রাত ১২:৫৮
সোমবার
২০ শে মে ২০২৪ ইংরেজি
৫ ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১২ ই জ্বিলকদ ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

বাংলাদেশকে আরও ২৫ লাখ টিকা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনে আরও ৮০ লাখের বেশি টিকা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভ্যাক্স কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনকে এসব টিকা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে বাংলাদেশ পাচ্ছে ২৫ লাখের বেশি।

গতকাল শুক্রবার এ ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। টিকাগুলোর সবই হবে ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহের মধ্যে পাঁচটি চালানে মোট ৫৫ লাখ ৭৫ হাজার ৫০ ডোজ টিকা পাবে ফিলিপাইন।

বাংলাদেশ পাচ্ছে ২৫ লাখ ৮ হাজার ৪৮০ ডোজ। আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকেই দেশে পৌঁছাবে টিকাগুলো।

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কয়েক লাখ করোনা টিকা পেয়েছে। এর মধ্যে গত সপ্তাহেই এসেছে ২৫ লাখ ফাইজার টিকা।

এরপরও এ পর্যন্ত দেশের মাত্র ১০ শতাংশের মতো মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থাটি।

এসএইচ-০৮/০২/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

ডাকাতের কবলে প্যারিসে মেসির হোটেল

বার্সা থেকে পিএসজিতে আসার পর প্যারিসে থাকার মত একটি বাড়ি খুঁজছিলেন লিওনেল মেসি। তবে, প্যারিসে এসেই মনের মত একটি বাড়ি পাওয়া ছিল খুবই কঠিন। যে কারণে, আপাতত একটি হোটেলেই অস্থায়ী নিবাস গড়েছিলেন মেসি পরিবার। যেখানে প্রতিদিন ২০ লাখ টাকা ভাড়া দিতে হতো মেসিকে।

যদিও কিছুদিন আগে খবর প্রকাশ হয়েছিল, প্যারিসের একটি এক্সক্লুসিভ এলাকায় বাড়ি ঠিক করা হয়েছে মেসির জন্য। সেই বাড়িতে ওঠার ঠিক আগ মুহূর্তে মেসি যে হোটেলে রয়েছেন, সেই হোটেল ডাকাতি হয়েছে বুধবার ভোর রাতে। আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় এখন এই ডাকাতির ঘটনায় তোলপাড়।

প্যারিসে যে হোটেলে রয়েছেন মেসি, তার নাম লে রয়্যাল মঁসো। বুধবার ভোর রাতে ডাকাতরা হানা দেয় সেই হোটেলে। যদিও মেসির যে তলায় থাকেন সেখানে নয়, তার ঠিক ওপরের ফ্লোরে ডাকাতরা হামলে পড়ে। সেখানে থাকা বেশ কয়েকটি রুমের বাসিন্দাদের অর্থ এবং অলঙ্কারসহ নানা মূল্যবান জিনিসপত্র ডাকাতি করে নিয়ে যায় তারা।

মেসি এবং তার পরিবারের সদস্যদের কোসো সমস্যা হয়েছে কি না তা অবশ্য মিডিয়ায় জানানো হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, তারা ভালোই রয়েছেন। তারা কোনো ক্ষতির সম্মুখিন হলে, এরই মধ্যে মিডিয়ায় তোলপাড় হয়ে যেতো।

ব্রিটেনের দ্য সান জানাচ্ছে, ডাকাতরা ওই হোটেলের অরক্ষিত ছাদ দিয়ে প্রবেশ করে। এরপর ব্যালকনি দিয়ে একটি খোলা জানালা পেয়ে ঢুকে পড়ে। সেখান থেকে বেশ কয়েকটি রুমে তারা ভাঙচুর চালায় এবং ডাকাতি করে।

মরক্কান এক অধিবাসী দাবি করছেন, ডাকাতরা তার হাতের মূল্যবান ঘড়ি ছিনিয়ে নিয়েছে। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, ডাকাতরা ছিল তিনজন। আরেক নারী জানিয়েছেন, প্রায় ৫ হাজার ইউরো মূল্যের জিনিসপত্র ডাকাতরা নিয়ে গেছেন।

তিনি আরও জানান, পুলিশ বলছে ছাদে দু‘জনকে তারা দেখেছেন একটি ব্যাগসহ। তবে আমার পাশের রুমের একজন বলছেন, ডাকাত ছিল তিনজন। তবে পুলিশ এখনও ডাকাতদের পরিচয় নিশ্চিত হতে পারেননি। এই ঘটনার পর অবশ্য সেই হোটেলের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।

এসএইচ-০৭/০২/২১ (স্পোর্টস ডেস্ক)

রাইস কুকারকে বিয়ে!

রাইস কুকারকে আবার বিয়ে করা যায় নাকি? ব্যাপারটা আসলেই অদ্ভুত। তবে এরকম একটি কাণ্ড ঘটিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার এক ব্যক্তি। রাইস কুকারকে বিয়ে করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বেশ আলোড়ন তুলেছেন কোহিরুল আনাম।

এরই মধ্যে ১০ হাজারের মতো লাইক আর ১২শর মতো কমেন্ট পড়েছে তার শেয়ার করা ছবিতে। খবর এনডিটিভির।

কোহিরুল আনামের গত সপ্তাহে ফেসবুকে শেয়ার করা ছবিতে দেখা যায়, ঠিক বিয়ের মতো করেই সাজপোশাকে বসে আছেন। রাইস কুকারটিকেও কনের মতো করে সাজিয়েছেন। পাশে রেখেছেন সেটি।

আবার কাজীর স্বাক্ষর করা ছবিও শেয়ার করেন তিনি। ছবির ক্যাপশনে লেখেন, তিনি রাইস কুকারকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এজন্য যে, এটি ন্যায্য, বাধ্য, প্রেমময় ও ভালো রান্না করতে পারে!

কিন্তু বিয়ে করতে না করতেই চারদিন পর ডিভোর্স! এসময়ও তিনি লেখেন, এটি শুধু ভাত রান্না করতে পারে। ডিভোর্সের ঘোষণাও তিনি ফেসবুকেই দেন।

অবশ্য তার এ কাণ্ড, বিনোদনের খোরাক জুগিয়েছে নেটিজেনদের মধ্যে। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, আনাম ইন্দোনেশিয়ার একজন সুপরিচিত কমেডিয়ান।

তার ফলোয়ার রয়েছে অনেক। ধারণা করা হচ্ছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার জন্যই এমনটি করেছেন।

এসএইচ-০৬/০২/২১ (অনলাইন ডেস্ক)

বিকেলে জার্মানি থেকে আসছে ৮ লাখ টিকা

জার্মানি থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার আরও সাত লাখ ৯০ হাজার ডোজ টিকা আসছে আজ।

শনিবার বিকেল ৫টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ টিকার চালান এসে পৌঁছাবে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাঈদুল ইসলাম প্রধান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, টিকা গ্রহণ করতে বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকবেন।

পরে মিডিয়া ব্রিফ করা হবে।

এসএইচ-০৫/০২/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

যেন হুবহু ক্যাটরিনা

অনেকে দেখে একেবারে দেখে থ! ক্য়াটরিনা কাইফের সঙ্গে এত মুখের মিল কীভাবে? কোথা থেকে এলেন এই মেয়ে? ক্যাটরিনার দূর সম্পর্কের বোন নাকি!

আপাতত, এই প্রশ্নের উত্তরই খুঁজে চলেছে ক্যাটরিনার ভক্তরা। অন্যদিকে, অবিকল ক্য়াটরিনার মতো দেখতে এই মুম্বাই কন্য়ার ইনস্টাগ্রামে সেকেন্ডে সেকেন্ডে বেড়ে চলেছে ফলোয়ার।

নাম আলিনা রাই। থাকেন মুম্বাইয়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় দারুণ অ্যাক্টিভ আলিনা রাই। নিয়মিত ছবি-ভিডিও পোস্টও করেন। নিজেকে মডেল এবং সোশ্যাল মিডিয়া তারকা নামেই পরিচয় দেন। আর এবার তিনি ক্য়াটরিনার কপি পেস্ট পরিচিতি পেয়ে গেলেন।

আলিনা কিন্তু বেশ পরিচিত মুখ। ইনস্টাগ্রাম বলছে, আলিনার ফলোয়ারের সংখ্যা ২ লক্ষ ছাড়িয়েছে। আর ভাইরাল হওয়ার পর তো আলিনার ফলোয়ার বাড়ছে হু হু করে।

২০২০ সালে বাদশার একটি গানে দেখা গিয়েছিল আলিনাকে। শুধু তাই নয়, কয়েকটি বিজ্ঞাপনেও অভিনয় করেছেন তিনি। তবে সেভাবে নজর কাড়তে পারেননি আলিনা।

মডেলিং জগতে অবশ্য নামডাক রয়েছে তাঁর। সিনেমায় আসবেন? আলিনা কিন্তু এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে একেবারে নারাজ।

অন্যদিকে আলিনার এই ছবি দেখে অনেকে আবার বলছেন, নিশ্চয়ই আলিনা সার্জারি করিয়েছেন। কেউ কেউ আবার বলছেন, ক্যাটরিনার থেকেও বেশি সুন্দরী আলিনা।

এসএইচ-০৪/০২/২১ (বিনোদন ডেস্ক)

সৌদিতে প্রবাসীদের জন্য নতুন নির্দেশনা ১০ অক্টোবর থেকে কার্যকর

শুধু করোনা ভ্যাকসিনের সম্পূর্ণ ডোজ গ্রহণকারীরা এখন থেকে সরকারি-বেসরকারি যেকোনো প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করতে পারবেন-এমন বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সৌদি আরব।

তবে (ফাইজার, অ্যাস্ট্র্যাজেনেকা, মডার্নার) শুধু এক ডোজ টিকা গ্রহণকারী কিংবা করোনামুক্ত হয়েছেন কিন্তু টিকা নেননি এমন ব্যক্তিরা এসব প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করতে পারবেন না।

শনিবার দেশটির স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এই নিয়ম আগামী ১০ অক্টোবর সকাল ৬টা থেকে কার্যকর হবে।

সৌদি স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য হবে যেকোনো প্রকার আর্থিক, ব্যবসায়িক, সাংস্কৃতিক, বিনোদনমূলক, স্পোর্টস প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের ক্ষেত্রে, বিমানে আরোহণ ও গণপরিবহন ব্যবহারের ক্ষেত্রে। যেকোনো প্রকার সাংস্কৃতিক, বিনোদনমূলক, সামাজিক, শিক্ষামূলক অনুষ্ঠানে প্রবেশের ক্ষেত্রেও।

এদিকে, নতুন এই নির্দেশনা জানা না থাকায় অনেক প্রবাসীকে ফেরত যেতে হচ্ছে বিমানবন্দর থেকেই। সম্প্রতি সৌদি সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ তাদের কোয়ারেন্টিন নীতিমালায় পরিবর্তন এনেছে।

সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, এখন থেকে সৌদি আরবে প্রবেশের ক্ষেত্রে এক ডোজ টিকা নেওয়া থাকলেও পাঁচদিন নিজ খরচে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এর আগে এক ডোজ টিকা নিয়ে সৌদি আরবে প্রবেশ করা গেলেও নতুন এই শর্তে সেই সুযোগ আর থাকছে না।

সৌদি সিভিল অ্যাভিয়েশনের নতুন শর্তে বলা হয়েছে, সৌদি আরব থেকে এক ডোজ টিকা নিয়ে যেসব নন-সৌদি নাগরিক, ছুটিতে গিয়েছিলেন তাদের ফেরার সময় কোয়ারেন্টিন প্যাকেজ গ্রহণ করতে হবে।

তবে সৌদিতে এক ডোজ নিয়ে কেউ যদি বাংলাদেশ থেকে অপর ডোজ গ্রহণ করেন, সে ক্ষেত্রে কি হবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।

নতুন এই সিদ্ধান্তের কারণে যারা এক ডোজ টিকা নিয়ে দেশে গিয়েছেন তারা দুর্ভোগে পড়েছেন। ভিসার মেয়াদ না থাকায় অনেকে তাই কোয়ারেন্টিন প্যাকেজের জন্য গুণছেন বাড়তি ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা।

এসএইচ-০৩/০২/২১ (প্রবাস ডেস্ক)

মালয়েশিয়ার ডিটেনশান ক্যাম্পে তিন বাংলাদেশিসহ শতাধিক বিদেশির মৃত্যু

মালয়েশিয়ায় ডিটেনশন ক্যাম্পে ১০৫ জন বিদেশি মৃত্যুবরণ করেছেন, যার মধ্যে তিনজন বাংলাদেশিও রয়েছেন।

দেশটির অভিবাসন বিভাগ জানিয়েছে, ২০২০ সাল থেকে চলতি বছরের ২৩ আগস্ট পর্যন্ত অভিবাসন আটক কেন্দ্র, পুলিশ লকআপ এবং কারাগারে বন্দি অবস্থায় এসব বিদেশির মৃত্যু হয়েছে।

সম্প্রতি দেশটির সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি হামজা জয়নুদ্দিন এসব তথ্য জানিয়েছেন।

ক্যাম্পে সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন ইন্দোনেশিয়ান নাগরিকরা। তারপরে ভারত, মিয়ানমার, বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, নাইজেরিয়া এবং ভিয়েতনামের নাগরিক রয়েছে।

জানা গেছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত ইমিগ্রেশন ডিটেনশন সেন্টারে ৬৫ জন বন্দি মারা যান। এর মধ্যে ২০ জন ফিলিপাইনের নাগরিক, দুজন ভারতের এবং দুজন ভিয়েতনামের নাগরিক। বতসোয়ানা, ইন্দোনেশিয়া, ইরান এবং মিয়ানমারের একজন করে নাগরিক মারা গেছেন।

বন্দি শিবিরে ১০৫ জন বিদেশির মৃত্যুর ব্যাপারে গতকাল শুক্রবার অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক খায়রুল জাজাইমি দাউদ এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

এদিকে, মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন কারণে অবৈধ হয়ে আটক এবং অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের দায়ে সাজা ভোগ করছেন প্রায় এক হাজার ৬৭৮ জন বাংলাদেশি। বিভিন্ন ডিটেনশন ক্যাম্পে অনেকেই সাজা শেষে দেশে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন। তবে বন্দির সংখ্যা দুই হাজারের বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এসএইচ-০২/০২/২১ (প্রবাস ডেস্ক)

সাইবার দুনিয়ার অপরাধের শিকার বাংলাদেশ!

দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি থেকে বিশ্বের সবচেয়ে সুরক্ষিত জায়গা থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি- সাইবার দুনিয়ার কত কত অপরাধের শিকার এখন বাংলাদেশ৷

গত এক দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ সরকারের অগ্রাধিকারে রয়েছে ডিজিটাইজেশন৷ এর ফলে একদিকে নাগরিকরা যেমন ঘরে বসে নানা সেবা নিতে পারছেন, তেমনি ডিজিটাল হওয়া নানা খাত চলে এসেছে ডিজিটাল অপরাধীদের হাতের নাগালে৷ কীভাবে এসব অপরাধ হয়? কীভাবে সেই অপরাধ থেকে বাঁচা যায়?

সাইবার দুনিয়ার নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা সরকারের একটি প্রকল্পের প্রধান বলছেন, প্রতিরক্ষা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মতো সাইবার নিরাপত্তার সামর্থও যে কোনো দেশের ভেতরে থাকতে হয়৷ তাই ২০২৫ সালের মধ্যে এই খাতে মধ্যম মানের দেশের মতো সামর্থ অর্জন করতে সরকার এখন কাজ করছে৷

বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ডিজিটাল জালিয়াতির শিকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক তথা বাংলাদেশ ব্যাংক৷ ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্কে (ফেড) রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে হ্যাকাররা ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার সরিয়ে নেয়৷

আরো দুই কোটি বা ২০ মিলিয়ন ডলার সরানোর কাজও প্রায় শেষ করে ফেলেছিল তারা৷ তবে যে প্রতিষ্ঠানের নামে টাকা সরানোর চেষ্টা করা হয়, সেই প্রতিষ্ঠানের নামের বানানে ভুল করায় ওই ট্রান্সফারটি আটকে যায়৷

এই ঘটনার আদ্যোপান্ত নিয়ে সম্প্রতি একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করে বিবিসি৷ এতে দাবি করা হয়, হ্যাকাররা সর্বমোট ৯৫ কোটি ১০ লাখ ডলার সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে৷ এর মধ্যে ৯১ কোটি ১০ লাখ ডলার সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে ফিলিপাইন্সের আরসিবিসি ব্যাংকে৷

এই বিশাল অংকের টাকা আটকে যায় কাকতালীয় একটি ঘটনায়৷ ওই ব্যাংকটি ম্যানিলার জুপিটার স্ট্রিটে অবস্থিত৷ এদিকে জুপিটার নামে একটি ইরানি জাহাজ ছিল মার্কিন নিষেধাজ্ঞায়৷ ফলে ফেডারেল ব্যাংকের অটোমেটিক সিস্টেমে সতর্কবার্তা বেজে উঠে৷ এই সতর্কবার্তা চেক করতে গিয়ে অনেক লেনদেন আটকে যায়৷

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, হ্যাকাররা রাসেল আহলানের মেইল থেকে চাকরি চেয়ে সিভিসহ একটি মেইল পাঠায় ব্যাংকের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার কাছে৷ একজন ওই ইমেইল ডাউনলোড করার পর ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কম্পিউটার সিস্টেমে৷ শুরু হয় হ্যাকিং৷

এই জালিয়াতিতে হাতছাড়া হওয়া ৮ কোটি ১০ লাখ ডলারের মধ্যে ১ কোটি ৬০ লাখ ডলার ফেরত আনা গেছে৷ বাকি টাকার হদিস করতে পারেনি বাংলাদেশ ব্যাংক৷ এই ঘটনা কেবল বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ডিজিটাল জালিয়াতি নয়৷ এটি বিশ্বেরও অন্যতম ভয়ঙ্কর ডিজিটাল জালিয়াতি৷

২০২০ সালের আগস্টে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই-ট্রেজারি বিভাগসহ বেশ কয়েকটি সংস্থা সতর্কবার্তায় জানায়, উত্তর কোরীয় হ্যাকাররা বিশ্বজুড়ে ব্যাংকগুলোতে হ্যাকিং করার চেষ্টা করছে৷

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির চার বছর পর উত্তর কোরীয় হ্যাকারদের হামলার কবলে পড়ে দেশের ব্যাংকিং সিস্টেম৷

ওই সময় সরকারের কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম-সার্টকে উদ্বৃত করে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হামলাকারী হ্যাকার দলের নাম ‘বিগল বয়েজ’৷

এই হামলা ঠেকাতে অনলাইনে লেনদেন সীমিত করে আনে ব্যাংকগুলো৷

বাংলাদেশ সরকারের কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিমের (সার্ট) প্রকল্প পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহকে উদ্বৃত করে তখন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর জানায়, ‘‘দেশের তিনটি ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের নেটওয়ার্কে হ্যাকার গ্রুপটির ম্যালওয়ারের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছিল৷ হামলাকারীদের লক্ষ্য ছিল মূলত ব্যাংক৷ ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর নেটওয়ার্কের মাধ্যমে হ্যাকাররা ব্যাংকের অনলাইনে হানা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল৷ এ কারণে আতঙ্কে ছিলেন ব্যাংকাররা৷’’

ওই সময় বেশ কিছুদিন যাবত রাত ১১টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত এটিএম সেবা বন্ধ রাখে বেসরকারি ডাচ-বাংলা ব্যাংক৷ একই ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি সিটি ব্যাংক রাত ৮টার পর থেকে বন্ধ রাখে ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ ও বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ডস ট্রান্সফার নেটওয়ার্কের (বিইএফটিএন) মাধ্যমে টাকা স্থানান্তর৷

ডিজিটাল অপরাধীদের অগ্রাধিকারে সব সময়ই থাকে আর্থিক খাত৷ এ ধরণের অপরাধের ক্ষেত্রে এখন অন্যতম লক্ষ্য হয়ে উঠেছে এটিএম বুথে জালিয়াতি৷

এ রকম একটি ঘটনায় গত ১৬ জুন রাজধানী ঢাকায় চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷

গ্রেপ্তারের পর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হাফিজ আক্তার জানান, এরা এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলে দাবি করতেন মেশিন থেকে টাকা বের হয়নি৷ আসলে তারা এটিএম মেশিনের ইলেক্ট্রনিক জার্নাল এমনভাবে বদলে দিতেন, যাতে তাদের অভিযোগ সঠিক বলে মনে হতো৷

এভাবে তারা ৬৩৭টি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ১৩৬৩টি লেনদেনে প্রায় ২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা তুলে নিয়ে যায় বলে জানায় পুলিশ৷

২০১৯ সালে জুন মাসে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথে জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ইউক্রেনের একটি চক্রকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ এর মধ্যে রাজধানীর বাড্ডার একটি বুথে ঢুকে তারা টাকা তোলে৷ কিন্তু ব্যাংকের কেন্দ্রীয় সিস্টেমে এ বিষয়ে কোন তথ্য ছিল না৷

একই বছরের নভেম্বরে পূবালী ব্যাংকের বুথ থেকে জালিয়াতি করে টাকা তোলার ঘটনা ঘটে৷

জালিয়াতি করে এটিএম বুথ থেকে অর্থ উত্তোলন ঠেকাতে কী করা যেতে পারে-এমন সার্টের প্রকল্প পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহ বলেন, বলেন, এটা কেবল আমাদের এখানে নয়৷ এ রকম সবচেয়ে বড় অপরাধটি নিউ ইয়র্কে ঘটেছে৷ একদল মানুষ বেডগ্রেড থেকে এসে ঘণ্টা দুয়েক ধরে পুরো এটিএম খালি করে পরে একটা ফ্লাইট ধরে চলে গেছে৷ তাদেরকে ধরা যায়নি৷

‘‘আমরা ডিজিটাইজেশনে নতুন আসছি৷ ফলে কিছু কিছু গ্যাপ আছে৷ তবে আমরা যথেষ্ট সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পেরেছি৷ যেভাবে সবকিছু আপডেট হচ্ছে, ওই তালে কিন্তু আমরা ডিভাইসগুলো আপডেট করতে পারি না৷ ওই কারণে কিছুটা ইফেক্ট হয়েছে৷ এরপরও যদি হিসাব করেন, তাহলে এটিএম মেশিনে সাইবার ক্রাইমে আমাদের এক্সপোজার কিন্তু আমাদের প্রতিবেশি নেপালের চেয়েও কম৷’’

প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একদিনেই ৬৩ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়৷ এরা সবাই ২০১২-১৩ থেকে পরের পাঁচ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন৷ প্রশ্ন ও জালিয়াতির মামলায় সিআইডির অভিযোগপত্রেও তাদের নাম ছিল৷

এই চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা শুরু হয় ২০১৭ সালের অক্টোবরে৷ তখন ঢাবির ডি ইউনিটের পরীক্ষার আগের রাতে দুই ছাত্রকে গ্রেপ্তার হয়৷ তাদের কাছে পাওয়া যায় এটিএম কার্ডের মত দেখতে ইলেকট্রিক ডিভাইস৷ এই ডিভাইস দিয়ে পরীক্ষার হলে থাকা শিক্ষার্থীর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা হতো৷

এই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২০১৯ সালে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি, যাতে ঢাবির ৮৭সহ মোট ১২৫জনের নাম দেয়া হয়৷

ওই সময় পুলিশ জানায়,দুইভাবে প্রশ্ন ফাঁস হতো৷ একদল আগেই প্রশ্ন হাতিয়ে নিত৷ আরেক দল পরীক্ষার হল থেকে প্রশ্ন ফাঁস করতো৷ এই ঘটনায় একাধিকবার শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারসহ নানা পদক্ষেপ নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ৷

কেবল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় এ ধরণের জালিয়াতির ঘটনা ঘটে না, বরং আরো অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটেছে৷ চাকরির বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায়ও ঘটেছে একই ধরণের ঘটনা৷

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার শুরু হয়েছে ভর্তি পরীক্ষা৷ এখন কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়টি এ ধরণের অপরাধ ঠেকানোর কাজ করছে-এমন প্রশ্নের জবাবে এর উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, এ জন্য আমাদের প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে, পরীক্ষার কেন্দ্রে যাতে কোন ধরণের ডিভাইস নিয়ে প্রবেশ করতে না পারে, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করা৷

‘‘যারা কেন্দ্রে পর্যবেক্ষক থাকবেন, তারা কীভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেয়া আছে৷ এরপরও কেউ যদি প্রযুক্তি ব্যবহার করে অস্বাভাবিক ফলাফল করলে সেই খাতাটি পুনর্মূল্যায়ণ করা হয়৷ কখনো কখনো ওই শিক্ষার্থীকে ডেকে এনে পুনরায় পরীক্ষা নেয়া হয়৷

কেবল পর্যবেক্ষণ নাকি কোন প্রযুক্তির সহায়তা নেয়া হচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রযুক্তির ইন্টারভেনশন বাড়ালেও পর্ববেক্ষকদের দুর্বলতা থাকলে সেই প্রযুক্তি কার্যকর হবে না৷ প্রযুক্তি বলতে আমরা যেটা বোঝাই, যে ডিভাইসগুলো নিয়ে আসে, সেই ডিভাইসগুলোর কোনটা কানের মধ্যে ব্যবহার করে৷ কোনটা শরীরের অঙ্গে ব্যবহার করে৷ অনেক সময় ঘড়ি নিয়ে আসে৷ আমরা বলেছি, এগুলো ব্যবহার করা যাবে না৷ আমাদের তরফ থেকে যে অসতর্কতা থাকলে ডিভাইস বহন করা যাবে, নিয়ে আসা যাবে, সে সব জায়গায় যদি আমরা কড়া সতর্কতা অবলম্বন করি৷ তাহলে ডিভাইস নিয়ে আসার সাহস, মানসিকতা, মানসিক শক্তিটাই কিন্তু এখানে চলে যায়৷

পর্যবেক্ষকদের কোন প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এত পর্যবেক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়ার ‍সুযোগ কোথায়-ইন্সটাকশন (দেয়া হয়)৷ এখানে প্রত্যেকেই শিক্ষিত৷ পরীক্ষার কেন্দ্রে কী ধরণের সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়, সেটা প্রত্যেক পর্যবেক্ষকের কাছে লিখিতভাবে বলা আছে৷

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সার্টের প্রকল্প পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহ বলেন, ভারত আমাদের চেয়ে অনেক এডভান্সড৷ তারাও এটা পারছে না৷ তবে এখন অনেক জায়গায় পরীক্ষার হলে মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্লকিং ডিভাইসগুলো ব্যবহার হচ্ছে৷ এ সব জায়গায় মোবাইল সিগনাল ব্লক করে রাখে৷ প্রযুক্তির এই অপব্যবহার হতে থাকলে আমার মনে হয়, পরীক্ষায় মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধের দিকেই যেতে হবে৷

‘‘স্টেডিয়াম মার্কেটসহ অনেক জায়গায় এগুলো পাওয়াও যায়৷ এনে বসিয়ে দেবে৷ এটা হলো সবচেয়ে সহজ সমাধান৷ বিদেশে কনসেনট্রেশন রাখতে মিটিং চলাকালেও জ্যামার বসিয়ে দেয়া হয়৷ কালচারালি অনেকেই এটা করছে৷ আর ইকুইপমেন্টগুলো অতটা দামীও না৷ সেটা আমরাও করতে পারি৷’’

বাংলাদেশ সরকারের কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিমের (সার্ট) প্রকল্প পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহ বলেন, আমাদের বাংলাদেশের আয়তন বাড়ছে না৷ কিন্তু সাইবার জগতে আমাদের কনটেন্ট রেগুলার আপলোড হচ্ছে, যাচ্ছে৷অর্থাৎ আমাদের সাইবার স্পেস বাড়ছে৷ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে যে সব ই-সেবা আছে, কোভিডের কারণে এডুকেশনাল কনটেন্ট আছে, হেলথ রিলেটেড কনটেন্ট আছে৷

‘‘এগুলোকে সুরক্ষিত রাখার জন্য এগুলোতে কোন দুর্বলতা আছে কি-না, কোন ভালনারিবিলিকে এক্সপ্লোয়েট করে কেউ ঢুকতে পারে কি-না, এ বিষয়গুলো যারা যারা হোস্টিং করেছেন, তাদেরকে পরামর্শ দিচ্ছি৷ তারা বিষয়গুলো আমলে নিয়ে কাজ করছে৷ তাদের লোকদেরকেও আমরা প্রশিক্ষণ দিয়ে দিচ্ছি৷ যাতে তারাও বিশ্লেষণ করে দেখতে পারে৷’’

তিনি বলেন, এখানে অপরাধীরা আপনাকে হ্যাক করে কোনভাবে আর্থিকভাবে লাভবান হতে চায়৷ হ্যাকিংয়ের মূল টার্গেট হয় অর্থ উপার্জন৷ এই মুহুর্তে আমাদের ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টর অত অটোমেটেড না৷ অটোমেশন থাকলেও প্রচুর ম্যানুয়াল ইন্টারভেনশন রয়েছে৷ সে কারণে এই অপরাধের ক্ষেত্রে আমরা অতটা এক্সপোজড না৷

‘‘কিন্তু আমরাও যখন ডিজিটাইজড হয়ে যাবো৷ পুরোপুরি ডিজিটাল সেবা বা ই-সেবাগুলো দেয়া শুরু করবো, তখন কিন্তু ওই চ্যালেঞ্জগুলো আসবে৷ আমরা একটু দেরিতে শুরু করায় অন্যরা এ বিষয়ে যে পদক্ষেপগুলো নিয়েছে, সেগুলোকে আমরা অনুকরণ করতে পারছি৷”

সার্টের প্রকল্প পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহ বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের একশ মিলিয়ন ডলার গেছে, এটা না বলে যদি একশ মিলিয়ন ডলারের অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্পেইন হিসাবে ধরি, তাহলে এটা অনেক সাকসেসফুল৷ এখন প্রত্যেকটা আর্থিক প্রতিষ্ঠান, প্রত্যেক ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারী, এটা প্রত্যেকে সতর্ক৷ তবে টেকনোলোজি প্রতিদিন চেইঞ্জ হচ্ছে৷

‘‘আমরা ক্রিটিকাল ইনফরমেশন অবকাঠামোর জন্য একটা গাইডলাইন তৈরি করেছি৷ অক্টোবর সাইবার সিকিউরিটি মাস৷ এই মাসে আমরা এটা রিলিজ করবো৷ কেউ এটা অনুসরণ করলে এক্সপোজার কমাতে পারবে৷’’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে একই ধরণের হামলা হওয়ার সম্ভাবনা নেই৷ হ্যাকাররা ওই রকম একসেস পাবে না৷

বাংলাদেশ ব্যাংকে হ্যাকিং শুরু হয় বাংলাদেশের সাপ্তাহিক ছুটি শুরুর সন্ধ্যায়, যখন প্রায় অরক্ষিত ছিল ব্যাংক–এ বিষয়টি উল্লেখ করে মতামত চাওয়া হলে তিনি বলেন, ওইদিন চলে গেছে৷ এখন একটা নিউ জেনারেশন চলে আসতেছে৷ ওল্ড জেনারেশনের গাইডেন্স আছে৷ দুইটা মিলে আমাদের ডেভেলপমেন্টও হচ্ছে, সক্ষমতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ আমরা মনে করি, ওইটা ভুলে যেতে পারি৷ আমরা শিউর যে, আমরা বেটার প্রোটেকটেড৷

‘‘তবে শতভাগ রেডি আমেরিকাও না, ইসরাইলও না৷ সবাই শিখতেছে৷ ডাক্তারদের মত সাইবার সিকিউরিটিতে নিয়মিত নলেজ আপডেট করতে হয়৷’’

সার্টের প্রকল্প পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহ বলেন, আমরা ২০২৫ সালের মধ্যে মাঝারি রকমের সক্ষমতা অর্জন করতে চাই৷ আর্মি-পুলিশ যেভাবে স্থানীয়ভাবে থাকতে হয়৷ সাইবার সিকিউরিটিও এ রকম একটা বিষয়৷ আমাদের স্টুডেন্ট, আমাদের ইন্ডাস্ট্রি ছাড়া এটা হবে না৷ এ জন্য আমরা বড় প্রোগ্রাম নিয়েছি৷ মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলোজিতে আমরা পরীক্ষামূলকভাবে একটা থিম স্থাপন করেছি, যাতে সেখান থেকে পড়ে আসা বড় একটা গ্রুপ সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্ট হবে৷

‘‘আমরা বুয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই এবং রোবোটিকস বিভাগের সঙ্গে কাজ করছি৷ যাতে করে তারা যেন আমাদের সাথে যুক্ত হয়৷ যাতে ভবিষ্যত সাইবার যোদ্ধারা প্রিপেয়ার্ড হয়ে আসে৷

তিনি বলেন, জাহাজে যখন ঝড়ের কবলে পড়ে তখন নাবিকরা তখন যার যার জায়গায় চলে যায়৷ ওইভাবে লোকদের প্রিপারেশনের কাজ চলছে৷ আশা করি, আমরা ২০২৫ সালের মধ্যে করতে পারবো৷

২০২৫ সালে মিড লেভেলের দেশগুলোর মত সক্ষমতা-এখানে কোন দেশগুলোকে মিড লেভেল বলা হচ্ছে-জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো মিড লেভেল৷ যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল হচ্ছে, টপ লেভেল৷ ২০৪১ সালে আমরা উন্নত দেশ হবো৷ ২০২৫ এর পর আমাদের টার্গেট থাকবে উন্নত দেশের মত শক্তি অর্জন করার জন্য৷’’

এসএইচ-০১/০২/২১ (সুলাইমান নিলয়, ডয়চে ভেলে)

৩৬টি প্রেক্ষাগৃহে বুবলীর ‘চোখ’

বিরতি শেষে প্রেক্ষাগৃহে নতুন সিনেমা নিয়ে হাজির হলেন জনপ্রিয় নায়িকা শবনম বুবলী। শুক্রবার সারাদেশের ৩৬টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ত্রিভুজ প্রেমের ও অ্যাকশন থ্রিলার গল্পের সিনেমা ‘চোখ’।

এই ছবিতে নায়িকা বুবলীর বিপরীতে অভিনয় করেছেন নিরব হোসেন ও জিয়াউল রোশান। অনামিকা মণ্ডলের চিত্রনাট্যে সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন নবাগত আসিফ ইকবাল জুয়েল।

ছবিতে রাকেশ চরিত্রে অভিনয় করেছেন নিরব। এছাড়া রোশনকে জয় এবং বুবলীকে দেখা যাবে রেজনি হিসেবে। একটি বিশেষ চরিত্রে রয়েছেন শহীদুজ্জামান সেলিম।

এ সিনেমার গল্পে দেখা যাবে, ধনি পরিবারের ছেলে রাকেশ (নিরব) সড়ক দুর্ঘটনায় তার দুই চোখ হারান। এরপর অপারেশন করে তার নতুন চোখ লাগানো হয়। কিন্তু নতুন চোখ নিয়ে ঘটতে থাকে নানা অদ্ভুত সব ঘটনা!

ছবিটি দেখার আহ্বান করেছেন চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। তিনি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস ছবিটির মাধ্যমে প্রেক্ষাগৃহে দর্শক আসা শুরু করবেন। করোনায় থাকলেও এখন যেহেতু সব কিছুই স্বাভাবিক গতিতে চলছে সিনেমা হলে দর্শকরাও আসবেন। তবে অবশ্যই স্বাস্থবিধি মেনে চলতে হবে সবাইকে।’

এদিকে ‘চোখ’ মুক্তির একদিন আগেই সিনেমাটির নায়ক জিয়াউর রোশান করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে প্রেক্ষাগৃহে বসে আপাতত নিজের অভিনীত সিনেমাটি দেখা হচ্ছে না তার।

যে সব সিনেমা হলে চলবে ‘চোখ’: বসুন্ধরা সিটি, সনি, ব্লকবাষ্টার সিনেমাস, শ্যামলী, চিত্রামহল, আনন্দ, বিজিবি অডিটোরিয়াম, গীত, সৈনিক ক্লাব, নিউ গুলশান, সেনা অডিটোরিয়াম, চন্দ্রিমা, নিউ মেট্রো (নারায়ণগঞ্জ), নবীন (মানিকগঞ্জ), বর্ষা (গাজীপুর), চাঁদমহল (কাঁচপুর), পান্না (মুক্তারপুর, মুন্সীগঞ্জ), নন্দিতা (সিলেট), ঝংকার (পাঁচদোনা, নরসিংদী), সিনেমা প্যালেস (চট্টগ্রাম), সুগন্ধা (চট্টগ্রাম), সঙ্গীতা (খুলনা), লিবার্টি (খুলনা), মনিহার (যশোর), মডার্ন (দিনাজপুর), অভিরুচি (বরিশাল), পূরবী (ময়মনসিংহ), সত্যবতী (শেরপুর), শাপলা (রংপুর), চলন্তিকা (গোপালদী, নারায়ণগঞ্জ), পূর্বাশা (শান্তাহার, বগুড়া), মালঞ্চ (টাঙ্গাইল), মাধবী (মধুপুর, টাঙ্গাইল), রাজিয়া(নাগরপুর, টাঙ্গাইল), রুনা (চালাকচর, নরসিংদী), মোহন (হবিগঞ্জ), তামান্না (সৈয়দপুর)।

এসএইচ-৩১/০১/২১ (বিনোদন ডেস্ক)

রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের দু গ্রুপে সংঘর্ষ

রাজশাহীর তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে ছাড়ায় বর্ধিত সভার আয়োজন করে এমপির অনুসারীরা। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলের প্রার্থী মনোনয়ন দিতে এ সভার আহ্বান করা হয়।

সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ডাকা না হলেও সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন সভাস্থলে গেলে এমপির অনুসারীরা তাদের ওপর চড়াও হয়। এরপর দু গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তানোর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বর্ষিত সভা শুরু হয় শুক্রবার বিকেলে। জেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা বক্তব্য দেন। তবে মঞ্চে সামনের সারিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুনকে বসতে দেননি এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর অনুসারীরা।

এনিয়ে মামুনের সমর্থকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এরই এক পর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। সভাস্থলে চেয়ার ভাঙচুর করা হয়। শুরু হয় ইট পাটকেল নিক্ষেপ। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকে মিলনায়তনের পাশের বাড়িতে আশ্রয় নিতে দেখা যায়।

প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষ পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আসলে সভাস্থলে আসেন স্থানীয় এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী। এরপর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ছাড়াই শুরু হয় বর্ধিত সভা।

সভা শেষে ভাঙচুরের ঘটনার জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুনকে দায়ী করেন স্থানীয় এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী।

তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  রাকিবুল হাসান জানান, আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনার পর পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।

সভা শেষে উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পঙ্কজ দেবনাথ ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাকিবুল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে চেয়ারম্যানের দফতরে বৈঠক করেন এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী।

এরপর ভাঙচুরের ঘটনায় দুই আওয়ামী লীগ নেতাসহ তাদের অনুসারীদের নামে মামলার নির্দেশ দেন।

এসএইচ-৩০/০১/২১ (নিজস্ব প্রতিবেদক)