সকাল ৭:৩২
সোমবার
২০ শে মে ২০২৪ ইংরেজি
৬ ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১২ ই জ্বিলকদ ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

এবারের নির্বাচনে ৪টি পর্যবেক্ষক সংস্থার অব্যাহতি চায় আ.লীগ

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চারটি সংস্থাকে পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

বুধবার বিকেলে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ইসির সঙ্গে সাক্ষাত করে এই দাবি করেন।

পরে সাংবাদিকদের এইচটি ইমাম বলেন, এরা যদি নির্বাচন পর্যবেক্ষণে থাকে, এদের যদি নিয়ন্ত্রণ করা না হয়, তবে বিপর্যয় ঘটতে পারে। নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে দেশি ও বিদেশিরা কাজ করেন। দেশীয় যে ১১৮টি পর্যবেক্ষক সংস্থা রয়েছে এদের মধ্যে চারটি সংস্থা একেবারেই দলীয়।

এরা হলো- ডেমোক্রেসি ওয়াচ, খান ফাউন্ডেশন, লাইট হাউস ও বাংলাদেশ মানবাধিকার সমন্বয় পরিষদ। এরমধ্যে ডেমোক্রেসি ওয়াচের প্রধান হচ্ছেন তালেয়া রেহমান। যিনি বিএনপির বড় নেতা ও সাংবাদিক লেখক শফিক রেহমানের স্ত্রী। খান ফাউন্ডেশন চালান বিএনপি নেতা ড. মঈন খানের স্ত্রী।

লাইট হাউসের পেছনে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত রয়েছেন তারেক রহমান। আর বাংলাদেশ মানবাধিকার সমন্বয় পরিষদের নেপথ্যে এখন রয়েছেন আদিলুর রহমান খান। যার প্রতিষ্ঠান অধিকারের নিবন্ধন কয়েকদিন আগেই ইসি বাতিল করেছে।

বিএ-১৬/১২-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

নক-আউট পর্ব সহজ নয় বললেন রোনালদো

সুইজারল্যান্ড স্টাডা ডে সুইজ্জায় বুধবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজেদের গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলতে মাঠে নামবে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর জুভেন্টাস। ৫ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১২। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নক-আউটে খেলা প্রায় নিশ্চিত ইতালীয় ক্লাবটির। কিন্তু পরের ধাপের লড়াইয়ের আগে পর্তুগিজ তারকা সতর্ক করে দিলেন তার ক্লাব ও সতীর্থদের।

রোনালদো নিজে পাঁচ বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগজয়ী ক্লাবে খেলেছেন। চার বার রিয়াল মাদ্রিদে। একবার ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে। তাঁর নতুন ক্লাব জুভেন্টাস শেষবার এই ট্রফি জেতে ১৯৯৫-’৯৬ মৌসুমে। তুরিনের এই ক্লাবের সমর্থকদের আশা পাঁচ বারের ব্যালন ডি’ওর জয়ী ফুটবলার যোগ দেওয়ায় তাঁরা আবার ইউরোপের সেরা ক্লাব হয়ে উঠবেন।

রোনালদো অবশ্য পরিষ্কার বলে দিলেন, কাজটা মোটেই অত সহজ নয়, অবশ্যই আমিও চাই এই ট্রফিটা জুভেন্টাসকে দিতে। কিন্তু কাজটা মোটেই সহজ নয়। ধাপে ধাপে আমাদের এগোতে হবে। সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করতে হবে। তা ছাড়া নক-আউটে একটা ভুল মানেই সব শেষ। গ্রুপে আমাদের সঙ্গে ইউনাইটেডের (ম্যাঞ্চেস্টার) খেলাটার কথাই ধরুন না। আমরা কিন্তু ম্যাচটায় ১-২ হেরেছি। এটাই যদি কোয়ার্টার ফাইনাল হত, তা হলে কিন্তু আমরা ছিটকে যেতাম। সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন, আসলে এই ধরনের প্রতিযোগিতা জিততে আরও একটা জিনিস লাগে। সেটা হচ্ছে ভাগ্য।

সেরি আ-তে দুরন্ত ফর্মে খেলে যাচ্ছেন রোনালদো। এবং নতুন ক্লাবের হয়ে ইতিমধ্যেই ১১টি গোল করে ফেলেছেন। জুভেন্টাস নিয়ে দারুণ আশাবাদী রোনালদো বলেছেন, বিশেষ কারও নাম করাটা ঠিক হবে না। তবে এটা বলতে পারি, যে এত ভাল দলে ফুটবল জীবনে এর আগে কখনও খেলিনি। তাঁর আরও কথা, এখানে আমরা ঐক্যবদ্ধ। অন্য জায়গায় দেখেছি কেউ কেউ নিজেদের সব সময় বিরাট কিছু ভাবে। মাদ্রিদের থেকে এখানকার পরিবেশও অনেক আলাদা। এখানে আমরা সবাই একটা পরিবারের মতো।

জুভেন্টাসের মতোই রোনালদোর পুরনো ক্লাব ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নক-আউটে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। তাই স্পেনে বুধবার ভ্যালেন্সিয়ার সঙ্গে তাদের খেলারও বিশেষ গুরুত্ব নেই। বরং ম্যান ইউ ম্যানেজার নাকি বেশি ভাবছেন ইপিএলে আগামী রবিবার লিভারপুলের সঙ্গে ম্যাচ নিয়ে। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ভ্যালেন্সিয়া ম্যাচকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না, এমন কথা পর্তুগিজ ম্যানেজার নিজে একবারও বলেননি।

জানিয়েছেন, এই ম্যাচে পল পোগবাকে তিনি প্রথম থেকেই খেলাবেন। এ দিকে, ইতিমধ্যেই যোগ্যতা অর্জন করা ম্যাঞ্চেস্টার সিটি বুধবার খেলবে হফেনহাইমের বিরুদ্ধে। ম্যান সিটি ম্যানেজার পেপ গুয়ার্দিওলা বেশ কয়েক জন নতুন ফুটবলারকে খেলিয়ে ঝুঁকি নিচ্ছেন বলে খবর। সঙ্গে তিনি বলেছেন, মোটেই আমরা অপরাজেয় কোনও শক্তি নই। চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও ভাল কিছু করার চেষ্টা করব। এর থেকে বড় কোনও আশ্বাস দিতে পারছি না।

এসএইচ-১২/১২/১২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

ফজরের নামাজ পড়ে ভোটকেন্দ্র পাহারা দিতে হবে

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলো স্বাধীনতার একটা দিক। সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে দেশের স্বাধীনতাই থাকে না। ভোটের দিন কেন্দ্র দখল ঠেকাতে ফজরের নামাজ পড়ে ভোটকেন্দ্র সারাদিন পাহারা দিতে হবে। জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে সরকারের অসৎ উদ্দেশ্য টিকবে না।

বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সিলেটে হজরত শাহজালালের (রহ.) মাজার প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

ড. কামাল হোসেন বলেন, অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য এখনো লেভেল প্লেইন ফিল্ড সৃষ্টি হয়নি। ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে দেশের ১৮ কোটি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। অতীতে জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে আমরা বড় বড় বিজয় অর্জন করেছি। ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্বে এবারও মানুষ সুষ্ঠু ভোটের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। মানুষ তার নিজের ভোট পছন্দের প্রার্থীকে দিতে পারলে সারাদেশে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা বিপুল ভোটে জয়ী হবেন।

তিনি আরও বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে দেশের মালিক যে জনগণ সেটা থাকে না। জনগণের মালিকানা না থাকলে স্বাধীনতা থাকে না। স্বাধীনতার লক্ষ্যই সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন।

ড. কামাল বলেন, প্রতিদিন আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। এটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আলামত নয়। আমরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত মাঠে থাকবো। সুষ্ঠু নির্বাচন আদায় করে নিতে হবে।

জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ৩০ তারিখ সকালে আপনারা ভোট প্রয়োগ করবেন। ভোটকেন্দ্র পাহারা দেবেন। দুই নম্বরি করতে দেবেন না। শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে লড়ে যাবো আমরা।

এ সময় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, জেএডডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, বিএনপির স্থায়ী কমিটিরর সদস্য নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সিলেটে আসায় দুপুরের আগেই মাজার এলাকায় জড়ো হন বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্টের শরীক বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা। মাজারের প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হয়ে নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। মানুষের ভিড়ের কারণে ড. কামাল হোসেন মাজারে যেতে পারেননি। তিনি মাজারের সামনের মাঠে চেয়ারে বসে হজরত শাহজালালের (রহ.) মাজার জিয়ারত করেন এবং মাগরিবের নামাজ আদায় করেন।

বিএ-১৪/১২-১২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

প্রতীক বরাদ্দের পর বিএনপির ১৮১ নেতাকর্মী গ্রেফতার

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসিচব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ বলেছেন, তফসিল ঘোষণার পর থেকে প্রতীক বরাদ্দের আগ পর্যন্ত প্রার্থীসহ বিএনপির ২ হাজার ১৭১ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর প্রতীক বরাদ্ধের পর থেকে গ্রেফতার হয়েছেন ১৮১ জন।

বুধবার ঢাকার নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানান তিনি।

রিজভী বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকারি দলের সন্ত্রাসী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে ধানের শীষের প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকদের ওপর বেপরোয়া হামলা চালিয়ে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় বাধা, এলাকা ছাড়ার হুমকি, হামলা চালিয়ে আহত করা ও গ্রেফতারসহ নানামুখী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, ভাটারা থানাধীন ৪০নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি কফিল উদ্দিনের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার দিনগত রাত ৩টার সময় ডিবি পুলিশ হানা দিলে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে কফিল উদ্দিন বাসার ছাদে আত্মগোপন করে।

এসময় ডিবি পুলিশ তার ছেলেকে পেয়ে চরম নির্যাতন করে। তারা কফিল উদ্দিনকে খুঁজতে খুঁজতে একপর্যায়ে বাসার ছাদে পেয়ে যায় এবং মারতে মারতে ছাদ থেকে ফেলে দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু ঘটে।

বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, পুলিশের এই বর্বর আচরণ ও নৃশংসতার নিন্দা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। বর্তমান স্বৈরাচারী সরকারের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিষ্ঠুরতা বন্য হিংস্রতাকেও হার মানিয়েছে। ক্ষমতায় টিকে থাকতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নির্ভরশীল বর্তমান শাসকগোষ্ঠীকে জনগণের কাছে তাদের প্রতিটি অপকর্মের জবাব দিতেই হবে।

এ সময় তিনি আরও অভিযোগ করেন, হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়েই বিএনপির নিজস্ব ওয়েবসাইটটি সরকার ব্লক করেছে। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করে সরকার এখন বিরোধী দলের প্রযুক্তি ব্যবহারের অধিকারকেও হরণ করছে।

বিএ-১৩/১২-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

লেমুর পরিবারে নতুন অতিথি

গত ৬ আগস্ট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উদ্ধার হওয়া আফ্রিকান প্রাণী লেমুর থেকে দুটি বাচ্চা পাওয়া গেছে। গত ২৭ নভেম্বর বাচ্চা পাওয়া গেলেও নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ আজ বুধবার বিষয়টি প্রকাশ করে। দেশে এই প্রথম বারের মতো লেমুর থেকে বাচ্চা পাওয়া গেল। এনিয়ে সাফারি পার্কে লেমুরের সংখ্যা দাঁড়ালো চারটিতে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক আনিছুর রহমান জানান, উদ্ধারের পর থেকেই লেমুরকে পার্কের বিশেষ কোরেন্টাইনে রাখা হয়েছে। কোরেন্টাইনে বদ্ধ পরিবেশে গত ২৭ নভেম্বর তারা দুটি বাচ্চা জন্ম দিয়েছে। বাংলাদেশের অন্য কোথাও লেমুর নেই। লেমুর দেখতে অনেকটা বানর বা হনুমানের মতো।

লেমুর হল আফ্রিকার মাদাগাস্কারের প্রাইমেট গোত্রভুক্ত কিছু প্রাণীর সমষ্টিগত নাম। যার অর্থ ভূতের মত। রাতের আধারে লেমুরের মুখে আলো ফেললে অনেকটা ভূতের মত দেখায়, তাই এর নামকরণ এভাবে করা হয়েছে। প্রাকৃতিকভাবে লেমুর সাধারণত আফ্রিকার মাদাগাস্কারেই দেখতে পাওয়া যায়।

এই প্রজাতিটি খুব সম্ভবত সাড়ে ছয় কোটি বছর আগে মাদাগাস্কারে আবির্ভূত হয়েছিল। তখন থেকেই এই প্রজাতিটি মাদাগাস্কারের আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছে। লেমুরের বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে আচরণের অনেক পার্থক্য দেখা যায়। বড় আকারের লেমুররা সচরাচর দিনের বেলা ঘুরাফেরা করলেও ছোট আকারের গুলো নিশাচর হয়। এদের মধ্যে সামাজিক ব্যবস্থা, কার্যকলাপ, শিকার থেকে সুরক্ষিত থাকার কৌশল, প্রজনন এবং বুদ্ধিমত্তার পার্থক্যও দেখা যায়। দলবদ্ধভাবে থাকার পরও খাদ্য সংগ্রহের জন্য এরা একা বিচরণ করে এবং খাদ্যগ্রহণ শেষে পুনরায় দলে ফিরে আসে।

তিনি আরও জানান, সচরাচর লেমুররা অনেক ধরনের খাদ্য গ্রহণ করে। তবে ছোট আকারের লেমুররা পতঙ্গ এবং ফল ফলাদি খেয়ে থাকে। অপরদিকে বড় আকারের লেমুররা গাছপালা ও লতাপাতা খেয়ে জীবন ধারণ করে। প্রিয় খাদ্যের তালিকায় থাকুক আর নাই থাকুক ক্ষুধার্ত লেমুররা হজমযোগ্য প্রায় সবকিছুই খেতে পারে। রিং টেইল্ড লেমুররা (গোলাকৃতি লেজের) তৃণভোজীও হয়ে থাকে। তাই এদেরকে খাদ্যের প্রাপ্যতা সাপেক্ষে সর্বভূক প্রাণী বলা চলে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, লেমুর বাংলাদেশে নেই। বাংলাদেশের পরিবেশে লেমুর থেকে বাচ্চা পাওয়ায় কিছুটা আশার সঞ্চয় হয়েছে। আশা করা যায় ভবিষ্যতেও লেমুর থেকে বাচ্চা পাওয়া যাবে।

বিএ-১২/১২-১২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

জাতীয় ক্রি‌কেট দলের জার্সিতে ইউনিসেফের লোগো

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি সম্পন্ন করলো ইউনিসেফ।বিসিবির সঙ্গে আন্তর্জাতিক শিশু সংস্থাটি দুই বছরের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। মূলত কিশোর ও কিশোরীদের ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে ইউনিসেফ বিসিবির সঙ্গে যুক্ত হল। বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী ও ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি এডওয়ার্ড বেগবেদা এই চুক্তিতে সই করেন।

চুক্তি অনুযায়ী, বিশ্বখ্যাত ইউনিসেফ লোগো এখন থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের (পুরুষ, নারী ও অনূর্ধ্ব-১৯ দল) জার্সিতে শোভা পাবে। কলারের বাম পাশে থাকবে এই লোগো। এর মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো মা ও শিশুর প্রতীক সম্বলিত এই লোগো আন্তর্জাতিক কোনো ক্রিকেট দলের জার্সিতে স্থান পেতে যাচ্ছে।

চুক্তি স্বাক্ষরের পর ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি এডওয়ার্ড বেগবেদা বলেন, বাংলাদেশে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তার কারণে এই অংশীদারিত্বকে ঘিরে অনেক উচ্চাশা রয়েছে। অতীতে বিভিন্ন সময়ে ইউনিসেফ ও বিসিবির মধ্যে বেশ কিছু সহযোগিতামূলক কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তবে এই অংশীদারিত্বের আওতায় আমরা ক্রিকেটের মাধ্যমে অনেক বেশি সুবিধাবঞ্চিত শিশুর কাছে পৌঁছাতে এবং তাদের ক্ষমতায়ন করতে পারব বলে আশা করি।

বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ক্রিকেটের যে ব্যাপক ইতিবাচক ধারা রয়েছে, ইউনিসেফের সঙ্গে এই অংশীদারিত্ব সেটাকে আরও বেগবান করবে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে শিশুদের খেলাধুলার অধিকারকে জোরালোভাবে সমর্থন করার মাধ্যমে বিসিবির বিদ্যমান কাজগুলোকে আরও বেশি মানবিক করে তুলবে।

চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, সব ছেলে-মেয়ের জন্য খেলাধুলার অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে, বিশেষ করে ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়েদের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ইউনিসেফ বিসিবির ক্রিকেট উন্নয়ন কার্যক্রমে সহায়তা দিবে।

শিশু অধিকার সম্পর্কিত বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ২০০৬ সাল থেকে বাংলাদেশ ক্রি‌কেট বোর্ডের পাশাপাশি জাতীয় ক্রি‌কেট দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে আসছে ইউনিসেফ। বিসিবির মাধ্যমে সংস্থাটি আইসিসি’র বেশ কিছু আয়োজনেও সম্পৃক্ত ছিল। সেগুলোর ম‌ধ্যে উল্লেখযোগ্য, আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১১, আইসিসি নারী বিশ্বকাপ বাছাই ২০১১, আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০১৪ সহ আরো বেশ কয়েকটি আয়োজন।

বিসিবি কার্যালয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার সময় বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তারকা অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। ফটোসেশনেও অংশ নেন তিনি।

এসএইচ-১১/১২/১২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে সরকার: মিনু

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু অভিযোগ করেছেন, ক্ষমতাশীন আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে। বুধবার সকালে রাজশাহী-২ (সদর) আসনে নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এই অভিযোগ আনেন তিনি।

রাজশাহী সদর আসনে বিএনপি ও ঐক্যজোটের প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন মিজানুর রহমান মিনু। এই আসনে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগ সমর্থিত মহাজোটের প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশা।

নৌকা প্রতীক নিয়ে টানা তৃতীয় বারের মত নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বাদশ। হক দুই মেয়াদে এই আসনের সংসদ সদস্য বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক বাদশা।

মিনু অভিযোগ করেন, এই নির্বাচন বানচাল করতে সরকারী দল গভীর ষড়যন্ত্র করছে। ইতোমধ্যে দেশব্যাপি বিএনপি, ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা প্রদান করা হচ্ছে।

কোথাও কোথাও নির্বানী অফিস ও গাড়ী ভাঙ্গচুর করা হচ্ছে। ধানের শীষের পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন ছিড়ে ফেলা হচ্ছে। সরকারী দল যতই অত্যাচার ও নির্যাতন করুক বিএনপি নির্বাচন থেকে সরবেনা।

তিনি আরো বলেন, এই নির্বাচন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার নির্বাচন। এই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনা হবে। গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনার এই আন্দোলনে ধানের শীষে ভোট চান মিনু।

তিনি আরো বলেন, তিনি যখন মেয়র ও সংসদ সদস্য ছিলেন তখন রাজশাহীকে ঢেলে সাজিয়ে ছিলেন। তিনি রাজশাহীকে বিশে^র দরবারে একটি শান্তির শহর এবং গ্রীন সিটি, হিসেবে পরিচিত করিয়ে ছিলেন। এর জন্য সে সময়ে সিটি কর্পোরেশন বেশ কয়েকবার পুরস্কার লাভ করে।

কিন্তু বর্তমানে সেই সিটির সুনাম নষ্ট করে এখন মাদকের শহরে পরিণত করেছে। বেকারত্বে শহর ভরে গেছে। বেড়েছে চাঁদাবাজী ও ছিনতাই। এই সরকারের আমলে শহরে আর কোন উন্নয়ন হয়নি। তিনি যে সকল অফিস, আদালত ভবন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠান এবং রাস্তা, মাস্টার ড্রেন সহ অন্যান্য স্থাপনা করে গিয়েছিলেন সেইগুলোই এখনো রয়েছে।

তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত রাজশাহীকে একটি আধুনিক ও মডেল সিটি হিসেব গড়ে তুলবেন বলে বলেও জানান ধানের শীষের এই প্রার্থী।

সকাল থেকে নগরীর ১০ ও ১১ নং ওয়ার্ডে প্রচারণা চালান মিজানুর রহমান মিনু। এসময়ে তারর সঙ্গে ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এবং নগর সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, নগর বিএনপি সহ-সভাপতি নজরুল হুদা, বোয়ালিয়া থানা সভাপতি সাইদুর রহমান পিন্টু, নগর সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম সরকার, বোয়ালিয়া থানার সাধারণ সম্পদক রবিউল আলম মিলু, নগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপি নেতা ওয়ালিউল হক রানা, জেলা যুবদলের সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন, নগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটন, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জাকির হোসেন রিমন, সাংগঠনিক সম্পাদক আনন্দ কুমার, নগর ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জমান জনি, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রবি, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম জনি প্রমুখ।

বিএ-১১/১২-১২ (নিজস্ব প্রতিবেদক)

নৌকার বিজয় না হলে উন্নয়ন থেমে যাবে: বাদশা

একাদশ সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-২ (সদর) আসনে ১৪ দল মনোনীত ও মহাজোট সমর্থিত প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশা বলেছেন, বিগত ১০ বছরে বাংলাদেশে যত উন্নয়ন হয়েছে তা আর কখনোই হয়নি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে দেশ এক অনন্য উচ্চতায় যাবে। তাই উন্নয়নের জন্যই এই নির্বাচনে নৌকা প্রতিকে ভোট দিতে হবে।

বুধবার দুপুরে রাজশাহী মহানগরীর ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে নৌকা প্রতিকের প্রচারে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। বাদশা বলেন, দেশে এখন নিজের টাকায় পদ্মা সেতু হচ্ছে। এটি নৌকার অবদান। সারাদেশে উন্নয়নের জোয়ার বইছে।

সারাদেশের সে ঙ্গ রাজশাহীও উন্নয়নের মহাসড়কে উঠে গেছে। এবার তিনি নির্বাচিত হলে আরও বেশি উন্নয়ন হবে। কারণ, এবার সিটি করপোরেশনে যোগ্য মেয়রও বসেছেন। তিনি আর মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন রাজশাহীকে এগিয়ে নেবেন।

রাজশাহী সদর আসনের টানা দুইবারের এই সংসদ সদস্য বলেন, এ অঞ্চলের অর্থনীতিতে গতি আনতে তিনি বিমানবন্দর চালু করেছেন। হাইটেকপার্ক নির্মাণসহ বড় বড় প্রকল্পের কাজ চলছে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে এ সব উন্নয়ন থেমে যাবে।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা আরও বলেন, বিএনপি সরকার গঠন করলে উন্নয়নের টাকায় আবার জঙ্গিবাদের সৃষ্টি করবে, যেভাবে তারা বাগমারায় বাংলা ভাইয়ের সৃষ্টি করেছিল।

ফজলে হোসেন বাদশা এ দিন ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের চৌদ্দপায়া এবং এর আশপাশের এলাকায় নৌকা প্রতিকের প্রচার চালান। বিশাল একটি মিছিল নিয়ে তার সঙ্গে যোগ দেন ১৪ দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। ‘নৌকা’, ‘নৌকা’ শ্লোগান তুলে তারা চারপাশ মুখর করে তোলেন।

বিএ-১০/১২-১২ (নিজস্ব প্রতিবেদক)

পুলিশ হত্যায় ২০ চরমপন্থীর যাবজ্জীবন

মাদারীপুরের রাজৈর থানায় পুলিশের বিশেষ শাখার (ডিএসবি) এসআই আবুল হাসনাইন আজম খান এবং প্রধান সহকারী কামরুল আলম খান ঠাকুরকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় সর্বহারা ও চরমপন্থী দলের ২০ সদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রায়ে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ছয়জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মনির কামাল বুধবার এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত ২০ আসামির মধ্যে ১৩ জনই পলাতক। তারা হলেন-দাদন ফকির, আমীর হোসেন শেখ, জসিম শেখ, মাছিম শেখ, মজনু মাতুব্বর, ফয়েজ শেখ, উজ্জ্বল হাওলাদার, জাফর মাতুব্বর, কুব্বাস মাতুব্বর, হালিম আকন, মিরাজ শিকদার, এমে মোল্লা ও সুমন বাঘা।

মামলার ৩২ আসামির মধ্যে চারজন বন্দুকযুদ্ধে এবং দুজন বিচার চলাকালে মারা যান। বাকি ২৬ জনের মধ্যে ১৩ জন পলাতক।

রায় ঘোষণার পর আদালতে উপস্থিত সাজাপ্রাপ্ত অপর সাত আসামি মোশাররফ শেখ, আশরাফ শরিফ, বজলু আকন, আজাদ মোল্লা, দবির মোল্লা, সৈকত মোল্লা ও দীপু বিশ্বাসকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। তারা এতদিন জামিনে ছিলেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালের ৩ এপ্রিল এসআই আবুল হাসনাইন আজম খান এবং প্রধান সহকারী কামরুল আলম খান ঠাকুর মোটরসাইকেলযোগে শাখার পাড় যাওয়ার পর আসামিরা তাদের পরিচয় জিজ্ঞাসা করেন।

পুলিশ পরিচয় পেয়ে আসামিরা তাদের মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে রশি দিয়ে বেঁধে ফেলেন। এর পর মোটরসাইকেলসহ তাদের শ্রীনদীর দিকে নিয়ে যান তারা।

ট্রলারে উঠিয়ে প্রথমে মোটরসাইকেলটি নদীতে ফেলে দেন আসামিরা। এর পর প্রথমে কামরুলকে গলা কেটে হত্যার পর তার মাথা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়। বিচ্ছিন্ন মাথা হাসনাইনের হাতে ধরিয়ে দেয়া হয়।

কামরুলের লাশ টুকরো টুকরো করে কেটে নদীতে ফেলে দেয়া হয়। পরে হাসনাইনকে একইভাবে হত্যার পর তার লাশও টুকরো টুকরো করে নদীতে ফেলে দেয়া হয়।

২০০৭ সালের ৬ আগস্ট মাদারীপুরের রাজৈর থানার তৎকালীন ওসি একরাম মোল্লা ৩২ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০০৮ সালের ৪ মে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন।

বিএ-০৯/১২-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

দেশে কোনো দরিদ্র ও বেকার থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগের উন্নয়ন তৃণমূলের উন্নয়ন, নৌকায় ভোট দিলে কেউ কোনোদিন অধিকার বঞ্চিত হয় না। বুধবার বিকেল ৪টার দিকে শেখ লুৎফর রহমান কলেজ মাঠে জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।

দেশের অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে সবার সহযোগিতা চেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দেশে কোনো দরিদ্র থাকবে না, বেকার থাকবে না।

এ সময় নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে আবারও দেশের সেবা করার সুযোগ চান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।

দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা আমার একমাত্র লক্ষ্য উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ২০১৪ সালে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছিল বলে সারাবিশ্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল।

দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আগুন সন্ত্রসীদের ক্ষমতায় আসার পথ বন্ধ করুন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন তার ছোটবোন শেখ রেহানা।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চিত্রনায়ক রিয়াজ ও ফেরদৌস।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে জনসভায় বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান প্রমুখ।

এ নির্বাচনী জনসভার মধ্য দিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি।

এদিন সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান। দুপুরে তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান।

এরপর সেখান থেকেই তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করেন।

বুধবার দুপুর ২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান। সেখানে প্রধানমন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারত করেন। পরে পৈতৃক বাড়িতে দুপুরের খাবার শেষে নির্বাচনী সভায় অংশ নিতে কোটালীপাড়ায় যান।

বৃহস্পতিবার সড়কপথে ঢাকায় ফেরার পথে ফরিদপুরের ভাঙ্গা মোড়, ফরিদপুর মোড়, রাজবাড়ী মোড়, পাটুরিয়া ফেরিঘাট, মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড, ধামরাই রাবেয়া মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল মাঠে ও সাভার বাসস্ট্যান্ডে নির্বাচনী প্রচার কর্মসূচিতে অংশ নেবেন বলেও একটি সূত্রে জানা গেছে।

বিএ-০৮/১২-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক, তথ্যসূত্র: যুগান্তর)