বিকাল ৪:৪৫
বৃহস্পতিবার
১৬ ই মে ২০২৪ ইংরেজি
২ রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৮ ই জ্বিলকদ ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

২৪০ আসনে আ.লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত

ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৪০ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত করার পর মহাজোটের শরিকদের মাঝে বাকি আসন বণ্টন করা হয়েছে। তবে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ পর্যায়ে শরিকদের মধ্যে দু-একটি আসন পরিবর্তন হতে পারে।’

মহাজোটের শরিকদের চূড়ান্ত আসন বরাদ্দের ঘোষণা দিয়ে শুক্রবার দুপুরে ঢাকার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আব্দুল মান্নান, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আকতার, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী প্রমুখ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের যারা শরিক তারা ইচ্ছে করলে তাদের দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে পারবেন। তবে শরিকদের যেসব আসনে নৌকা প্রতীক দিয়েছি সেসব আসনের প্রার্থীদের আজ চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিলাম। এরমধ্যে মহাজোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির ৫ আসন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ-ইনু) ৩ আসনে, বিকল্পধারা ৩ আসনে, বাংলাদেশ জাসদ (আম্বিায়া) ১ আসনে, তরিকত ফেডারেশনকে ২ আসনে এবং জাতীয় পার্টি-জেপিকে (মঞ্জু) ২টি আসনের চিঠি দেয়া হয়েছে। ফলে মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টি বাদে অন্য দলের জন্য ১৬টি আসনের চিঠি দেয়া হয়েছে। এবারের নির্বাচনে জাতীয় পার্টির জন্য ৪০-৪২টি আসন রাখা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত এখার থেকেও দু-একটি আসন এদিক-সেদিক হতে পারে।’

সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদেরের পাশে বসা বিকল্পধারার মহাসচিব নিচু স্বরে আরও আসনের বিষয়ে বলতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মান্নান ভাই আপনি চাইলে কুলা মার্কায় আরও প্রার্থী দিতে পারেন। আমরা তিনটার বেশি দিতে পারব না।

শ্রদ্ধেয় বি. চৌধুরী সাহেবের সঙ্গে আমাদের নেত্রী আলাপ করবেন। আমি জানি আপনাদের আরও প্রার্থীর প্রত্যাশা। তবে আমরা নৌকা প্রতীকে এর বেশি দিতে পারব না। আপনারা কুলা মার্কা নিয়ে আরও প্রার্থী দিতে পারেন।’

বিএ-১০/০৭-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক, তথ্যসূত্র: জাগো নিউজ)

বিএনপির চূড়ান্ত টিকিট পেলেন যারা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজেদের জন্য ২০৬ আসনে চূড়ান্ত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আগামীকাল শনিবার বিকেলে ২০ দলীয় জোট ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। গণতান্ত্রিক অন্দোলন এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির অংশ হিসেবে আমরা এই নির্বাচনে আছি।’

বাকি ৯৪ আসন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের আপিল নিষ্পত্তির পর বাকি আসনগুলোর বিষয়ে জোট ও ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আলোচনা করে শনিবার সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’

বিএনপির চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় স্থান পেয়েছেন যারা

রংপুর বিভাগ: পঞ্চগড়-১ আসনে ব্যারিস্টার নওশাদ জমির, পঞ্চগড়-২ আসনে ফরহাদ হোসেন আজাদ, ঠাকুরগাঁও-১ আসনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে জাহিদুর রহমান, দিনাজপুর-৪ আসনে আক্তারুজ্জামান মিয়া, দিনাজপুর-৫ আসনে রেজওয়ানুল হক, নীলফামারী-১ আসনে রফিকুল ইসলাম, লালমনিরহাট-১ আসনে হাসান রাজিব প্রধান, লালমনিরহাট-২ আসনে রোকনউদ্দিন বাবুল, লালমনিরহাট-৩ আসনে আসাদুল হাবিব দুলু, রংপুর-২ আসনে মোহাম্মদ আলী সরকার, রংপুর-৩ আসনে রিটা রহমান, রংপুর-৪ আসনে এমদাদুল হক, রংপুর-৬ আসনে সাইফুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম-১ আসনে সাইফুল ইসলাম রানা, কুড়িগ্রাম-৩ আসনে তাসবিরুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম-৪ আসনে আজিজুর রহমান, গাইবান্ধা-৪ আসনে ফারুক কবির আহমেদ, গাইবান্ধা-৫ আসনে ফারুক আলম সরকার।

রাজশাহী বিভাগ: জয়পুরহাট-১ আসনে ফজলুর রহমান, জয়পুরহাট-২ আসনে আবু ইউসুফ খলিলুর রহমান, বগুড়া-১ আসনে কাজী রফিকুল ইসলাম, বগুড়া-৪ আসনে মোশাররফ হোসেন, বগুড়া-৫ আসনে গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে শাহজাহান মিয়া, চাপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে আমিনুল ইসলাম, চাপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে হারুনুর রশীদ, নওগাঁ-১ আসনে মোস্তাফিজুর রহমান, নওগাঁ-২ আসনে শামসুজ্জোহা খান, নওগাঁ-৩ আসনে পারভেজ আরেফিন সিদ্দিকী, নওগাঁ-৪ আসনে ডা. শামসুল আলম প্রমানিক, নওগাঁ-৫ আসনে জাহিদুল ইসলাম ধলু, নওগাঁ-৬ আসনে আলমগীর কবির, রাজশাহী-১ আসনে ব্যারিস্টার আমিনুল হক, রাজশাহী-২ আসনে মিজানুর রহমান মিনু, রাজশাহী-৩ আসনে শফিকুল হক মিলন, রাজশাহী-৪ আসনে আবু হেনা, রাজশাহী-৫ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, রাজশাহী-৬ আসনে আবু সাঈদ চাঁদ, নাটোর-১ আসনে কামরুন্নাহার, নাটোর-২ আসনে সাবিনা ইয়াসমিন, নাটোর-৩ আসনে দাউদার মাহমুদ, নাটোর-৪ আসনে আবদুল আজিজ, সিরাজগঞ্জ-১ রুমানা মোরশেদ কনকচাঁপা, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে আবদুল মান্নান তালুকদার, সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে আমিরুল ইসলাম খান আলিম, সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে কামরুদ্দিন ইয়াহিয়া খান মজলিস, পাবনা-২ আসনে একেএম সেলিম রেজা হাবিব, পাবনা-৩ আসনে কেএম আনোয়ারুল ইসলাম, পাবনা-৪ আসনে হাবিবুর রহমান হাবিব।

খুলনা বিভাগ: মেহেরপুর-১ আসনে মাসুদ অরুন, কুষ্টিয়া-১ আসনে রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা, কুষ্টিয়া-৩ আসনে জাকির হোসেন সরকার, কুষ্টিয়া-৪ আসনে সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে মাহমুদ হাসান খান, ঝিনাইদহ-৪ আসনে সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, যশোর-১ আসনে মফিকুল হাসান তৃপ্তি, যশোর-৩ আসনে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, যশোর-৪ আসনে ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব, যশোর-৬ আসনে আবুল হোসেন আজাদ, মাগুরা-১ আসনে মনোয়ার হোসেন খান, মাগুরা-২ আসনে নিতাই রায় চৌধুরী, নড়াইল-১ আসনে সাজ্জাদ হোসেন, বাগেরহাট-১ আসনে মাসুদ রানা, বাগেরহাট-২ আসনে এমএ সালাম, খুলনা-১ আসনে আমীর এজাজ খান, খুলনা-২ আসনে নজরুল ইসলাম মঞ্জু, খুলনা-৩ আসনে রকিবুল ইসলাম বকুল, খুলনা-৪ আসনে আজিজুল বারী হেলাল, সাতক্ষীরা-১ আসনে হাবিবুল ইসলাম হাবিব।

বরিশাল বিভাগ: পটুয়াখালী-১ আসনে আলতাফ হোসেন চৌধুরী, পটুয়াখালী-৩ আসনে গোলাম মওলা রনি, পটুয়াখালী-৪ আসনে এবিএম মোশাররফ হোসেন, ভোলা-২ আসনে হাফিজ ইবরাহিম, ভোলা-৩ আসনে মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম, ভোলা-৪ আসনে নাজিমউদ্দিন আলম, বরিশাল-১ আসনে জহিরউদ্দিন স্বপন, বরিশাল-২ আসনে সরদার শরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু, বরিশাল-৩ আসনে অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন, বরিশাল-৫ আসনে মজিবুর রহমান সরোয়ার, বরিশাল-৬ আসনে আবুল হোসেন খান, ঝালকাঠি-১ আসনে ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ঝালকাঠি-২ আসনে জেবা আমিন খান, পিরোজপুর-৩ আসনে রুহুল আমিন দুলাল।

ময়মনসিংহ বিভাগ: জামালপুর-২ আসনে সুলতান মাহমুদ বাবু, জামালপুর-৩ আসনে মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, জামালপুর-৪ আসনে ফরিদুল কবির তালুকদার, জামালপুর-৫ আসনে অ্যাডভোকেট শাহ ওয়ারেস আলী মামুন, শেরপুর-১ আসনে ডা. শানসিলা, শেরপুর-২ আসনে একেএম মোখলেসুর রহমান রিপন, শেরপুর-৩ আসনে মাহমুদুল হক রুবেল, ময়মনসিংহ-২ আসনে শাহ শহীদ সারওয়ার, ময়মনসিংহ-৩ আসনে আহম্মেদ তায়েবুর রহমান হিরন, ময়মনসিংহ-৫ আসনে মোহাম্মদ জাকির হোসেন বাবলু, ময়মনসিংহ-৬ আসনে ইঞ্জিনিয়ার শামসুদ্দিন আহমদ, ময়মনসিংহ-৭ আসনে জয়নাল আবেদীন, ময়মনসিংহ-৯ আসনে খুররম খান চৌধুরী, ময়মনসিংহ-১১ আসনে ফখরুদ্দিন বাচ্চু, নেত্রকোনা-১ আসনে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, নেত্রকোনা-২ আসনে আনোয়ারুল হক, নেত্রকোনা-৩ আসনে রফিকুল ইসলাম হিলালী, নেত্রকোনা-৪ আসনে তাহমিনা জামান শ্রাবনী।

ঢাকা বিভাগ: কিশোরগঞ্জ-১ আসনে রেজাউল করিম খান চুন্নু, কিশোরগঞ্জ-২ আসনে মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন, কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে অ্যাডভোকেট মো. ফজলুর রহমান, কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল, কিশোরগঞ্জ-৬ মো. শরীফুল আলম, টাঙ্গাইল-২ আসনে সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, টাঙ্গাইল-৫ আসনে মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান, টাঙ্গাইল-৬ আসনে অ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তী, টাঙ্গাইল-৭ আসনে আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, মানিকগঞ্জ-১ আসনে এসএ জিন্নাহ কবীর, মানিকগঞ্জ-২ আসনে ইঞ্জিনিয়ার মইনুল ইসলাম খান শান্ত, মুন্সিগঞ্জ-১ আসনে শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, মুন্সিগঞ্জ-২ আসনে মিজানুর রহমান সিনহা, মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনে আবদুল হাই, ঢাকা-২ আসনে ইরফান ইবনে আমান, ঢাকা-৩ আসনে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঢাকা-৪ আসনে সালাহউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা-৮ আসনে মির্জা আব্বাস, ঢাকা-১০ আসনে আবদুল মান্নান, ঢাকা-১১ আসনে শামীম আরা বেগম, ঢাকা-১২ আসনে সাইফুল আলম নীরব, ঢাকা-১৩ আসনে আবদুস সালাম, ঢাকা-১৬ আসনে আহসান উল্লাহ হাসান, ঢাকা-১৯ আসনে ডা. দেওয়ান সালাহউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা-২০ আসনে তমিজউদ্দিন, গাজীপুর-১ আসনে চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী, গাজীপুর-২ আসনে সালাহউদ্দিন সরকার, গাজীপুর-৪ আসনে শাহ রিয়াজুল হান্নান, গাজীপুর-৫ আসনে ফজলুল হক মিলন, নরসিংদী-১ আসনে খায়রুল কবীর খোকন, নরসিংদী-২ আসনে ড. আবদুল মঈন খান, নরসিংদী-৪ আসনে সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে নজরুল ইসলাম আজাদ, রাজবাড়ি-১ আসনে আলী নেওয়াজ খৈয়াম, রাজবাড়ি-২ আসনে নাসিরুল হক সাবু, ফরিদপুর-১ আসনে শাহ মো. আবু জাফর, ফরিদপুর-২ আসনে শামা ওবায়েদ ইসলাম, ফরিদপুর-৩ আসনে চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, ফরিদপুর-৪ আসনে ইকবাল হোসেন খন্দকার সেলিম, গোপালগঞ্জ-১ আসনে শরফুজ্জামান জাহাঙ্গীর, গোপালগঞ্জ-২ আসনে সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, গোপালগঞ্জ-৩ আসনে এসএম আফজাল হোসেন, মাদারীপুর-১ আসনে সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকী লাভলু, মাদারিপুর-২ আসনে মিল্টন বৈদ্য, মাদারিপুর-৩ আসনে আনিসুর রহমান খোকন তালুকদার, শরিয়তপুর-২ আসনে শফিকুর রহমান কিরন, শরিয়তপুর-৩ আসনে মিয়া নুরুদ্দিন অপু।

সিলেট বিভাগ: সুনামগঞ্জ-১ আসনে নজির হোসেন, সুনামগঞ্জ-২ আসনে নাছির উদ্দিন চৌধুরী, সুনামগঞ্জ-৪ আসনে ফজলুল হক আসপিয়া, সুনামগঞ্জ-৫ আসনে মিজানুর রহমান চৌধুরী, সিলেট-৩ আাসনে শফি আহমদ চৌধুরী, সিলেট-৪ আসনে দিলদার হোসেন সেলিম, মৌলভীবাজার-১ আসনে নাসির উদ্দিন আহমদ মিঠু, মৌলভীবাজার-৩ আসনে এম নাসের রহমান, মৌলভীবাজার-৪ আসনে মুজিবুর রহমান চৌধুরী, হবিগঞ্জ-৩ আসনে জি কে গৌছ।

চট্টগ্রাম বিভাগ: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে একরামুজ্জামান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে প্রকৌশলী খালেদ মাহবুব শ্যামল, কুমিল্লা-১ আসনে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, কুমিল্লা-২ আসনে খন্দকার মোশাররফ হোসেন, কুমিল্লা-৩ আসনে কাজী মুজিবুল হক, কুমিল্লা-৮ আসনে জাকারিয়া তাহের সুমন, কুমিল্লা-৯ আসনে কর্নেল (অব.) আনোয়ারুল আজিম, চাঁদপুর-১ আসনে মোশারফ হোসেন, চাঁদপুর-২ আসনে ড. জালালউদ্দিন, চাঁদপুর-৪ আসনে এমএ হান্নান, চাঁদপুর-৫ আসনে ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক, ফেনী-২ আসনে ভিপি জয়নাল আবেদীন, ফেনী-৩ আসনে আকবর হোসেন, নোয়াখালী-১ আসনে ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন, নোয়াখালী-২ আসনে জয়নুল আবদিন ফারুক, নোয়াখালী-৩ আসনে বরকতউল্লাহ বুলু, নোয়াখালী-৪ আসনে মো. শাহজাহান, নোয়াখালী-৫ আসনে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, নোয়াখালী-৬ আসনে ফজলুল আজিম, লক্ষ্মীপুর-২ আসনে আবুল খায়ের ভূঁঁইয়া, লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, চট্টগ্রাম-১ আসনে নুরুল আমিন, চট্টগ্রাম-৪ আসনে ইসহাক চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৬ আসনে জসিমউদ্দিন সিকদার, চট্টগ্রাম-৭ আসনে কুতুবউদ্দিন বাহার, চট্টগ্রাম-৯ আসনে ডা. শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রাম-১০ আসনে আবদুল্লাহ আল নোমান, চট্টগ্রাম-১১ আসনে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১২ আসনে এনামুল হক এনাম, চট্টগ্রাম-১৩ আসনে সারওয়ার জামাল নিজাম, চট্টগ্রাম-১৬ আসনে জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, কক্সবাজার-১ আসনে হাসিনা আহমেদ, কক্সবাজার-৩ আসনে লুৎফর রহমান কাজল, কক্সবাজার-৪ আসনে শাহজাহান চৌধুরী, পাবর্ত্য খাগড়াছড়ি শহীদুল ইসলাম ভূঁইয়া ফরহাদ, পার্বত্য রাঙ্গামাটি মনিস্বপন দেওয়ান ও পার্বত্য বান্দরবান সাচিং প্রু জেরি।

বিএ-০৯/০৭-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক, তথ্যসূত্র: জাগো নিউজ)

বন্ধুর ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল বন্ধুর!

পাবনায় ক্রিকেট খেলা নিয়ে দ্বন্দের জেরে বন্ধুর ছুরিকাঘাতে হামিম হোসেন মিম (১৮) নামে এক যুবক খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত ওয়াজেদ (১৮) নামে এক যুবককে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে পাবনা সদর উপজেলার চরঘোষপুরে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত হামিম হোসেন মিম চরঘোষপুর পূর্বপাড়া গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। ছুরিকাঘাতকারী বন্ধুর নাম অনিক হোসেন (২০)। তার বাড়িও একই গ্রামে। এ ঘটনায় নিহত মিমের স্বজনরা ঘাতক অনিকের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইবনে মিজান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে করে জানান, দুপুরে বন্ধুরা মিলে ক্রিকেট খেলার জন্য মাঠে যায়। তাদের মধ্যে অনিক হোসেনকে খেলায় নেয়া হবে না বলে জানায় অন্য বন্ধুরা।

এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কির একপর্যায়ে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। পরে ক্ষুব্ধ হয়ে অনিক বাড়ি থেকে ছুরি নিয়ে তার বন্ধু হামিমকে আঘাত করে।

এ সময় তাকে বাধা দিতে গেলে ওয়াজেদ নামে আরেক বন্ধুকেও সে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে। পরে স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় হামিম ও ওয়াজেদকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হামিমকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত ওয়াজেদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

বিএ-০৮/০৭-১২ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)

রাখির বিয়ের খবর ভুয়া

রাখির বিয়ের

রাখি সাওয়ান্তের বিয়ে! জানার পর কেউ বিশ্বাসই করতে চাননি। এমনকি এ বিয়ে নিয়ে ছড়িয়েছিল নানা গুঞ্জন, তৈরি হয়েছিল মজার সব মিম (ব্যঙ্গাত্মক স্টিকার)। এবার জানা গেল, ৩১ ডিসেম্বর লস অ্যাঞ্জেলেসে রাখির বিয়ের সেই খবরটি ছিল ভুয়া। ঘোষণার সপ্তাহ না ঘুরতেই বিয়ের খবর বাতিল করে দিয়েছেন ‘বিতর্কের রানি’ রাখি সাওয়ান্ত। নিজেই জানিয়েছেন, বিয়ের ব্যাপারে মিথ্যে খবর দিয়েছিলেন তিনি।

গত ২৮ নভেম্বর একটি আমন্ত্রণপত্রের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে প্রকাশ করেছিলেন তিনি। সেখানে লেখা ছিল ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৫টা ৫৫ মিনিটে লস অ্যাঞ্জেলেসে দীপক কালাল বিয়ে করতে যাচ্ছেন রাখি সাওয়ান্তকে। ইতিমধ্যে বিয়ের অতিথি হিসেবে শাহরুখ খানের নাম নিশ্চিত করেছেন আইটেম গার্ল রাখি সাওয়ান্ত।

সেই গুজবের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। কথিত পাত্র দীপক কালালকেও বলেছেন, যেন তাঁকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়। ভারতীয় সংবাদপত্র এবেলা জানিয়েছে, রাখি সাওয়ান্ত দীপক কালালকে বলেছেন, ‘ঘটনাটি নিয়ে আমার পরিবার আমার ওপর ক্ষুব্ধ। এত দিন ধরে চলচ্চিত্রে কাজ করছি, অনেক পরিশ্রম করেছি। এ রকম নোংরামি আমি কখনোই করতে চাইনি। আমি আমার পরিবারকে বোঝাচ্ছি। এমন নোংরা বিজ্ঞাপন আমি চাইনি; যা হয়েছে সেটা ভুলে যাও।’

পুরো ব্যাপারটির জন্য দীপককে দায়ী করে রাখি বলেছেন, ‘আমি একজন সহজ-সরল বিশ্বাসী মানুষ। মিথ্যে বলতে পছন্দ করি না। তোমার ফাঁদে পড়ে আমাকে মিথ্যে বলতে হলো।’

রাখির বিয়ে নিয়ে কয়েক দিন ধরে সামাজিক মিডিয়ায় আলোচনা চলছিল। অনেকেই তাঁর বিয়ের খবরটি সত্য বলে মানতেই পারছিলেন না। দীপিকা ও প্রিয়াঙ্কার বিয়ের সময় বলে আরও একটি বিয়ের খবরকে উড়িয়ে দেওয়াও যাচ্ছিল না। এখন বোঝা যাচ্ছে, রাখির বিয়ের বিষয়টি বানানো। খবরের শিরোনাম হওয়ার জন্য রাখি এমনটি করেছেন।

নানাভাবে খবরে আসতে চাইতেন বলিউডের এই আইটেম গার্ল। কখনো বেফাঁস মন্তব্য করে, আবার কখনো অদ্ভুত সব ঘটনা ঘটিয়ে। এর আগে এক রেসলিং মঞ্চে নাচতে গিয়ে নারী বক্সারের আছাড় খান তিনি। এ জন্য হাসপাতালেও যেতে হয়েছিল তাঁকে।

বলিউড অভিনেতা নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছিলেন অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত। সে সময় তিনি তনুশ্রী দত্তকে মিথ্যাবাদী বলেছিলেন। এ জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন পরে।

আরএম-১৩/০৭/১২ (বিনোদন ডেস্ক)

কাশতে কাশতে বের হয়ে এলো ‘ফুসফুস’!

কাশতে কাশতে

আমাদের দেশে শীত তেমন একটা পড়েনি এখনো। কিন্তু মেরুর কাছাকাছি দেশগুলোতে শীত মানে একদম বরফে ঢেকে যাওয়া কয়েকটি মাস। তাদের ঠাণ্ডা লেগে যায় খুব সহজেই। নাক দিয়ে পানি পড়তে থাকে, কাশি হতে থাকে। এমনকি তাদের একটি প্রবাদ প্রচলিত, ‘কফিং আপ অ্যা লাং’ অর্থাৎ এমনই তীব্র কাশি যাতে ফুসফুস মুখ দিয়ে বের হয়ে আসতে চায়। এটা নিতান্তই প্রবাদ, দমকা কাশি বোঝাতে ব্যবহার হয়। কিন্তু এক দুর্ভাগা ব্যক্তির জন্য সেটাই সত্যি প্রমাণিত হয়েছে।

নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে ৩৬ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির জীবনে ঘটে যাওয়া অবিশ্বাস্য এই ঘটনা বর্ণনা করা হয়। বলা হয়, তিনি কাশতে কাশতে এমন এক জিনিস মুখ দিয়ে বের করেন, যা দেখে মনে হয় তার ফুসফুস বের হয়ে এসেছে। ডাক্তাররা বলেন, এই জিনিসটি ছিল তার ব্রঙ্কিয়াল ট্রি এর একটি ছাঁচ। মূলত তার ফুসফুসের ভেতরে রক্ত জমে ফুসফুসের এই ছাঁচ তৈরি হয় ও তা কাশির সাথে বের হয়ে আসে।

জেনে রাখা ভালো, সুস্থ-স্বাভাবিক একজন মানুষের এমনটা হবার ঝুঁকি নেই। ৩৬ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি ইতোমধ্যেই খুবই অসুস্থ ছিলেন। তার কিছুদিন আগে হার্ট ফেইলিওর হয়েছিল ফলে তার হৃৎপিণ্ড শরীরের মাত্র এক-পঞ্চমাংশ রক্ত সঞ্চালন করতে পারছিল। তার আরও একটি সমস্যা ছিল, যাকে বলে অ্যাওর্টিক স্টেনোসিস। তার একটি পেসমেকারও ছিল। এরপর ডাক্তাররা তার শরীরে আরও একটি যন্ত্র যোগ করে। এই যন্ত্রটি তার শরীরে রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে। এরপর তাকে হেপারিন ওষুধটি দেওয়া হয়, যা আর্টারির ব্লকেজ দূর করার একটি অ্যান্টিকোঅ্যাগুলেন্ট (রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয়)।

কিন্তু এরপর ওই ব্যক্তির পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যায়। অপারেশনের পর তিনি অক্সিজেনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। তার কফের সাথে রক্ত আসতে থাকে। তার ফুসফুসের রক্তনালীকা থেকে রক্ত লিক করতে থাকে। এরই একটি পর্যায়ে দমকা কাশির সাথে বের হয়ে আসে এই ‘ফুসফুস’। এরপর ২ দিনের মাঝে অবশ্য তার কাশির সাথে রক্ত আসা বন্ধ হয়।

তার ওই ‘ফুসফুস’ ভাইরাল হয়ে যায় ইন্টারনেটে। এর ছবি দেখে একই সাথে আতঙ্কিত এবং অভিভূত হয়ে যায় সবাই।

দুঃখের বিষয় হলো, এরপরে ওই রোগী সপ্তাহখানেকের মাঝে মারা যান। তবে ফুসফুসের সমস্যার জন্য নয়, বরং হৃদরোগের কারণেই মারা গেছেন তিনি।

আরএম-১২/০৭/১২ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্যসূত্র: আইএফএলসায়েন্স)

মেয়েদের হোস্টেলের বাথরুমে গোপন ভিডিও ক্যামেরা! অতঃপর…

মেয়েদের হোস্টেলের

হোস্টেলে মেয়েদের বাথরুমে গোপন ক্যামেরা! নিশ্চয় এটা পড়ে অবাক হচ্ছেন। হবারই কথা কেননা- এ রকম এটা জায়গা গোপন ক্যামেরা লাগিয়ে রাখা হয়েছে শুনলে যে কারও গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যাবে। বিশেষ করে মেয়েরা হলে তো কোন কথায় নেই।

সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে। বাথরুমের দরজা খোলার শব্দ হলেই গোপন ভিডিও ক্যামেরা চালু হয়ে যেত। এমনকি বাথরুমের কল থেকে পানি পড়তে শুরু করলেও চালু হয়ে যেত সেই ক্যামেরা। এখানেই শেষ নয়, সেইসব নারীদের ‘নগ্ন ছবি’ পাঠিয়ে দেয়া হতো তাদের মুঠোফোন এবং ল্যাপটপে।

ভুক্তভোগী নারীদের কেউ কোনো দিন জানতেই পারেন নি বাথরুমের বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে রাখা হয়েছে সেই গোপন ক্যামেরা।

হঠাৎ একদিন প্লাগের সকেট খুলে মেঝেতে পড়ে যাওয়ার ফলে একটি গোপন ক্যামেরা চোখে পড়ে এক নারীর। সেই ক্যামেরা দেখে তো চক্ষু একেবারে ছানাবড়া হয়ে যায় হোস্টেলে থাকা ওই নারীর। তাদের বুঝতে বাকি থাকে না, এতদিন তাদের গোসলের ছবি লুকিয়ে লুকিয়ে তোলা হচ্ছিল।

ভারতের চেন্নাইয়ের আদামবাক্কামে একটি নারী হোস্টেলে এ ঘটনাটি ঘটেছে।

জানা যায়, হোস্টেলটি চালান একজন ইঞ্জিনিয়ার। ইতোমধ্যে ওই ৪৮ বছর বয়সী সম্পত রাজকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশ ওই হোস্টেলে গিয়ে দেখেছে, বাথরুমগুলোর বিভিন্ন জায়গায় রাখা রয়েছে ওই গোপন ভিডিও ক্যামেরা। কখনও তা প্লাগের সকেটে, আবার কোথাও তা বালবের মধ্যে, কোথাও বাথরুমে জামাকাপড় রাখার হ্যাঙ্গারে।

এ বিষয়ে পুলিশ জানিয়েছেন, বিভিন্ন ধরনের অছিলা নিয়ে প্রায়ই নারীদের রুমে ঢুকে পড়তেন সম্পত। তার পর কথা বলার সময় সম্পত তার হাতটা নারী আবাসিকদের সামনে এমনভাবে নাড়াতেন যাতে হাতঘড়িতে রাখা গোপন ক্যামেরায় দ্রুত তাদের নগ্ন ছবি তুলে নেয়া যায়।

আরএম-১১/০৭/১২ (অনলাইন ডেস্ক)

নামাজের স্থানের সীমারেখা কতটুকু?

নামাজের স্থানের

নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলাম বিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় দেশের বেসরকারি একটি টেলিভিশনের জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শক-শ্রোতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানটির জুমাবারের বিশেষ ৫৫৭তম পর্বে দর্শক-শ্রোতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ। এই পর্বে চাঁদপুর থেকে বাবুল নামে একজন দর্শক টেলিফোনে নামাজের স্থানের সীমারেখা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন।

প্রশ্ন: নামাজের স্থানের সীমারেখা কতটুকু?

উত্তর: নামাজের সামনে দিয়ে হাঁটতে রাসুল (সা.) কঠিনভাবে নিষেধ করেছেন। সমস্ত ওলামায়ে কেরামের বক্তব্য হচ্ছে, মুসল্লির সামনে দিয়ে যাওয়া হারাম। কিন্তু এখানে সীমারেখা আছে।

রাসুল (সা.) যে হাদিসে নিষেধ করেছেন, সেই হাদিসেই বলেছেন, ‘যদি অতিক্রমকারী ব্যক্তি ‘বাইনা ইয়া দাইলের’ ভেতরে চলে আসে, তাহলে মুসল্লি ওই ব্যক্তিকে বাধা দেবে। ‘বাইনা ইয়া দাইল’ হচ্ছে, মুসল্লি ব্যক্তির সিজদাহ, অর্থাৎ দণ্ডায়মান অবস্থা থেকে সিজদাহ পর্যন্ত জায়গা। এই জায়গাটুকু হচ্ছে মুসল্লির হক বা অধিকার। এই সীমার মধ্য দিয়ে কেউ হেঁটে যেতে পারবে না, মুসল্লি বাধা দিতে পারবে, এটি জায়েজ।

আবার মুসল্লিও যদি পুরা মসজিদ তার দখলে নিয়ে যায় বাকিরা দাঁড়িয়ে থাকে, এটিও তার হকের বাইরে।

সুতরাং সিজদাহের জায়গার মধ্যে যদি কেউ অতিক্রম করে, সে ক্ষেত্রে মুসল্লি তাকে বাধা দিতে পারবেন। এই সীমার মধ্য দিয়ে যিনি অতিক্রম করবেন, তিনি গুনাহগার হবেন। কিন্তু মুসল্লিও যদি তাঁর সীমা অতিক্রম করেন, তাহলে গুনাহগার হবেন। একদল ওলামায়ে কেরাম এই মুসল্লির নামাজ হবে কি না, সেটি নিয়েও প্রশ্ন করেছেন।

আরএম-১০/০৭/১২ (ধর্ম ডেস্ক)

নারীরা মেডিকেলে পড়লে কি গুনাহ হবে?

নারীরা মেডিকেলে

নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় দেশের বেসরকারি একটি টেলিভিশনের জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দ‍র্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।

আপনার জিজ্ঞাসার ৫৬৮তম পর্বে নারীদের মেডিকেল কলেজে পড়ার ক্ষেত্রে গুনাহের কিছু আছে কি না, সে বিষয়ে ঢাকার শান্তিনগর থেকে টেলিফোনে জানতে চেয়েছেন সুমাইয়া। অনুলিখন করেছেন জহুরা সুলতানা।

প্রশ্ন : নারীদের মেডিকেলে পড়াশোনার ক্ষেত্রে গুনাহের কিছু আছে? কারণ মেডিকেলে পড়ানোর সময় তো ছেলেমেয়েদের একসঙ্গে মানব শরীরের বিভিন্ন অংশ দেখতে হয়, এতে গুনাহের কিছু আছে কি?

উত্তর : মেডিকেলে পড়ার বিষয়টি ইসলামি শরিয়তে হারাম কিছুই নয়। কিন্তু সেক্ষেত্রে অবশ্যই ইসলাম যেগুলোকে অনুসরণ করতে বলেছে, সেগুলো আপনাকে মেনে চলতে হবে। ইসলামের দেখানো যে নির্দেশনা আছে, সেগুলো মেনেই আপনাকে চলতে হবে। আর এখন তো অনেক মেডিকেল কলেজ আছে, যেখানে নারীদের জন্য ভিন্ন ব্যবস্থা আছে। কলেজে এপ্রণ পরতে হয়, হিজাব ও মেনে চলার সুযোগ আছে।

তাই ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী আপনি যদি পর্দা মেনে চলতে পারেন, সেক্ষেত্রে কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা আছে বলে আমার জানা নেই। কিন্তু পর্দার বিষয়টি যেন অবশ্যই অনুসরণ করা হয় সেক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে।

আরএম-০৯/০৭/১২ (ধর্ম ডেস্ক)

‘এক সঙ্গে কয়েকজন পুরুষের সঙ্গে…’

এক সঙ্গে কয়েকজন

বলিউডে ভালোই চমক দেখিয়েছেন কমল হাসান কন্যা শ্রুতি হাসান। তার করা ছবিগুলো দর্শকমহলে বেশ প্রশংসিত হয়েছে। তাছাড়া শ্রুতির অভিনয়-পারফরমেন্স সমালোচকদের দৃষ্টিও কেড়েছে।

তবে অভিনয়ের বাইরেও মাঝেমধ্যেই নিজের ব্যাক্তিগত বিষয় নিয়ে আলোচনায় থাকেন এ গ্ল্যামারাস নায়িকা। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি বোমাই ফাটালেন নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে।

সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে শ্রুতি জানিয়েছেন তার জীবনে একাধিক পুরুষ ছিলো। এমনকি একই সঙ্গে কয়েকজন পুরুষকে সামলেছেন তিনি। শ্রুতি হাসান বলেন, ব্যাক্তিগত বিষয় নিয়ে কথা বলতে আমি কখনও দ্বিধা করি না।

আমার জীবন একটি খোলা চিঠি। বলতে দ্বিধা নেই কিশোরী যখন ছিলাম তখনই একাধিক তরুণের সঙ্গে প্রেম করেছি আমি। তাদের সঙ্গে অন্যরকম সময় কাটিয়েছি। কিন্তু সেটা আসলে সিরিয়াস কিছু ছিলো না।

সেই বয়সে সবারই চোখে রঙিন চশমা থাকে। আমারও ছিলো। তবে সেই সময় কাটিয়ে ম্যাচিউরড হয়েছি। এখন সব কিছু বুঝতে পারি। হয়তো অনেক ভুলও করেছি সে সময়।

তবে এখন আমি নিজেকে শুধরানোর চেষ্টা করছি। খুব বুঝে শুনে পথ চলছি। বর্তমানে আমার জীবনে কোন প্রেম নেই। একাই আছি আমি। আর এ সিঙ্গেল জীবন খুব উপভোগও করছি।

প্রসঙ্গত, শ্রুতি তার অভিনয়ের অভিষেক করেন, তামিল-হিন্দি দ্বৈত ভাষার ‘হে রাম’ সিনেমায় বল্লভভাই প্যাটেলের কন্যা হিসেবে অভিনয়ের মাধ্যমে। এই সিনেমাটি নির্মিত হয় মহাত্মা গান্ধীর উপর হত্যার চেষ্টার কাহিনীর উপর ভিত্তি করে, এই সিনেমার পরিচালক ছিলেন তার বাবা কামাল হাসান।

আরএম-০৮/০৭/১২ (বিনোদন ডেস্ক)

আপিল শুনানিতে প্রার্থীতা পেলেন ও বাদ পড়লেন যারা

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাতিলে আপিল করে দ্বিতীয় দিন দুপুর ১টা পর্যন্ত ৪৭ প্রার্থী বৈধ, ৩০ প্রার্থী অবৈধ ও একজনের প্রার্থীর আপিল স্থগিত রেখেছে ইসি।

সকাল ১০টায় নির্বাচন কমিশন ভবনের অস্থায়ী এজলাসে এ শুনানি শুরু হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে শুনানি চলছে। নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী এ আপিল শুনানি করছেন। এজলাসে ইসি সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদও উপস্থিত রয়েছেন। দুপুরের বিরতির পর বিকেল ৩ টায় আবারও শুনানি শুরু হয়েছে।

দুই দিনে ১৬০ জনের শুনানি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর মধ্যে ৮০ জনকে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে, বাতিল বা খারিজ করা হয়েছে ৭৬ জনকে। চারটি আপিল আবেদনের পক্ষে কেউ উপস্থিত না থাকায় শুনানি হয়নি।

জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত তিন হাজার ৬৫টি মনোনয়নপত্র জমা পড়ে। ২ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করে ৭৮৬ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করে রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এরপর ৩, ৪ ও ৫ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র ফিরে পেতে আপিল আবেদন করেন বাতিল হওয়া প্রার্থীরা।

দ্বিতীয় দিন বৈধতা পেলেন যারা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনের মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ মো. মুসলিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম-৮ হাছান মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৭ মো. আবু আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ মো. গিয়াস উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আবদুল খালেক, কুমিল্লা-১০ মো. শাহজাহান মজুমদার, চাঁদপুর-৫ খোরশেদ আলম খুশু, বরিশাল-২ একে ফাইয়াজুল হক, পটুয়াখালী-১ মো. আবদুর রশিদ, বরিশাল-১ মো. বাদশা মিয়া, বরগুনা-১ মো. মতিয়ার রহমান তালুকদার, ভোলা-১ গোলাম নবী আলমগীর, বরিশাল-২ মাসুদ পারভেজ, ঝালকাঠি-১ বজলুল হক হারুণ (তার মনোনয়ন বাতিল করতে আপিল করা হয়। শুনানিতে সেই আপিল খারিজ হয়ে যায়), পটুয়াখালী-২ মো. শহিদুল আলম তালুকদার, বরিশাল-২ এর সৈয়দ রুবিনা আক্তার, ভোলা-৪ নাজিম উদ্দিন আলম, বরিশাল-৪ মাহাবুবুল আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ মো. মেহেদী হাসান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ মো. ছাইফুল্লাহ (হুমায়ুন মিয়া), ঢাকা-১৬ আলহ্বাজ এ কে এম মোয়াজ্জেম হোসেন, ঢাকা-৩ মোহাম্মদ সুলতান আহম্মদ খান, কিশোরগঞ্জ-২ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন (রুবেল), কিশোরগঞ্জ-৬ মোহাম্মদ মুছা খান, টাঙ্গাইল-৮ মোহাম্মদ আ. লতিফ মিয়া, নরসিংদী-২ জাইদুল কবীর, কিশোরগঞ্জ-১ খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেন খান, গাজীপুর-৩ মোহাম্মদ জহিরুল হক মন্ডল বাচ্চু, মানিকগঞ্জ-২ মঈনুল ইসলাম খান, শরীয়তপুর-৩ সুশান্ত ভাওয়াল, কিশোরগঞ্জ-২ নুরুল ইসলাম, মুন্সীগঞ্জ-১ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, কিশোরগঞ্জ-৩ ডা. এনামুল হক (ইদ্রিছ), নারায়ণগঞ্জ-৪ মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, টাঙ্গাইল-৬ মোহাম্মদ আবুল কাসেম, টাঙ্গাইল-৭ সৈয়দ মজিবর রহমান, শরীয়তপুর-২ মোহাম্মদ বাদল কাজী, মাদারীপুর-১ মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ, নারায়ণগঞ্জ-৪ মোহাম্মদ ছালাউদ্দিন খোকা, টাঙ্গাইল-৬ ব্যারিস্টার এম আাশরাফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল-৬ মামুনুর রহমান, টাঙ্গাইল-৩ এস এম চান মিয়া, মাদারীপুর-২ আল আমীন মোল্লা, ঢাকা-৮ এস এম সরওয়ার, মাদারীপুর-১ নাদিরা আাক্তার ও ঢাকা-১ ফাহিমা হুসাইন জুবলী।

আপিলের পরও অবৈধ প্রার্থী যারা

কুমিল্লা-১ মো. আলতাফ হোসাইন, চট্টগ্রাম-৬ সামির কাদের চৌধুরী, ফেনী-৩ মো. আবদুল লতিফ জনি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ মো. শাহজাহান, কুমিল্লা-২ মো. আব্দুল মজিদ, বরিশাল-৬ ওসমান হোসেইন, পিরোজপুর-৩ ডা. সুধীর রঞ্জন বিশ্বাস, ঝালকাঠি-১ মো. মনিরুজ্জামান, পটুয়াখালী-১ এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, পটুয়াখালী-২ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান খান, ভোলা-৪ এম এ মান্নান হাওলাদার, ঝালকাঠী-১ মোহাম্মদ শাহজালাল শামীম, পিরোজপুর-১ মনিমোহন বিশ্বাস, বরিশাল-৬ নাসরিন জাহান রতনা, বরিশাল-৪ মো. মেজবাহ উদ্দীন ফরহাদ, ঝালকাঠী-১ ইয়াসমিন আক্তার পপি, পিরোজপুর-৩ মো. রুস্তম আলী ফারাজী, পটুয়াখালী-২ মো. শফিকুল ইসলাম, ভোলা-২ হুমায়ন কবির, নরসিংদী-২ আলতামাশ কবীর (অনুপস্থিত), কিশোরগঞ্জ-৪ সুরঞ্জন ঘোষ, কিশোরগঞ্জ-৩ মোহাম্মদ আম্মান খান, মানিকগঞ্জ-১ মোহাম্মদ আাতোয়ার হোসেন, ঢাকা-৮ আরিফুর রহমান, কিশোরগঞ্জ-২ মোহাম্মদ আানিসুজ্জামান, ঢাকা-১৭ মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান খোকন, ঢাকা-৮ অবসরপ্রাপ্ত মেজর মামুনুর রশিদ, গোপালগঞ্জ-১ শামসুল আলম খান চৌধুরী, কিশোরগঞ্জ-৩ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান নয়ন ও নারায়ণগঞ্জ-১ মোহাম্মদ রেহান আফজাল।

স্থগিত : শরীয়তপুর-১ মো. আালমগীর হোসেন।

আগামীকাল শেষদিন সকাল ১০টায় শুনানি শুরু হবে।

গত ২৮ নভেরের মধ্যে ৩ হাজার ৬৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বাছাইয়ে বাদ পড়েছে ৭৮৬টি, বৈধ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র রয়েছে ২ হাজার ২৭৯টি। তাদের মধ্যে ৫৪৩ জন প্রার্থিতা ফেরত পেতে আপিল করেন। যার অধিকাংশই মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার ১৬০ জনের মধ্যে ৮০ জন তাদের প্রার্থিতা ফেরত পেয়েছেন।

ইসির তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার পর থেকে প্রার্থী ও তার সমর্থকরা নির্বাচনী এলাকায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন।

বিএ-০৭/০৭-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)