রাত ২:২৯
শনিবার
৪ ঠা মে ২০২৪ ইংরেজি
২০ শে বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৫ শে শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

কোহলির সামনে রেকর্ড ভাঙ্গার হাতছানি

অস্ট্রেলিয়ায় শচীন টেন্ডুলকারের আরও একটি রেকর্ড ভাঙার হাতছানি ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলির সামনে। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শুরু হতে যাওয়া প্রথম টেস্টে শতরান করলেই শচীনকে ছুঁয়ে ফেলবেন বিরাট। আর জোড়া সেঞ্চুরি করলেই মাস্টার ব্লাস্টারকে টপকে যাবেন ভারত অধিনায়ক।

অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ২০ টি টেস্টে শচীনের সংগ্রহ ১৮০৯ রান। করেছেন ৬টি শতরান, ব্যাটিং গড় ৫৩.২১। অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়ায় ৮টি টেস্ট খেলে ৫টি সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন বিরাট কোহলি।

অস্ট্রেলিয়ায় ৫টি টেস্ট সেঞ্চুরি রয়েছে সুনীল গাভাসকারেরও। এছাড়া অস্ট্রেলিয়ায় ৪টি টেস্ট সেঞ্চুরি করেছেন ভিভিএস লক্ষণ।

অ্যাডিলেডে প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরি করতে পারলেই শচীনকে ছুঁয়ে ফেলবেন বিরাট। আর মাস্টার ব্লাস্টারের রেকর্ড ভাঙতে বিরাটের দরকার ২টি সেঞ্চুরি। অর্থাৎ আর দুটি টেস্ট শতরান করতে পারলেই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ভারতীয়দের মধ্যে সর্বাধিক টেস্ট শতরানের মালিক হযে যাবেন বিরাট কোহলি।

২০১১-১২ সালে সফরে একটি টেস্ট সেঞ্চুরি করেছিলেন বিরাট কোহলি। ২০১৪-১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে চার টেস্টে চারটি শতরান করেন বিরাট। তার মধ্যে অ্যাডিলেড টেস্টের দুই ইনিংসে দু’টি শতরান করেছিলেন তিনি। সেই অ্যাডিলেডেই আবার অস্ট্রেলিয়া-ভারত প্রথম টেস্ট। কোহলির লাকি গ্রাউন্ডেই কি শচীনের রেকর্ড ভেঙে দিতে পারবেন বিরাট কোহলি? উত্তর পাওয়া যাবে অ্যাডিলেডে।

এসএইচ-০৪/০৩/১২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

শিশুকন্যাকে আছড়ে মারলেন বাবা!

কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর থেকেই পরিবারে অশান্তি শুরু হয়। সেই অশান্তির জেরেই মায়ের কোল থেকে শিশুকন্যাকে ছিনিয়ে নিয়ে অঁাছড়ে মারল বাবা। মৃত শিশুটির নাম ফারহা সুলতানা। তার বয়স মাত্র ছয় মাস। শনিবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভারতের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার সমস্তপুর এলাকায়। হাসপাতাল থেকে এই মৃত্যুর খবর ওই গ্রামে পৌঁছতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পরই মৃত শিশুর বাবা আব্বাস আলির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে মুর্শিদাবাদের সালার থানায়।

মৃত শিশুর দিদিমা পুলিসের কাছে অভিযোগ করেন, কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর থেকেই মেয়ে সেলিনা বিবির ওপর অকথ্য অত্যাচার চালাত জামাই আব্বাস আলি। কথায় কথায় রোজই দু’‌জনের বচসা হত। তখন সেলিনার ওপর অমানবিক আচরণ করত আব্বাস। মারধরও করত। তা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে ইতিপূর্বে অনেক আলোচনা ও সমস্যার মিমাংসাও করা হয়েছে।

কিন্তু তাতে যে কোনও কাজ হয়নি, তারই প্রমাণ পাওয়া গেল গত বৃহস্পতিবার রাতে। সেলিনার কোলে ফারহা থাকার সময় যথারীতি কন্যাসন্তানের জন্ম নিয়ে আব্বাস সেলিনাকে কটূক্তি করতে থাকে। ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেন সেলিনা। তখন সেলিনাকে মারধর শুরু করে আব্বাস। পরিবারেও শুরু হয়ে যায় অশান্তি।

সেই সময় মেয়ের কোলে থাকা ছয় মাসের শিশুটি চিৎকার করে কঁাদতে শুরু করে। তখন আব্বাসের সমস্ত রাগ গিয়ে পড়ে শিশুটির ওপর। অগ্নিশর্মা আব্বাস সেলিনার কোল থেকে শিশুটিকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে মাটিতে আছাড় দেয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় গুরুতর জখম হয় শিশুকন্যাটি।

সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় মানুষকে নিয়ে সেলিনা মেয়েকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু তাতেও বিশেষ লাভ হয়নি। শনিবার রাতে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় শিশুটির। মৃত্যুর খবর এলাকায় পৌঁছতে

শোকের ছায়া নেমে আসে। ঘটনায় বিস্মিত প্রতিবেশীরা। তঁারা অভিযুক্ত আব্বাসের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। অভিযুক্ত জামাই আব্বাস আলির বিরুদ্ধে সালার থানায় অভিযোগ করেছেন সেলিনার বাপের বাড়ির লোকজনও। তঁারাও আব্বাসের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।‌

এসএইচ-০৩/০৩/১২ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্য সূত্র : আজকাল)

ঘুম হারাম হয়েছিল পাক হানাদারদের

বিজয় দিবস, বহু আকাক্সিক্ষত একটি স্বাপ্নিক স্বপ্ন। আর একাত্তরের ডিসেম্বর। সে এক উন্মাদনার সময়। ডিসেম্বর এলেই মানুষ হারিয়ে যায় মহান মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনের স্মৃতিচারণে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ আমাদের শ্রেষ্ঠতম অর্জন। এর পেছনে রয়েছে লাখ লাখ মানুষের রক্ত ও মহান আত্মত্যাগ। মুক্তিপাগল বাঙালী জাতি এক সাগর রক্তের বিনিময়ে এই ডিসেম্বরেই ছিনিয়ে আনে হাজারো বছরের লালিত স্বপ্ন প্রিয় স্বাধীনতা যুদ্ধের মহান বিজয়। বিশ্ব মানচিত্রে স্থান পায় লাল-সবুজের রক্তস্নাত স্বাধীন পতাকা, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

একটি মানচিত্র, একটি পতাকার হাত ধরে ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার’ নামক স্বাধীন দেশটি বিনির্মাণে লাখো শহীদকে জীবন দিতে হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে এমন কোন গ্রাম ছিল না, এমন কোন শহর ছিল না যেখানে একজনও শহীদ হননি। গ্রামের পর গ্রাম পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের তা-বলীলা চলেছে। সেদিনের সেই ধ্বংসলীলা পঁয়তাল্লিশ বছর পরে আজ উপলব্ধি করা সত্যিই কষ্টের। তাই এবার বিজয়ের মাস ডিসেম্বর এসেছে এক অন্যরকম উন্মাদনা নিয়ে। রাজাকার-যুদ্ধাপরাধী ও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের দাবি আজ বাংলার ঘরে ঘরে, পথে-প্রান্তরে।

৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১। প্রাণপণ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে মুক্তিপাগল বীর বাঙালী। গেরিলা আক্রমণে ঘুম হারাম অবস্থা পাক হানাদার বাহিনীর। একাত্তরের এই দিনে গঠিত হয় বাংলাদেশ-ভারত যৌথ কমান্ড। রণাঙ্গনে আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠে মুক্তিযোদ্ধারা। ভিন্নমাত্রা পায় বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম। পাকহানাদার বাহিনীর সঙ্গে শুরু হয় যৌথ কমান্ডের সম্মুখযুদ্ধ। ভারতীয় সেনাবাহিনী চারদিক থেকে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। সম্মুখসমরে হানাদার বাহিনীকে একে একে পরাস্ত করে বাংলার দামাল ছেলেরা বিজয় কেতন ওড়াতে ওড়াতে এগুতে থাকে ঢাকার দিকে।

বাঙালীর মুক্তিযুদ্ধকে আন্তর্জাতিক যুদ্ধে পরিণত করার মতো শেষ অস্ত্র বেছে নেয় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। পাকিস্তানের ভারত আক্রমণের জের ধরে পূর্বাঞ্চলে পাকিস্তানের চার ডিভিশন সৈন্যের সঙ্গে ভারতের সাত ডিভিশন সৈন্য ও অনিয়মিত মুক্তিযোদ্ধারা মুখোমুখি হয়। মনোবল চাঙ্গা হয়ে ওঠে বাংলার মুক্তিপাগল দামাল ছেলেদের। সময় ঘনিয়ে আসতে শুরু করে এই মাটি আর বাংলার স্বাধীনতার শত্রুদের। বাঙালির জীবন-মরণ লড়াইয়ে ভারতের সহযোগিতার ধারা বাড়তে থাকে।

ডিসেম্বরের প্রথম দু’দিনেই এক কথা স্পষ্ট হয়ে যায়, ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা দিচ্ছে। তবে রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের স্বীকৃতি পায় কিছু পরে। কিন্তু ৩ ডিসেম্বর থেকেই ভারতীয় সৈন্যবাহিনী এসে দাঁড়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে। ফোর্ট ইউলিয়াম থেকে সঙ্কেত পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারতীয় সেনাবাহিনী চারদিক থেকে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। নবম ডিভিশন এগুতে থাকে গরিবপুর, জগন্নাথপুর হয়ে যশোর-ঢাকা হাইওয়ের দিকে।

চতুর্থ ডিভিশন মেহেরপুরকে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে গেল ঝিনাইদহ-কালীগঞ্জের দিকে। বিংশতম ডিভিশন তার দায়িত্ব দু’ভাবে বিভক্ত করে নেয়। একটি অংশ থাকে হিলির পাক ঘাঁটি মোকাবেলার জন্য, আরেকটি অংশ হিলিকে উত্তরে রেখে এগিয়ে চলে সামনে। এভাবে নানা ডিভিশনে বিভক্ত হয়ে পাকহানাদার বাহিনীকে চারদিক থেকে কার্যত ঘেরাও করে ফেলে ভারতীয় সৈন্যবাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধারা।

এদিকে একাত্তরের এই দিনে বাংলাদেশে ভারতীয় বিমান ও নৌ বাহিনী এবং বাংলাদেশের বিমানবাহিনীর একদল চৌকস বীর মুক্তিযোদ্ধা মধ্যরাত থেকে এ্যাকশন শুরু করে। ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে গিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন পাক ঘাঁটির ওপর বোমাবর্ষণ শুরু করে। এদের প্রধান লক্ষ্য ছিল অবশ্য ঢাকা ও চট্টগ্রাম। ঢাকা ছিল পাক বিমানবাহিনীর প্রধান ঘাঁটি। এ ঘাঁটিতেই ছিল তাদের জঙ্গী বিমানগুলো।

রাত ৯টার দিকে একটি অটার বিমান নিয়ে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর দু’জন চৌকস অফিসার ফ্লাইট লেফটেনেন্ট শামসুল আলম ও ক্যাপ্টেন আকরাম (স্বাধীনতার পর দু’জনই সাহসিকতার জন্য বীরউত্তম খেতাব পান) দু’জন গানার নিয়ে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল জ্বালানি সংরক্ষণাগারে একের পর এক রকেট নিক্ষেপ করে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত করে দেয়। সাত ঘণ্টা সফল অভিযান চালিয়ে বিমান নিয়ে ভারতের কৈলা শহর বিমানবন্দরে ফিরে যান তাঁরা।

ঘুন কুয়াশার মধ্যে উড্ডয়ন বিপজ্জনক হলেও দেশমাতৃকাকে শত্রুমুক্ত করতে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর কর্মকর্তা স্কোয়াড্রন লীডার সুলতান মাহমুদ, ফ্লাইট লেফটেনেন্ট বদরুল আলম (স্বাধীনতার পর এ দু’জনও সাহসিকতার জন্য বীরউত্তম খেতাব পান) আরেকটি ‘এ্যালুয়েট’ যুদ্ধ বিমান নিয়ে চট্টগ্রামের জ্বালানি সংরক্ষণাগারে উপর্যুপরি বোমাবর্ষণ করে ধ্বংস করে দেয়। অকস্মাৎ বাংলাদেশে বিমানবাহিনীর বীর সেনাদের হামলায় গোদানাইল ও চট্টগ্রামের ফুয়েল পাম্প ধ্বংস হয়ে গেলে মনোবলে চিড় ধরে উর্দুভাষী দখলদারদের।

আর বাংলাদেশে নেমেই ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রধান লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানী জঙ্গী বিমানগুলো শেষ করে দেয়া। যাতে অন্তরীক্ষে শত্রুপক্ষ কিছুই করতে না পারে। যাতে লড়াইয়ের শুরুতেই আকাশটা মিত্রপক্ষের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। বাংলাদেশ ও ভারতীয় বিমানবাহিনীর বীর সেনারা তা একাত্তরের এই দিনে অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে করতে সক্ষম হয়। নিশ্চিত পরাজয়ের দিকে ধাবিত হয় পাক হানাদারবাহিনী।

এসএইচ-০১/০৩/১২ (অনলাইন ডেস্ক)

সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে বৈধ প্রার্থী ২২৭৯

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৭৮৬টি মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেছে রিটার্নিং কর্মকর্তা।

বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে ২ হাজার ২৭৯ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) যুগ্ম-সচিব (জনসংযোগ) এসএম অাসাদুজ্জামান এ তথ্য জানান।

গত ২৮ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিনে সারাদেশে ৩ হাজার ৬৫টি মনোনয়নপত্র জমা পড়ে।

তবে এবার কোনো আসনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী নেই।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে ১৫৩ জন প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন।

মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করে রোববার রিটার্নিং কর্মকর্তারা নির্বাচন কমিশনে (ইসি) যে তথ্য পাঠিয়েছেন সেগুলো বিশ্লেষণ করে জানা যায়, সারাদেশে ২ হাজার ২৭৯ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ এবং ৭৮৬টি মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।

২৬৫টি আসনে এক বা একাধিক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। তবে ৩৫টি আসনে কোনো প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়নি। সর্বোচ্চ বাতিল হয়েছে কুড়িগ্রাম-৪ আসনে। এখানে ১৩টি মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। জমা পড়েছিল ২৩টি মনোনয়নপত্র।

যেসব আসনে ৬টির বেশি মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে-

ঢাকা-১৭ আসনে ২৭টির মধ্যে ১১টি বাতিল; ফরিদপুর-৪ আসনে ১৪টির মধ্যে ১০টি মনোনয়নপত্র বাতিল; ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে ২৭টির মধ্যে ১১টি বাতিল; ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে ১৬টির মধ্যে ১০টি বাতিল; কুমিল্লা-৩ আসনে ২৭টির মধ্যে ১০টি বাতিল; বগুড়া-৭ আসনে ১৪টির মধ্যে ৭টি বাতিল; রাজশাহী-১ আসনে ১২টি মধ্যে ৮টি বাতিল; যশোর-২ আসনে ১৫টির মধ্যে ৭টি বাতিল; ময়মনসিংহ-৩ আসনে ১৭টির মধ্যে ১০টি বাতিল; কিশোরগঞ্জ-২ আসনে ১০টির মধ্যে ৭টি বাতিল; ঢাকা-৮ আসনে ২২টির মধ্যে ৭টি বাতিল।

যে ৩৫টি আসনে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়নি—

ঠাকুরগাঁও-২; দিনাজপুর-৫; জয়পুরহাট-২; চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩; নওগাঁ-২; নাটোর-৩; পাবনা-২ ও ৪; কুষ্টিয়া-৩; বাগেরহাট-৩; খুলনা-১, ৩, ৪, ৫; সাতক্ষীরা-৩; পটুয়াখালী-৪; ভোলা-৩; বরিশাল-৪ ও ৫; পিরোজপুর-২; টাঙ্গাইল-২ ও ৫; জামালপুর-২; নেত্রকোনা-৩; ঢাকা-১২ ও ১৩; নরসিংদী-৪; গোপালগঞ্জ-২; মৌলভীবাজার-৪; কুমিল্লা-৭; চাঁদপুর-৩; ফেনী-২; নোয়াখালী-৫; লক্ষ্মীপুর-৩ ও কক্সবাজার-১।

নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা আগামী ৩, ৪ ও ৫ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন। আপিলের ওপর শুনানি হবে ৬, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর।

এছাড়া যাদের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা নির্বাচন কমিশনে প্রমাণসহ আপিল করতে পারবেন।

আগামী ৯ ডিসেম্বর প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ এবং ৩০ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

বিএ-২৫/০২-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

রাজশাহীতে ৫ এমপিসহ ৩০ প্রার্থী বৈধ

রাজশাহীর ছয়টি সংসদীয় আসনে দাখিলকৃত মোট ৫৩ প্রার্থীর মধ্যে ৩০ জন প্রার্থীকে একাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এমন প্রার্থী রয়েছেন পাঁচজন।

রোববার যাচাই-বাছাই শেষে বিকেলে রাজশাহী জেলা রিটার্নিং অফিসার এস. এম. আব্দুল কাদের এই ৩০ প্রার্থীকে বৈধ বলে ঘোষণা করেন।

বৈধ হওয়া সরকার দলীয় পাঁচ সংসদ সদস্য হলেন: রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে ওমর ফারুক চৌধুরী, রাজশাহী-২ (সদর) আসনে ফজলে হোসেন বাদশা, রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে আয়েন উদ্দিন, রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক ও রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

এছাড়া রাজশাহী-১ আসনের অন্য বৈধ প্রার্থীরা হলেন: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আবদুল মান্নান, ওয়ার্কার্স পাটির রফিকুল ইসলাম পিয়ারুল, সদ্য মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া বিএনপি নেতা সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের স্ত্রী আভা হক।
রাজশাহী-২ আসনের অন্য বৈধ প্রার্থীরা হলেন: সিপিবি নেতা এনামুল হক, বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিনু ও সাহিদ হাসান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতা ফয়সাল হোসেন। জাতীয় পার্টির নেতা খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান।

রাজশাহী-৩ আসনের অন্য বৈধ প্রার্থীরা হলেন: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতা ফজলুর রহমান, যুক্তফ্রন্ট (এলডিপি) নেতা মনিরুজ্জামান, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের (এমএলএল) নেতা সাজ্জাদ আলী, বিএনপি নেতা শফিকুল হক মিলন।

রাজশাহী-৪ আসনের অন্য বৈধ প্রার্থীরা হলেন: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতা তাজুল ইসলাম খান ও বিএনপি নেতা আবু হেনা।

রাজশাহী-৫ আসনের অন্য বৈধ প্রার্থীরা হলেন: স্বতন্ত্র প্রার্থী তাজুল ইসলাম মোহাম্মদ ফারুক, বিএনপি নেত্রী মাহমুদা হাবীবা, বিএনএফ নেতা মখলেসুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা মনসুর রহমান, জাতীয় পার্টির নেতা আবুল হোসেন, বিএনপি নেতা অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, জাকের পার্টির নেতা শফিকুল ইসলাম।

রাজশাহী-৬ আসনের অন্য বৈধ প্রার্থীরা হলেন: জাতীয় পার্টির নেতা ইকবাল হোসেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতা আব্দুস সালাম সুরুজ, বিএনপি নেতা নুরুজ্জামান খান ও বজলুর রহমান।

রাজশাহী জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা এস. এম. আব্দুল কাদের জানান, রাজশাহীর ছয়টি সংসদীয় আসনে এবার মোট ৬৮ জন মনোনয়নপত্র তুলেছিলেন। এর মধ্যে দাখিল করেন ৫৩ জন প্রার্থী। ১৫ জন প্রার্থী নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ান।

রোববার যাচাই-বাছাই শেষে ৫৩ জন প্রার্থীর মধ্যে বিভিন্ন কারণে ২৩ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। বাকি ৩০ জন প্রার্থীকে বৈধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এখন প্রত্যাহার শেষে চূড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। তবে এর আগ পর্যন্ত মনোনয়পত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা আপিল করার সুযোগ পাবেন।

এদিকে, রোববার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে থাকা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই করা হয়। এ সময় রাজশাহী-১ আসনে দাখিল করা ১২ জনের মধ্যে ৮ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। রাজশাহী-২ আসনে দাখিল করা ৮ জনের মধ্যে ২ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

রাজশাহী-৩ আসনে দাখিল করা ১০ জনের মধ্যে ৫ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। রাজশাহী-৪ আসনে দাখিল করা ৫ জনের মধ্যে ২ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। রাজশাহী-৫ আসনে দাখিল করা ১১ জনের মধ্যে ৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। এছাড়া রাজশাহী-৬ আসনে দাখিল করা ৭ জনের মধ্যে ২ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে বৈধ প্রার্থীরা আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন। পরদিন ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ করবেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।

তারপর প্রার্থীরা ১১ ডিসেম্বর থেকেই প্রচারে নামতে পারবেন। আর একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর।

বিএ-২৪/০২-১২ (নিজস্ব প্রতিবেদক)

সীমান্তে বিএসএফের হাতে বাংলাদেশি যুবক আটক

নওগাঁর পোরশা উপজেলার নিতপুর সীমান্ত থেকে ছোলেমান (৩০) নামে এক যুবককে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

রোববার ভোরে ছলেমানকে ২২৯নং পিলারের ভারতের অভ্যন্তরে হরিশচন্দ্রপুর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা আটক করে।

আটক ছোলেমান উপজেলার বালাশহিদ গ্রামের নুর বক্সের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছোলেমান শনিবার রাতে কয়েকজন সঙ্গে নিয়ে ভারত থেকে গরু নেয়ার জন্য প্রবেশ করে। বিএসএফের টহলের কারণে ভোর হয়ে যায়। এসময় অন্যরা পালিয়ে আসলেও ছোলেমান ২২৯নং পিলারের ভারতের অভ্যন্তরে বিএসএফের হাতে আটক হয়।

পোরশা-১৬ বিজিবি নিতপুর ক্যাম্পের সুবেদার আশিকুর রহমান বলেন, ছোলেমানকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনার জন্য ভারতের হরিশচন্দ্রপুর ক্যাম্পে চিঠি দেয়া হয়েছে।

বিএ-২৩/০২-১২ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)

আ’ লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ১০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করবে চীন!

বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চীন ১০ বিলিয়ন মর্কিন ডলার ব্যয় করবে বলে খবর দিয়েছে ভারতের প্রভাবশালী বাংলা দৈনিক যুগশঙ্খ।

শনিবার পত্রিকাটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করবে চীন। উদ্দেশ্য একটাই, বাংলাদেশের আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিরোধী জোট ঐক্যফ্রন্টকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনা। যার চালিকা শক্তি হল খালেদার দল বিএনপি। শুধু তাই নয়, তাদের সঙ্গে রয়েছে মৌলবাদী দল জামায়াতে ইসলামী। বিএনপি ও জামায়াতের মূল বৈশিষ্ট্য এরা উভয়ই পাকিস্তান ও চিনপন্থী। অতএব নিজেদের স্বার্থেই চীন বাংলাদেশের এই বিরোধী ঐক্যফ্রন্টকে ক্ষমতায় ফেরাতে আদাজল খেয়ে নেমেছে।

যুগশঙ্খ লিখেছে, ঢাকার প্রশাসন সূত্রে খবর, দীর্ঘ দশ বছর ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনাকে যেনতেন প্রকারে গতিচ্যুত করে খালেদার জোটকে মসনদে বসাতে তৎপর চীন। আর এ জন্যই তারা এ অর্থব্যয়ে প্রস্তুত। প্রশ্ন উঠেঠছে, কেন হাসিনা সরকারের প্রতি এমন বিরাগভাজন হল চীন?

দেখা গিয়েছে, সম্প্রতি বেশ কয়েকটি বড় বড় প্রকল্প থেকে চীনকে বাদ দেয় হাসিনা সরকার। যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ছিল বঙ্গোপসাগরে একটি প্রকল্প। হাসিনা সরকারের উপর বেইজিংয়ের আক্রোশের পেছনে এটিই বড় কারণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। যার ফলে হাসিনা সরকাকে কুর্সিচ্যুত করতে চীনের ১০ বিলিয়ন অর্থব্যয়। একইসঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্যও বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করেছে চীন।

প্রশ্ন উঠেছে, অতীতে পদ্মপারের এই দেশের নির্বাচনে যেখানে বিন্দুমাত্র নাক গলায়নি বেইজিং, সেখানে এবার এই সক্রিয়তা কেন? কেন বাংলাদেশের ভোট নিয়ে এত উদ্বিগ্ন চীন?

প্রতিবেদনে পত্রিকাটি লিখেছে, সূত্রের খবর, এনিয়ে ঢাকার চীনা দূতাবাস তিন বার বিবৃতি দিয়েছে। পাশাপাশি বিরোধীদের সঙ্গে একাধিকবার গোপন বৈঠকও করেছে। বিএনপির শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতার সঙ্গে ঢাকার চীনা দূতাবাসের কয়েকজন আধিকারিক গোপন বৈঠকও করেছেন বলে জানা গিয়েছে। সেখানেই এই আর্থিক সাহায্য দানের কথা বলা হয়। অন্য একটি সূত্র মতে, চীন দশ বিলিয়ন নয়, তারও বেশি অর্থ ব্যয়ে রাজি।

পরিসংখ্যান বলছে, চীন বাংলাদেশে রপ্তানি করে প্রায় ১৬ থেকে ১৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। সবমিলিয়ে বাংলাদেশকে তারা বছরে একশো কোটি ডলারের অর্থসাহায্য দেয়। তবে ২০১৬ সালে বাংলাদেশ সফরের সময় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ২৪ বিলিয়ন বা দুই হাজার চারশো কোটি ডলারের সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষনা করেন।

বাংলাদেশের পরিকাঠামোগত প্রকল্পে ৩১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে চীন। যা পাকিস্তানের পরই দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ। এর মধ্যে রয়েছে, সড়ক,রেল,কয়লা ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং পানি পরিশোধনগার নির্মাণ। বাংলাদেশে বর্তমানে চীনা বিনিয়োগ সরকারি এবং বেসরকারি খাতে মোট ৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

এছাড়া কৌশলগত অংশীদার হিসাবে চীনের শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জ ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের যৌথ কনসর্টিয়ামের কাছে বাংলাদেশের প্রধান পুঁিজবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ২৫ শতাংশ শেয়ার বিক্রির চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।

এসএইচ-২৩/০২/১২ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্য সূত্র : আমাদের সময়.কম)

যাচাই-বাছাই শেষে সারাদেশে ৭৮৬টি মনোনয়নপত্র বাতিল

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের শেষ দিন রোববার সারাদেশে ৭৮৬টি মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্রটি জানায়, ঋণখেলাপি, নূন্যতম এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরে ঘাটতিসহ না ত্রুটিতে ওইসব মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

এর আগে বুধবার (২৮ নভেম্বর) সারাদেশে মনোনয়নপত্র জমা পড়ে ৩ হাজার ৬৫টি।

বিএ-২২/০২-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

‘এ আদেশ রাজনীতিবিদদের জন্য একটি মেসেজ’

‘দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিতরা নির্বাচন করতে পারবেন না- চেম্বার আদালতের আদেশ আপিল বিভাগে বহাল থাকা জনপ্রতিনিধি ও রাজনীতিবিদদের জন্য একটি মেসেজ’ বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

তিনি বলেন, ‘যারা নির্বাচন করবেন, রাজনীতি করবেন, তারা নিজেদের কলুষমুক্ত রাখবেন। জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে যাতে দণ্ডপ্রাপ্ত না হন সে বিষয়ে সতর্ক থাকবেন। এ আদেশে এমন একটি মেসেজ যাবে।’

রোববার দুপুরে অ্যাটর্নি জেনারেলের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এমন মন্তব্য করেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আপিল বিভাগের এ আদেশের ফলে নৈতিক স্খলনজনিত কারণে দুই বছরের বেশি যারা সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন তারা নির্বাচন করতে পারবেন না। ‘আজকের আদেশ আপনি কীভাবে দেখছেন’- জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, ‘এ আদেশ অবশ্যই মাইলফলক হয়ে থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘অপরাধ করে তারপর আবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন- এটা আমাদের সংবিধান প্রণেতারা চাননি। যে কারণে ১৯৭২ সালে আমাদের সংবিধানে আইনটি সন্নিবেশিত হয়েছে।’

‘আপনি যে সংবিধান প্রণেতাদের কথা বললেন সেই সংবিধান প্রণেতার একজন ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন। তাহলে কি তিনি ভুল বলেছেন’- জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘তিনি সংবিধান প্রণেতাদের মধ্যে একজন। ষোড়শ সংশোধনীতে তিনি যে ডিগবাজি খেয়েছেন ওনার পক্ষে সব রকম কথা বলা সম্ভব।’

‘সরকার বিচার বিভাগের মাধ্যমে বিএনপি নেতাদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করছেন’- বিএনপির আইনজীবীদের এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ফৌজদারি মামলায় যদি কোনো ব্যক্তি দোষী-সাব্যস্ত হন, তাহলে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা বিশেষ কোনো দলের বিষয় নয়। সর্বজনীনভাবে সব লোকের জন্য প্রযোজ্য।’

‘তবে এটা খুব শক্তভাবে ধরার ফলে এখন থেকে যারা নির্বাচন করবেন, রাজনীতি করবেন, তারা নিজেদের কলুষমুক্ত রাখবেন। তাদের কাছে একটা মেসেজ যাবে, জনপ্রতিনিধি হতে হলে তাকে সৎ হতে হবে, মামলা-মোকদ্দমায় যাতে দণ্ডপ্রাপ্ত না হন; এমন কাজ তারা করবেন না।’

‘আজকের এ আদেশ একটি সতর্কবার্তা’ উল্লেখ করে অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, ‘জনগণের প্রতিনিধি হতে হলে নিজকে নিষ্কলঙ্ক হতে হবে। কোনো রকম দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়া যাবে না। এতে তারা নিজেরাই এখন হুঁশিয়ার হয়ে যাবেন।’

‘দুর্নীতির দায়ে দণ্ডপ্রাপ্তদের নির্বাচনে সুযোগ দেয়া সংবিধানের অবমাননা’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সংসদ সদস্য পদে থাকা অবস্থায় দুর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে তার সদস্য পদ চলে যাবে। এ বিষয়ে এরশাদের মামলায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আছে বলেও উল্লেখ করেন মাহবুবে আলম।

অপরদিকে, যশোর-২ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সাবিরা সুলতানার আইনজীবী আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইতিপূর্বে অনেকেই সাজাপ্রাপ্ত হয়েও নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। সে সময়ে আদালত ও অ্যাটর্নি জেনারেল তাতে কোনো হস্তক্ষেপ করেননি। অথচ আমার মক্কেল তার পক্ষে আদেশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অ্যাটর্নি জেনারেল গতকাল অস্বাভাবিকভাবে চেম্বার আদালত বসান। সেখানে তারা আবেদন করে স্থগিতাদেশ নিয়ে যান।’

তিনি বলেন, ‘সরকার একদিকে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের ব্যবস্থার কথা বলছেন অন্যদিকে আদালতকে ব্যবহার করে একতরফা একটি নির্বাচনের পাঁয়তারা করছেন।’ বিএনপির জনপ্রিয় প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে নানা কৌশলে সরকার এগোচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন এ আইনজীবী।

তিনি আরও বলেন, যশোর ঝিকরগাছার আমাদের এই প্রার্থীর মামলার উদাহরণটিকে কাজে লাগিয়ে বিএনপির প্রার্থীদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সরকারের এ অপকৌশলের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি লড়াই চালাতে সিনিয়র আইনজীবীদের মতামত নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

গত ২৯ নভেম্বর জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে ঝিকরগাছা উপজেলার চেয়ারম্যান সাবিরা সুলতানাকে বিচারিক আদালতের দেয়া সাজা ও দণ্ড স্থগিত করে বিচারপতি মোহাম্মদ রইস উদ্দিনের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশ দেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করে রাষ্ট্রপক্ষ। আপিল বিভাগ উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আজ চেম্বার আদালতের আদেশ বহাল রাখেন।

বিএ-২১/০২-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক, তথ্যসূত্র: জাগো নিউজ)

সিলেটে ধানের শীষ কার, মা না ছেলের?

উৎকণ্ঠা ছিল মনোনয়নপত্র বাতিল নিয়ে। তাই সিলেটের প্রতিটি আসনে দেয়া হয়েছিল ২৩ দলীয় জোটের একাধিক প্রার্থী। ব্যতিক্রম যায়নি আলোচিত সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসনও।

বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ‘নিখোঁজ’ এম. ইলিয়াস আলীর এই আসনেও এবার দেয়া হয়েছিল দুইজনকে দলীয় মনোনয়ন। তবে এই মনোনয়ন ছিল ইলিয়াস পরিবারেই সীমাবদ্ধ।

স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা ও ছেলে ব্যারিস্টার আবরার ইলিয়াস অর্ণবের হাতেই তুলে দেয়া হয় দলীয় মনোনয়ন। কোনো কারণে একজনের মনোনয়ন বাতিল হলে যাতে অন্যজন নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন মূলত এই কৌশল থেকেই তাদেরকে দেয়া হয়েছিল মনোনয়ন।

কিন্তু শঙ্কা কাটিয়ে আজ জেলা রিটার্নি অফিসার এম কাজী এমদাদুল ইসলাম বিএনপির প্রার্থী হিসেবে তাহসিনা রুশদীর লুনা ও আবরার ইলিয়াস দু’জনের প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করেছেন। তাই এখন প্রশ্ন ওঠেছে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে ইলিয়াসের এই আসনে কে হচ্ছেন ধানের শীষের কান্ডারি। শেষ পর্যন্ত মা না ছেলে কে হাল ধরবেন এ আসনের?

তবে জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের শামীম মনে করেন এ আসন থেকে ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনাই নির্বাচন করবেন। ইলিয়াস আলী ‘নিখোঁজ’র পর থেকে তিনি এ আসনে বিএনপির রাজনীতি দেখাভাল করছেন।

খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা লুনা সিলেট সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা ও জনমত গঠনে কাজ করেছেন। দলীয় কর্মসূচিতে নিয়মিত অংশ নিয়েও তিনি নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে নিজের জনপ্রিয়তা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।

বিএ-২০/০২-১২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)