বিকাল ৫:২৭
সোমবার
১৮ ই আগস্ট ২০২৫ ইংরেজি
৩ রা ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৩ শে সফর ১৪৪৭ হিজরী
spot_img

বাংলামোটরে শিশুর লাশ উদ্ধার, বাবা আটক

ঢাকার বাংলামোটরের লিংক রোডের একটি বাড়ি থেকে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় শিশুটির বাবাকে আটক করা হয়।

বুধবার সকাল থেকে বাংলামোটর বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল যমুনা টেলিভিশনের সাব-অফিসের পাশের একটি ভবন ঘিরে রাখে পুলিশ ও র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। প্রায় আট ঘণ্টার চেষ্টার পর নুরুজ্জামান কাজল নামের ওই ব্যক্তিকে বের করে আনা হয়। পরে তাঁকে ও তাঁর সন্তানের লাশ শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি দুই সন্তানকে নিয়ে ওই বাড়িতে থাকতেন।

যে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে তার নাম নূর সাফায়েত। তার বয়স তিন বছরের মতো। কাজলের বড় সন্তানের নাম সুবায়েত। তারা এই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। কাজলের বাবার নাম মনু বেপারী।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) এহসানুল ফেরদৌস বলেন, দফায় দফায় বাসায় ঢোকার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে মসজিদে মাইকিং করি। ঘোষণা দেই সাফায়েত মারা গেছে, বাদজোহর তার নামাজে জানাজা হবে। এরপর কাজলের সঙ্গে মসজিদের হুজুরদের দিয়ে কথা বলানো হয়। তাঁকে বলা হয়, সাফায়েতের জানাজা পড়াব, সবাই মিলে মাটি দেব। আপনি বেরিয়ে আসেন। একপর্যায়ে জীবিত শিশুটিকে (সুরায়েত) নিয়ে তিনি বেরিয়ে আসেন। তখন মৃত সাফায়েতের মরদেহ নিয়ে বেরিয়ে আসেন আরেক হুজুর। নিচে এলে আমরা কাজলকে ধরে ফেলি।

‘শিশুটির বাবা পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, সাফায়েত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন। তবে মরদেহের ময়নাতদন্ত হলে বোঝা যাবে মৃত্যুর আসল ঘটনা’, যোগ করেন এসি এহসানুল।

শিশু সাফায়াত ও তাঁর বাবা নুরুজ্জামান কাজলকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান। তখন সাফায়েতের মা প্রিয়া ও চাচা নুরুল হুদা উজ্জ্বল সেই গাড়িতে ছিলেন।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে র‍্যাবের কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) শরিফুল ইসলাম গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেন, ‘আমি ভেতরে ঢুকে দেখেছি, নুরুজ্জামান কাজল তাঁর ছোট শিশুকে কাফনের কাপড় পরিয়ে টি-টেবিলের ওপর রেখেছেন। এ ছাড়া বড় সন্তানকে বুকে জড়িয়ে হাতে বড় রামদা নিয়ে বসে আছেন।’

এসআই আরো দাবি করেন, ‘কাজলকে দেখে স্বাভাবিক মনে হচ্ছে না। তাঁর আচরণ অস্বাভাবিক। তিনি ভেতরে কাউকে ঢুকতে দিচ্ছেন না। কোনো সহযোগিতা লাগবে কি না জানতে চাইলে কাজল বলেন, আমি ১টার দিকে বের হয়ে আমার সন্তানকে আজিমপুরে দাফন করব। কারো কোনো সহযোগিতা দরকার নেই। আপনাদের এখানে ডাকছে কে?’

১৬ লিংক রোড বাংলামোটরের ওই ভবনের নিচে সকাল থেকেই অনেক মানুষ জড়ো হন। সেখানে আসে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের গাড়িও। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ভবনটি ঘিরে রাখেন।

ওই ভবনের মালিক নুরুজ্জামান কাজলকে নিয়ে স্থানীয়রা নানা কথা বলছিলেন। পুলিশ কাউকে ওই ভবনে প্রবেশ করতে দিচ্ছিল না। ভবনটি দোতলা ও নিচতলায় বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

সাফায়েতের ফুফু রোকেয়া বেগম বলেন, ‘আমার বাবা মনু মেম্বারের ১৪ সন্তান। বাবা সবার প্রাপ্য সম্পত্তি ভাগ করে দিয়ে গেছেন। ভাগ অনুযায়ী, ভাই এখানেই (বাংলামেটর) থাকতেন। তিনি পাগলামি করতেন, পাগলামি করে গত তিন মাস আগে বাসা থেকে সবাইকে বের করে দেন। সেজন্য তাঁর স্ত্রীও অন্য জায়গায় থাকতেন।’

রোকেয়া আরো বলেন, ‘কাজল সন্তানদের খুবই আদর করতেন। পাগলামির কারণে তিন মাস আগে পরিবারই ভাঙচুরের মামলা দিয়েছিল, সে কারণে তাঁকে জেলে যেতে হয়েছিল। পরে আবার স্ত্রীই তাঁকে জামিন দিয়ে বের করে আনেন। আজ সকালে উজ্জ্বলকে ফোন দিয়ে কাজল জানান, সাফায়েত মারা গেছে। কিন্তু সবাই ছুটে এলে কাজল দা হাতে নিয়ে তাড়িয়ে দেন।’

বিএ-০৭/০৫-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক, তথ্যসূত্র: এনটিভি)

কেন ভক্তদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তারা?

কেন ভক্তদের কাছে

নামী তারকাদের ভক্তের সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। এসব ভক্তরা সব সময় প্রিয় তারকাদের কাছ থেকে ভালো ছবি পেতে মুখিয়ে থাকেন। কিন্তু বাস্তবে তা হয়ে ওঠে না। মাঝেমধ্যে দু’একটি ছবি সমালোচনার মুখে পড়ে। আর তখন কেউ কেউ এসব সমালোচনা এড়িয়ে চলেন, আবার কেউ গণমাধ্যমের সামনে হাজির হয়ে দর্শকদেরকে বিনোদন বঞ্চিত করার জন্য ক্ষমা চান। বলিউডের এমন কয়েকজন ক্ষমাপ্রার্থী তারকার কথা জানা যাক-

আমির খান

বলিউডের পারফেক্ট অভিনেতা হিসেবেই পরিচিত আমির খান। খুব বেছে বেছে ছবি করেন, আবার যা করেন তার বেশীরভাগই হিট। তবে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে ছিঁটিয়ে থাকা তার ভক্তরা সদ্য মুক্তি পাওয়া ছবি ‘থাগস অব হিন্দুস্তান’ দেখে কিছুটা হতাশ হয়েছেন। কারণ ছবিটি বাজেটের অর্থ উঠিয়ে নিলেও ভক্ত দর্শকদের মন কাড়তে ব্যার্থ হয়েছে। অনেকেই আমিরকে নিয়ে ভার্চুয়াল রসিকতায় মেতেছেন, নগ্ন সমালোচনা করেছেন। কিন্তু তিনি গুটিয়ে থাকেননি। জনসম্মুখে পুরো ছবির ব্যার্থতার দায়ভার নিজের কাঁধে নিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন।

শাহরুখ খান

অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে ভক্তরা তাকে ভালোবেসে বলিউডের ‘বাদশা’ ও ‘কিং খান’ উপাধি দিয়েছেন। তবে তিনি চলচ্চিত্রের কিং হলেও, ছবির ব্যার্থতার জন্য ভক্তদের কাছে ক্ষমা চাইতে দ্বিধা করেননি। ২০১৭ সালের ৩ আগস্ট মুক্তিপ্রাপ্ত শাহরুখের ‘যাব হ্যারি মেট সেজাল’ ছবি দর্শকদের সন্তুষ্ট করতে পারেনি বলে সংবাদ সন্মেলন করে ভক্তদের কাছে ক্ষমা চান শাহরুখ।

সালমান খান ও কবির খান

বলিউডের আরেক হিট মেশিন সুপারস্টার সালমান খান। বলিউড ছবির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ব্লকবাস্টার ছবি উপহার দেওয়া এই তারকাও বাজে ছবির জন্য আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন। গত বছর মুক্তি পাওয়া তার অভিনীত ‘টিউবলাইট’ ছবি দারুণ সমালোচিত হলে সংবাদ সন্মেলন করে ভক্তদের কাছে ক্ষমা চান। যদিও এর ব্যার্থতার দায়ভার বেশীরভাগই পড়েছে নির্মাতা কবির খানের উপর। সালমানের পাশপাশি তিনিও ভক্তদের কাছে ক্ষমা চান।

অনুরাগ বসু

বাঙালি পরিচালক অনুরাগ বসুর নির্মাণশৈলীর অনেক অনুরাগী রয়েছে বলিউডে। এই নির্মাতার বিশেষ করে ‘বারফি’ ও ‘লাইফ ইন এ মেট্রো’র মতো ছবিগুলো দর্শকদের মনে স্থায়ী আসন গেঁড়েছে। কিন্তু ২০১৭ সালে নির্মিত ‘জজ্ঞা জাসুস’ ভক্ত দর্শকদের সেভাবে মন কাড়তে পারেনি। ছবিতে রণবীর কাপুর ও ক্যাটরিনা কাইফের মতো অভিনেতারা থাকলেও সমালোচনার বোঝা সম্পূর্ণ নিজের কাঁধে নিয়ে দায় স্বীকার করেছেন তিনি। সঙ্গে এটিও বলেছেন যে, ছবিটি বাচ্চাদের; যার কারণে দর্শক পছন্দ করেনি।

মুস্তফা

পরিচালক আব্বাস বুর্মাওয়ালার পুত্র মুস্তফার নির্মিত প্রথম ছবি ‘মেশিন’। দুর্ভাগ্যবশত প্রথম ছবিতেই সমালোচনার মুখে পড়েন মুস্তফা। পরবর্তীতে এই ব্যার্থতার জন্য দর্শকদের কাছে ক্ষমা চান তিনি। সেই সঙ্গে বলেন, ‘ব্যার্থতাই সফলতার মূল খুঁটি।’

আরএম-১৬/০৫/১২ (বিনোদন ডেস্ক)

প্রধানমন্ত্রী যখন পাইলট!

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হওয়া দ্বিতীয় ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ ‘হংসবলাকা’ পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার দুপুরে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে ভিভিআইপি টার্মিনালের টারমার্কে জাতীয় পতাকাবাহী বোয়িং ৭৮৭-৮ মডেলের উড়োজাহাজটি পরিদর্শন করেন তিনি।

শেখ হাসিনা ২৭১ আসনের এ উড়োজাহাজটিতে উঠে ককপিটসহ বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন। এক পর্যায়ে তিনি বিমানের ককপিটে পাইলটের আসনে বসেন। বিমানটির হংসবলাকার নামকরণও করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

জানা গেছে, আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রা শুরু করবে হংসবলাকা। রেজিস্ট্রেশন ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সব প্রক্রিয়া শেষ হতে প্রায় সপ্তাহখানেক সময় লাগবে। ঢাকা-লন্ডন ফ্লাইটের মধ্য দিয়ে এটি প্রথম বাণিজ্যিক ফ্লাইট চলাচল শুরু করবে।

উড়োজাহাজটির ইঞ্জিন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান জেনারেল ইলেকট্রিক (জিই)। উড়োজাহাজটির শব্দ কমাতে ইঞ্জিনের সঙ্গে শেভরন প্রযুক্তি যুক্ত রয়েছে।

উড়োজাহাজের নিয়ন্ত্রণ হবে ইলেকট্রিক ফ্লাইট সিস্টেমের মাধ্যমে। কম্পোজিট ম্যাটেরিয়াল দিয়ে তৈরি হওয়ায় এই উড়োজাহাজটি ওজনে হালকা। ভূমি থেকে উড়োজাহাজটির উচ্চতা ৫৬ ফুট। দুটি পাখার আয়তন ১৯৭ ফুট। এর মোট ওজন ১ লাখ ১৭ হাজার ৬১৭ কিলোগ্রাম, যা ২৯টি হাতির সমান! এর ককপিট থেকে টেল (লেজ) পর্যন্ত ২৩ লাখ যন্ত্রাংশ রয়েছে।

হংসবলাকা দিয়ে লন্ডন, দাম্মাম ও ব্যাংকক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। টানা ১৬ ঘণ্টা উড়তে সক্ষম উড়োজাহাজটি চালাতে অন্যান্য বিমানের তুলনায় শতকরা ২০ ভাগ কম জ্বালানী খরচ হবে। ঘণ্টায় ৬৫০ কিলোমিটার বেগে উড়তে পারবে। এর আসন রয়েছে ২৭১টি। এর মধ্যে বিজনেস ক্লাস ২৪টি আর ২৪৭টি ইকোনমি ক্লাস।

বিজনেস ক্লাসের আসনগুলো বানিয়েছে অ্যাসটেলা। আর ইকোনমি ক্লাসের আসনগুলো হেইকোর বানানো। বিজনেস ক্লাসের আসনগুলো ৬৫ ইঞ্চি পিচ, ইকোনমি ক্লাসের আসন৩১ ইঞ্চি পিচ। বিজনেস ক্লাসে ২৪টি আসন ১৮০ডিগ্রি পর্যন্ত সম্পূর্ণ ফ্ল্যাটবেড হওয়ায় যাত্রীরা আরমদায়কভাবে বিশ্রাম নিতে পারবেন।

দুপাশের প্রত্যেক আসনের পাশে রয়েছে বড় আকারের জানালা। একসঙ্গে জানালার শাটার বন্ধ করা ও খোলা যাবে বোতাম টিপে। জানালা থেকে শুরু করে কেবিনেও রয়েছে মুড লাইট সিস্টেম। ফলে যাত্রীরা সহজেই পরিবর্তন করতে পারবেন লাইটিং মুড। দীর্ঘ সময় ভ্রমণেও যাত্রীরা যেন ক্লান্তি অনুভব না করেন সেজন্য এর ভেতরে এয়ার কমপ্রেসর সিস্টেম অন্যান্য উড়োজাহাজের তুলনায় উন্নত।

প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানির ১০টি নতুন বিমান ক্রয়ের জন্য দুই দশমিক এক বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করে। হংসবলাকা যোগ হওয়ার মধ্য দিয়ে বিমানবহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫টি।

বিএ-০৬/০৫-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক, তথ্যসূত্র: জাগো নিউজ)

মন্ত্রিত্ব চলে গেলে আবার সাংবাদিক হয়ে যাব

মন্ত্রিত্ব চলে গেলে আবার সাংবাদিকতায় ফিরবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার দুপুরে ঢাকার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি সাংবাদিক ছিলাম। মন্ত্রিত্ব তো আর সারা জীবন থাকবে না, মন্ত্রিত্ব সব সময় থাকবে এমন তো কোনো কথা না, মন্ত্রিত্ব সব সময় থাকবে এই অহংকারও আমি করি না।

অনেক বাঘা বাঘা মন্ত্রিরা এখন আর নেই। মন্ত্রিত্ব চলে গেলে আবার সাংবাদিক হয়ে যাব।

ওবায়দুল কাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। ছাত্রজীবনে রাজনীতির পাশাপাশি সাংবাদিকতা ও লেখালেখি করতেন তিনি। বাংলার বাণী পত্রিকার সহকারী সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন দীর্ঘ সময়। এ পর্যন্ত তার লেখা কয়েকটি বইও প্রকাশিত হয়েছে।

বিএ-০৫/০৫-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক, তথ্যসূত্র: সমকাল)

ইসলামের নির্দেশনা মিলে গেল গবেষণায়

ইসলামের নির্দেশনা

সুস্থ সুন্দর ও নিরাপদ জীবন লাভে রাতে দেরি না করে ঘুমিয়ে পড়া এবং ভোরে তাড়াতাড়ি জেগে ওঠার কোনো বিকল্প নেই। ইসলামের বিধানও তাই। প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে পাকে এ বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন।

সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের একদল চিকিৎসকের গবেষণায় সুস্থ থাকতে রাতে জলদি ঘুমাতে যাওয়া এবং সকালে তাড়াতাড়ি ওঠার বিষয়টি ফুটে উঠেছে। যারা দেরিতে ঘুমাবে এবং দেরিতে ঘুম থেকে উঠবে এদের শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি যেমন বেশি তেমনি মৃত্যুর ঝুঁকিও কয়েকগুণ বেশি।

স্বাভাবিক ভাবে রাত জাগা আর দেরিতে ঘুম থেকে ওঠা সমাজে বদঅভ্যাস হিসেবে বিবেচিত এবং এর ক্ষতিকর দিকটি কেউ ভেবে দেখেনি। এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের একদল চিকিৎসকের গবেষণায় বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে ফুটে ওঠেছে।

গবেষক দল ৩৮ থেকে ৭৩ বছর বয়সী ৪ লাখ ৩৩ হাজার মানুষের ওপর গবেষণা চালিয়ে এ জরিপ করেছে। চিকিৎসকদের গবেষণায় যা ওঠে এসেছে। যুক্তরাজ্যের ফ্যাকাল্টি অব মেডিসিনের চিকিৎসক ডা. পিরেঞ্জ লেভি গবেষণার বিষয়টি এভাবে তুলে ধরেন-

– ‘আমরা দেখেছি যারা দেরি করে ঘুম থেকে ওঠেন তারা নানা ধরনের মানসিক ও শারীরিক জটিলতায় ভোগেন। তাদের গড় আয়ু নিয়মিত সকালে ওঠা মানুষের চেয়ে সাড়ে ৬ বছর কম।

– যারা দেরি করে ঘুমাতে যান এবং সকালে দেরি করে ঘুম থেকে ওঠেন তাদের অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায়। আর যাদের দেহ ঘড়ি অনিয়মে চলে তাদের এ ঝুঁকি বাড়তেই থাকে।

প্রবাদ আছে

‘তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া আর সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা সুস্বাস্থ্য, সম্পদ আর জ্ঞানের পূর্বশর্ত।’ এবার এ প্রবাদের পক্ষেই প্রমাণ দিলেন যুক্তরাজ্যের একদল গবেষক। তাদের দাবি-

‘যারা নিয়মিত ঘুম থেকে ওঠেন তাদের অকাল মৃত্যুর হার সবচেয়ে কম।’

চিকিৎসক দল ৪ ধরনের মানুষের ওপর এ গবেষণা করে থাকেন। যারা নিয়মিত সকালে ওঠেন আর মাঝে মাঝে সকালে ওঠেন। আবার মাঝে মাঝে দেরি করে ঘুমান এবং যারা নিয়মিত রাত জাগেন, এমন ৪ ধরনের মানুষের ওপর গবেষণা পরিচালনা করেন। তাদের গবেষণায় আরো এসেছে-

– রাত জাগার বদঅভ্যাস যারা গড়ে তুলেছেন তাদের ৯০ শতাংশই মানসিক রোগের শিকার।

– রাত জাগার বদঅভ্যাসে আক্রান্ত ৩০ শতংশ মানুষের ডায়াবেটিকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।

– স্নায়ুবিক সমস্যা থেকে শুরু করে অন্ত্রের রোগসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যায়।

চিকিৎসকদের পরামর্শ

মৃত্যু ঝুঁকি, ডায়াবেটিক, স্নায়ুরোগসহ যাবতীয় জটিল রোগ থেকে বাঁচতে সুস্থ জীবন যাপনের জন্য দেরি না করে নিয়ম মাফিক একই সময়ে ঘুমানো এবং ঘুম থেকে ওঠা, ঘুমের সময় মোবাইল ও ল্যাপটপ ব্যবহার না করার মতো অভ্যাস গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন এসব গবেষক চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা।

আজ থেকে প্রায় দেড় হাজার বছর আগে সর্বকালে সর্বযুগের মহাবিজ্ঞানী রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানুষের জন্য এ উপদেশ দিয়েছেন এবং সকাল বেলা তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠে সূর্যোদয়ের আগেই ফজর আদায় করার বিধান নিয়ে এসেছেন।

দেরিতে হলেও চিকিৎসা বিজ্ঞান প্রিয়নবির নসিহতের পুনরাবৃত্তি করছে মাত্র। এতেই প্রমাণিত হয় যে ইসলামই একমাত্র পরিপূর্ণ বিজ্ঞানসম্মত সুন্দর জীবন ব্যবস্থা। যার প্রতিটি বিধান মানুষের জন্য উপকারি।

আল্লাহ তাআলা মানুষকে ইসলামের বিধানে আলোকে জীবন পরিচালনার এবং রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়ার এবং সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস গঠন করার তাওফিক দান করুন। সুস্থ ও সুন্দর রোগমুক্ত জীবন উপভোগ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

আরএম-১৪/০৫/১২ (ধর্ম ডেস্ক)

মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের ঐশীর রেকর্ড

মিস ওয়ার্ল্ড

মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতার ৬৮তম আয়োজনে গ্রুপ ৬-এর ‘হেড টু হেড’ চ্যালেঞ্জে চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেরা ২০-এ জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশ থেকে মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ-২০১৮ চ্যাম্পিয়ন জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী।

গত বার এই প্রতিযোগীতায় সেরা ৪০ এ স্থান করেছিল বাংলাদেশের জেসিয়া। এবার সেরা ২০ এ নিজের স্থান করে নিয়ে প্রথমবারের মতো এ বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতায় রেকর্ড করেছেন ঐশী।

এ বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের গান ও নাচ পরিবেশ করেন তিনি। এর আগে, ৩০ নভেম্বর বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের দেয়া উত্তরের ওপর ভোট গ্রহণ।

এরপর অন্যান্য গ্রুপ চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে গ্রুপ ৬ এর চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ঘোষণা করা হয় ঐশীর নাম। আর এই বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে ঐশী এখন সেরা ২০-এ।

চীনে সায়নায় অনুষ্ঠিত হওয়া এ বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতার ‘হেড টু হেড চ্যালেঞ্জ’ পর্বে ২ শত ২০ কোটি ভিউ ও ২ কোটি মানুষের ভোট নেওয়া হয়েছে।

এ পর্বে নির্বাচিত ২০ জন প্রতিযোগীকে বিচারকদের সামনে ৯০ সেকেন্ড সময়ের মধ্যে তাদের ইচ্ছার কথা জানানতে বলা হয়। এ সময় প্রত্যেকেই তাদের ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেন। তখন বাংলাদেশের প্রতিযোগী জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী তার ইচ্ছার কথা প্রকাশ করতে গিয়ে উপস্থিত বিচারকদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ প্রশংসা অর্জন করেন।

চীনের সানাইয়া শহরে আগামী ৮ ডিসেম্বর বসবে বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে আসর। সেদিন জানা যাবে, এবার আসরে কে হচ্ছেন বিশ্ব সুন্দরী। এর আগে বিশ্বের অন্যান্য দেশের প্রতিযোগীদের সঙ্গে বিভিন্ন বিভাগে অংশ নিচ্ছেন ঐশী। সব কটি ধাপ সাফল্যের সঙ্গে পার হলে হয়তো গ্র্যান্ড ফিনালেতেও দেখা যেতে পারে বাংলাদেশের ঐশীকে।

আরএম-১৩/০৫/১২ (বিনোদন ডেস্ক)

দাঁতের ব্যথার ঘরোয়া সমাধান

দাঁতের ব্যথার

দাঁতের সমস্যা যদি বড়সড় হয় তাহলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া ছাড়া ভিন্ন উপায় থাকে না। কিন্তু চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগে ব্যথা বা সমস্যা কমার কোনো উপায় জানা থাকলে সে সময় আরাম পাওয়া যায়। ছোটখাটো দাঁতের সমস্যা সারাতেও এসব উপায় কাজে আসে। জেনে নিন এমনই একটি ঘরোয়া উপায় যার মাধ্যমে সহজেই দাঁতের যে কোনো সমস্যা থেকে অনেকটা আরাম পাবেন।

খুব সহজে মেলে এমন দুই উপকরণ দিয়েই বানিয়ে ফেলতে পারেন সমাধান। প্রয়োজন কেবল নারিকেল তেল ও লবঙ্গের গুঁড়া। এবার একটি পাত্রে নারিকেল তেলের মধ্যে বেশ কিছুটা লবঙ্গের গুঁড়া মিশিয়ে নিন। ভালো করে ফেটিয়ে এই মিশ্রণ ব্রাশের সাহায্যে আক্রান্ত স্থানে লাগান। দিনে বার তিনেক এমনটা করলে অনেকটা আরাম মিলবে দাঁতের ব্যথা ও অন্যান্য সমস্যা থেকে।

নারিকেল তেলের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য দাঁতের গোড়ার নানা সমস্যা ও সংক্রমণ রোধ করে। এছাড়া লবঙ্গের গুঁড়ায় থাকা ইউজিনল দাঁতের ব্যথা কমাতে খুবই কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করে। সুতরাং চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগেই ব্যথাকে কব্জা করার এই সহজ উপায়ে আস্থা রাখলে আরাম পাবেন সহজেই।

আরএম-১২/০৫/১২ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)

সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের সুযোগ পাবেন খালেদা

ফাইল ছবি

সংবিধানের আর্টিকেল ৬৬ অনুযায়ী খালেদা জিয়া নির্বাচনের সুযোগ পাবেন বলে মন্তব্য করেছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

তিনি বলেন, ‘আইন যদি তার নিজস্ব গতিতে চলে এবং নির্বাচন কমিশন যদি ফেয়ারলি ডিসাইট করেন তবে নির্বাচন কমিশন থেকেই বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে রায় আসবে বলে। আর্টিকেল ৬৬-তে দেয়া আছে- সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক (সাজা হলে)। আপিল হচ্ছে কন্টিনিউয়াস অব ট্রায়াল।

খালেদা জিয়ার যে দুটা মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে দুটারেই আপিল করা হয়েছে। আপিলের রায় এখনও আসে নাই। তাছাড়া অতীতের অনেক নজিরও রয়েছে। আশা করবো সেসব বিবেচনা করে কমিশন রায় দেবেন।’

বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে ফেনী-১ আসন থেকে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, বগুড়া-৬ থেকে আইনজীবী নওশাদ জমির ও বগুড়া-৭ আসন থেকে অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার খালেদা জিয়ার পক্ষে আপিল করেন।

আপিল প্রক্রিয়া শেষে ফেরার পথে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী কায়সার কামাল।

তিনি বলেন, ‘আইন বহির্ভূত ও অন্যায়ভাবে রিটার্নিং কর্মকর্তা খালেদা জিয়ার ফেনী-১ বগুড়া-৬ ও ৭ আসনের মনোনয়ন ফরম বাতিল করেছেন। যেটা সরকারের যড়যন্ত্রের অংশ বলে আমরা মনে করি। আজকে আমরা তিন আইনজীবী খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করেছি।’

ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘জাতি তাকিয়ে আছে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য। আর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ছাড়া যে নির্বাচন হবে তা হবে প্রহসনের নির্বাচন। দেশের স্বার্থে, জাতির স্বার্থে ও আন্তর্জাতিক মহলে স্বীকৃতির জন্য নির্বাচন কমিশন সুবিচার করবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি।’

কমিশন যদি আপিলে সুবিচার না করে সেক্ষেত্রে আপনারা কী করবেন- জানতে চাইলে খালেদার এই আইনজীবী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আইন যদি ফলো করা হয়; কমিশন যদি আইন ফলো করেন তবে যে আইনে খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে তা এক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। সুতরাং আমরা বিশ্বাস করি কমিশন আইনগতভাবেই বিষয়টি বিবেচনা করবেন।’

আইনের ব্যাখ্যা আদালত ও নির্বাচন কমিশন দিয়েছে, এরপরও কেন দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার মনোনয়ন ফিরে পাবার আশা করছেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘পৃথক মামলায় পৃথক রায় ও বক্তব্য এসেছে। একেকজন একেক কেইসে বলেছেন। এক্ষেত্রে খালেদা জিয়ার কেইস সম্পূর্ণ ভিন্ন। আইন নিজস্ব গতিতে চললে ও নির্বাচন কমিশন সংবিধান ও আইন যদি ফলো করে তাহলে খালেদা জিয়া অবশ্যই মনোনয়ন ফিরে পাবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন অনেক বিতর্ক করেছেন। আমরা আশা করবো, খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে বিতর্কের ঊর্ধ্বে উঠে পক্ষপাত না করে তার মনোনয়নপত্র গ্রহণ করবেন। খালেদা জিয়া যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন সে ধরনের ব্যবস্থা তারা গ্রহণ করবেন।’

বিএ-০৪/০৫-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

জন-মিথিলার প্রেম: সত্যি না গুঞ্জণ

জন-মিথিলার

জন কবির আর মিথিলার প্রেমের গুঞ্জণ বহু দিনের।জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খানের সঙ্গে সুদর্শনী মিথিলার সুখের সংসার ভেঙে যাওয়ার পেছনে এই সম্পর্ককে দায়ী করে থাকেন অনেকে।

সম্প্রতি ফেসবুকে জনের সঙ্গে মিথিলার একটি রোমান্টিক ছবি এই দুই তারকার প্রেমের গুঞ্জণকে ফের সামনে নিয়ে এসেছে।ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরালও হয়েছে।

ইনদালো ব্র্যান্ডের ভোকাল ও অভিনেতা জন কবিরের সঙ্গে বেশ কিছু নাটকে অভিনয় করেছেন মিথিলা।এই দু’জনের যে কয়টি নাটক হিট হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে আফটার ম্যারেজ।

অভিনয়ের সুবাদেই জনের সঙ্গে সখ্য হয় মিথিলার।অনেকের ধারণা সখ্য থেকে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান দু’জনে।

গত সোমবার জন কবির নিজের ফেসবুকে মিথিলার সঙ্গে একটি রোমান্টিক ছবি পোস্ট করেছেন।ছবির নিচে এক শব্দের ক্যাপশনও দিয়েছেন জন। এতে লিখেছেন ‘কনটেন্ট’। পাশে একটি হাসির ইমো।

ছবিটি মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে। ভাইরালও হয়। অনেকেই নানা মন্তব্য করে। লাইকও পড়ে প্রচুর। এরপর নতুন করেই শুরু হয় তাদের প্রেমের গুঞ্জণ।

জনের ফেসবুক আইডিতে ঢুকে দেয়া গেছে আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ছবিটিতে ২৪ হাজার লাইক পড়েছে। ছবিটি শেয়ার করেছেন ৩৬২০জন। আর মন্তব্য করেছেন ১৬০০ মানুষ।

অনেকে বাজে মন্তব্যও করেছেন ছবিটির নিচে।অনেকে মজা করেছেন।জনপ্রিয় সংগীত পরিচালক ফুয়াদ মুক্তাদির মজা করে কমেন্টে লিখেছেন ‘ভাবি’। তার উত্তরে দিয়েছেন জন কবির। লিখেছেন আমারও ভাবি।

অনেকে মিথিলার সাবেক স্বামী তাহসানকে উদ্দেশ্য করে কমেন্ট করেছেন। তাহসান ভাই আপনি কেমন আছেন? কোথায় আছেন?

এজন কমেন্টে লিখেছেন, দিলাম আগুন লাগায়া।

তবে ছবিটিতে মিথিলার কোনো কমেন্ট নেই।এ বিষয়ে তার কোনো বক্তব্যও আসেনি কোথাও।

প্রসঙ্গত, শোবিজের জনপ্রিয় জুটি তাহসান ও মিথিলা ২০০৬ সালে ৩ আগস্ট বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের ঘর আলো করে আসে আইরা তেহরীম খান নামে এক কন্যা সন্তান। প্রায় এক যুগ পর তাদের সম্পর্কে ছেদ পড়ে। ২০১৭ সালের ২০ জুলাই তাহসান তার মিখিলার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন।

আরএম-১১/০৫/১২ (বিনোদন ডেস্ক)

প্রবাসী বন্দিদের দেখতে ইমিগ্রেশন ক্যাম্পে রাষ্ট্রদূত

বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহ. শহীদুল ইসলাম মালয়েশিয়া সিমুনিয়া ইমিগ্রেশন ক্যাম্প পরিদর্শণ করেছেন। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০ টায় তিনি ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশি বন্দিদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেন।

এ সময় বাংলাদেশের হাইকমিশনার সঙ্গে হাইকমিশনের শ্রম কাউন্সিলর ও অতিরিক্ত সচিব মো: সায়েদুল ইসলাম, মিনিষ্টার পলিটিক্যাল মো: রইস হাসান সারোয়ার, শ্রম শাখার ২য় সচিব মো: ফরিদ আহমদ, সাংবাদিক আহমাদুল কবির এবং দূতাবাসের কল্যাণ সহকারি মো: মোকসেদ আহমদ সঙ্গে ছিলেন।

ক্যাম্প কমান্ডার পিপি আই হাজিজান বিন আব্দুল্লাহ এবং ডেপুটি কমান্ডার মোহাম্মদ কামাল বিন ওসমান হাইকমিশনারকে স্বাগত জানান এবং হাই কশিনারের সঙ্গে বন্দীদের নিয়ে মতবিনিময় করেন। এ সময় ক্যাম্পের অন্যান্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময়কালে কমান্ডার পিপি আই হাজিজান বিন আব্দুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশি বন্দিরা অত্যন্ত ভাল। অন্যান্য দেশের বন্দিরা বিভিন্ন অপরাধে জেল খাটছে। বিভিন্ন কারাগার ও ক্যাম্পে যারা আটক আছেন, তাদের বেশিরভাগই অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ কিংবা অবৈধভাবে থাকার কারণে গ্রেফতার হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, এদের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার অভিবাসন আইন, ১৯৫৯-এর ধারা ৬(১) সি/১৫ (১) সি এবং পাসপোর্ট আইন, ১৯৬৬-এর ১২(১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশি বন্দিরা শুধু অবৈধ বসবাস করায় তারা গ্রেফতার হয়ে জেল খাটছে এটাই তাদের অপরাধ।

ক্যাম্পে থাকা বাংলাদেশের নাগরিকদের দ্রুত দেশে ফেরত প্রেরণ এবং অহেতুক বাংলাদেশি কর্মীদের হয়রানি না করার আশ্বাস দেন কামান্ডার। এসময় হাই কমিশনার মহ.শহীদুল ইসলাম ক্যাম্পের প্রধানকে যাতে বাংলাদেশি বন্দিদের কোন অসুবিধা না হয় সেদিকে খেয়াল রাকগার কথা বলেন। সেই সঙ্গে বন্দিদের দ্রুত দেশে পাঠানোর পরামর্শ দেন ক্যাম্পের এ কর্মকর্তা।

হাইকমিশন সূত্রে জানা গেছে, দেশটির ইমিগ্রেশন ক্যাম্পে মালয়েশিয়ান আইন অনুযায়ী পাসপোর্ট ও ভিসা না থাকা, পাসপোর্ট ও ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়া এবং সাগর বা স্থলপথে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের পুলিশ গ্রেফতার করে বিচার ও জেল শেষে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য রাখা হয় দেশটির বিভিন্ন ক্যাম্পে।

এরপর হাইকমিশন থেকে অস্থায়ী ট্রাভেল পাশ ইস্যু করে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। এ ক্ষেত্রে নিজেকে বিমান ভাড়া বহন করতে হয়। সিমুনিয়া ক্যাম্পে ২৯৬ জন বাংলাদেশি দেশে ফেরতের অপেক্ষায় রয়েছেন। তাদের জাতীয়তা নিরূপণ করে ট্রাভেল পাশ ইস্যু করা হচ্ছে বলে জানান কাউন্সিলার (শ্রম) মো: সায়েদুল ইসলাম।

২৯৬ জনের মধ্যে ৪ ডিসেম্বর ৪০ জন, ৬ ডিসেম্বর ১৮ জন ও ১৩ ডিসেম্বর ৩১ জন বন্দী দেশে ফেরত যাচ্ছে বলে জানালেন ক্যাম্পের সংশ্লিষ্টরা। এদিকে, সাজার মেয়াদ শেষ হলেও দেশে ফেরত যেতে পারেনি অনেকে। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশে যোগাযোগ করতে পারেনি এবং মালয়েশিয়ায় তাদের কেউ বিমান ভাড়া দেয়নি তাই দেশে যেতে পারেনি।

এ বিষয়ে কি পদক্ষেপ নিয়েছে জানতে চাইলে কাউন্সিলর (শ্রম) মো. সায়েদুল ইসলাম জানান, বন্দি শিবিরে যারা আটক রয়েছেন তাদের দ্রুত দেশে পাঠানোর সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাদের কেউ নেই অথবা টিকিটের ব্যবস্থা হচ্ছে না তখন দূতাবাসের পাশাপাশি জনহিতৈশী কাজে নিয়োজিতদের সহযোগিতায় বিমান টিকিট দিয়ে তাদের দেশে পাঠানো হয়।

এছাড়া দূতাবাসের শ্রম শাখার সচিবরা প্রত্যেকটি বন্দিশিবির পরিদর্শন করে বাংলাদেশিদের শনাক্ত করে পর্যায়ক্রমে তাদের দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করছেন বলে জানালেন শ্রম কাউন্সিলর। এক প্রশ্নের জবাবে শ্রম কাউন্সিলর বলেন, প্রত্যেকটি ক্যাম্পে কতজন বাংলাদেশি আটক রয়েছে তাদের তালিকা দ্রুত মিশনে পাঠাতে বলা হয়েছে।

এদিকে, অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে ইমিগ্রেশন ও অন্যান্য বিভাগের প্রতিদিনের মেগা-থ্রি অভিযানে বাংলাদেশিসহ অবৈধ অভিবাসীদের আটক করে দেশটি। আটককৃতদের সিমুনিয়া, লেঙ্গিং, জুরুত, তানাহ মেরায়, মাচাম্বু, পিকে নানাস, আজিল, কেএলআইএ সেপাং ডিপো, ব্লান্তিক, বুকিত জলিল ও পুত্রাজায়ায় রাখা হচ্ছে।

এসএইচ-০৬/০৫/১২ (প্রবাস ডেস্ক)