সকাল ৬:৫৭
রবিবার
৫ ই মে ২০২৪ ইংরেজি
২২ শে বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৬ শে শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

রাজশাহীতে চার লেনের রাস্তার কাজ পরির্দশনে রাসিক মেয়র

রাজশাহীর বিলসিমলা রেলক্রসিং হতে কাশিয়াডাঙ্গা মোড় পর্যন্ত বাইসাইকেল লেনসহ সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ কাজ পরিদর্শন করেছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।

শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় এ কাজ পরিদর্শনে যান মেয়র। পরিদর্শনকালে মেয়র কাজের মান ও অগ্রগতিসহ সার্বিক খোঁজখবর নেন।

পরির্দশনকালে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল হোসেন ও নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ৩ সেপ্টেম্বর ১৭৩ কোটি টাকার রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় মহানগরীর বিলসিমলা রেলক্রসিং হতে কাশিয়াডাঙ্গা মোড় পর্যন্ত বাইসাইকেল লেনসহ সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ কাজের ১ম অংশের উদ্বোধন করেন মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। বর্তমানে রাস্তার দ্ইু পাশে ড্রেন নির্মাণ কাজ চলছে।

২৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩০ ফুট প্রশস্ত রাস্তাটি ৮০ ফুটে উন্নীত করা হচ্ছে। রাখা হয়েছে ড্রেন, ফুটপাত, সড়ক ডিভাইডারসহ সাইকেল লেন। ১ম অংশে মোট রাস্তার দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ১২ কিলোমিটার, ৪ ফুট চওড়া ডিভাইডারসহ উভয় পাশে ২৩ ফুট করে পৃথক দুটি লেন থাকবে।

এছাড়া উভয় পাশে ১০ ফুট চওড়া ফুটপাত এবং রাস্তার দক্ষিণপার্শ্বের ৭ ফুট ৮ ইঞ্চি চওড়া বাই সাইকেল লেন রাখা হয়েছে। এছাড়া রাস্তার উভয় পার্শ্বের সাড়ে ৩ ফুট চওড়া ড্রেন রাখা হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান বিটিসি-এইচই (জেভি)।

বিএ-১০/১৮-১০ (নিজস্ব প্রতিবেদক)

পাকিস্তানের নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক বাবর

তীব্র সমালোচনার মুখে অবশেষে সরফরাজ আহমেদকে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। একই সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য নতুন নেতৃত্ব বেছে নিয়েছে পিসিবি।

অস্ট্রেলিয়া সফরে পাকিস্তানের টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান আজহার আলি। আর টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দেবেন ২৫ বছর বয়সী তারকা ব্যাটসম্যান বাবর আজম।

অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব পেয়ে বাবর বলেন, টি-টোয়েন্টিতে এক নম্বর দল পাকিস্তান। বিশ্বের নাম্বার ওয়ান দলের অধিনায়ক হতে পারাটা দারুণ ব্যাপার।

আমি সেই চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত। সামনে আরও শিখতে চাই। আমি আনন্দিত যে, আমার সামর্থের ওপর বিশ্বাস রেখেছে পিসিবি।

আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়া সফরে ৩ টি টি-টোয়েন্টি এবং ২ টি টেস্ট সিরিজ খেলবে পাকিস্তান।

এসএইচ-১৩/১৮/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)

ইমরান খানের পর এবার সৌদি আরব সফরে যাচ্ছেন মোদি

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পর এবার সৌদি আরব সফরে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

সম্প্রতি সৌদি আরব এবং ইরানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা নিরসনে মধ্যস্ততাকারীর ভূমিকায় এগিয়ে এসেছেন পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। দু’দেশের মধ্যে বৈরি সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে তিনি দু’দেশেই সফর করেছেন।

অপরদিকে, ভারত সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মাধ্যমে কাশ্মীর থেকে বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়ার পর থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। ঠিক এমন সময়েই ভারত-সৌদি সহযোগিতা পরিষদের বৈঠকে যোগ দিতে সৌদি সফরে যাবেন নরেন্দ্র মোদি। চলতি মাসেই তিনি সৌদি সফর করবেন।

সাম্প্রতিক সময়ে নরেন্দ্র মোদির রিয়াদ সফরকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন কূটনীতিকরা। মোদি তার আসন্ন রিয়াদ সফরে বাণিজ্যিক এবং কৌশলগত ভাবে রিয়াদকে আরও কাছে টানার চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ভারতের তেল, কৃষি, খনিজ, পরিকাঠামোসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিপুল বিনিয়োগ করতে চলেছে সৌদি আরব। পাশাপাশি মৌলবাদ এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা তথ্য সমন্বয় বাড়ানো নিয়েও আলোচনা ও চুক্তিপত্র সই হওয়ার কথা রয়েছে দু’দেশের। কয়েক সপ্তাহ আগে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল রিয়াদে গিয়ে পুরো নকশাটি তৈরি করে এসেছেন।

এসএইচ-১২/১৮/১৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

‘সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণ’ না করলে কালো তালিকায় পাকিস্তান!

বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগানদাতাদের পর্যবেক্ষক সংস্থা ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের (এফএটিএফ) দেওয়া ২৭টি লক্ষ্যের মধ্যে মাত্র ছয়টিতে পাস করেছে পাকিস্তান।

তারই জের ধরে সংস্থাটির কাছে চার মাস সময় পেয়েছে ইমরান খানের দেশ। এর মধ্যে পরিস্থিতির উন্নয়ন না হলে পাকিস্তানকে কালো তালিকাভুক্ত করার হুমকি দিয়েছে সংস্থার সদস্যরা।

শুক্রবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, পর্যবেক্ষক সংস্থাটি পাকিস্তানকে তাদের দেওয়া সব লক্ষ্য পূরণের জন্য চার মাস সময় বেঁধে দিয়েছে।

২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে লক্ষ্যগুলো পূরণ করতে না পারলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছে তারা।

সন্ত্রাসবাদ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে এফএটিএফ তার সদস্য দেশগুলোর সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক বা লেনদেনের বিষয়ে বিধিনিষেধ আরোপের অনুরোধ জানাবে বলে জানানো হয়েছে।

এসএইচ-১১/১৮/১৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

নালিশের রাজনীতি বাদ দিয়ে গণরাজনীতির ধারায় ফিরুক বিএনপি

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অভিযোগ আর নালিশের রাজনীতি বাদ দিয়ে বিএনপি গণরাজনীতির ধারায় ফিরে আসুক, সেটাই আশা করি।

শেখ রাসেলের ৫৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার ঢাকার বনানীতে তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই কথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

তিনি বলেন, বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে। দায়িত্বশীল বিরোধীদল হিসেবে দায়িত্বজ্ঞানহীন সব কর্মকাণ্ডই করছে তারা। তারা নির্বাচন ও আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে এখন ইস্যু খুঁজে বেড়াচ্ছে। কোনো একটা ইস্যু পেলেই তারা তার মধ্যে রাজনীতি খুঁজে পায়।

সরকার বাকশালী আচরণ করছে- বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, বিএনপির একটি রোগ আছে। সেটা হলো- অভিযোগ। অভিযোগ নামক রোগ বিএনপিকে পেয়ে বসেছে। তারা কথায় কথায় অভিযোগ করে, নালিশ করে। এছাড়া তো তাদের আর কিছু করার নেই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নিরাপদ সড়ক, কোটা সংস্কার আন্দোলন- একটা পেলেই তারা ধরে বসে। আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে তারা ইস্যু খোঁজার চেষ্টা করেছিল। তাদের ইস্যু খুঁজে পাওয়ার রাজনীতিতে জনগণ সাড়া দেবে না। বাংলাদেশের রাজনীতিতে অবজেক্টিভ কোনো ইস্যুতে তারা নেই।

যুবলীগকে বয়স কাঠামোতে আনা হবে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুবলীগ নিয়ে গণভবনে মিটিং ডেকেছেন। রোববারের মিটিংয়ে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেল হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, মানব সভ্যতার ইতিহাসে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডে কোনো নারী বা অবলা শিশুকে টার্গেট করা হয়নি।

কিন্তু, বাংলাদেশে সব রাজনৈতিক হত্যাকান্ড ও কারবালার নৃশংস হত্যাকাণ্ডে নারী-শিশু হত্যা করা হয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার সময় অবুঝ শিশু রাসেলকেও হত্যা করা হয়।

বিএ-০৯/১৮-১০ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

সাতক্ষীরায় আ.লীগ নেতার নেতৃত্বে বসতঘর ভাঙচুর, লুটপাট

সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী কেড়াগাছির বাকসা এলাকায় এক আওয়ামী লীগ নেতার নেতৃত্বে বসতঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় এক যুবক জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে ঘটনাটি জানালে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভাঙচুর ও লুটপাটে জড়িত ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।

আটকরা হলেন, বাকরা গ্রামের আশরাফুল, মোস্তাফিজুর, নজরুল, জলিল, ফিরোজ ও সেলিম।

কেড়াগাছি ইউনিয়নের স্থানীয় ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বাকসা গ্রামের বাসিন্দা আজিজুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুরের নেতৃত্বে আমার বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। ভোর ৬টার দিকে আব্দুল গফুরের নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন আতর্কিতভাবে হামলা চালায়। তারা আমার ছেলে ওসমান গণি, পুত্রবধূ আসমত আরা, আমার স্ত্রী মোমেনাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন চালায় ও বসতঘর ভাঙচুর শুরু করে। স্থানীয় গ্রামবাসী বাধা দিতে আসলেও শেষ রক্ষা হয়নি। সবকিছু তছনছ করে দিয়েছে।

তিনি আরও জানান, ২২ শতক জমি শ্বশুর আমার স্ত্রীর নামে লিখে দেয়। তিন বছর আগে সেই জমিতে ঘর তৈরি করে বসবাস করে আসছে। এই জমি আমার শ্বশুরের ভাতিজারা দাবি করেছে। মূলত এটা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে দীর্ঘদিন। এই দ্বন্দ্বের সুযোগে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুর আমার ছেলের কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করে। আমরা টাকা দিতে অস্বীকার করি। পরে প্রতিপক্ষের কাছ থেকে টাকা নেয় গফুর। টাকা নেয়ার পরেই আজ এ তাণ্ডব চালিয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুরের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

কেড়াগাছি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য মারুফ হোসেন জানান, আতর্কিত এ হামলার পর স্থানীয় এক যুবক জরুরি সেবা- ৯৯৯ কল দেন। তারপর কলারোয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ছয়জনকে আটক করে।

ঘটনার বিষয়ে কলারোয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মনির উল গিয়াস জাগো নিউজকে বলেন, ভাঙচুর চলাকালে ঘটনাস্থল থেকে থানাতে কেউ কল দেয়নি। জরুরি সেবা ৯৯৯ থেকে নির্দেশনা পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ঘটনাস্থল থেকে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় ২২ জনের নাম উল্লেখপূর্বক ও অজ্ঞাতনামা ১২-১৩ জনের নামে থানায় এজাহার দিয়েছেন আজিজুল ইসলাম। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

বিএ-০৮/১৮-১০ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

`আমরা জাতিগতভাবে মদ্যপ না’, গুলির প্রশ্নে বিএসএফকে বিজিবি

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো ফলাও করে প্রচার করছে, রাজশাহী সীমান্তে বিএসএফকে পতাকা বৈঠকে ডেকে এনে গুলি করেছে বিজিবি।

এই বক্তব্য বানোয়াট বলে মন্তব্য করেছেন বিজিবির রাজশাহী ১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল ফেরদৌস জিয়াউদ্দিন মাহমুদ । ডেকে এনে গুলি করে মেরে ফেলার সুযোগ নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার রাতে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জাবাবে ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক বলেন, পতাকা বৈঠকেও এই ধরণের কথা বিএসএফ কমান্ট্যান্ট আমার কাছেও বলার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি বলছিলেন, আমরা তাদের ডেকেছিলাম। তাই তারা এসেছিলেন।

ওই বিএসএফ কর্তাকে তিনি বলেন, আমাদের কেউ ড্রাঙ্ক না। আমরা জাতিগতভাবে মদ্যপ না। আমরা মানসিকভাবে সবাই সুস্থ। একটা বাহিনীর সাথে সম্পর্কের অবনতি ঘটানোরমত ঘটনা ঘটাইনি। এটি পুরোপরি বানোয়াট তথ্য।

পতাকা বৈঠকে ডেকে বিএসএফকে গুলির দাবি ভিত্তিহীন উল্লেখ করে এই বিজিবি কর্তা বলেন, পতাকা বৈঠকের প্রশ্নই আসেনা। এ ক্ষেত্রে কিছু আনুষ্ঠানিকতার বিষয় আছে। আগে যেটা হয়েছে সেটা পতাকা বৈঠক না।

পতাকা বৈঠক হলে এতোকিছু হবার সুযোগ ছিলোনা। স্বাধীনতার পর থেকেই পতাকা বৈঠক হয়ে আসছে। তাছাড়া বিজিবির বয়স প্রায় আড়াইশ বছর। এটি পুরাতন বাহিনী। এমন ঘটনা ঘটার সুযোগ নেই।

তিনি যোগ করেন, একটিই প্রতাকা বৈঠক হয়েছে। কমান্ডার পর্যায়ের ওই পতাকা বৈঠক হয়েছে বিকেল পৌনে ৫টা থেকে ৫টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত। দুই বাহিনীর মধ্যে শান্তিপূর্ণভাবে বৈঠক শেষ হয়েছে।

রাজশাহী বিজিবি পরিচালক বলেন, হঠাৎ করেই তারা (বিএসএফ) চলে এসেছিলো। তখন তাদের জানানো হয়, আমরা পতাকা বৈঠকের মাধ্যম আনুষ্ঠানিতভাবে আটক জেলেকে হস্তান্তর করবো। আপনারা অপেক্ষা করেন, আমাদের অফিসাররা আসছেন।

এটি শুনে হয়তো তারা ভিত সন্ত্রস্ত হয়ে তাদের জেলেকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। প্রথমে তারা ওই জেলেকে মারধর করে। এসময় আমরা তাদের বাধা দেয়ার চেষ্টা করি। কারণ-আমরা কখনো ভারতীয় নাগরিকদের নির্যাতন করিনা। নিজেরা নির্যাতন করে তারা এর দায় আমাদের উপর চাপাতে পারে।

তিনি বলেন, তারা (বিএসএফ) অপ্রস্তুতভাবে এসেছিলো। দ্রুত প্রস্থানের সময় তারা গুলি চালাতে শুরু করে। আমাদের সাথে বেসামরিক লোকজনও ছিলেন। সবাই বিচলিত হয়ে পড়েন। পরে আত্মরক্ষায় আমাদের লোকজন তাদের উপর গুলি ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে।

সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে রাজশাহী বিজিবির অধিনায়ক বলেন, দুই বাহিনীর মধ্যে, বিশেষ করে আমাদের সীমান্ত এলাকায় কোন ধরণের উত্তেজনা নেই। আতঙ্কিত হবার মত কোন বিষয় নেই। আমরাও চাই না ছোটভাটো এমন বিষয় নিয়ে আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হোক।

দুপক্ষের মধ্যে পতাকা বৈঠক বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা তাদের আশ্বস্ত করেছি, বিষয়টি আমরা তদন্ত করবো। আগামীতে সর্তকভাবে চলতে যা যা করা দরকার আমরা করবো। তারাও আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, দুই বাহিনীর মধ্যে যে সম্পর্ক বিরাজ করছিলো তা বজায় থাকবে।

বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে চারঘাটের পদ্মা ও তার শাখা বড়াল নদের মোহনা শাহরিয়ার খাল এলাকায় অনুপ্রবেশকারী ভারতীয় জেলে প্রণব মণ্ডলকে আটক করে বিজিবি।

ওই সময় প্রণবসহ তিন জেলে পদ্মায় কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ শিকার করছিলেন। মা ইলিশ রক্ষায় অভিযানে নেমে তাদের পায় বিজিবি ও মৎস দপ্তরের অভিযানিক দল।

ওই সময় দুই জেলে পালিয়ে গেলেও ধরা পড়েন প্রণব। জব্দ করা হয় মাছ শিকারের চার কেজি কারেন্ট জাল।

ওই জেলেকে পদ্মার এপারে আনার পর তাকে ছাড়িয়ে নিতে বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে চার বিএসএফ সদস্যরা।

আটক জেলেকে ছাড়িয়ে নিতে ব্যর্থ হয়ে বিজিবি সদস্যদের উপর চালায় বিএসএফ সদস্যরা। আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি চালায় বিজিবি।

বিকেলে পতাকা বৈঠকে বিএসএফ দাবি করেছে, ওই গুলিতে এক জওয়ান নিহত হয়েছেন। তাদের আরেক জওয়ান হাতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তবে বিষয়টি জানতোনা বিজিবি।

অবৈধ অনুপ্রবেশ ও অবৈধ কারেন্ট জাল ব্যবহার করে বেআইনীভাবে মাছ শিকারের দুটি মামলায় শুক্রবার বিকেলে আটক প্রণব মন্ডলকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

বিএ-০৭/১৮-১০ (নিজস্ব প্রতিবেদক)

শক্তি বাড়াতে সহায়ক লাল আলু

শক্তি বাড়াতে

পুষ্টির দিক দিয়ে সাদা বা লাল আলুর খুব বেশি পার্থক্য নেই। সাদা আলুর মতোই লাল আলু রান্না, সিদ্ধ কিংবা বেক করে খাওয়া যায়। তবে লাল আলুর খোসায় সাধারণ আলুর চেয়ে দুই থেকে তিন গুণ বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের গুণের কথা কমবেশি সবারই জানা। এ কারণে লাল আলু খোসাসহ খেলে বেশি উপকার পাওয়া যাবে। নিয়মিত খাদ্য তালিকায় লাল আলু রাখলে যেসব উপকারিতা পাওয়া যাবে-

১. লাল আলুতে পর্যাপ্ত পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকায় এটি শরীরের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

২. জীবনযাত্রার কারণে কমবেশি সবাই চাপে ভোগেন। এ কারণে নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা বাড়ে। লাল আলুতে থাকা ভিটামিন বি মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।

৩. লাল আলুতে পর্যাপ্ত পটশিয়াম থাকায় এটি উচ্চ রক্তচাপ কমাতে ভূমিকা রাখে।

৪. লাল আলু ভিটামিন সিয়ের দারুণ উৎস। এ কারণে এটি খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। ঘন ঘন সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত লাল আলু খেতে পারেন।

৫. ফাইবারে পূর্ণ লাল আলুতে ফ্যাট নেই বললেই চলে। এ কারণে এটি খেলে ওজন কমে।

৬. লাল আলুতে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।

আরএম-২৬/১৮/১০ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)

শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টার চার্জশিট থেকে যেভাবে রেহাই পান ক্যাসিনো খালেদ

ঢাকায় ক্লাব ব্যবসার আড়ালে অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনার দায়ে গ্রেফতার খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টায় সরাসরি জড়িত ছিলেন। ১৯৮৯ সালে ফ্রিডম পার্টির নেতাদের নেতৃত্বে শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে হামলা হয়। ওই হামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী জাফর আহম্মদ মানিক, সৈয়দ নাজমুল মাহমুদ মুরাদ এবং তাদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী খালেদ সরাসরি অংশ নেয়। পরে কৌশলে চার্জশিট থেকে খালেদের নাম বাদ দেয়া হয়। এই তথ্য জানিয়েছেন খালেদের দীর্ঘদিনের সহযোগী মোহাম্মদ আলী।

র‌্যাবের এক কর্মকর্তা বলেন, ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর খালেদের বাবা আবদুল মান্নান ভূঁইয়া সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। তখন তিনি ধীরে ধীরে শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টা মামলার অনেক নথি নষ্ট করে ফেলেন। এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই এক সময় খালেদের নামটিও কৌশলে অভিযোগপত্র থেকে বাদ যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ক্যাসিনো খালেদ একসময় ফ্রিডম পার্টি করতেন। পরে যুবদলের রাজনীতি করেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে যুবলীগ নেতা বনে যান। বহুরূপী খালেদের উত্থান শুনে গা শিউরে ‍উঠে অনেকের।

এই খালেদই শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টায় অংশ নেন। তবে মৃত দেখিয়ে অভিযোগপত্র থেকে তার নাম বাদ দেয়া হয়। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, খালেদ মারা যাননি।

১৯৮৯ সালে ফ্রিডম পার্টির নেতাদের নেতৃত্বে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে হামলা হয়। ওই হামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী জাফর আহম্মদ মানিক, সৈয়দ নাজমুল মাহমুদ মুরাদ এবং তাদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী খালেদ সরাসরি অংশ নেয়।

এ ঘটনার ৮ বছর পর মানিক-মুরাদের সঙ্গে খালেদের সংশ্লিষ্টতার কথা উল্লেখ করে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তবে সূত্রাপুর থানার একটি হত্যা মামলার সূত্র উল্লেখ করে অভিযোগপত্রে বলা হয়, ‘খালেদ’ মারা গেছে। কখন, কীভাবে সে মারা গেছে এ বিষয়ে কোনো তথ্য উল্লেখ করা হয়নি।

এমনকি খালেদের পিতার নাম, পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা পাওয়া গেছে বলা হলেও অভিযোগপত্রে এসব তথ্য নেই।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৯৭ সালে এই মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এর ২২ বছর পর অভিযোগ উঠল, হামলায় জড়িত খালেদ মারা যায়নি। ওই মামলার বিচারকার্যও শেষ হয়ে গেছে। ২০১৭ সালে এই মামলার রায়ে খালেদের সন্ত্রাসী দুই সহযোগী মানিক-মুরাদসহ ১১ জনের ২০ বছর করে সাজা হয়েছে।

সময়ের পরিক্রমায় খালেদ ফ্রিডম পার্টি থেকে যুবদলের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়। ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াই সেই খালেদ।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে সে ভোল পাল্টে যুবলীগের ছায়াতলে আশ্রয় নেয়। অর্থ ও ক্ষমতার জোরে যুবলীগের বড় পদও বাগিয়ে নেয়। পরে সেই ‘মৃত’ খালেদই নগরবাসীর জন্য ভয়ংকর আতঙ্কে পরিণত হয়। আর এভাবেই ভয়ংকর উত্থান ঘটে ‘মৃত’ খালেদের।

খালেদকে মৃত দেখিয়ে চার্জশিট থেকে নাম বাদ দেয়ার অভিযোগ ওঠার পর নড়েচড়ে বসেছে পুলিশের এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছে সংস্থাটি।

এ ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে বলেও একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানিয়েছেন। র‌্যাবের একাধিক কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, পরিকল্পিতভাবেই মামলার অভিযোগপত্র থেকে খালেদকে মৃত দেখানো হয়েছে। অভিযোগপত্রে নাম না থাকায় তার বিচারও হয়নি।

তার প্রভাবশালী আইনজীবী বাবা আবদুল মান্নান ভূঁইয়ার সঙ্গে যোগসাজশ করে খালেদকে মৃত দেখিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির তৎকালীন এএসপি খালেকুজ্জামান। তদন্ত কর্মকর্তা খালেকুজ্জামান আড়াই বছর আগে মারা গেছেন।

খালেদের বাবা মান্নান ভূঁইয়া ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। এ বিষয়ে জানতে চাইলে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম যুগান্তরকে বলেন, ‘তদন্ত এখনও সম্পন্ন হয়নি। শেষ হলে আমরা বিস্তারিত জানাতে পারব। এখনই এ বিষয়ে হ্যাঁ বা না বলার সময় আসেনি।’

খালেদের দীর্ঘদিনের সহযোগী মোহাম্মদ আলী বর্তমানে পলাতক। তিনি টেলিফোনে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে হামলায় আমার ওস্তাদই তো (খালেদ) ছিল। তিনি যে ওই হামলায় জড়িত ছিল এটা আমরা জানি।’

একদিন খালেদের বাবা আইনজীবী মান্নান ভূঁইয়া আমাকে বলছিলেন, ‘আমি যদি আইনজীবী না হতাম তবে খালেদের এসব মামলা কী গায়েব করতে পারতাম। আমি যখন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলাম, সব ফাইল গায়েব করে দিছি।’

আমি বললাম, খালু একটু কনতো ফাইল গায়েব করে ক্যামনে। তখন তিনি বলেন, ‘তুমি উকিল হলে বুঝতা। বিএনপি ক্ষমতায় আসুক তোমাকে বুঝামু।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে খালেদের বাবা আবদুল মান্নান ভূঁইয়া বলেন, ‘এসব কথা ভিত্তিহীন। তখন খালেদ নবম শ্রেণিতে পড়ত। সে কীভাবে ফ্রিডম পার্টি করে। এসব কথা কোথা থেকে আসে কীভাবে আসে বুঝতে পারি না। নথি গায়েব এমন কোনো কিছু নেই।’

খালেদের সহযোগী আলীর বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে মান্নান ভূঁইয়া বলেন, ‘সে পালিয়ে চলে গেছে। পূর্বাচল থেকে পালিয়ে গেছে। এগুলো বলে তো আর লাভ নেই। আলী তার নাম। সে ক্রিমিনাল কেসের আসামি। সে অবৈধভাবে অনেক সম্পদের মালিক হয়েছে।’

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, তদন্তে বেরিয়ে আসে তৎকালীন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িতরা ফ্রিডম পার্টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। হামলার আগে ধানমণ্ডির ফ্রিডম পার্টির অফিসে গোপন বৈঠক হয়। ওই বৈঠকের নেতৃত্ব দেয় লে. কর্নেল (অব.) সৈয়দ ফারুখ রহমান এবং লে. কর্নেল (অব.) খন্দকার আবদুর রশীদ। ওই বৈঠকে শীর্ষ সন্ত্রাসী মানিক, মুরাদ, তাদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী খালেদসহ ২০ জন উপস্থিত ছিল।

পরে হামলায় মানিক, মুরাদ, খালেদসহ ১২ জন ১৯৮৯ সালের ১১ আগস্ট রাত সাড়ে ১২টায় ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে শেখ হাসিনার বাসায় দুটি ট্যাক্সিযোগে হামলা করে। তদন্ত চলাকালে অভিযুক্তদের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান, খালেদ ওরফে খালেক ওরফে খালেদ অলিভী এবং শহিদুল ওরফে খোকন মারা যাওয়ায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

র‌্যাবের এক কর্মকর্তা বলেন, ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর খালেদের বাবা আবদুল মান্নান ভূঁইয়া সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। তখন তিনি ধীরে ধীরে ওই মামলার অনেক নথি নষ্ট করে ফেলেন। এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই এক সময় খালেদের নামটিও কৌশলে অভিযোগপত্র থেকে বাদ যায়।

অভিযোগপত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, মোস্তাফিজুর রহমান, খালেদ ওরফে খালেক ওরফে খালেদ অলিভী এবং শহিদুল ওরফে খোকন নামে তিনজনকে মৃত দেখিয়ে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান মোহাম্মদপুর থানার ১৮(০৫)৯৬ নম্বর মামলায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেফতার হয়।

১৯৯৬ সালের ২০ মে সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। খালেদ ওরফে অলিভী নিহত হওয়ার বিষয়ে সূত্রাপুর থানার ২৩(০৫)৯১ নম্বর মামলার সূত্র উল্লেখ করা হয়। শহিদুল ওরফে খোকনের মৃত্যুর বিষয়েও রমনা থানার একটি মামলার সূত্র উল্লেখ করা হয়। মোস্তাফিজুর রহমানের মৃত্যুর বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত থাকলেও খালেদ ও শহিদুলের মৃত্যুর বিষয়ে নেই।

খালেদের মৃত্যুর বিষয়ে সূত্রাপুর থানায় যোগাযোগ করা হলেও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে সূত্রাপুর থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী যুগান্তরকে বলেন, ১৯৯১ সালের পর সূত্রাপুর থানা ভেঙে আরও কয়েকটি থানা হয়েছে। অনেক নথিপত্র ওইসব থানায় চলে গেছে। তাছাড়া এতদিন আগের মামলার নথি পাওয়া প্রায় অসম্ভব।

আরও মামলা থেকে খালেদের নাম বাদ : খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টা মামলা থেকেই নয়, একাধিক মামলা থেকে খালেদের নাম বাদ দেয়ার বিষয়েও তথ্য পাওয়া গেছে। ১৯৯৪ সালে শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনিতে খুন হন পলাশ। এই ঘটনাটি সে সময় ব্যাপক আলোচিত ছিল। ওই মামলায় আসামি হিসেবে খালেদের নাম ছিল। তদন্তে তার পিতার নাম এবং ঠিকানা না পাওয়ায় খালেদ ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যায়। অভিযোগ রয়েছে, প্রভাবশালী আইনজীবী বাবার কারণেই খালেদকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়নি।

বিএ-০৬/১৮-১০ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

একদিনের মাঝে কলা পাকাতে ৪ নিয়ম

একদিনের মাঝে

বেশিরভাগ সময় কলা কেনা হয় কিছুটা আধা পাকা ও আধা কাঁচা দেখে।

এতে করে ঘরে রেখে কয়েকদিন ধরে কলা খাওয়া যায়। এছাড়া পাকা কলা কিনলে দ্রুত নষ্ট হয়ে যায় বলে পাকা কলা কেনার ক্ষেত্রে সকলে এড়িয়ে যায়। কিন্তু কদাচিৎ এমন কিছু কাঁচা কলা পাওয়া হয়, যা সহজে পাকতে চায় না। দুই-তিনদিন সময় কেটে গেলেও কলার খাওয়ার উপযোগী হয় না। সেক্ষেত্রে একদম সাধারণ চারটি নিয়মের যেকোন একটি নিয়ম মেনে কাজ করলে সহজেই কলা খাওয়ার মতো পেকে যাবে।

তুলনামূলক উষ্ণ স্থানে সংরক্ষণ

সাধারণত যে সকল স্থানে ফল রাখা হয়, তার চাইতে কিছুটা উষ্ণ স্থানে কলা রাখা হলে ২৪-৪০ ঘন্টার মাঝেই সুন্দরভাবে পেকে যাবে। উষ্ণতা ফলের ভেতরে থাকা চিনিকে বের করে আনে, যা ফলকে পাকতে সাহায্যে করে। তবে এর জন্য রান্নাঘরে বা চুলার আশেপাশে রাখা যাবে না কলাকে। এতে করে কলা পাকার বদলে নষ্ট হয়ে যাবে অতিরিক্ত তাপমাত্রার দরুন।

কাগজের ব্যাগে কলা সংরক্ষণ

ভালো মানের কাগজের ব্যাগে কলা সংরক্ষণে মাধ্যমে বেশ দ্রুত কলাকে পাকানো যায়। কাগজের ব্যাগে কলা রেখে ব্যগের মুখ বন্ধ করে রাখলে কলা থেকে নির্গত ইথিলিন (Ethylene) ব্যাগের ভেতরেই বদ্ধ থাকবে, যা কলাকে দ্রুত পাকতে সাহায্য করবে। এই পদ্ধতিতে ১২-২৪ ঘন্টার মাঝেই কলা ভালোভাবে পেকে যাবে।

অন্য ফলের সাথে মিশিয়ে রাখা

শুধু কলা থেকেই নয়, অন্যান্য সকল ফল থেকেই ইথিলিন নির্গত হয়। তাই ঘরে যদি কাগজের ব্যাগ বা প্যাকেট না থাকে তবে অন্য ফলের সাথে মিলিয়ে রেখে দিতে হবে কলাকে। এতে ১২-৩০ ঘন্টার মাঝেই কলা খাওয়ার মতো পেকে যাবে।

চালের ভেতর রেখে দেওয়া

ঘরে যদি কাগজের ব্যাগ ও অন্য কোন ফলও না থাকে তবে শেষ পদ্ধতি হিসেবে চালের ভেতর রেখে দিতে হবে কলাকে। চালের ভেতর বদ্ধ আবহাওয়া ও কলা থেকে নির্গত ইথিলিন মিলে কলাকে খুব ভালোভাবে পাকিয়ে ফেলতে পারবে। এর জন্য ১৮-২৪ ঘন্টাই যথেষ্ট।

আরএম-২৫/১৮/১০ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)