহকারে তার চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসকদের বলা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন বলে জেনেছি।

এসএইচ-০৮/০৭/২১ (নিজস্ব প্রতিবেদক)

১ কেজি তরমুজের দাম ২০ লাখ টাকা!

বাজারের দোকানগুলোতে নানারকম ফল এবং সবজির সমাহার। কোনোটির দাম কম। আবার কোনোটির দাম বেশি। আমরা নিজেদের সাধ্যমতো সেই সব ফল ক্রয় করে থাকি? তবে আপনি কি জানেন বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফল কোনটি? কোথায় পাওয়া যায় সেটি? বা তার দাম কত?

বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফল মনে করা হয় ইউবারি মেলনকে (তরমুজ)। এটি জাপানে পাওয়া যায়। এক কেজি ইউবারি মেলনের যে দাম, সে দামে আপনি এক টুকরো জমি কিনতে পারবেন বা ভবিষ্যতের জন্যও সঞ্চয় করতে পারেন।

তাহলে কি ভাবছেন এ ফলের দাম কত?

জাপানের ইউবারি মেলনের দাম ২০ লাখ টাকা প্রতি কেজি। অতি ধনী ব্যক্তিরা ছাড়া এ ফল কেনার সাধ্য কারও নেই। এছাড়া জাপানে খুব কম পরিমাণেও এ ফলের ফলন হয়। তাই এটিকে বিশ্বের সব চেয়ে দামী ফল হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

জানা গেছে, ২০ লাখ টাকা প্রতি কেজি দাম হলেও ইউবারি মেলনের চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক হারে। তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, জাপানে এটাই একমাত্র ফল নয়, যার দাম কেজি প্রতি লাখ টাকার উপরে। দেশটিতে এ রকম বেশ কিছু ফল এবং সবজি পাওয়া যায়, যার দাম লাখ টাকার উপরে হয়।

অনেক ফল এবং সবজিই ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকায় কেজি প্রতিতে বিক্রি হয়। বিশ্বের দরবারে এ সব ফল এবং সবজির চাহিদাও চোখে পড়ার মতো।

এসএইচ-০৭/০৭/২১ (অনলাইন ডেস্ক)

‘হাবিবি’ দিয়ে নুসরাতের হ্যাটট্রিক

অভিনেত্রী পরিচয়ের পর গায়িকা হিসেবে আলাদা পরিচিতি তৈরি করেছেন নুসরাত ফারিয়া। আজ রবিবার শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মের (এসভিএফ) ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হয়েছে তার নতুন গান।

‌‌‘হাবিবি’ শিরোনামের গানটির ভিডিওতে তার সঙ্গে নেচেছেন একদল নৃত্যশিল্পী। এসভিএফ প্রকাশিত এটি নুসরাতের তৃতীয় গান।

‘হাবিবি’র কথা লিখেছেন নূর নবী ও সুর করেছেন আদিব কবির। গানটির ভিডিও ও নৃত্য পরিচালনা করেছেন ভারতের বাবা যাদব।

নুসরাত ফারিয়া জানিয়েছেন, ‘গানটি পপ অ্যারোবিক ফিউশন। ভিডিওটিও সেভাবে সাজানোর চেষ্টা করা হয়েছে। ভিডিওর শুটিং হয়েছে মুম্বাই থেকে প্রায় একশ’ কিলোমিটার দূরে একটি রাজপ্রাসাদে।’

এর আগে এসভিএফের চ্যানেলে ‘পটাকা’ এবং ‘আমি চাই থাকতে’ শিরোনামে গান প্রকাশ করেছিলেন নুসরাত ফারিয়া। সিনেমায়ও প্লেব্যাক করেছেন তিনি।

এসএইচ-০৬/০৭/২১ (বিনোদন ডেস্ক)

অবসর নেননি, মজা করেছেন গেইল

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শনিবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ব্যাট করে যেভাবে তিনি মাঠ ছেড়েছিলেন, তাতে অনেকেই ধরে নিয়েছিল দেশের জার্সিতে হয়তো শেষ ম্যাচটিই খেলে ফেললেন ‘ইউনিভার্স বস’ ক্রিস গেইল।

অজিদের বিপক্ষে বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে ক্রিস গেইল ৯ বলে করেন ১৫ রান করে আউট হওয়ার পর ড্রেসিংরুমে ফেরার সময় ব্যাট উঁচিয়ে ধরেন। দর্শকদের উদ্দেশেও হাত নাড়ান গেইল।

সে সময় অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন অবসরেই যাচ্ছেন ৪২ বছর বয়সী এই তারকা। ধারাভাষ্যকাররাও বলছিলেন, দেশের হয়ে শেষ ম্যাচটিই হয়তো খেলে ফেললেন গেইল। তার বয়সটাও যে এখন ৪২ পেরিয়ে ৪৩ চলছে। এ ছাড়া এই ম্যাচ দিয়েই উইন্ডিজদের হয়ে শেষবারের মতো জাতীয় দলের জার্সিতে খেলেন ডোয়াইন ব্রাভো।

তবে ক্যারিবিয়ান এই ব্যাটিং দানব জানালেন, এখনই অবসর নিতে চান না। দেশের হয়ে আরও একটি ম্যাচ খেলতে চান তিনি। আইসিসির এক ফেসবুক লাইভে গেইল বলেন, ‘আমি অবসরের ঘোষণা দেইনি, জ্যামেইকায় ঘরের মাঠের দর্শকদের সামনে একটা ম্যাচ খেলতে চাই। তাদের বলতে চাই, তোমাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ।’

অবসরের ঘোষণা না দিলে সবশেষ ম্যাচে কেন এমনভাবে ব্যাট উঁচিয়ে ধরেছিলেন গেইল? তার জবাব, দর্শকদের সঙ্গে মজা করেই এমন করেছি। সবসময় তাদের আনন্দ দিতেই খেলি। দর্শকদের মজা দিতে না পারলে কষ্ট পান বলেও জানান তিনি।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সিতে তিনি ১০৩টি টেস্ট, ৩০১টি ওয়ানডে ও ৭৯টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। টেস্টে ৭ হাজার ২১৫, ওয়ানডেতে ১০ হাজার ৪৮০ ও টি-টোয়েন্টিতে এক হাজার ৮৯৯ রান করেছেন।

তিন ফরম্যাট মিলিয়ে তিনি সেঞ্চুরি করেছেন ৪২টি। এর মধ্যে ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণে ১৫টি, ওয়ানডেতে ২৫টি ও টি-টোয়েন্টিতে ২টি শত রানের ইনিংস রয়েছে তার।

এদিকে, ক্রিস গেইল অবসর না নিলেও ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিয়েছেন তারই সতীর্থ ডোয়াইন ব্রাভো। অবসরের ঘোষণা দিয়ে ব্রাভো বলেন, ‘আমার মনে হয় সময়টা এসে গেছে। ক্যারিয়ারজুড়ে অনেক উত্থানপতন ছিল, তবে তারপরও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৮ বছর প্রতিনিধিত্ব করেছি। এই অঞ্চল ও ক্যারিবীয় মানুষের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমি কৃতজ্ঞ।’

উইন্ডিজদের হয়ে ৯১ টি-টোয়েন্টি খেলে ব্রাভো ব্যাট হাতে করেছেন ১২৪৫ রান। এ ছাড়া বল হাতে শিকার করেছেন ৭৮টি উইকেট।

এসএইচ-০৫/০৭/২১ (স্পোর্টস ডেস্ক)

পথশিশুদের নামে টাকা তুলে আত্মসাৎ, ধর্ষণ করা হতো কর্মীদের

পথশিশুদের সাহায্যের নামে টাকা তুলে করা হতো আত্মসাৎ। রাজধানীর ৬০ থেকে ৭০টি স্পট থেকে প্রতিদিন দেড় থেকে দুই লাখ টাকা উঠানো হতো। তবে এ টাকার ৭৫ ভাগ চলে যেতো প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আর মহাসচিবের পকেটে। বাকিটা স্বেচ্ছাসেবকদের।

অবশেষে গোয়েন্দা জালে ধরা পড়েছে প্রতিষ্ঠানটির দুই শীর্ষ কর্মকর্তা। শিশু কল্যাণের কথা বলে সাত বছর ধরে এমন প্রতারণা করে আসছিল প্রথম অক্ষর ফাউন্ডেশন।

অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের খাবারের জন্য অর্থ সহায়তা চাইছেন তরুণ রফিকুল আজাদ। প্রথম অক্ষর ফাউন্ডেশন নামের একটি সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবক তিনি। একটি দলে থাকে চার থেকে পাঁচজন। শপিং মল, ট্রাফিক সিগনাল কিংবা বিভিন্ন সড়কে পথচারীদের কাছ থেকে টাকা তুলতে দেখা যায় তাদের।

২০১৪ সালে যাত্রা শুরু সংগঠনটির। উদ্দেশ্য ছিল পথশিশুদের তিনবেলা খাবার জোগানো। পরিকল্পনা অনুযায়ী শুধু রাজধানীতেই প্রায় ৬০০ স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দেয় তারা। গুরুত্বপূর্ণ ৬০ থেকে ৭০টি স্পটে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের কাছ থেকে তোলেন টাকা।

প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবকদের দাবি, প্রতিদিন তাদের সংগৃহীত টাকার পরিমাণ প্রায় ২ লাখ। তবে এ টাকার এক পয়সাও খরচ হয় না পথশিশুদের পেছনে। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের পকেটে চলে যায় দুই তৃতীয়াংশ। বাকি টাকা ভাগ করে দেওয়া হয় স্বেচ্ছাসেবকদের।

এক তরুণ জানান, একেকটা বক্সে তিন থেকে চার হাজার টাকা কালেকশন হয়। সেখান থেকে আমরা অর্ধেক টাকা নিতাম। আবার সেখান থেকে অক্ষর ফাউন্ডেশনের মহাসচিব টাকা রেখে দিতেন।

তাদের দাবি, প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে যারা সরে যেতে চেয়েছেন তাদের ওপরই নেমে এসেছিল নির্যাতনের খড়গ। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ইমন চৌধুরী নারী স্বেচ্ছাসেবকদের মাসের পর মাস জোর করে অনৈতিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করতেন।

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম অক্ষর অফিসে অভিযান চালিয়ে চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। কেউ তাদের চ্যালেঞ্জ করলে করা হতো মারধর। এ রকম কিছু ভিডিও এসেছে পুলিশের কাছে।

ঢাকা উত্তর গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার কায়সার রিজভী কোরায়শী বলেন, নারী স্বেচ্ছাসেবক অনেকে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির মামলা হবে।

সাত বছরে কোটি কোটি টাকা পথশিশুদের নামে আত্মসাত করেছে কথিত প্রতিষ্ঠানটি। তাদের সম্পদের খোঁজে নেমেছে গোয়েন্দারা।

এসএইচ-০৪/০৭/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)