রাত ৯:২৬
শনিবার
১৮ ই মে ২০২৪ ইংরেজি
৪ ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১০ ই জ্বিলকদ ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

ওমর ফারুক ও তার স্ত্রী-ছেলেদের ব্যাংক লেনদেন স্থগিত

যুবলীগের চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়া ওমর ফারুক চৌধুরীর ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

একই সঙ্গে তার স্ত্রী, তিন ছেলে ও দুই ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে।

ফলে তারা কোনো টাকা উত্তোলন বা স্থানান্তর করতে পারবেন না।

আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ১১৬ ধারার ক্ষমতাবলে সম্প্রতি এনবিআর এ আদেশ দিয়েছে।

ব্যাংকগুলোর কাছে পাঠানো চিঠিতে এনবিআর বলেছে, ওমর ফারুক চৌধুরী, তার স্ত্রী শেখ সুলতানা রেখা, ছেলে আবিদ চৌধুরী, মুক্তাদির আহমেদ চৌধুরী ও ইশতিয়াক আহমেদ চৌধুরীর ব্যাংক হিসাব থেকে কোনো টাকা উত্তোলন বা স্থানান্তর করা যাবে না।

একই তাদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান লেক ভিউ প্রোপার্টিজ ও রাও কনস্ট্রাকশনের হিসাবের লেনদেনও স্থগিত করেছে এনবিআর।

চিঠিতে তাদের বর্তমান ঠিকানা দেয়া হয়েছে ধানমন্ডির ৮ /এ সড়কের ইস্টার্ন হেরিটেজ, রমনার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের ৪৫ নম্বর বাসা ও চট্টগ্রামের রাউজানের সূত্রাপুর।

এর আগে ৩ অক্টোবর ওমর ফারুক চৌধুরীর ব্যাংক হিসাব তলব করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তার নামে থাকা সব হিসাবের লেনদেন তথ্য, বিবরণীসহ সব পাঠাতে ব্যাংকগুলোকে চিঠি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট।

সম্প্রতি যুবলীগের বিভিন্ন নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসা ও টেন্ডারবাজির অভিযোগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের পর থেকে সংগঠন‌টির চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর নামও উঠে আসে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার করা হয় যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ ভূঁইয়া, যুবলীগ নেতা জি কে শামীমসহ অনেকেই। যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর সম্পৃক্ততাও বেরিয়ে আসে।

তার আলোকে ইতিমধ্যেই ওমর ফারুক চৌধুরীর ব্যাংক হিসাব তলব করা ছাড়াও তার বিদেশে যাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এর পর থেকেই আড়ালে চলে যান ওমর ফারুক। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তাকে ছাড়াই সম্মেলনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে সংগঠনটি। তাকে ছাড়াই হয়েছে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সভা।

অভিযোগ রয়েছে, যুবলীগের চেয়ারম্যান হওয়ার পর কেন্দ্রীয় কমিটিতে নিজের অনুগতদের বসিয়েছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান। ঢাকা মহানগর ও দেশব্যাপী জেলা কমিটিগুলোও হয়েছেন তার পকেটের লোক দিয়ে।

নিজেকে তরুণ ভাবাপন্ন ৭১ বছর বয়সী ওমর ফারুক চৌধুরী যুবলীগের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই একক ক্ষমতাবান হয়ে ওঠেন। শুরুতে সাবেক নেতাদের পরামর্শ ছাড়াই একটি ঢাউস কমিটি গঠন করেন তিনি। অভিযোগ আছে, মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তিনি অনেক নেতাকে কমিটিতে স্থান দিয়েছেন। পদভেদে ১০ লাখ থেকে শুরু করে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন। ফ্রিডম পার্টি ও যুবদলের অনেকে টাকার বিনিময়ে ঠাঁই পেয়েছেন যুবলীগে বলেও অনেকে অভিযোগ করেন।

ওমর ফারুক চেয়ারম্যান হওয়ার পর যুবলীগে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছেন সুবিধাবাদী ও দুর্বৃত্তরা। যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের এক সময়কার পিয়ন কাজী আনিসুর রহমান কেন্দ্রীয় কমিটির দফতর সম্পাদক পদ পেয়ে যান ওমর ফারুকের কল্যাণে। পরবর্তীতে টাকার বিনিময়ে এমন অনেককে নেতা বানানোর ক্ষেত্রে যুবলীগের দফতর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমানের ভূমিকা রয়েছে বলেও অভিযোগ আছে।

কাজী আনিস যুবলীগ অফিসের পিয়ন থেকে নেতা হন এবং এখন অনেক বিত্তবৈভবের মালিক। তিনি যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর ‘কালেক্টর’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। ৩০ লাখ থেকে কোটি টাকার বিনিময়ে আনিসের মাধ্যমে পদ পেয়েছেন অনেকেই।

বিএ-১৯/২১-১০ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

যে কারণে মিনুর গ্রেফতার চান এমপি বাদশা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তি করায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুকে একহাত নিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি। মিনুকে তিনি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের ‘গডফাদার’ হিসেবে উল্লেখ করে তার বিচার দাবি করেন।

শনিবার সন্ধ্যায় রাজশাহীতে ওয়ার্কার্স পার্টির এক জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় রাজশাহী সদর আসনের এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘মেয়র ও এমপি হিসেবে ক্ষমতায় থাকাকালে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেছেন এই মিনু। আজ তিনি প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে এতো বড় কটুকথা বলার সাহস পান কোত্থেকে?’

বাদশা বলেন, ‘মিজানুর রহমান মিনু মেয়র থাকাকালে জেএমবিকে প্রতিমাসে ৫০ হাজার টাকা দিতেন। ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলার আগে বাংলা ভাই এ কথা জানিয়ে গেছে। আজ সেই মিনু প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কটূক্তি করেন।

তিনি মেয়র থাকাকালে দুর্নীতি করেছেন। ফ্রিডম পার্টি, রাজাকার, জঙ্গিবাদকে সহায়তা করেছেন। জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য তাকে ক্ষমা চাইতে হবে। যদি তিনি প্রকাশ্যে ক্ষমা না চান, তবে আমি অনতিবিলম্বে তাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।’

প্রসঙ্গত, রাজশাহীতে এক দলীর সমাবেশে মিজানুর রহমান মিনু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বলেন, ‘ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির স্যান্ডেল বহনের যোগ্যতা আপনার নাই, আবার প্রধানমন্ত্রী মারান!’

তার এই বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

বিএ-১৮/২১-১০ (নিজস্ব প্রতিবেদক)

ধারের টাকায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হলো মেহেদি!

ধারের টাকায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হলো অদম্য মেহেদি হাসান। সোমবার শুরু হওয়া ভর্তি কার্যক্রমের প্রথম দিনই ভর্তি হতে বাবাকে নিয়ে ঢাকায় যায় মেহেদি। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে ধার-দেনা করে ভর্তি হলেও পরবর্তীতে মেডিকেলে লেখাপড়ার খরচ নিয়ে উদ্বিগ্ন মেহেদির পরিবার।

মেহেদি চলতি শিক্ষা বর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে মেধা তালিকায় ১৫তম স্থান অধিকার করেছে। মেহেদি হাসান যশোরের মণিরামপুর উপজেলার নিভৃতপল্লী হুরগাতি গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে।

হুরগাতি গ্রামের জরাজীর্ণ মাটির ঘরে লেখাপড়া করে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়ায় মেহেদির মায়ের চোখে আনন্দের অশ্রু। সেই সঙ্গে রয়েছে শঙ্কার ছাপও।

মেহেদির মা রাবেয়া বেগম জানালেন, প্রতিবেশী ৩ জনের কাছ থেকে ধার করা ১২ হাজার টাকা নিয়ে রোববার রাতে বাবার সঙ্গে ভর্তি হতে গেছে মেহেদি। মেহেদির বাবার হাড়ভাঙ্গা খাটুনির উপার্জনে কোনো রকমে তাদের সংসার চলে। এরপরও কষ্টেসৃষ্টে তারা লেখাপড়ার খরচ জুগিয়েছেন। এখন মেডিকেলের লেখাপড়া কীভাবে চলবে জানেন না তারা।

মেহেদির চাচা আব্দুর রশিদ বলেন, গ্রামেই রাস্তার মোড়ে সার-কীটনাশকের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম। মেহেদির বড় বোন নূরজাহান খাতুন পিয়া যশোর এমএম কলেজ থেকে ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স শেষ করেছে। রহিমের একার রোজগারেই চলে ভাই-বোনের লেখাপড়ার খরচ ও সংসার।

পরিবারের সদস্যরা জানান, অদম্য মেধাবী মেহেদি হাসানের ছোটবেলা থেকেই লেখাপড়ার প্রতি প্রচণ্ড আগ্রহ ছিল। বাবা-মায়ের ইচ্ছে ছিল মেহেদি ডাক্তার হয়ে দেশের মানুষের সেবা করবে। এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পাওয়া মেহেদি আর ১০ জন মেধাবীর মতো অর্থাভাবে ভালো শিক্ষক কিংবা কোচিং করার সুযোগ পায়নি।

কিন্তু তাতে দমেনি মেহেদি। বাবা-মায়ের ইচ্ছা পূরণ ও নিজের ইচ্ছা শক্তি নিয়ে এইচএসসি পাস করে মেডিকেলে ভর্তির প্রস্তুতি নিতে দিন-রাত পড়ালেখায় ডুবে থেকেছে। এতে ফল পেয়েছে মেহেদি।

মেহেদির বাবা আব্দুর রহিম জানিয়েছেন, সোমবার ১০ হাজার ২০০ টাকা জমা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছে মেহেদি। ছেলের জন্য তিনি সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।

বিএ-১৭/২১-১০ (আঞ্চলিক ডেস্ক, তথ্যসূত্র: জাগো নিউজ)

যে কারণে সীমান্তে ধরা খেলো দুই নাইজেরিয়ান

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের সময় দুই নাইজেরিয়ান নাগরিককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা। সোমবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে উপজেলার নলগরিয়া এলাকা থেকে বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা তাদের আটক করেন।

আটকরা হলেন, ডানিয়েল চিকামছো চুকয়ু (২৭) ও চিগোজি জোসেফাত আপোতাজি (২৬)।

বিজিবি জানিয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির সিঙ্গারবিল সীমান্ত ফাঁড়ির সদস্যরা ওই দুই নাইজেরিয়ান নাগরিককে আটক করে। তারা মো. রাব্বি নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে ঢাকা থেকে বিজয়নগর উপজেলায় এসে কাশিনগর গ্রামের। মোছাম্মৎ জমিনার (৫৫) বাড়িতে অবস্থান নেয়।

পরে দুপুরে নলগরিয়া এলাকা থেকে বিজিবির টহল সদস্যরা তাদের আটক করে। আটক দুইজনের পাসপোর্ট নাম্বার যথাযক্রমে A-092082290 NGA ও A-087489860 NGA।

বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহাম্মদ গোলাম কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে জাগো নিউজকে জানান, আটকদের মধ্যে একজনের বাংলাদেশি ভিসার মেয়াদ গত ১৫ অক্টোবর শেষ হয়েছে এবং আরেকজনের মেয়াদ আগামী বছরের ১ জানুয়ারিতে শেষ হবে।

আটক দুই নাইজেরিয়ান নাগরিক ও বিজয়নগরের ওই নারীকে বিজয়নগর থানায় হস্তান্তার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।

বিএ-১৬/২১-১০ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

ইরানের ‘কাঁধে’ চড়ে বিভিন্ন দেশে আক্রমণ রুশ হ্যাকারদের

রাশিয়ার হ্যাকাররা ইরানের ‘সাইবার-গুপ্তচরদের’ অপারেশনের সিস্টেম হ্যাক করে তাদেরই ‘কাঁধে চড়ে’ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার ইন্টারনেট-পরিসরে আক্রমণ চালিয়েছে। গত ১৮ মাসে ২০টি দেশের বিভিন্ন সংস্থা-প্রতিষ্ঠানের ইন্টারনেট-মহল সফলভাবে হ্যাক করেছে তারা।

আক্রান্ত কয়েকটি দেশের কর্মকর্তারা মনে করছেন আক্রমণের সিস্টেম ইরানের মনে হলেও এর ধরন রাশিয়ার।

সোমবার ব্রিটিশ ও মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের বরাতে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়। ব্রিটিশ-মার্কিন গোয়েন্দাদের মতোই অভিযোগ এস্তোনিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তাদের।

আক্রান্ত দেশের কর্মকর্তাদের অভিযোগ, রাশিয়ার এই হ্যাকার গ্রুপটির নাম ‘তুরলা’। তারা কাজ করছিল রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবির পক্ষে। ইরানি সাইবার-গুপ্তচরদের হ্যাকিং গ্রুপ ‘এপিটি-৩৪’র কম্পিউটার ব্যবস্থা ও সাইবার টুল ব্যবহার করে ‘তুরলা’ এই হ্যাকিং কার্যক্রম চালিয়েছে।

এপিটি-৩৪’র ‘কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল’ সিস্টেম ব্যবহারের মাধ্যমে গত ১৮ মাসে ২০টি দেশের বিভিন্ন সংস্থা-প্রতিষ্ঠানের ইন্টারনেট-মহল সফলভাবে হ্যাক করেছে তারা।

এই হ্যাকিং অপারেশন যদিও মধ্যপ্রাচ্যে বেশি চলেছে, তবে আক্রমণ হয়েছে ব্রিটেনের বিভিন্ন সংস্থায়ও।

ব্রিটিশ গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সংস্থার (জিসিএইচকিউ) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পল কাইচেস্টার বলেন, সরকারের পোষ্য একদল হ্যাকার বেশ সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। আর সাইবার-হামলার নিত্যনতুন উপায় তৈরি করছে যেন তাদের অবস্থান ট্র্যাক করা না যায়।

এ ব্যাপারে রাশিয়া ও ইরানের কর্মকর্তারা এখনো কোনো মন্তব্য করেননি। তবে, মস্কো ও তেহরান বরাবরই তাদের বিরুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলোর হ্যাকিংয়ের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

এসএইচ-২৭/২১/১৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

ক্রিকেটারদের দাবি বিবেচনার আশ্বাস বিসিবি সিইও’র

ক্রিকেটাররা আন্দোলনে যাচ্ছেন। বিপিএলের পারিশ্রমিক, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের বেতন, ম্যাচ ফি ও আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা এবং ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটের দল বদল আগের মতো খোলা ও স্বাধীনভাবে করাসহ বিভিন্ন দাবিতে সোচ্চার জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা।

আজ দুপুর গড়িয়ে বিকেল নামতে না নামতেই সাকিব, মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহসহ অর্ধশতাধিক ক্রিকেটার মিরপুরের একাডেমি মাঠে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং আলটিমেটাম দেন, ‘দাবি না মানলে ঘরোয়া ক্রিকেট মানে চলমান জাতীয় লিগসহ জাতীয় দলের অনুশীলন ও বিদেশ সফর না করার’। যদিও ক্রিকেটারদের পক্ষ থেকে এমন কিছু আসবে- তা ঘূর্ণাক্ষরেও জানা ছিল না কারো।

বিসিবিপ্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন প্রকাশ্যে মিডিয়ার সামনেই বলেছেন, ক্রিকেটারদের আন্দোলনের বিষয়ে তারা কিছুই জানতেন না। ক্রিকেটাররা তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে আগে থেকে কিছুই জানায়নি। ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান এবং বোর্ডের অন্যতম নীতিনির্ধারক আকরাম খানসহ আরও কয়েকজন পরিচালকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ‘ক্রিকেটাররা ভিতরে ভিতরে ফুঁসছেন, নিজেদের দাবিতে সোচ্চার হয়ে বড় ধরনের আন্দোলনের ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন- এমন খবর মিডিয়ায় আসে সোমবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে।’

জানা গিয়েছিল, জাতীয় দলের বর্তমান সদস্যসহ প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটাররা দুপুর ২টার দিকে বোর্ডে আসবেন এবং আগে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করে নিজেদের মনোভাব জানাবেন। এদিকে ক্রিকেটাররা মিডিয়ার সামনে ১১ দফা দাবি তোলার অল্প কিছুক্ষণ পরই মিডিয়ার সামনে আসেন বিসিবিপ্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন।

নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজনও পরিষ্কার জানিয়ে দেন, তারা কিছুই জানতেন না। তার ভাষায়, ‘ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় বিচ্ছিন্নভাবে কারো কারো মুখ থেকে কিছু দাবির কথা শোনা গেলেও ক্রিকেটাররা যে ভিতরে ভিতরে ফুঁসে আছেন। রীতিমতো একটা বিস্ফোরণ-উন্মুখ অবস্থা- তা তাদের জানা ছিল না।’

কারণ, ক্রিকেটাররা আগে তাদের লিখিতভাবে কিংবা আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানাননি। মোটকথা সিইও বোঝাতে চাইলেন, ক্রিকেটারদের কোনো দাবিই বোর্ডের কাছে আগে পেশ করা হয়নি। আজই তারা জেনেছেন এবং সেটা আজই, মিডিয়ার কাছ থেকে।

তাই বিসিবি প্রধান নির্বাহীর মুখে এমন কথা, ‘আমরা জানতে পেরেছি মূলত মিডিয়ার মাধ্যমেই জানতে পেরেছি। আমাদের সাথে কথা হয়নি। আমি আবারও বলছি প্লেয়াররা আমাদের বড় সম্পদ। প্লেয়ারদের বিভিন্ন দাবি আমরা গুরুত্বের সাথে দেখি। বিভিন্ন সময় সে সব দাবি মানার চেষ্টাও করা হয়েছে; কিন্তু আজ যা বলা হলো, তা আমরা আজকেই জেনেছি। তাও আপনাদের মানে মিডিয়ার কাছ থেকে। আমরা মাত্র জানলাম। তারপরও ফর্মালি কিছু জানতে পারিনি। মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি। বিষয়টি আমরা দেখবো।’

সিইওর কণ্ঠে, বসেই সব বিষয়ের সমাধান করার আশ্বাস। নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন কিছুতেই মানতে নারাজ যে, এটা কোনো বিদ্রোহ। তার ভাষায়, ‘না না, এটা কোনো বিদ্রোহ নয়। প্লেয়াররা বোর্ডেরই পার্ট।’ ভাবটা এমন, তারা তাদের দাবি ও চাওয়া-পাওয়ার কথা প্রকাশ করেছে। আমরা চেষ্টা করবো বসে এবং বোর্ডে কথা বলে সে দাবি মেটাতে।

এসএইচ-২৬/২১/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)

রাজশাহীতে ট্রেনে কাটা পড়ে বাবা-মেয়ের মৃত্যু

রাজশাহীতে ট্রেনে কাটা পড়ে বাবা ও মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বিকেল ৩টার দিকে ভদ্রা জামালপুর এলাকার রেলক্রসিং এ এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ধরমপুর এলাকার কামরুজ্জামান রুবেল (৩০) ও তার আড়াই বছরের শিশু কন্যা রুবাইয়া খাতুন।

নিহতরা মতিহার থানার ধরমপুর এলাকার বাসিন্দা।

ওই সময় বাবা-মেয়ে রেল ক্রসিংসটি পারাপার হচ্ছিলেন। খুলনাগামী কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে তাদের মৃত্যু হয়।

রাজশাহী জিআরপি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাঈদ ইকবাল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বিকেল ৩টার দিকে শিশু কন্যাকে কোলে নিয়ে রেলক্রসিং পার হচ্ছিলেন রুবেল।

ওই সময় খুলনাগামী কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়েন তারা। এতে ঘটনাস্থলেই রুবেল মারা যান।

আর শিশু রুবাইয়াকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন।

তাদের মরদেহ উদ্ধার করে জিআরপি থানায় রাখা হয়েছে। এনিয়ে আইনত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান ওসি।

বিএ-১৫/২১-১০ (নিজস্ব প্রতিবেদক)

বগুড়ায় স্ত্রীকে হত্যায় স্বামী ও সতীনের যাবজ্জীবন

যৌতুক না পেয়ে আছিয়া বেগম নামে এক গৃহবধূকে হত্যার দায়ে তার স্বামী এবং সতীনকে (স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রী) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. আব্দুর রহিম সোমবার দুপুরে এই রায় দেন।

দণ্ডিতরা হলেন- জেলার গাবতলী উপজেলার রাণীরপাড়া গ্রামের ছেরাপ মণ্ডলের ছেলে সবুজ মণ্ডল ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী রুকছানা বেগম।

বিচারক রায়ে ওই দুজনকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আর ৬ মাস করে কারাদণ্ডেরও আদেশ দেন। তবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর দুই আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর পাবলিক প্রসিকিউটর আশেকুর রহমান সুজন জানান, দণ্ডিত সবুজ মণ্ডলের সঙ্গে প্রায় কুড়ি বছর আগে একই জেলার গাবতলী উপজেলার মহিষাবান মধ্যপাড়া গ্রামের আব্দুল লতিফের কন্যা আছিয়া বেগমের বিয়ে হয়।

তাদের ঘরে দু’টি সন্তান জন্ম নেয়। তবে বিয়ের প্রায় ১১ বছরের মাথায় সবুজ মণ্ডল রুকছানা বেগম নামে অপর এক নারীকে বিয়ে করেন। দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে সবুজ মণ্ডল প্রথম স্ত্রী আছিয়া বেগমকে যৌতুকের জন্য চাপ দেন।

এ নিয়ে গ্রাম্য শালিসেও কোন ফয়সালা না হওয়ায় আছিয়া বেগামের ভাই মোত্তালেব হোসেন যৌতুক হিসেবে ৫ হাজার টাকা তার ভগ্নিপতিকে দেন। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট না হয়ে সবুজ মণ্ডল আরও ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন।

দাবি করা সেই টাকা দিতে না পারায় সবুজ মণ্ডল ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী রুকছানা বেগম মিলে ২০১৪ সালের ২ আগস্ট আছিয়া বেগমকে মারপিট ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে তার লাশ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখেন।

পরে নিহত আছিয়া বেগমের ভাই মোত্তালেব হোসেন ভগ্নিপতি সবুজ মণ্ডল, তার দ্বিতীয় স্ত্রী রুকছানা বেগম ও দেবর লাল মণ্ডলসহ ৪জনের বিরুদ্ধে গাবতলী থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

পিপি আশেকুর রহমান সুজন জানান, দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে সবুজ মণ্ডল আগে থেকেই কারাগারে আটক ছিলেন। তবে তার দ্বিতীয় স্ত্রী রুকছানা বেগম জামিনে ছিলেন। তবে রায় ঘোষণার দিন তাকে কারাগারে নেওয়া হয়। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় লাল মণ্ডল ও মোমিন প্রামাণিক নামে পলাতক দুই আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।

বিএ-১৩/২১-১০ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)

আত্মরক্ষায় বোরহানউদ্দিনে গুলি চালিয়েছে পুলিশ

আত্মরক্ষায় ভোলার বোরহানউদ্দিনে গুলি চালিয়েছে পুলিশ। সোমবার এমন মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তবে গুলির অনুমতি কে দিয়েছে এটা তদন্ত করে বের করার কথা জানান মন্ত্রী।

সোমবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ কিংবা অন্য কারও দায়িত্বে অবহেলা আছে কি না সে বিষয়টিও তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে কারও অবহেলা প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রোববার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক যুবকের ফেসবুক আইডি থেকে  ‘ধর্ম নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট’ দেয়া হয়। এনিয়ে দিনভর এ সংঘর্ষ হয়।

এতে অন্তত দুজন ছাত্রসহ ৪ জন নিহত এবং ১০ পুলিশ সদস্যসহ শতাধিক লোক আহত হয়। ফেসবুক আইডি হ্যাক করে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ সদর দপ্তর।

বিএ-১২/২১-১০ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

ভোলার ঘটনায় দেশব্যাপী হেফাজতের বিক্ষোভ মঙ্গলবার

ভোলার বোরহানউদ্দিনে পুলিশের গুলিতে হতাহতের প্রতিবাদে মঙ্গলবার দেশজুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

সোমবার দুপুরে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় সংগঠনের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচি ঘোষণা করেন সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী।

এ সময় হেফাজতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী বক্তব্য দেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের আইডি হ্যাক করার ঘটনার সঠিক তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের আহ্বান জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

এ ছাড়া মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে কটূক্তিকারীদের মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আইন পাস করা ও ভোলার ঘটনায় নিহতদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণসহ আহতদের চিকিৎসা ব্যয়ভার সরকারকে বহন করার দাবি জানানো হয়।

একই সঙ্গে হামলায় সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের বিচারের আওতায় আনারও দাবি জানায় হেফাজতে ইসলাম।

হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, ভোলায় মুসলিমদের ওপর নির্বিচারে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে আগামীকাল বাদ জোহর সারা দেশে জেলাওয়ারী বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল কর্মসূচি পালিত হবে।

বিএ-১১/২১-১০ (আঞ্চলিক ডেস্ক)